ফেলুদার ডায়রি-৫

লিখেছেন লিখেছেন ফেলুদা ০৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:১৫:১৯ রাত



তখন ফেলুদা ক্লাস সিক্সে পড়ে। ফেলুদার সাথে কাজিন রহমান থাকতো। সময়টা শীতকাল। পাশের বাড়ীর আরেক কাজিনের বিয়ে। বিয়ে একটা চরের মধ্যে। অর্থাৎ নিভৃত্ত গ্রাম। যে বাড়ীতে বিয়ে, সে বাড়ীন চারপাশ মরিচের চাষ তখন। সকালে শিশির ভেজা কাচা মরিচের গাছ, পাশ দিয়ে হাঁটতে এক অন্যরকম অনুভূতি।

বেড়ানোর অভ্যাসটা খুব বেশি মাত্রায় না হলেও কাজিনদের বিয়ে, অন্যান্য ফাংশনগুলো ঠিকই ফেলুদা উপস্থিত থাকত। হয়ত এটা সামাজিক কিংবা ভালোবাসার টানে। গরীব কিংবা ধনী সবার সাথেই বসবাস ছিল ফেলুদার।

বাজারের ওকুলার ( মুচি) সাথেও সখ্যাতা ছিল ফেলুদার।

তো বিয়েতে গেল ফেলুদা। পরদিন বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ীতে ফিরল। বিকেলেই ঘটে গেল এক মজার কাণ্ড।

চাচাতো বোন বলল, ফেলুদা-তোর একটা চিঠি আছে।

হতবাক ফেলুদা। কীসের চিঠি?

বোন বলল, বিয়ে বাড়ীতে থেকে একটা চিঠি এসেছে।

ফেলুদা বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

পরে চিঠিটা খোলা হল।

পড়া হল।

চিঠিতে লেখা,

প্রিয় ফেলুদা, সালাম নিবেন। এই বিয়েতে আপনাকে প্রথম দেখেছি। কী প্রাণচাঞ্চল্য, আর প্রাণখোলা হাসি, সারাজীবন হৃদয়ে ধারণ থাকবে। অপনাকে একটা কথা বলতে বার বার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোন দিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি, পরিচয়হীন আপনাকে কীভাবে বলি? এই ভেবে আর বলা হলনা। যদি সম্ভব হয়, আপনার সাথী দুজন ( ফেলুদা+কাজিন) আমার সাথে দেখা করবেন।

ইতি....


ফেলুদা তো হাসতে হাসতে শেষ। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ঘটনাটা এখানেই শেষ। ফেলুদা কোন দিন এই চিঠির উত্তরও দেয়নি। দেখাও করেনি। শ্যাম! ফেলুদা।

বিষয়: সাহিত্য

১০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File