আব্বা, সব বাড়িতো একই সেইম, চাচার বাড়ি কোনডা ?!!
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪০:৫৪ বিকাল
শিরোনামের কথাটি বিটিভির একটি মোবাইলের ব্যাটারীর বিজ্ঞাপনের ডায়ালগ ছিল। ছেলে গেছে গ্রাম থেকে শহরে । ছেলের বাবা ঠিক যেভাবে পথ নির্দেশনা দিয়েছেন সে মোতাবেক ছেলে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখে যে চাচার বাড়ীর যে বর্ননা দেয়া হয়েছে সে রকম বাড়ী একাধিক রয়েছে। তাই ছেলে চাচার বাড়ী সঠিকভাবে চিনতে না পেরে গ্রামে বাবার কাছে ফোন করে শিরোনামোক্ত বাক্যটি উচ্চারন করেন।
আমরা মানুষেরা বেহেস্তের অধিবাসী । মহান আল্লাহ আমাদের আদী পিতা এবং মাতাকে বেহেস্তে সৃষ্টি করে সেখানেই বসবাস করিয়েছেন । পরে খুবই অল্প সময়ের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। দুনিয়াতে পাঠানোর পর সময়ে সময়ে মানুষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন । ঐ সব চিঠিতে বেহেস্তে বা আদী বাসস্থানে ফিরে যাবার দিক নির্দেশনা ছিল এবং আছে। সেই পথ নির্দেশনা অনুসরন করলে সঠিক গন্তব্যস্থান বেহেস্তে ঠিকই পৌছা যাবে ।
বিজ্ঞাপনের ছেলেটির বাবার দেয়া পথ নির্দেশিকা ঠিক থাকলে ও চাচার বাড়ীর বর্ননার সাথে মিলে যায় এমন একাধিক বাড়ী থাকায় ছেলেটির পক্ষে চাচার বাড়ি খুজে পাওয়া কষ্টকর ছিল ।
এর কারন হয়তো ছেলেটির বাবা যখন শহরে এসেছিল তখন ঐ এলাকায় চাচার একটাই বাড়ী ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ একই রকম বাড়ী আরো অনেকগুলো হয়েছিল যা ছেলেটির বাবা জানতো না। আবাসিক এলাকার বাড়ীগুলো সাধারনত একই রকম হয় । তাই ছেলেটিকে দেয়া তার বাবার পথ নির্দেশনা সঠিক হলেও তা স্বয়ংসম্পূর্ন ছিল না ।
কিন্তু বান্দার প্রতি আল্লার দেওয়া পথ নির্দেশিকা, যাতে কোন ভূল বা দূর্বলতা নেই । যাতে বিবৃত আছে আদি, অন্ত, অনন্ত পর্যন্ত সবকিছু। যে পথনির্দেশিকা মেনে চললে মানুষের আসল ঠিকানা জান্নাতে পৌছতে কোনই বেগ পেতে হবেনা । কারো সাহায্য ও লাগবে না বা কারো কাছে ফোনও করতে হবে না ।
তবে শর্ত হচ্ছে- এই পথনির্দেশিকা শুধু পাঠ করলেই হবে না , এটা শুধু পাঠ করার জন্যই আল্লাহ পাঠান নাই ।
এটাকে অধ্যয়ন করতে হবে, অর্থাৎ এটা পাঠ করে বুঝতে হবে এবং সেই মোতাবেক চলতে হবে ।
প্রসঙ্গক্রমে বলছি, আল্লাহ বলেছেন- তেমরা হজ্জ্ব করো যাদের প্রয়োজনীয় স্বামর্থ আছে ।
এক লোক অনেক ব্যস্ততার সহিত বড়ই পেরেশানী হয়ে অনেক দিন থেকেই একই পথে একদিকে দৌড়ে যেতে লাগছিল । কারো সাথে কথা বলার ফুরসৎ যেন তার নেই । কেউ জিঙ্গেস করলে- কি ভাই, তুমি এভাবে দিনের পর দিন দৌড়ে দৌড়ে কোথায় যাচ্ছ ? তখন লোকটি বলতো তোমরা কথা বলে আমার সময় নষ্ট করো না , কারন এতে আমার মকছুদে মঞ্জিলে পৌছতে অনেক বিলম্ব হবে ।
লোকেরা বলতে লাগল তুমি যেখানেই যাও বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন তা বুঝতে পারছি কিন্তু আমরা কি জানতে পারি না তুমি এভাবে অবিরাম গতিতে কোথায় ছুটে চলেছ ?
অবশেষে লোকের পীড়াপিড়িতে ঐ দৌড়ে রত লোকটি বলল সে আল্লার ঘর খানায়ে ক্বাবার দিকে যাচ্ছে ।
লোকেরা দেখল সে এত বছর থেকে পূর্ব দিকে দৌড়ে যাচ্ছে........ অতচ খানায়ে ক্বাবা হচ্ছে পশ্চিম দিকে । হায় আফসোস ;
খানায়ে ক্বাবা হচ্ছে পশ্চিম দিকে আর তুমি যাচ্ছিলে পূর্ব দিকে । প্রতি কদমে কদমে তুমি মক্কা শরীফ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলে । পোড়া কপাল তোমার ।
এটা কেন হল ?
মহান আল্লাহর দেয়া পথনির্দেশিকা সঠিকভাবে বুঝে না পড়ার কারনে । শুধু বুঝলেই হবে না , সে মোতাবেক আমল করতে হবে বা মানতে হবে ।
সেটি এমন একটি চিঠি, এমন একটি নক্সা , এমন একটি পথনির্দেশিকা, এমন একটি মহা গ্রন্থ যে গ্রন্থ এই বর্তমান ডিজিটাল সুপারনোভা বিজ্ঞানের যুগে ও সবচেয়ে বেশী পঠিত ।
পৃথিবীতে এমন একটি সেকেন্ড অতিবাহিত হচ্ছে না যে সেকেন্ডে ঐ মহাগ্রন্থ পাঠ করা হচ্ছে না ।
কতই না বিস্ময়কর সে গ্রন্থ !!!!
যুগের পর যুগ ঐ গ্রন্থের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে......
বিজ্ঞানী আর বিজ্ঞান ঐ গ্রন্থের কাছে আত্বসমর্পন করেছে.....
প্রযুক্তি আর আধুনিকতা ঐ গ্রন্থ থেকে আহার সংগ্রহ করেছে............
যে গ্রন্থে নেই কোন ভূল, ভ্রান্তী, সন্ধেহ গোড়ামী বা পশ্চাদপদতা ।
আছে নির্ভূলতা, সন্ধেহ-হীনতা, নব নব প্রযুক্তির আবিস্কারের হাত ছানি.....
প্রিয় পাঠক, '' কোন সে মহাগ্রন্থ ??? ''
বিষয়: বিবিধ
১২৯৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিংকঃ সোনার বাংলাদেশ ব্লগ
প্রকৃত সত্যে পেীছানর জন্য তার উল্টা দিকে হাটলে সে সত্য থেকে দুরেই সরে যাবে।
দিটি মহা উপহার,
কোরানের পূত মঙ্গল বাণী,
মম উপদেশ আর৷
যতদিন ধরে আঁকড়ে রহিবে,
কভু হারাবেনা পথ,
এরই আলো শীখা ঝঞ্ছা ও ঝড়ে
জ্বলিবে প্রদীপ বত৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন