আচানক! এলাকায় এক দরবেশের অভ্যুদয় (রসাত্মক কাহিনী)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:১৩:১৮ বিকাল



বাবা, আমি মুন্সী আবদুল বারেক; এ অঞ্চলের সেরা ধনীদের একজন। আমার ঘর-বাড়ী, জায়গা-সম্পত্তির অভাব নাই। আমার বাড়ী গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগীতে ভরা। গুটিকয়েক পুকুর আছে, দিগন্ত-জোড়া জমি আছে, চাকর-চাকরানী আছে, আমার তো কিছুরই অভাব নাই। আমার এত কিছু থাকার পরও আপনি মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীতের রাত্রে, একাকী খালি গায়ে এভাবে পড়ে থাকবেন! এটা আমার কোনক্রমেই সহ্য হচ্ছেনা।

আপনি দয়া করে আমার বাড়ীতে আসন গ্রহণ করুন। আমাদের সেরা কাছারি ঘর (বাড়ির বাহিরের ঘর) খানা আপনি ও আপনার মুরিদ দের জন্য দিয়ে দিব। আপনি স্বীয় মুরীদান নিয়ে সেখানে তশরিফ রাখতে পারবেন। বিরাট পুকুরে আছে শান বাঁধানো ঘাট! কয়েক হাজার মুরীদান সেখানে হাজির থাকলেও আমার বাড়ীর উঠান ভরবে না।

তাই আপনাকে আমি নিতে এসেছি, আজ আপনাকে আমার সাথে যেতেই হবে। আপনার কষ্ট আমার মোটেও সহ্য হচ্ছেনা। আপনার একটা ব্যবস্থা না করে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার কলিজা পঁচবেনা! বারেক মুন্সী জীবিত থাকতে আপনি এভাবে শীতের রাত্রিতে ঠাণ্ডায় কষ্ট পাবেন, এ দুঃখ আমি কোথায় রাখি! আপনি দয়া করে এই বৃদ্ধের মিনতি রাখেন, আমাকে শরম দেবেন না, খালি রিক্সায় বাড়ী পাঠাবেন না, আপনাকে আমার সাথে আজ যেতেই হবে, নতুবা আজ আমার মরা লাশ বাড়ীতে পৌঁছবে!

বয়সের ভাবে ন্যুয সফেদ চুল-দাড়ি অধিকারী ধনাঢ্য ব্যক্তি মুন্সী আবদুল বারেক এভাবেই দরবেশকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন! তাঁর চোখের জলে গাল, সদা দাড়ি, পরনের সাদা পাঞ্জাবী, সবই ভিজে একাকার হচ্ছে! তারপরও তিনি দরবেশের মন গলাতে পারছেন না।

গ্রামের নাম ইদিল পুর। দুই বর্গমাইলের একটি বিলের মাঝখানে রয়েছে দেখতে টিলা প্রকৃতির উঁচু স্থান। জায়গাটির নাম সেবা খোলা! সেবা খোলাকে ঘিরে আড়াআড়ি উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম দিকে দুটি রাস্তা চলে গিয়েছে। সে রাস্তাগুলোর সংযোগ স্থলে একটি ত্রি-মোড় তথা ত্রি-মোহনী সৃষ্টি হয়েছে সেবা খোলার পাশেই।

গ্রামাঞ্চলে তিন রাস্তার মোড়কে ভাল-মন্দের বাহক হিসেবে ত্রি-মোহনী বলা হয়। ক্লান্ত-ঘর্মাক্ত পথিক সেবা খোলার বিশাল বটগাছের নিচে একটু জিরিয়ে নেয়। গরমের ভর দুপুরে সেবা খোলার বটের নীচে পাওয়া যায় শির শির করা বায়ু, চিত্তে আনন্দ দানকারী শান্তিময় নীরবতা। সেবা খোলায় বটের নিচে হিন্দুরা প্রতি শনি ও মঙ্গল বারে তাদের সামর্থ্যানুযায়ী পূজা-অর্ঘ্য দান করে। মনের আশা পুণ্যার্থে কদাচিৎ তা অন্যান্য দিনেও চলে। ফলে সেখানে ডিম, কলা, আম, জাম সহ নানাবিধ খাদ্য-দ্রব্য সর্বদা পড়ে থাকে। গ্রামের মানুষের কাছে এ সমস্ত খাদ্য নিয়ে, কখনও কোন কৌতূহল দেখি নি। তাছাড়া ইদিলপুরে তেমন একটা গরীব মানুষও ছিলনা যে, এগুলো নিয়ে আকর্ষণ বোধ করবে।

সেবা খোলার একপাশে রয়েছে পুরানা কবরস্থান। অন্য পাশে আছে একটি ভাগার। এলাকার মৃত গরু-ছাগলের লাশ এখানে ফেলে দেওয়া হয়। রাতের আঁধারে এসব প্রাণী দেহ, শৃগালের উপাদেয় নৈশ ভোজে পরিণত হয়। এভাবে একটি মৃত প্রাণী দিয়ে শৃগালের ৩/৪ দিন পর্যন্ত নৈশ ভোজ চলে। প্রাণী দেহের গলিত পচা দুর্গন্ধ এলাকা অবধি পৌছায়না বলে, গ্রামের সকল মানুষ এই ভাগার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল।

একদা এক শুভ সকালে, সেবা খোলায়, আচানক এক দরবেশের আবির্ভাব ঘটল! আসা যাওয়ার পথে মানুষ দেখতে পেল ঠিক বটগাছের নিচে, যেখানে হিন্দুরা ভোগ রাখেন; সেখানেই চটের বস্তার পোশাক পরিহিত এক দরবেশ বসে আছেন! তিনি সর্বদা চোখ বন্ধ করে ধ্যানে মগ্ন থাকছেন! কখনও কখনও কিঞ্চিত চোখ মেলে, রহস্য প্রাপ্তির মত স্মিত হাসি দিয়ে পুনরায় ধ্যানে চলে যাচ্ছেন! মুসলিম স্টাইলে মুখ ভরা লম্বা দাঁড়ি, হিন্দু স্টাইলে ঝুটা বাঁধা লম্বা চুল, সাদা দাঁত, সুন্দর চোখের রং, মজবুত শারীরিক গঠনের অধিকারী দরবেশকে খুব মানান সই দেখাচ্ছিল!

হিন্দু রমণীরা ভোগ দিতে এসে (দেবতার উদ্দেশ্যে খাদ্যদান) সেবা খোলায় এই ধ্যানমগ্ন দরবেশকে আবিষ্কার করেন! তাঁরা পূজা না দিয়ে, আনিত সমূদয় ফল-মূল; দরবেশের জন্য উপহার দেন। চারিদিক থেকে বিলের কামলারা দুপুরের খাদ্য খাওয়ার জন্য বটের নীচে আসে। তারাও ধ্যানমগ্ন দরবেশকে দেখে, তাদের খাদ্যও দরবেশকে উপহার দেয়! কামলারা বলতে রইল, পবিত্র আত্মার দরবেশের জন্য এক বেলা খানাই যদি উৎসর্গই করতে না পারি, তাহলে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে কি লাভ?

ওদিকে ধ্যানমগ্ন দরবেশের এগুলির প্রতি কোনই নজর নাই! ইতিমধ্যে পথিকের সংখ্যা বাড়ল, খাদ্য-দ্রব্যের মন মাতানো গন্ধে মাছির পরিমাণও পাল্লা দিয়ে বাড়ে! লোভী মাছি খানায় বসে, কিছু বেয়াড়া মাছি দরবেশের গায়েও বসে! খালি গায়ের দরবেশ এতে অস্বস্থি বোধ করতে থাকে। ভক্তিতে আসক্ত এক পথিক, দরবেশের গায়ে যাতে মাছি বসতে না পারে সেজন্য, নিজের গামছা দিয়ে বাতাস করতে থাকে! অন্যান্য দরবেশ ভক্তরা, যার মত করে দরবেশের উপকারার্থে নানাবিধ কাজে স্বেচ্ছাশ্রমে লেগে গেল। যাতে করে দরবেশের ধ্যানমগ্নে কোন অসুবিধা না হয়!

কানে কানে একথা দশ গ্রামে পৌঁছল, দুদিনের মধ্যেই সেবা খোলা একটি ঐতিহাসিক তীর্থস্থানে পরিণত হল। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে দরবেশের গ্রহণযোগ্যতা দ্বিগুণ-ত্রিগুণ করে বাড়তে থাকল। মানুষের মুখে মুখে দু-একদিনের মধ্যে দরবেশ সম্পর্কিত একটা খোলা-মেলা ধারনা পাওয়া গেল।

‘তিনি সংসার বিরাগী মানুষ, দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি তাঁকে বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে! কারো সাথে কথা বলেন না, ছালা বস্তার পোশাক পড়তে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কারো বাড়ীতে মেহমান হতে রাজি নন, কারো দেওয়া খানা সরাসরি গ্রহণ করেন না, নিজের ইচ্ছে মত সামান্য ফল-মূল খেয়ে জীবন ধারণ করেন। প্রকাশ্য খানা-দানা পরিহার করেন, রাত্রে কোন গাছের নিচে বসে কিংবা গাছের সাথে হেলান দিয়ে, একটু তন্দ্রার সুযোগ নেন! এ অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বালা-মুসিবত দূর কল্পে তিনি এখানে এসেছেন, তাই বেশী বিরক্ত হলে তিনি চলেও যেতে পারেন’।

একদল স্বেচ্ছা সেসব খুবই আন্তরিকতার সাথে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছিল,

‘কারো দোয়া লাগলে, অভিযোগ থাকলে, দরবেশের সামনে বলে যেতে পারেন। দরবেশের চোখ খোলা রইল, কি ধ্যানে রইল, তিনি হাঁসি মুখে আছেন নাকি বেজায় চেহারায় আছেন! এসব দেখার দরকার নেই। তিনি সর্বদা চেতন থাকেন, তাই সবার কথা তিনি সর্বক্ষণ শুনেন ও দেখেন! সূর্য ডোবার পর যাতে কেউ আশে-পাশে না থাকে, তাঁকে বিরক্ত না করে। কারণ তখন তিনি পরিপূর্ণ রূহানী জগতে থাকেন। দরবেশের সামান্য অসন্তুষ্টিই কারো চরম সর্বনাশ হতে পারে, কারণ বদ দোয়া বড়ই মারাত্মক জিনিষ। তাই সবাইকে নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি’।

দিনে দিনে মানুষ বাড়ে! নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ হরেক রকমের অভিযোগ নিয়ে দরবেশের কাছে ভিড় করতে থাকে। দরবেশ মাঝে মধ্যে একবার চোখ মেলে, উপস্থিত সবার জন্য শূন্যের মধ্যে দোয়া ছেড়ে দেন। বিশৃঙ্খলের মাঝে দ্বিতীয় দল, তৃতীয় দলের আগমন চলে থাকে কিছু মানুষ দরবেশের সান্নিধ্য চাড়তে চান না, ফলে জটলা এবং ভিড় আরো বাড়ে। উপহার হিসেবে আনিত কারো খাদ্যের উপর দরবেশের একবার নজর পড়ল তো কথাই নেই। এক মুহূর্তে তার আনিত উপহারের প্রতি ভক্তরা হায়েনার মত সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বরকতের আশায় এলাকার স্বচ্ছল-সুঠাম দেহের অধিকারীরাও সে খাদ্য কাড়াকাড়িতে অংশ গ্রহণ করে!

দরবেশের নজর পড়া আনিত এক ডাবের করুন দশা হয়েছিল সেবার! ভক্তকুলের আক্রমণে এক মুহূর্তে ডাবের শক্তি খোসা শতধা বিভক্ত হয়ে গেল। কিছু মানুষ ডাবের বিচ্ছিন্ন ছাল মুখে পুরে বিজয়ীর বেশে পানের মত চিবাতে রইল! দরবেশের জন্য প্রচুর খাদ্য-সামগ্রী আসতে রইল। এলাকার অনেক গৃহস্থ তাদের খেতে-খামারে উৎপাদিত প্রথম ফলটিকে দরবেশের চরণে উৎসর্গ করল। মানুষের শৃঙ্খলার নিমিত্তে, দরবেশের নিরাপত্তার জন্য একটি পরিচালনা কমিটি গঠন হল। কমিটি দরবেশের জন্য আনিত, তাঁর বরকতপূর্ন নজর পরা খাদ্যগুলোর উপর নিলাম হাঁকাল। পয়সা ওয়ালারা ফল নিলামে কিনতে পারলেও গরীবেরা ফলের উচ্ছিষ্ট নিয়েই তৃপ্ত থাকল।

ভ্রাম্যমান হকার আসল ও ভাসমান দোকান চালু হল। চনাচূর, পিঁয়াজি, খিরা, জিলাপি, বাতসা, আইসক্রিম দেদার বিক্রি হচ্ছিল। বাচ্চাদের জন্য আসল বেলুন ও আসল বাঁশি ওয়ালা। বাচ্চাদের ভেঁ-পুঁ, আইসক্রিমের পেটির আওয়াজ, নিলামিদের হাঁক-ডাক, মানুষদের ব্যাপক কোলাহলে, সেবা খোলা এক দৈব মেলায় পরিণত হল। এই পরিস্থিতিতেই অশীতিপর বৃদ্ধ, অবস্থা সম্পর্ন্ন, মুন্সী আবদুল বারিক কান্না কাটি করে, দাঁড়ি ভিজিয়ে দরবেশকে তাঁর বাড়ীতে যাওয়ার আবদার জানাচ্ছিলেন।

মহান দরবেশ মাঘ মাসেই ইদিলপুরে তশরিফ এনেছেন, মাঘের শীতে নাকি বাঘও কাঁদে। এই ভয়ঙ্কর শীতে মহান দরবেশ কোথায় থাকেন? দুঃখে না সুখে রাত কাটে? এটা চিন্তাটা সবার কাছে মর্মবেদনার কারণ ছিল। বিলের পাশের গাঁও, এলাকার আরেক বিত্তশালী আলীম ভূঁইয়াদের পাঁচটি বিরাট খড়ের গাদা ছিল। ভূঁইয়া একদা বুঝতে পারেন কেউ না কেউ এই খড়ের গাদায় রাত্রি যাপন করে। তিনি ধারনা করলেন, রাত্রি যাপনকারী এই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি স্বয়ং মহামান্য দরবেশ বাবা! এতে আলীম ভূঁইয়া নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন এবং খড়ের গাদার সে স্থানে গোপনে কাঁথা রেখে দিয়ে, যাতে মেহমান উষ্ণতা অনুভব করতে পারেন। দেখা গেল, ঠিকই দরবেশ বাবা প্রতি রাত্রে সেগুলো ব্যবহার করে আলীম ভুঁইয়াকে সম্মানিত ও উপকৃত করলেন! আলীম ভূঁইয়া নিজ দায়িত্বে খড়ের গাদার দেখ-ভাল করতে থাকলেন। ভূঁইয়া, পরিবারের সবাইকে কঠোরভাবে বললেন, তাঁর পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কেউ যেন খড়ের গাদা-খোলায় না যায়।

মরার উপর খড়ার ঘায়ের মত সেবা খোলায় হঠাৎ এক কান্ড ঘটে গেল। কে বা কাহারা রাতের আঁধারে সেবাখোলাস্থ ভাগাড়ে একটি মরা গরু ফেলে যায়! চারিদিকে হৈ হৈ রব উঠল, সবার মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে লাগল! কাল থেকে গরু পচা দুগর্ন্ধে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে যাবে, মানুষ দাঁড়াবে কিভাবে! অনেকেই বলাবলি করছিল, মরা গরুর মালিকের কাছে কি ইহকাল-পরকালের ভয় নাই? দরবেশের বদ দোয়ার কথা কি একবারও চিন্তা করেনি? সে কি একবারও ভাবেনি যে, তার গোয়ালের বাকী গরুও বাবার বদদোয়ায় মরে যেতে পারে!

চলবে....... আগামী পর্বে সমাপ্য.................

বিষয়: বিবিধ

২০৬৬ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339427
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ভালোই তো মানুষের অন্ধ বিশ্বাসে দরবেশ বাবার রাতারাতি আঙ্গুল ফুঁলে কলা গাছ হওয়ার অবস্থা! মানুষ কেন যে, এমন অন্ধ বিশ্বাস করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষকে?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
280768
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। ভাল থাকুন।
339428
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৪
নাবিক লিখেছেন : আহা দরবেশের জন্য সবার আবেগ উথলে উঠছে... Happy
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
280773
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আবেক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, মুসিবত নির্ঘাত। অনেক ধন্যবাদ।
339432
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আমার পীরসাহেব ও অনেক ধনী। আপনার পীরকি ধনী!?
আমার পীরসাহেবের সম্পত্তির কোন অভাব নাই। সব মুরীদভাইরা দিয়েছেন। তাই তিনি মুরিদভাইদের নিকট কৃতঞ্জ। আর বছর বছার এজন্য ওরশ রাখতেছেন।

যার কোন পীর নাই তার পীর শয়তান। এটা আমার পীরের দাদাপীরের বাণী বুজুর্গদের বানী।

আপনার পীরেরর নামকি ভাই?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫১
280780
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমি যখন কিছু বুঝতে শিখি নাই, তখন আমার পীর ছিল আমার পিতা-মাতা। অতঃপর আমার সেই শিক্ষকবৃন্ধ যারা আমার নৈতিক অবস্থার প্রতি মনোনিবেশ করেছে, শিক্ষা দিয়েছেন।

আমি কোনদিন মাদ্রাসায় পড়িনি, কলেজ জীবনে কোরআন পড়া শুরু করেছি, বহুবার তাফসীর সহ খতম দিয়েছি। কয়েকটি সিহাহ সিত্তা হাদিস গ্রন্থ শেষ করেছি। এখনও পড়ে যাচ্ছি। পরিনত বয়সে আমি আমার বিবেকের উপর ফায়সালার ভার দিয়েছি। প্রতিটি ইসলামী পন্ডিত কে আমি শ্রদ্ধাভাজন মনে করি, মসজিদের প্রতিটি ইমামের কথা আমি মন দিয়ে শুনি। যদি সন্দেহ জন কিছু শুনি তাহলে আমার শেখা কোরআন-হাদিসের কথা তুলে ধরে তাঁকে বলতে চেষ্টা করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৬
281319
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


@নজরুল ইসলাম টিপু :
মোক্ষম জবাব, খুবই ভালো লাগলো
জাযাকুমুল্লাহ..
339433
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : একবারে পড়লাম!
দরবেশের কোন খবর নেই আর মানুষের আকলেরও খবর নেই!
আগামী পর্বে দরবেশ পটল তুলবে আর একটা মাজার হবে! Crying Crying
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
280774
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং আগামী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
339440
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৪
রক্তলাল লিখেছেন : ইল বাবা মতিঝিল
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
280775
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
339444
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
শেখের পোলা লিখেছেন : দরবেশের পাশে জনগনের ভিড় দেখে মড়ক ভক্ষনকারী শেয়াল শকুন কি গায়েব হয়ে গিয়েছিল? তার বোধ হয় দরবেশকে চিনে ফেলেছিল। অপেক্ষায় রইলাম।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
280781
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : শুকুন তো ভাই দেশে নাই, শৃগাল পালাতে বাধ্য হয়েছিল। অবস্থা যে ধরনের হয়েছিল সেখান থেকে জ্বিন ভুত ও পালাতে বাধ্য হত। অনেক ধন্যবাদ।
339452
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিবরাম চক্রবর্তির দেবতার জন্ম এর মত পির এবং মাজারের জন্ম হয়ে যাচ্ছে মনে হয়!!!
মাঝে মাঝে দুঃখে মনে হয় এমন করে কোথাও চলে যাই।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
280785
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধারণাটা খারাপ না, দেশে নাস্তিক-মুরতাদ কিছুটা বাড়লেও এই লাইনে এখনও মন্দা আসে নাই। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।
339469
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১০
আফরা লিখেছেন : জীবনে একজন পীর ও দেখি নাই । উনারা কি রকমের হয় ভাইয়া ?
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
281295
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পীর দেখেন নাই বলেই তো পীরের ছবি দিলাম। অনেক ধন্যবাদ।
339471
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : গরু গুলোর এখন কি হবে !
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
281296
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সামনের পর্বেই থাকছে বিস্তারিত, ধন্যবাদ।
১০
339473
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : তন্ময় হয়ে পড়লাম, বাকিটার অপেক্ষায়........
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
281297
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
১১
339482
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৭
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২১
281298
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ।
১২
339494
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৭
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আপনার দিলে একটুও রহম নেই ।
কেমনে পারলেন মাঝপথে লেখাটা বন্ধ করতে............ Happy
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২২
281299
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অচিরেই দেখা পাচ্ছেন পরের অংশের, ধন্যবাদ।
১৩
339508
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:১৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আপনি লিখেছেনঃ
ওদিকে ধ্যানমগ্ন দরবেশের এগুলির প্রতি কোনই নজর নাই! ইতিমধ্যে পথিকের সংখ্যা বাড়ল, খাদ্য-দ্রব্যের মন মাতানো গন্ধে মাছির পরিমাণও পাল্লা দিয়ে বাড়ে! লোভী মাছি খানায় বসে, কিছু বেয়াড়া মাছি দরবেশের গায়েও বসে! খালি গায়ের দরবেশ এতে অস্বস্থি বোধ করতে থাকে। ভক্তিতে আসক্ত এক পথিক, দরবেশের গায়ে যাতে মাছি বসতে না পারে সেজন্য, নিজের গামছা দিয়ে বাতাস করতে থাকে! অন্যান্য দরবেশ ভক্তরা, যার মত করে দরবেশের উপকারার্থে নানাবিধ কাজে স্বেচ্ছাশ্রমে লেগে গেল। যাতে করে দরবেশের ধ্যানমগ্নে কোন অসুবিধা না হয়।








আমরা নাকি ব্লগার!!!! আমাকে ব্লগ জগতে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে....!

অবাক হচ্ছেন? হবারই কথা.... সত্যি বলছি এত সুন্দর উপস্থাপনা আমি আগে কখনো পড়েছি বলে মনে হয়না। ছোট্ট ঘটনা মনে হচ্ছিল প্রথম দিকে.... পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন আরো অনেক দূর যেতে হবে শেষ প্রান্তে এসে থেমে যাওয়া মানতে পারিনি!


আমি অনুরোধ করব এধরণের ঘটনা বাহুল্য লেখা গুলো একসাথে পোস্ট দেয়ার জন্য।

মন রাখতে হবে এটা ব্লগ প্লাটফর্ম!! ফেসবুক নয়। ব্লগ পোস্ট একটু বড় পরিসরে হলেই ভালো, কারন আমরা এখানে কিছু শিখতে আসি। ধন্যবাদ, পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
281302
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ব্লগার বলে থাকেন, পরিসর লম্বা হয়ে গেল, তাই পড়তে কষ্ট হল ইত্যাদি। জানিনা ইদানিং কালের পাঠকের ধৈর্য্য শক্তি আগের জমানার মত নয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৪
339544
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
হতভাগা লিখেছেন : এরকমই এক বাবা ছিল - হাঁটা বাবা ।

মিরপুর রোড থেকে আমিন বাজার ছিল তার হাঁটার স্থান । ভক্তরা তার সাথে সাথে খুব ধীর লয়ে হাঁটতো ।

মাশা আল্লাহ ! চমৎকার লিখেছেন । পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি - ইন শা আল্লাহ ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
281304
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি ঠিকই ধরে ফেলেছেন, আমার ছবিতে দেখানো তিনিই প্রকৃত হাঁটা বাবা! মূল নাম হায়দর বাবা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৫
339929
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে মন চাচচে, চাকুরী-বাকুরী ছেড়ে দিয়ে কিছুদিন এই দরবেশের মত অভিনয় করতে, তাহলে টেনশন ছাড়াই কিছুদিন ভালোভাবেই অতিবাহিত করতে পারতাম। হায়রে মুসলিম, হায়রে মানুষের ঈমান !!
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪২
281318
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
281330
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও সঠিক ইমানদার না হলে, এসব বুঝা, রহস্য উদ্ধার করা আসলেই কঠিন। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File