ইউরোপ-আমেরিকার গরীবরা বেশী মোটা-তাজা
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৩৬:১২ বিকাল
গতকাল সন্ধ্যা বাসায় ফিরছিলাম। পথে সাক্ষাৎ হলো প্রতিবেশী এক বন্ধুর পিএইচডি পড়ুয়া ছেলের সাথে। ভাতিজার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সে বললো- আংকেল আমার ওজন তো ১০০ কেজি হয়ে গিয়েছে!
আমি বললাম- বলো কি, দেখলে তো বুঝা যায় না। কি ব্যাপার?
সে বললো- আংকেল- জানেন তো ইউরোপ-আমেরিকার গরীবরা বেশী মোটা-তাজা হয়।
আমি বললাম- না জানি না তো, বলত কিভাবে?
ভাতিজা বললো- দেখবেন, পশ্চিমাতে যত্তোসব অস্বাস্থ্যকর খাবার হলো সস্তা। এক পাউন্ডে কতোগুলো চকলেট, আইস্ক্রিম, চিকেন-চিপস পাবেন। আর এগুলো সবই ফ্যাটি; মানুষ মোটাতাজা করণ খাবার। এগুলো খেলে সহজে ক্ষুধাও লাগে না। তাই গরীবরা এগুলো বেশী করে খায় আর ফুলে ওঠে। অথচ
স্বাস্থ্যকর খাবার, ফলমূলগুলো দেখবেন অনেক দামী। যেমন স্ট্রবেরী, চেরী, স্যামন ফিশ, মিল্কফিশ, সীবাছ ফিশ, এরপর পাখির গোস্ত, দেশী শাক-সবজি ইত্যাদি।
আমি বললাম- কথা একেবারে খারাপ নয়। তবে, বাবা, এই অজুহাতে মোটা হওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। বললো- আংকেল কি করা যায়?
বললাম- এখন থেকে নিজকে আর গরীব মনে করবে না, ধনী মনে করবে। আর দুই বেলা রুটি খাবে। ভাত এক প্লেটের মাঝামাঝি নিবে।
ওয়াজ তো করে দিলাম। কিন্তু শুনবে বলে মনে হয় না। কারণ মানুষ মোটা হয় জিহবাতে লোভ থাকার কারণে। আর হঠাৎ করে লোভ কমানো কিন্তু সহজ নয়।
বিষয়: সাহিত্য
১৫১১ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তখনি খাবার কমিয়ে দেই। কিন্তু তাতে আরেক ঝামেলা উঁকি দেয়। ঘরনীর ক্যাটর ক্যাটর।
আমি যে মোটা হয়ে যাচ্ছি এটা কেউ মানতেই রাজী না।
অথচ পাতলা-পুতলা শরীর নিয়ে জীবনটা কত মজার, তা কেমনে বুঝাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন