জাতিসংঘ বনাম আমেরিকা
লিখেছেন লিখেছেন জহুরুল ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:১১:৫৯ দুপুর
আমরা সবাই শান্তি চায়?স্বার্থে আঘাত লাগলে তখন সবাই অশান্তি সৃষ্টি করে।কিন্তু আল্লাহ নিজেও শান্তি পছন্দ করে।তাই শান্তি সম্পর্কে বলেন,(তোমরা সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্টা কর ,পরকালে তোমাদের শান্তিময় অনন্ত জীবন দেওয়া হবে)।একমাত্র ইসলামই শান্তির ধর্ম।কিন্তু ইসলাম বাদে অন্য কিছুর মাধ্যমে শান্তি পুরাপুরি আসবে না।অত্যান্ত দুখেঃর বিষয় আজ আমরা শান্তির জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চাই।আসলেই কি জাতিসংঘ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শান্তি স্থাপনে দেশে দেশে কাজ করে ,না কি শুধু আমেরিকা যে অশান্তি তৈরি করে তার বৈধতার জন্য কাজ করে?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্টার জন্য লীগ অব নেশন্স বা জাতিপুঞ্জ তৈরি হয় ।
জাতিপুঞ্জ সম্পর্কে বেনিতো মুসোলিনি বলেছিলেন "চড়ুই যখন চিৎকার-চেঁচামেচি করে তখন জাতিপুঞ্জ সরব হয়, কিন্তু ঈগল আহত হলে চুপ করে বসে থাকে।
বিস্তরিত জাতিপুঞ্জ
কিন্তু তা বেশিদিন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে না পরায় পরবর্তীতে জাতিসংঘ গঠিত হয়।
বিস্তারিত জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মুখ্য সংস্থার মদ্ধ্যে অন্যতম হলো পরিষদ।পরিষদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত :১ সাধানর পরিষদ ও ২ নিরাপত্তা পরিষদ।সাধারন পরিষদের ক্ষমাতা অনেকটাই নির্ভরশীল নিরাপত্তা পরিষদের উপর।বলা যায় রাজ্যহীন রাজা।কারন চরম ক্ষমতার অধিকারী শুধুমাত্র নিরাপত্তা পরিষদ।
(UNSC))বা নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এর কাজ।নিরাপত্তা পরিষদের শান্তিরক্ষা অপারেশন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মাধ্যমে সামরিক অভিযানের ক্কষমতা আছে, এটি জাতিসংঘের এমন একটি অঙ্গ, যেটি থেকে জারি করা রেজুলেশন সদস্য দেশগুলোর জন্য মানা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ জানুয়ারী ১৯৪৬।নিরাপত্তা পরিষদের পনের সদস্য নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পাঁচ পরাশক্তি - চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র স্থায়ী সদস্য। এই স্থায়ী সদস্যদের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন, নতুন সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এছাড়াও ১০ জন অস্থায়ী সদস্য আছে, যারা নিদিষ্ট অঞ্চল থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
অস্থায়ী সদস্যগুলো নিরাপত্তা পরিষদের তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না ,স্থয়ী সদস্যদের নিকট।Click this link
যুক্তরাজ্য , ফ্রান্স, রাশিয়া এ তিনটি দেশ হলো ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত।ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায় ইউরোপ পৃথিবীর মোট ভূ-খন্ডের মদ্ধ্যে ৬.৬ শতাংশ অথচ নিরা পত্তা পরিষদে তাদের প্রতিনিধিত্যির হার হলো ৬০ শতাংশ।আফ্রিকা মোট ভূখন্ডের ২০ শতাংশের অধিকারী দক্ষিন আমেরিকা ১২ শতাংশের ওশোনিয়া ৬ শতাংশের হয়েও কোন প্রতিনিধি নেই নিরাপত্তা পরিষদে।৬১ শতাংশের বেশি লোক বেশি করে এশিয়াতে ২০ শতাংশ প্রতিনিধিত্য করে।নিরাপত্তা পরিষদ বৈষম্য ভরপুর।
যাইহোক ,নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যগুলোর শুধুমাত্র ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এই ভেটো হলো আশান্তির মূল।ভেটো (ইংরেজি: Veto) হচ্ছে একপক্ষীয়ভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, দেশের মনোনীত প্রতিনিধি কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত বা আইনের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসে কোন বিলের উপর তার ভেটো প্রদান করার ক্ষমতা রাখেন। এর মাধ্যমে তিনি কোন আইন বা বিল কংগ্রেস থেকে গৃহীত হওয়া থেকে স্থগিতাদেশ প্রদানে সক্ষমতা প্রদর্শন করেন। কিন্তু হাউজ এবং সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ভেটো প্রদানের সক্ষমতাকে বাতিল করার ক্ষমতা রাখা হয়েছে।অবশ্যম্ভাবী শব্দ হিসেবে ভেটো শব্দটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও এটি বৈশ্বিকভাবে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স - এই পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। তারা প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী। ভেটো ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে যে-কোন একটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যে-কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আইন প্রণয়ন অনুমোদনে বাধা প্রদান করতে পারে।ভেটো
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের ভোটদানের পদ্ধিতি : নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানের পদ্ধতি : শুধু নিরাপত্তা পরিষদ নয়, সমগ্র জাতিসংঘের সনদের একটি বিতর্কিত দিক হল নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানের পদ্ধতি। সনদের ২৭ নং ধারায় নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানের পদ্ধতি উল্লিখিত আছে : ১) নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিটি সদস্যের একটি করে ভোট থাকবে; ২) ৯ জন সদস্যের ইতিবাচক ভোটে পদ্ধতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে; ৩) পদ্ধতিগত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য ৫ জন স্থায়ী সদস্যসহ মোট ৯ জন সদস্যের ইতিবাচক ভোট প্রয়োজন। সনদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিরাপত্তা পরিষদে আলোচিত হচ্ছে এমন কোনো বিরোধের সঙ্গে পরিষদের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে উক্ত সদস্যকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হবে [৫২(৩) নং ধারা]।
সুতরাং সনদের ভাষা বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারা বিবেচিত বিষয়গুলিকে পদ্ধতিগত ( Procedural) এবং বিষয়ীভূত (Substantive)-এই দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য ৫ জন স্থায়ী সদস্যের ইতিবাচক সমর্থনসূচক ভোটদানের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এর ফলে অস্থায়ী সদস্যদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের সমর্থনে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। কিন্তু বিষয়গত বা বিষয়ীভূত ক্ষেত্রে পরিষদের ৫ জন স্থায়ী সদস্যের ইতিবাচক ভোট ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে না।
১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের কোনো স্থায়ী রাষ্ট্র কটি করে ভিটো প্রয়োগ করেছে তা তুলে ধরা হল : সোভিয়েত ইউনিয়ন ১১৪, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬৯, গ্রেট ব্রিটেন ৩০, ফ্রান্স ১৮ এবং চীন ৩।
এখানে
ভেটো প্রয়েগের ক্ষেত্রে আবার আমেরিকার ক্ষমতা আবার গরম। ২৯ নভেম্বর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রের সমর্থনে জাতিসঙ্ঘ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমবারের মতো স্বীকৃতি প্রদান করেছে। এ যাবৎ এই সঙ্কটাকীর্ণ আরব অঞ্চল নিছক পর্যবেক্ষক ‘ভূখণ্ড’ হিসেবে গণ্য হতো। ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তিসংগ্রামে বিরাট সাফল্য বিশ্বসংস্থার এই সমর্থন। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের পক্ষে ১৩৮ ভোট আর বিপক্ষে মাত্র ৯টি ভোট পড়ে। এদের মধ্যে অনিবার্যভাবেই ছিল ইসরাইল ও তার অভিভাবক যুক্তরাষ্ট্র। পাঁচটি দেশ সাধারণ পরিষদের সেই অধিবেশনে হাজির ছিল না। ৪১টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোটে অংশ নেননি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ফ্রান্সসহ কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিল। ব্রিটেন ও জার্মানি বিরত ছিল ভোটাভুটি থেকে। তাই তো সাধারনে পরিষদে ফিলিস্তিন সদস্য হতে পারলেও স্থায়ী ভাবে জাতিসংঘের সদস্য হতে পারিনি শুধুমাত্র নিরাপত্তা পরিষদের আমেরিকার ভেটো দেওয়ার কারনে। অবৈধ বসতি ইস্যুতে আবারও মার্কিন ভেটো দেয়।
পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকে বেআইনী ঘোষণা করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও ভেটো দিয়েছে। এতে ন্যায়নীতি ও মানবতার শাশ্বত অবস্থান থেকে সরে এসে মার্কিন সরকার আর একবার অন্ধ ইসরাইলপ্রীতির পরিচয় দিল। এদিকে ইসরাইল মার্কিন ভেটোর জন্য তাদের প্রতি সরকারিভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। একইসাথে ইসরাইল নতুন করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ইসরাইল জানিয়েছে যে, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তারা সম্মত। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি সদস্য দেশ ওই নিন্দা প্রস্তাবটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে।
বিস্তারিত
জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত স্থায়ী সদস্য যেভাবে হতে হয়
Requirements for membership are:
1. Membership in the United Nations is open to all other peace-loving states which accept the obligations contained in the present Charter and, in the judgment of the Organization, are able and willing to carry out these obligations.
2. The admission of any such state to membership in the United Nations will be effected by a decision of the General Assembly upon the recommendation of the Security Council.
Any nation can apply, as long as it has it's own territory, a population and a government who is able to govern the territory and is recognized by other states (those are requirements for states)
At the moment there are 192 UN-members, allmost all states in the world are a member.
The three non-members are: Kosovo, Vatican City and Republic of China (more commonly known as Taiwan)
Source:
-United Nations Charter, Chapter 2
-International Relations 2008-2009 update (8th edition), Goldstein & Pevehouse
জাতিসংঘের উপর আমেরিকার ছড়ি ঘুরানোর কারন অছে ।যেমন জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইর্য়কে অবস্থিথ হওয়ায় কর্তত্ব বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক।আবার মোট খরচের ২৫ শতাংশ ব্যায়ভার বহন করে।য়েখানে বাংলাদেশ শুধুমাত্র ০.০১ শতাংশ চাদা দেয়।কিন্তু ইদানিং জাতিসংঘের কার্যক্রম চালতে অসুবিধা হচ্ছে অর্থের অভাবে। অর্থসঙ্কটে বাজেট কমালো জাতিসংঘ।
রয়টার্স
জাতিসংঘ নিয়মিত বাজেটের ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে ৩৬ শতাংশ জাতিসংঘকে পরিশোধ করে নি।যুক্তরাষ্ট্র ,ব্রাজিল , ভেনিজুয়েলা বকেয়া পরিশোধ না করায় তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
জাতিসংঘ একপেশো নীতির প্রমান দেখেন...
১৯৬৭ সালে আরব ইসরাঈল যুদ্ধের সময় জাতিসংঘ একাধিক চাপ দেওয়ার ফলে কাজ হয়নি কারন বড় বাপ তাদের সাথে আছে।
ইরাক সমাধানে জাতিসংঘ প্রশ্নবিদ্ধ।সোমালিয়ায় ,কম্বোডিয়া ,এল সালভাদার ৬৫০ জন শান্তি রক্ষা বাহিনী থাকার পরও আমেরিক ৩০ হাজার সৈন্য পাঠিয়ে জাতিসংঘকে চ্যালেজ্ঞ করেছে।
বসনিয়ার গনহত্য জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।কসোভো ও আলবেনিয়ার জাতিগত সমস্য সমাধানে চরম ব্যার্থ হয়েছে।
১৯৪৮ সালে ইসরাঈল ও প্যালেস্টাইন এর মধ্যে সংঘর্স হওয়ার পর শান্তি রক্ষা বাহিনী পৌছে ছিল।
ভিয়েতনাম ট্যাজেডিতে জাতিসংঘের কোন ভূমিকা ছিল না।
সোমালিয়ায় যুদ্ধ থামাতে ব্যার্থ ।
বসনিয়ায় মসূলমানদের হত্যা করে সার্বরা শান্তিরক্ষি বাহানীর সামনে দিয়ে।
আফগানে ব্যার্থ।
লেবাননে শান্তি রক্ষি বাহানী গঠন করে শেষ।
কিন্তু ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কোন সামরিক ব্যাবস্থা নিতে পারি নি।
গ্রেনাডা ও ভিয়েতনামে মার্কিন অগ্রসানে জাতিসংটু শব্দ করে নি।
জীবাণু অস্ত্র বিলাপ এর ক্ষেত্রে আমিরিকা বানালে আসুবিধা নেই কিন্তু অন্য দেশ বানালে তার উপর নানান বিধিনিষেধাজ্ঞা জারি হবে।জাতিসংঘ পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষায় সদা ততপর।
ইসরাঈল ফিলিস্থিন সংঘাত
সবশেষে বলতে চায় যেখানে আমেরিকা নেই সেখানে জাতিসংঘ ভাল ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করা যায় ।কিন্তু যেখানে আমেরিকা আছে সেখানে জাতিসংঘের বেল নেই।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
২০৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন