এখনো আছে তারুণ্য, এখনো আছে চেতনা
লিখেছেন লিখেছেন ইসতিয়াক হোসাইন জিপু ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৩০:৩১ সন্ধ্যা
১৪.২.২০১৪
দেওয়ান বাজারে প্রথম দেখা ওনার
সাথে ২০১০ সালে। এরপর থেকে
এই মুখটি কমন হয়ে গেছে, যেখানে
যায় সেখানে তিনি। আদালত প্রাঙ্গন।
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে
নয়াপল্টনে যেখানে,সেখানে ওনার
সাথে দেখা। সবসময় হাসি মাখা মুখ।
বয়স্ক মানুষ, বয়স সম্ভবত সত্তরের
উপরে। সবসময় এক ধরণের পোশাক
পরিধান করনে। গায়ের পোশাকে সমসময়
একটি সিল থাকে, সেই সাহসী সীলই
জানান দিচ্ছে ওনার আবেগের জায়গা
টা কোন জায়গায়। তিনি হলেন চট্টগ্রামের
সাহসী সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী।
বেশ কিছু দিন আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন
৭১ এর এই সৈনিক। শুনলাম থানায় অনেক
নিযার্তন করা হয়েছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কে।
কিছুদিন আগে নগরীর একটি বেসরকারি
হাসপাতালে হঠাৎ দেখা মুক্তিযোদ্ধা রমজান
আলীর সাথে। বুঝলাম বীরের বেশে বের
হয়ে এলেন তিনি। সালাম দিলাম। কোলাকুলি
করলাম। বুঝেও জিজ্ঞেস করলাম?
হাসপাতালে কেন? বাবা চোখে থেরাপি দিতে
এসেছি। অনুধাবন করলাম ওনার প্রতি
নিযার্তনের মাত্রা সম্পর্কে। তারপরও হাসি
তারপরও সেই ওয়ার্ড "এবার ফাইনাল খেলা।
আজ একটি প্রোগ্রামে দরজারর পাশে বসে
ছিলাম আমি, হঠাৎ দরজার ফাঁক দিয়ে
দেখলাম বাহিরে দাঁড়িয়ে আছেন মুক্তিযোদ্ধা।
চিন্তা করলাম নবীনদের প্রোগ্রামে এসে গেলেন
বুঝি প্রবীণ। দরজা দিয়ে চুপচাপ প্রবেশ করে
সোজা চলে গেলেন প্রোগ্রামের শেষ প্রান্তে।
বসে পড়লেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এই বীর
মুক্তিযোদ্ধা কে নবীনদের প্রোগ্রাম দেখে
সশ্রদ্ধ সম্মান দেখিয়ে মঞ্চে নিয়ে আসলেন।
হঠাৎ ওনাকে দেখে সবাই উৎফুল্ল।
এই বয়সে আবেগ আর বিবেকের সমন্বয়ে
জীবনও হতে পারে অনেক সুন্দর, জীবন
ফিরে পেতে পারে তারুণ্য।
বিষয়: বিবিধ
৯২১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেই দিন বেশী দূরে নয় সতিকারের মুক্তিযোদ্ধার বাংলাদেশের করুন অবস্থা দেখে সমস্বরে বলবে কেন এই দেশ স্বাধীন করলাম?
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন