শেষ তৈলচিত্র
লিখেছেন মামুন ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১৮ রাত
শেষ তৈলচিত্র
.
সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৫)
লিখেছেন মামুন ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:৪৩ রাত
মিথিলা বাবু!
তোমার দাদা তার গ্রামের পাট চুকানোর আগেই এই গ্রামে একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যায়। আজ তোমাকে সেই ঘটনা বলছি।
আমাদের গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলেন রশিদ খলীফা। এদের বংশ হল খলীফা।এই লোকের তিন ছেলে দুই মেয়ে। ছেলেরা কেউ পড়ালিখা করে নাই। স্কুলের গণ্ডী ও পার হয় নাই। গঞ্জে কয়েকটি বড় দোকান আর আড়ত রয়েছে। সেগুলোই ভাগ করে তিন ছেলে দেখাশুনা করে। বড় ছেলে আর মেঝ জন ছোট ছেলের থেকে অপেক্ষাকৃত...
অপেক্ষা
লিখেছেন আমির হোসেন ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:১৬ রাত
পদ্মা নদীতে এখন যেন কান্নার ঢেউ। চলছে পদ্মাপাড়ে স্বজন হারানো মানুষের আহাজারি। কিছুদিন পূর্বে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চ। এই লঞ্চডুবিতে নিহত হয় দিনমজুর খবির উদ্দিনের তিন মেয়েও স্ত্রী। কন্যা ও স্ত্রীর খুঁজে আজ প্রায় এক মাস যাবত পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খবির উদ্দিন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন যাঁরা,...
“বিদেশ নামের সোনার হরিণ”(দুঃসহ জীবন যাত্রা)
লিখেছেন ওমর শরীফ ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৭ সন্ধ্যা
বিধাতার কাছে খুব চাইতে ইচ্ছে করে;হে বিধাতা,কিছু সময়ের জন্য আমাকে দু‘টো ডানা দাওনা;আকাশে উড়ে বেড়ানো ঐ পাখিদের মত। একটি বার উড়ে গিয়ে দেখে আসি;আমার প্রিয় স্বদেশটাকে,দেখে আসি আদরীনি মাকে। দুই গালে একটু আদর করে আসি আদরের ছোট্ট ভাইটিকে। বন্ধু মহলে একটু আড্ডা দিয়ে আসি। মনের কিছু দুঃখ শুনিয়ে আসি শৈশব,কৈশরের হাঁজারো সৃতীর সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চেনা আকাশটিকে। সবুজ প্রান্তঘেরা...
তেরেসা এবং বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার: একটি সত্য বর্ণনা
লিখেছেন আকরামস ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:২২ সকাল
তেরেসা যেদিন আমার ওয়ার্ডে এলো, ঐদিন তার ১৮ তম জন্মদিন ছিল। এতোদিন সে শিশু-কিশোর মানসিক কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল, আজ যেহেতু তার ১৮ বৎসর পূর্ণ হলো তাই তাকে আর ঐ শিশু-কিশোর মানসিক কেন্দ্রে রাখা যাবে না! সে এখন বড় হয়ে গেছে, তাই বড়দের মানসিক ওয়ার্ডে তার স্হান হলো।পাতলা স্লীম তেরেসার চেহারাটা বেশ মিস্টি। বেশ সাজুগুজু করা তেরেসাকে দেখলে বোঝার উপায় নাই যে,
তার মধ্যে একটা আত্মঘাতি...
ব্লাড প্রেসার মাপার কৌশল শিখে নিন।
লিখেছেন ছালসাবিল ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০৮ সকাল
বিপদ বলে কয়ে আসে না। হাতের কাছেও সব সময় ডাক্তার পাবেন না। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ আপনাকেও করতে হতে পারে বা করা উচিত , এতে অনেক সময় অনেক বড় বিপদ থেকেও বেঁচে যাওয়া যায়। জীবন রক্ষা করা যায়। অথবা ছোটো খাটো সমস্যা আপনিও সামলাতে পারেন। অনেক কারণেই আপনার বা আপনার পরিবারের যে কারো প্রেশার (রক্তচাপ) বেড়ে বা কমে যেতে পারে। আপনি যদি তাৎক্ষনিক প্রেশারটা মাপতে পারেন তাহলে তার জীবনও রক্ষা...
$$ সংসারে ভালোবাসার বন্ধন ♥♥
লিখেছেন সাইফুল ইসলাম গাজী ২০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০০ সকাল
আপনি যখন আল্লাহকে খুশি রাখতে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে ভালোবাসবেন, তখন আপনি কিন্তু সে কেমন করে রেস্পন্স করছে আপনার কেয়ারগুলোর, আপনার ভালোবাসাটুকুর, আপনার আবেগ আর সচেনতনতাটুকুর -- সেটা হিসেব করবেন না। ভালোবাসা জিনিসটাই এমন যে তা কোন ফিডব্যাক দাবী করে না। রিপ্লাই আশা করলে সেটা তখন "বিনিময়" হয়ে যায়। আপনার প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসুন আপনার নিজের জন্যই। তবে এটা ঠিক, আল্লাহর...
প্রেমের অল্প অপ্রেমের গল্প
লিখেছেন অগ্রহায়ণ ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৪ রাত
এই গল্পের নায়িকা রাহেলা এখন দুরপাল্লা বাসের একটি সিটে জানালার পাশে বসে আছে। তার পাশে বসে আছে এক যুবক। তার নাম দিলাম মামুন।
মামুনের সাথে রাহেলার পরিচয় তিন মাস আগে। আসুন আমরা ফিরে যাই তিন মাস আগে।
যেখানে রাহেলা একজন আয়া'র মত জীবন যাপন করছে মামা মামীর সংসারে।
এসএসসি পরীক্ষার পর রাহেলার বাবা মারা যায়।
রাহেলার মা, মেয়েকে নিয়ে উঠে আসে ভাইয়ের সংসারে।
মামার সংসারে রাহেলার...
যন্ত্রপোঁকা
লিখেছেন শহীদুল ইসলাম অর্ক ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:২৩ রাত
ফার্মগেটে সারি সারি যন্ত্রপোঁকাগুলিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছোট ছোট বালকগুলি, একেকটি যন্ত্রপোঁকার সাথে অবিরাম হাঁক ছাড়ে,' জিগাতলা,জিগাতলা।' যাত্রীরা মাথা নিচু করে যন্ত্রপোঁকার ভিতরে প্রবেশ করে।পনের ষোল জন হলেই যন্ত্রপোঁকার পেট ভরে যায়। যান্ত্রিক গুঞ্জন তুলে, ধোয়া উড়িয়ে একে একে প্রস্থান করে। জিগাতলায় এদের দেখি। তখন হাঁক ছাড়ে, ফার্মগেট বলে, কখনও ফারামগেট, কখনোবা ফারাংগেট!...
মানসিক রোগ ভাবনা- পর্ব-২ (সিজোফ্রেনিয়া)
লিখেছেন রাজ্পুত্র ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৪৮ রাত
এ তীব্র জটিল মানসিক অসুখটিতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকলাপ যথেষ্ট বিঘ্নিত হয়, যাতে করে সিজোফেন্সনিকরা তাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনে ও তাদের দৈনন্দিন ব্যক্তিজীবনে পর্যন্ত বিপর্যস্ত ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে।
এদের চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি, কাজকর্ম বাস্তবতার সাথে কেমন যেন খাপছাড়া। সিজোফেন্সনিকরা নিজস্ব মনোজগত ভুবন তৈরি করে নেয়, যার মাঝে বাস্তবতার লেশমাত্র...
আপনার সাথে মিলে গেলে আমি কি করব?
লিখেছেন নিরবে ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:২০ রাত
বকা খাইনি কে?
আম্মুর ,বাবার, বোনের,ভাইয়ের,বউয়ের, এমনকি সন্তানের বকা সবই আমরা প্রত্যহ খাচ্ছি।
জিনিসটা খুব একটা স্বাস্থ্যকর না হলেও আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বিদ্যমান।
আমরা ভাবি "আহা , যদি আবার ছেলেবেলায় বা মেয়েবেলায় ফিরে যাওয়া যেত...ব্লা...ব্লা...ব্লা...
কেন ভাবি?
কারন তখন বকা নামক খাদ্যের পরিমান কম ছিলো বা বেশী হলেও বদহজম হত না। একগাল হাসি দিয়ে সব ভুলে যেতাম আমরা। পিঠে দু...
খেজুরের রস খাওয়া
লিখেছেন আহমেদ ফয়সাল ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:০২ সন্ধ্যা
আমি গ্রামে বড় হাওয়া আর দশটা ছেলের মত। তবে অনেক ক্ষেত্রেই অন্য ছেলেদের থেকে একটু ব্যতিক্রম। আমার বয়স যখন ৯/১০ তখন আমাদের এলাকায় খেজুরের রসের প্রতি হাড়ি বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকায়। সকালে রোদ ওঠার পরপরই রোদে আড্ডা জমতো। তখন দেখতাম ফেরিওয়ালাদের মত ৫/৬টা হাড়ি নিয়ে রস বিক্রয় করতে আসতো। নিজদের খেজুর গাছ থাকলেও বাড়িতে গাছ কাঁটার মত কেউ না থাকায় কিনেই খেতে হতো। যারা বিক্রি...
---“বই”---
লিখেছেন আমি আহমেদ মুসা বলছি ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৪৯ সন্ধ্যা
‘বই কিনে কেউ দেওলিয়া হয় না’ এমন রেডিমেড বাক্য আমি বলবো না । পয়সা তো একটু লাগবে। আপনার ঘরের ময়লা পরিস্কার করতেও পয়সা লাগে, টয়লেটে যেতে পয়সা লাগে, মোবাইলে রিংটোন ডাউনলোড করতে পয়সা লাগে আর বই কিনতে একটু পয়সা লাগবে না !
তবে সৈয়দ মুজতবা আলীর এই অমড় কথাটিকে কোনভাবেই অগ্রাহ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। একটু ভেবে দেখুন না, আজ যে বাম-বাবুরা আমাদের পুরো জাতির চিন্তার জগতকে দখল...
পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব- ৪)
লিখেছেন মামুন ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৫ সন্ধ্যা
আমার বাবু!
এর আগের লিখাগুলোতে তুমি জেনেছ আমার ছেলেবেলার কথা... আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের হাসি-আনন্দের কথা। এই অধ্যায়েও গ্রামেই রয়েছি।
গ্রামের সবুজ ক্ষেতগুলি তখন ধীরে ধীরে সোনালী হয়ে আসছিলো। যাদের চাষবাস ছিলো তাদের ঘরে ঘরে ফসল তোলার আয়োজন হচ্ছে। বাতাসের ঘ্রাণ বদলে যেত এই সময়টাতে। গোসল করে ভিজা গামছাটা মাথা থেকে খোলার সময় আম্মার পাশে দাঁড়ালে যেমন লাগতো, এই সময়টাতে গ্রামটাকে...