অবিচল নিষ্ঠা জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য
লিখেছেন লিখেছেন রুহািন ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৪২:৩৩ সকাল
তোমাকে যেমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে তেমনি তুমি (দ্বীনের পথে) অবিচল থাকো। সূরা ১১২
যাঁরা (মনে প্রানে) ঘোষণা করে যে, আল্রাহ আমাদের প্রভু (রবব) এবং এ কথার ওপরই অবিচল থাকে, নিঃসন্দেহে তাদের নিকট ফেরেস্তা অবতরণ করে বলতে থাকে (তোমরা) ভয় পেওনা দুশ্চিন্তাও করো না; বরং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। আমরা এই দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু আর পরকালেও। সেখানে (জান্নাতে) তোমাদের মন যা কিছুই চাইবে, আকাংক্ষা করবে তা সবই পাবে। এসব সেই আল্লাহর পক্ষ থেকে মেহমানদারী হিসেবে পাবে, যিনি অতীব ক্ষমামীল ও দয়াবান। (সূরা হা-মীম আস-সিজদাহ-৩০-৩২)
যাঁরা (মনে প্রানে) অঙ্গীকার করে যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু (রবব) এবং তারা এর ওপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয়-ভীতি নেই এবং তারা কোন দুশ্চিন্তাও করবেনা। তারা দুনিয়ায় যে কাজ করছিল, তার বিনিময়ে জান্নাতী হয়ে চিরকাল সেখানে বাস করবে। (সূরা আহকাফ ১৩-১৪)
হযরত সুফিয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বর্ণনা করেন, একদিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ইসলামের ব্যাপারে আমায় এমন কথা বলে দিন, যেন সে বিষয়ে আপনি ছাড়া আর কাউকে কিছুই জিজ্ঞেস করতে না হয়। তিনি বললেনঃ 'বলো, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, তারপর এর ওপর অবিচল হয়ে যাও। (মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেনঃ রাসূলে আকরাম সা. বলেছেনঃ "তোমরা (দ্বীন সংক্রান্ত বিষয়ে) ভারসাম্য রক্ষা করো, এবং এর ওপর অবিচল ও দৃড়ভাবে দাড়িয়ে থাকো, জেনে রেখো, তোমাদের কেউ তার আমলের সাহায্যে মুক্তি পাবেনা' সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন; 'হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও কি?' তিনি বললেনঃ আমিও পাবনা; তবে আল্রাহ যদি আমায় তাঁর রহমত ও অনুগ্রহের মধ্যে শামিল করে নেন।(মুসলিম)
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন