দ্য লাস্ট পেইন্টিং
লিখেছেন মামুন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৮ রাত
আজিজ মিসির আর রেবেকার ডিভোর্স হয়েছিল পনের বছর আগে । সেটার একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ও ছিল।দেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে মিসির নিজের ছবি, আর্ট কম্পিটিশন নিয়ে এতোটা ব্যস্ত থাকত। বড় লোকের মেয়ে রেবেকা যদিও ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, কিন্তু ওর ওকে সময় না দেয়াতে সে ধীরে ধীরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে মিসিরের উপরে।
রেবেকার বাবা-মা যদিও মেয়ের বিয়েটা মেনে নিয়েছিলেম, কিন্তু তাঁরা...
সোনালী সংসার-২
লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৫ রাত
সময় যেমন বসে থাকে না, সময়ের হাত ধরে সামাজিক কর্মকান্ডও থেমে থাকে না। মাওলানা অাব্দুল মান্নান সাহেবও বড় মেয়েটিকে সুপাত্রস্থ করার কথা একসময় ভাবতে থাকেন। যতই অাদুরে হোক, ঘরে রেখে দেয়ার নিয়ম তো অার নেই।
ভাল ঘর পাওয়াটা সমস্যাই বটে। সমাজে একটা প্রচলন রয়েছে, ছেলেটা যেমনই হোক , মেয়েটা সবাই ভাল চায়।
তাহমিদা এমনই একটি গুণবতী মেয়ে , যাকে পুত্রবধু করে নেয়ার জন্য তার পিতা-মাতার নিকট...
ব্লগ/ফেসবুক আপনাকে কতটুকু ব্লক করে রেখেছে, ভেবে দেখেছেন ?
লিখেছেন আমি সমালোচক ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:০৭ সন্ধ্যা
প্রথমেই বলে রাখি আমি ব্লগের বিপক্ষে নই। বরং ভালোভাবেই এর পক্ষে। তবে প্রতিদিন যে কাজ গুলো আমার করতে হয় বা সবার করা উচিত তা হলো-
১। চাকুরী কিংবা পড়ালেখায় ফাকি না দেয়া।চাকুরী কিংবা পড়ালেখায় ফাকি দিয়ে ব্লগ লিখা কতটুকু সঠিক তা যিনি লিখছেন তিনিই ভালো বুঝবেন।
২। পিতা-মাতা/স্ত্রী-সন্তান দের হক আদায় করতে যে সময় টুকু লাগে তা দেয়া উচিত।কারন এ ব্যাপারে আল্লাহ আপনার কাছে জানতে...
দেখি আবার পালাস কেমন করে
লিখেছেন কুশপুতুল ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৫৬ বিকাল
যতই তোকে গোপন করে রাখি
কেনো যে তুই প্রকাশ হয়ে যাস,
তোর কারণে বলছে মানুষ রেগে
আমরা নাকি কাটি ঘোড়ার ঘাস।
হঠাৎ করেই পাখা গজায় তোর
ওড়ে গিয়ে পড়িস লোকের হাতে
তোকে নিয়ে ঝড় বয়ে যায় দেশে
আব্বা, সব বাড়িতো একই সেইম, চাচার বাড়ি কোনডা ?!!
লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪০ বিকাল
শিরোনামের কথাটি বিটিভির একটি মোবাইলের ব্যাটারীর বিজ্ঞাপনের ডায়ালগ ছিল। ছেলে গেছে গ্রাম থেকে শহরে । ছেলের বাবা ঠিক যেভাবে পথ নির্দেশনা দিয়েছেন সে মোতাবেক ছেলে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখে যে চাচার বাড়ীর যে বর্ননা দেয়া হয়েছে সে রকম বাড়ী একাধিক রয়েছে। তাই ছেলে চাচার বাড়ী সঠিকভাবে চিনতে না পেরে গ্রামে বাবার কাছে ফোন করে শিরোনামোক্ত বাক্যটি উচ্চারন করেন।
আমরা মানুষেরা বেহেস্তের...
অতি লোভের পরিনতি।
লিখেছেন ফখরুল ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৪৪ দুপুর
হোজ্জা ছিলেন একজন বেঁটে মানুষ। মাথায় পাগড়ি আর গায়ে জোব্বা পরে একটা গাধার ওপর চড়ে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। হোজ্জাকে নিয়ে এক হাজারেরও বেশি গল্প চালু আছে। কোনো গল্পে তাকে খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ মনে হয়। আবার কোনো গল্পে তার আচরণ একেবারেই বোকার মতো হয়। তবে তিনি সারাবিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন তার রসবোধের কারণে। তার কথাবার্তা আমাদের যেমন হাসায়, তেমনি ভাবায়ও বটে।
একদিন তুরুস্কের এক...
এতোটাই লোভী.......!!!
লিখেছেন কাহাফ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২৯ দুপুর
এক লোক ছিল খুবই লোভী প্রকৃতির, সারা টা ক্ষণ কাটতো লোভের চিন্তায়!
বিনে পরিশ্রমে, মুফতে খেয়ে জীবন কাটানোর ধান্ধায় থাকতো সদা!
অনাহুত মেহমান বনে উপস্হিত হতো দাওয়াতে! খাবার সংশ্লিষ্ট আয়োজনেগরহাজিরী অসম্ভব তার পক্ষে!
বাচ্চা-কাচ্চা রাও পিছু নিয়েই থাকতো তার!সরাতে পারতো না কাছ থেকে!
একবার নিজের কাছ থেকে বাচ্চাগুলো কে সরাতে সে মিছেমিছি বললঃ
নস্টালজিয়া বাল্যকাল
লিখেছেন প্রবাসী আশরাফ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৫৯ দুপুর
এই মূহুর্তে যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে ডাক দিয়ে বলে, "হে আমার গোলাম আমি তোর অমুক কাজে সন্তুষ্ট হয়েছি, তুই আমার কাছে কি চাও বল" কোন প্রকার দিকবিধিক না ভেবে বলতাম চিরস্থায়ী বাল্যকাল চাই।
চোখ গোল করে তাকানোর কিচ্ছু নাই ভাই। সোনা-দানা-সম্পত্তিতে সুখ নাই। বাল্যকালটা কেন চাইতাম তা চোখ বন্ধ করে একবার আপনার বাল্যকালে ঘুরে আসেন। দেখেন সকাল-সন্ধা বাল্যকালের প্রতিটি ক্ষনে কি...
পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৮)
লিখেছেন মামুন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:১৪ দুপুর
আমার বাবু!
বাবা আমাদেরকে নিয়ে আগের যায়গার চেয়ে একটু ভালো একটা যায়গায় চলে এলেন। নাম রায়েরমহল। এটা খুব সুন্দর ছিমছাপ একটি পল্লী ধাচের এলাকা ছিল। শহরের ভিতরেই, গ্রাম নয় তবু কেমন গ্রাম গ্রাম ছিল যায়গাটা। সুন্দর রাস্তা বাড়ির সামনে দিয়ে চলে গেছে। বাবার নতুন চাকরি হলো ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে। বেতন ও আগের চেয়ে ভালো। কাজের চাপ ও কম। বাবার মন ফুরফুরে থাকতো। মা ও স্বস্তিতে ছিলেন।...
একটি সোনালী প্রভাত
লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:০৭ দুপুর
পাখ-পাখালীর কিঁচিরমিঁচির ধ্বনি। মৃদ-মন্দ সমীরন বয়ে যাচ্ছে। ভোরের শবনম লতা-পাতা সিক্ত করছে । পরিবেশ অত্যন্ত মনমুগ্ধ কর। নিচু নিচু মানব ধ্বনি বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে। কাক কা,কা,করে ডাকছে। ছোট খোকারা মধুর সুরে কাঁদছে। আশপাশের লোকেরা ঘুমের নীড় ভেঙে চোখ কচলিয়ে জাগছে।
অন্য দিকে আযানের আল্লাহু আকবার ধ্বনি কর্ণ কুহরে বেজে উঠলো। আরামের শয্যা ত্যাগ করে অযু করে মসজিদে গেলাম। ফযরের...
শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন ফিল হিউজ
লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৩ সকাল
শেষ পর্যন্ত বিদায় নিলেন অষ্ট্রেলিয় ক্রিকেটার ফিল হিউজ। দুইদিন কোমায় থাকার পর কিছুক্ষন আগে তার মৃত্য ঘোষনা করেছেন ডাক্তার। ২৬ তম জন্মদিনের মাত্র তিনদিন আগে ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহন কারি এই ক্রিকেটার দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। দক্ষিন অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে অষ্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রথম শ্রেনির সেফিল্ড শিল্ড এর খেলায় প্রতিপক্ষ নিউ সাউথ ওয়েলস এর বোলার শন এবট এর একটি বাউন্সার হেলমেট এর...
বিয়ের পরে ভালো হয়ে যাবে…
লিখেছেন FM97 ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৮ সকাল
দেখা যায়- অনেক মা-বাবা তাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেয়ার সময় সত্যতা লুকায়। অথবা সত্য বলার তাদের সাহস থাকে না-মিথ্যার আশ্রয় নেয়। সেক্ষেত্রে কিছু সন্তানেরা মা-বাবার সাথে তাল মিলায় কিংবা নিরুপায় হয়ে নিরব থাকে।
“ছেলেটা অনেক ভালো, স্বভাব-চরিত্র, টাকা-পয়সা- সবই ভালো- তাই নিজের মেয়ের জন্য সিলেক্ট করে নিলাম” (অথচ উনার মেয়ে যে এই ছেলেটার যোগ্য না-সেটাই বুঝেন না)। আবার বিপরীতভাবে...
সোনালী সংসার-১
লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:২২ রাত
এলার্ম ঘড়ির ক্রিং ক্রিং শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল তাযকিয়ার। অবশ্য ঘড়ির অাওয়াজ না পেলেও প্রতিদিন এ সময়ে জেগে ওঠে সে। তারপর ছুটে যায় বড় অাপু তাহমিদার কক্ষে। ততক্ষণে তিনিও জেগে ওঠেন। অতঃপর দুজনে মিলে ওজু সেরে অাট রাক'অাত তাহাজ্জুদ নামায অাদায় করে ফজরের অাযান পর্যন্ত কুরঅান তিলাওয়াতে বসে যায়। এরপর কিছুটা অালো-অাঁধারিতে ফজরের নামায শেষ করে দুজনে মিলে নিজেদের বাগানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি...
'হাসবুনাল্লহ ওয়া নে'মাল ওয়াকীল।'
লিখেছেন অবাক মুসাফীর ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৫৪ রাত
যখন খুব ছোট ছিলাম, মাঝে মাঝেই ঝাড়ি খেতাম আব্বুর কাছে। আব্বু বাসায় না থাকলে কপালে জুটতো আম্মুর কুঞ্চির লাঠির বাড়ি! দোষ আসলেই করে থাকলে খুব মনো:পীড়ায় ভুগতাম। দোষ না করলে মাঝে মাঝে খুব অভিমান হত।
-'কই দোষ তো আমি করি নি! তাহলে শুধু শুধু মারলো কেন আমায়?'
চোখের পাতা ভারি হয়ে উঠতো। রাতের বেলায় বালিশের কোণ ভিজিয়ে নালিশ করতাম আল্লাহর কাছে।
যখন একটু বড় হলাম, স্কুলের বন্ধুদের সাথে প্রায়ই...
স্মৃতির ভেলায় ভেসে বেড়াইঃ শেষ পর্ব
লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৩৯ সন্ধ্যা
বন্দীদশা থেকে মুক্তির আনন্দের তুলনা হয়না। আনন্দ অশ্রুতে চোখ ছেয়ে যায়। জামিন পেয়ে লাইফটাকে সম্পূর্ন নতুন আঙ্গিকে সাজাবার স্বনে যখন বিভোর, জেলখানায় থানা পুলিশের আগমন আমায় ভরকে দেয়। পুনঃগ্রেপ্তারের আশংকায় বুক কেঁপে উঠে। আলহামদুলিল্লাহ, শোকরিয়া আদায় করে বিসমিল্লাহ বলে ডান পা জেল গেইটের বাহিরে রাখি, বাম পা তখনো ভিতরে, দুইদিক থেকে চার শক্ত হাত আমার বাহু চেপে ধরে, সাথে জামিন...