হাদিসে কুদসী-৫

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৪৮:০৪ দুপুর



১২) আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি যে, 'মহান আল্লাহ বলেন,' হে আদম সন্তান! তুমি যতো দিন পর্যন্ত আমার কাছে দো’য়া করতে থাকবে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আমি ততো দিন তোমার গুনাহ মাফ করতে থাকবো, তা তুমি যাই করে থাকো, সেদিকে আমি ভ্রূক্ষেপ করব না।

হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশচুম্বি হয় অর্থাৎ আকাশেও পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো তাহলে আমি তোমাকে ক্ষমা করবো।

হে আদম সন্তান! তুমি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও যদি আমার সাথে সাক্ষাত করো এবং আমার সাথে কিছু শরীক না করে থাকো, তাহলে আমিও এ পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসবো।'

ইমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, এটি হাসান হাদীস। [তিরমিযী]

১৩) আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল বলেছেন,' মহান আল্লাহ বলেন, "হে আদম সন্তান! খরচ করো, তোমার জন্যও খরচ করা হবে। "[বুখারী, মুসলিম]

১৪) আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন,' সম্মানিত মহান আল্লাহ বলেন, “ইজ্জত ও মাহাত্ম হচ্ছে আমার পাজামা এবং অহংকার ও শ্রেষ্ঠত্ব আমার চাদর। যে ব্যক্তি এ দু’টির কোন একটিতে আমার সাথে সংঘর্ষ ও বিবাদে লিপ্ত হবে তাকে আমি অবশ্যই শাস্তি দেব।”[মুসলিম]

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে ৪৪২, ৫৪৯ ও ৬১৮ ]

হাদিসে কুদসী- ৪

বিষয়: বিবিধ

১২৪০ বার পঠিত, ৭২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

178460
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
ভিশু লিখেছেন : প্রথম হাদীসটি পড়লে চোখে পানি চলে আসে! পরেরটা পড়ে মনে হলো, মহান আল্লাহর পথে কতটুকু খরচ করি/করছি আমরা?! আর শেষেরটি মনে আরো ভয় ধরিয়ে দিলো, এতটুকুও অহংকারবোধ নেই তো আমার মধ্যে?!?! Day Dreaming জাযাকাল্লাহ খাইরান... Praying Happy Good Luck Rose
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
131555
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সংক্ষিপ্ত শিক্ষা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
131558
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "আমার মুমিন বান্দার জন্যে আমার কাছে জান্নাত ছাড়া আর কোনো পুরস্কার নেই, যখন আমি দুনিয়া থেকে তার কোনো প্রিয়জনকে নিয়ে যাই আর সে তখন সওয়াবের আশায় সবর করে।"

(বুখারী)
178462
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
131556
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
131559
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ বলেছেন,"আমি যখন আমার বান্দাকে তার দু’টি প্রিয় বস্তুর মাধ্যমে পরীক্ষা করি (অর্থ্যাৎ তার দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেই) এবং তাতে সে সবর করে, তখন এর বিনিময়ে আমি তাকে জান্নাত দান করি।"

(বুখারী)
178465
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
আলোর আভা লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
131557
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
131560
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি আমার বন্ধু কে কষ্ট দেয়, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার বান্দাহ আমার আরোপিত ফরজ কাজের মাধ্যমে, যা আমার নিকট প্রিয় এবং নফল কাজের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। এভাবে (এক পর্যায়ে) আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। আর আমি যখন তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে হাঁটা-চলা করে। আর যদি সে আমার নিকট কিছু চায়, আমি তাকে দেই এবং যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দান করি।"

(বুখারী)
178475
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৪
রাইয়ান লিখেছেন : আল্লাহর ক্ষমার বর্ণনা পড়লে নিজের গুনাহ সমূহ স্মরণ করে খুবই ক্ষুদ্র হয়ে যাই , পরম করুনাময় করবেনতো আমায় ক্ষমা !
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১১
131622
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমরা তাঁর ক্ষমার প্রত্যাশীPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৩
131629
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," বান্দাহ যখন আমার দিকে আধ হাত পরিমান এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমান এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।"

[বুখারী]
178481
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১১
131623
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৩
131630
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু যার জুনদুব ইবনে জুনাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," হে আমার বান্দারা! আমি নিজের ওপর জুলুমকে হারাম করে রেখেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি।কাজেই তোমরা পরস্পর জুলুম করো না।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে হিদায়াহ্ দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট। অতএব, তোমরা আমার কাছে হিদায়াহ্ চাও। আমি তোমাদের হিদায়াহ্ দান করবো।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে খাদ্য দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের আর সবাই ক্ষুধার্ত। কাজেই তোমরা আমার কাছে খাদ্য চাও, আমি তোমাদেরকে খাদ্য দেব।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে কাপড় দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই উলঙ্গ। কাজেই আমার কাছে কাপড় চাও, আমি তোমাদেরকে কাপড় দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা দিন-রাত ভুল করে থাকো, আর আমি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিই। অতএব, তোমরা আমার কাছে ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আমার কোন উপকারও করতে পারবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম খোদাভীরু ব্যক্তির দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকু মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে খারাপ মানুষের দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকুও মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ কোন এক ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার কাছে চায় এবং আমি তাদের প্রত্যেককে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেই তাহলে তাতে আমার নিকট যে ভাণ্ডার আছে তার এতটুকু কমে যেতে পারে, যতটুকু সমুদ্রে একটি সূচ ফেললে তার পানি কমে যায়।

হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের নেক আমলকে তোমাদের জন্যে জমা করে রাখছি, তারপর একদিন আমি তোমাদেরকে তার পূর্ণ বিনিময় দেব। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণের অধিকারী হয়, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অকল্যাণের কিছু পায়, সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।"

[মুসলিম]
178482
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : ভালো লাগল, অনেক ধন্যবাদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
131628
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৪
131632
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন, 'আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির কাজ শেষ করে যখন অবসর হলেন, তখন ‘রাহেম’ (আত্নীয়তার সম্পর্ক) দাঁড়িয়ে বললো, এ জায়গাটি কি সেই ব্যক্তির জন্য যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বাঁচার জন্য আপনার কাছে আশ্রয় চায়?'

তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘হ্যাঁ। তুমি কি একথায় সন্তুষ্ট হবে, যে তোমায় বজায় রাখবে, আমিও তার প্রতি দয়া করবো এবং যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো?'

‘রাহেম’ বলল,‘হ্যাঁ, আমি সন্তুষ্ট হব।’

আল্লাহ বললেন, 'এ জায়গাটি তোমার।'

এরপর রাসূলে আকরামﷺ (সাহাবীদের) বললেন,'যদি তোমরা (অবিচল) থাকতে চাও, তবে এই আয়াত পাঠ করো। "তবে ক্ষমতায় আরোহন করলে হয়ত তোমরা দুনিয়ায় চরম অশান্তি ও ফিতনার সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? (মূলত) এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহ লা’নত বর্ষণ করেছেন এবং তাদেরকে অন্ধ ও বধির করে দিয়েছেন। "(সূরা মুহাম্মদঃ ২২-২৩)

(বুখারী ও মুসলিম)

বুখারীর অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, 'যে তোমায় বহাল রাখবে আমি তাকে অনুগ্রহ করবো আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো।'
178492
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
131627
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৪
131633
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি," মহাসম্মানিত পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন,'আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য (আখিরাতে) থাকবে নূরের মিম্বার (মঞ্চ) আর নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন।'

(তিরমিযী)
178517
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহুখায়রান... Rose Rose
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১১
131624
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৪
131634
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন,' যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমি আমার বান্দার ওপর যা কিছু ফরয করেছি, তার চেয়ে বেশি প্রিয় কোন জিনিস নিয়ে সে আমার নিকটবর্তী হয় না। আর আমার বান্দা সব সময় নফলের মাধ্যমে আমার কাছাকাছি আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি তখন সে যে কানে শুনে, আমি তার সেই কান হয়ে যাই; সে যে চোখে দেখে, আমি তার সেই চোখ হয়ে যাই। সে যে হাতে ধরে, আমি সেই হাত হয়ে যাই এবং সে যে পায়ে হাঁটে আমি তার সে পা হয়ে যাই। সে যখন আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে তা প্রদান করি এবং সে যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে আমি তাকে আশ্রয় প্রদান করি।'

(বুখারী)
178518
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ পিলাচ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
131626
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৫
131635
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন,' মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন জিবরীল(আ) কে ডেকে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন; কাজেই তুমিও তাকে ভালোবাস।'

তারপর জিবরীল(আ) তাকে ভালোবাসেন এবং আসমানবাসীদের মাঝে ঘোষণা করেন যে, 'আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন; কাজেই তোমরাও তাকে ভালোবাস।'

অতঃপর আসমানবাসীরা তাকে ভালোবাসে। অতঃপর দুনিয়ায় সে জনপ্রিয় হয়ে যায়।

(বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিমের অপর একটি বর্ণনায় আছে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন, আল্লাহ তা’আলা যখনই কোন বান্দাকে ভালোবাসেন, তখনই জিবরীল(আ)কে ডেকে বলেন,'আমি তো অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসি। সুতরাং তোমারা তাকে ভালোবাস।'

তারপর জিবরীল(আ)ও তাকে ভালোবাসেন এবং আসমানবাসীদের মাঝে ঘোষণা করতে থাকেন, 'আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাস।'

তারপর আসমানবাসীরাও তাকে ভালোবাসে এবং দুনিয়ায় সে জনপ্রিয় হয়ে যায়। আর যখন তিনি (আল্লাহ) কোন বান্দাকে ঘৃণা করেন তখন জিবরীল(আ)কে ডেকে বলেন,' আমি অমুককে ঘৃণা করি, কাজেই তুমিও তাকে ঘৃণা করো।'

তারপর জিবরীল(আ) তাকে ঘৃণা করেন এবং আসমানবাসীদের মাঝে ঘোষণা করতে থাকেন, 'আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন; সুতরাং তোমরাও তাকে ঘৃণা করো।'

তারপর আসমানবাসীরা তাকে ঘৃণা করতে থাকে আর দুনিয়ায়ও তাকে ঘৃণিত ও লাঞ্ছিত করা হয়।

১০
178552
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১২
131625
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৫
131637
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ তাঁর মহান ও কল্যাণময় রবের কাছ থেকে বর্ণনা করে বলেন, 'কোন বান্দাহ একটি গুনাহ করে বললো, 'হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দাও।'

তখন বিপুল বরকতের অধিকারী আল্লাহ বলেন, 'আমার বান্দাহ একটি গুনাহ করেছে। সে জানে যে তার একজন রব আছেন, যিনি গুনাহ মাফ করেন, আবার এজন্য পাকড়াও করেন।'

সে পুনরায় গুনাহ করে বললো, 'হে আমার রব! আমার গুনাহ মাফ করে দাও।'

তখন মহান কল্যাণময় আল্লাহ বলেন, 'আমার বান্দাহ একটি গুনাহ করেছে। সে জেনেছে যে, তার একজন রব আছেন যিনি গুনাহ মাফ করেন এবং গুনাহর জন্য পাকড়াও করেন।'

সে আবারও একটি গুনাহ করলো এবং বললো, 'হে রব! আমার গুনাহ মাফ করে দাও। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার বান্দাহ একটি গুনাহ করেছে এবং সে জেনেছে যে, তার একজন রব আছেন যিনি গুনাহ মাফ করেন এবং এর জন্য শাস্তিও দেন। সুতরাং আমি আমার বান্দাহকে মাফ করে দিলাম। অতএব সে যা ইচ্ছা তাই করুক।'

[বুখারী, মুসলিম]

মহান আল্লাহর বাণী “সে যা ইচ্ছা তাই করুক “-এর অর্থ হলো- সে যতদিন এরূপ গুনাহ করবে এবং তওবা করবে, আমি ততদিন তাকে মাফ করতে থাকবো। কেননা তওবা তার আগের সমস্ত গুনাহ খতম করে দেয়।
১১
178575
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপনার বিষয়ভিত্তিক সনদ, হাদিস আর অদ্ভুদ উপস্থাপনায় সত্যিই আল্লাহ্‌ পাকের পথে হৃদয় বিগলিত হয়, আপনার প্রতিটি লিখাই চমৎকার, অনন্য, অসাধারণ। দয়াময় আপনাকে আমদের সেবক/সেবিকা বানিয়ে দিন। আমীন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৭
131675
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৮
131680
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন যে, মহামহিম আল্লাহ বলেন, 'আমি আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ীই আছি (অর্থাৎ যে আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা রাখে, আমিও তার সাথে সেরূপ ব্যবহার করি) সে যেখানেই আমাকে স্মরণ করে, আমি সেখানেই তার সাথে আছি।'

'আল্লাহর শপথ! তোমাদের কেউ বৃক্ষলতাহীন মরু প্রান্তরে তার হারানো বস্তু পেয়ে যেরূপ আনন্দিত হয়, আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় এর চাইতেও অনেক বেশি আনন্দিত হন।'

(আল্লাহ আরো বলেন) 'যে ব্যক্তি আমার কাছে আসতে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে যাই; আর যে ব্যক্তি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই। সে যখন আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে এগিয়ে যাই।'

[বুখারী, মুসলিম]
১২
178577
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৮
টাংসু ফকীর লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৭
131677
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৯
131681
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "আমার মুমিন বান্দার জন্যে আমার কাছে জান্নাত ছাড়া আর কোনো পুরস্কার নেই, যখন আমি দুনিয়া থেকে তার কোনো প্রিয়জনকে নিয়ে যাই আর সে তখন সওয়াবের আশায় সবর করে।"

(বুখারী)
১৩
178597
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৯
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে উঠিয়ে দিক৷
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৭
131676
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
131682
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, মহান আল্লাহ বলেছেন,"আমি যখন আমার বান্দাকে তার দু’টি প্রিয় বস্তুর মাধ্যমে পরীক্ষা করি (অর্থ্যাৎ তার দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেই) এবং তাতে সে সবর করে, তখন এর বিনিময়ে আমি তাকে জান্নাত দান করি।"

(বুখারী)
১৪
178599
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২০
শিকারিমন লিখেছেন : প্রথম তিন টা হাদিস আমাকে অনেক বেশি আশাবাদী করে তুলেছে।
ধন্যবাদ আপা আপনাকে। সুন্দর পোস্ট এর জন্য।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৭
131678
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
131683
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি আমার বন্ধু কে কষ্ট দেয়, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার বান্দাহ আমার আরোপিত ফরজ কাজের মাধ্যমে, যা আমার নিকট প্রিয় এবং নফল কাজের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। এভাবে (এক পর্যায়ে) আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। আর আমি যখন তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে হাঁটা-চলা করে। আর যদি সে আমার নিকট কিছু চায়, আমি তাকে দেই এবং যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দান করি।"

(বুখারী)
১৫
178605
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : বেশ প্রশান্তি পেলাম ।
অনেক ধন্যবাদ আপুজ্বী।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৮
131679
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
131684
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," বান্দাহ যখন আমার দিকে আধ হাত পরিমান এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমান এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।"

[বুখারী]
১৬
178645
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৮
নিঝুমদ্বীপের রাজকন্যা লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খাইরান আপুজ্বী। Praying Praying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০১
131780
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
131784
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু যার জুনদুব ইবনে জুনাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," হে আমার বান্দারা! আমি নিজের ওপর জুলুমকে হারাম করে রেখেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি।কাজেই তোমরা পরস্পর জুলুম করো না।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে হিদায়াহ্ দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট। অতএব, তোমরা আমার কাছে হিদায়াহ্ চাও। আমি তোমাদের হিদায়াহ্ দান করবো।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে খাদ্য দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের আর সবাই ক্ষুধার্ত। কাজেই তোমরা আমার কাছে খাদ্য চাও, আমি তোমাদেরকে খাদ্য দেব।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে কাপড় দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই উলঙ্গ। কাজেই আমার কাছে কাপড় চাও, আমি তোমাদেরকে কাপড় দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা দিন-রাত ভুল করে থাকো, আর আমি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিই। অতএব, তোমরা আমার কাছে ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আমার কোন উপকারও করতে পারবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম খোদাভীরু ব্যক্তির দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকু মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে খারাপ মানুষের দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকুও মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ কোন এক ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার কাছে চায় এবং আমি তাদের প্রত্যেককে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেই তাহলে তাতে আমার নিকট যে ভাণ্ডার আছে তার এতটুকু কমে যেতে পারে, যতটুকু সমুদ্রে একটি সূচ ফেললে তার পানি কমে যায়।

হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের নেক আমলকে তোমাদের জন্যে জমা করে রাখছি, তারপর একদিন আমি তোমাদেরকে তার পূর্ণ বিনিময় দেব। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণের অধিকারী হয়, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অকল্যাণের কিছু পায়, সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।"

[মুসলিম]
১৭
178650
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৮
অজানা পথিক লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০১
131781
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
131785
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন, 'আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির কাজ শেষ করে যখন অবসর হলেন, তখন ‘রাহেম’ (আত্নীয়তার সম্পর্ক) দাঁড়িয়ে বললো, এ জায়গাটি কি সেই ব্যক্তির জন্য যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বাঁচার জন্য আপনার কাছে আশ্রয় চায়?'

তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘হ্যাঁ। তুমি কি একথায় সন্তুষ্ট হবে, যে তোমায় বজায় রাখবে, আমিও তার প্রতি দয়া করবো এবং যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো?'

‘রাহেম’ বলল,‘হ্যাঁ, আমি সন্তুষ্ট হব।’

আল্লাহ বললেন, 'এ জায়গাটি তোমার।'

এরপর রাসূলে আকরামﷺ (সাহাবীদের) বললেন,'যদি তোমরা (অবিচল) থাকতে চাও, তবে এই আয়াত পাঠ করো। "তবে ক্ষমতায় আরোহন করলে হয়ত তোমরা দুনিয়ায় চরম অশান্তি ও ফিতনার সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? (মূলত) এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহ লা’নত বর্ষণ করেছেন এবং তাদেরকে অন্ধ ও বধির করে দিয়েছেন। "(সূরা মুহাম্মদঃ ২২-২৩)

(বুখারী ও মুসলিম)

বুখারীর অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, 'যে তোমায় বহাল রাখবে আমি তাকে অনুগ্রহ করবো আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো।'
১৮
178717
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৩১
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : যাজাকাল্লাহু খাইরান।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০২
131782
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
131786
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি," মহাসম্মানিত পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন,'আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য (আখিরাতে) থাকবে নূরের মিম্বার (মঞ্চ) আর নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন।'

(তিরমিযী)
১৯
178775
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : যাজাকিল্লাহু খাইর।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০২
131783
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
131787
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন,' যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমি আমার বান্দার ওপর যা কিছু ফরয করেছি, তার চেয়ে বেশি প্রিয় কোন জিনিস নিয়ে সে আমার নিকটবর্তী হয় না। আর আমার বান্দা সব সময় নফলের মাধ্যমে আমার কাছাকাছি আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি তখন সে যে কানে শুনে, আমি তার সেই কান হয়ে যাই; সে যে চোখে দেখে, আমি তার সেই চোখ হয়ে যাই। সে যে হাতে ধরে, আমি সেই হাত হয়ে যাই এবং সে যে পায়ে হাঁটে আমি তার সে পা হয়ে যাই। সে যখন আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে তা প্রদান করি এবং সে যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে আমি তাকে আশ্রয় প্রদান করি।'

(বুখারী)
২০
178879
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : যাজাকাল্লাহু খাইর
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪২
132079
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
132081
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," বান্দাহ যখন আমার দিকে আধ হাত পরিমান এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমান এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।"

[বুখারী]
২১
178957
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
আফরা লিখেছেন : হে আল্লাহ আমার গুরুজীর মাধ্যমে আজকে অনেক গুলো হাদীস জানলাম তুমি আমার এর থেকে ফায়দা নেয়ার তৌফিক দান কর ।আর আমার গুরুজীকে এর উত্তম প্রতিদান দিও ।আমীন ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪২
132080
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
132082
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু যার জুনদুব ইবনে জুনাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন," হে আমার বান্দারা! আমি নিজের ওপর জুলুমকে হারাম করে রেখেছি এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করেছি।কাজেই তোমরা পরস্পর জুলুম করো না।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে হিদায়াহ্ দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট। অতএব, তোমরা আমার কাছে হিদায়াহ্ চাও। আমি তোমাদের হিদায়াহ্ দান করবো।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে খাদ্য দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের আর সবাই ক্ষুধার্ত। কাজেই তোমরা আমার কাছে খাদ্য চাও, আমি তোমাদেরকে খাদ্য দেব।

হে আমার বান্দারা! আমি যাকে কাপড় দিয়েছি, সে ছাড়া তোমাদের প্রত্যেকেই উলঙ্গ। কাজেই আমার কাছে কাপড় চাও, আমি তোমাদেরকে কাপড় দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা দিন-রাত ভুল করে থাকো, আর আমি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিই। অতএব, তোমরা আমার কাছে ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আমার কোন উপকারও করতে পারবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠতম খোদাভীরু ব্যক্তির দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকু মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ তোমাদের মধ্যকার সবচেয়ে খারাপ মানুষের দিলের মতো হয়ে যায়, তবুও তাতে আমার রাজত্বের এতটুকুও মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে না।

হে আমার বান্দারা! যদি তোমাদের পূর্বের ও পরের সমস্ত জিন ও মানুষ কোন এক ময়দানে দাঁড়িয়ে আমার কাছে চায় এবং আমি তাদের প্রত্যেককে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দেই তাহলে তাতে আমার নিকট যে ভাণ্ডার আছে তার এতটুকু কমে যেতে পারে, যতটুকু সমুদ্রে একটি সূচ ফেললে তার পানি কমে যায়।

হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের নেক আমলকে তোমাদের জন্যে জমা করে রাখছি, তারপর একদিন আমি তোমাদেরকে তার পূর্ণ বিনিময় দেব। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণের অধিকারী হয়, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অকল্যাণের কিছু পায়, সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।"

[মুসলিম]
২২
179351
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
132395
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
132397
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন, 'আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির কাজ শেষ করে যখন অবসর হলেন, তখন ‘রাহেম’ (আত্নীয়তার সম্পর্ক) দাঁড়িয়ে বললো, এ জায়গাটি কি সেই ব্যক্তির জন্য যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বাঁচার জন্য আপনার কাছে আশ্রয় চায়?'

তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘হ্যাঁ। তুমি কি একথায় সন্তুষ্ট হবে, যে তোমায় বজায় রাখবে, আমিও তার প্রতি দয়া করবো এবং যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো?'

‘রাহেম’ বলল,‘হ্যাঁ, আমি সন্তুষ্ট হব।’

আল্লাহ বললেন, 'এ জায়গাটি তোমার।'

এরপর রাসূলে আকরামﷺ (সাহাবীদের) বললেন,'যদি তোমরা (অবিচল) থাকতে চাও, তবে এই আয়াত পাঠ করো। "তবে ক্ষমতায় আরোহন করলে হয়ত তোমরা দুনিয়ায় চরম অশান্তি ও ফিতনার সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে? (মূলত) এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহ লা’নত বর্ষণ করেছেন এবং তাদেরকে অন্ধ ও বধির করে দিয়েছেন। "(সূরা মুহাম্মদঃ ২২-২৩)

(বুখারী ও মুসলিম)

বুখারীর অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন, 'যে তোমায় বহাল রাখবে আমি তাকে অনুগ্রহ করবো আর যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবো।'
২৩
179714
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
সায়েম খান লিখেছেন : জ্ঞা


র্ভ

লে
খা
...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
132907
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫২
132908
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি," মহাসম্মানিত পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন,'আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য (আখিরাতে) থাকবে নূরের মিম্বার (মঞ্চ) আর নবীগণ ও শহীদগণ তাদের প্রতি ঈর্ষা করবেন।'

(তিরমিযী)
২৪
185817
০৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:১২
কোহেলি লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ।
০৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
137760
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৩ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৩
137761
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন,' যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমি আমার বান্দার ওপর যা কিছু ফরয করেছি, তার চেয়ে বেশি প্রিয় কোন জিনিস নিয়ে সে আমার নিকটবর্তী হয় না। আর আমার বান্দা সব সময় নফলের মাধ্যমে আমার কাছাকাছি আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আর আমি যখন তাকে ভালোবেসে ফেলি তখন সে যে কানে শুনে, আমি তার সেই কান হয়ে যাই; সে যে চোখে দেখে, আমি তার সেই চোখ হয়ে যাই। সে যে হাতে ধরে, আমি সেই হাত হয়ে যাই এবং সে যে পায়ে হাঁটে আমি তার সে পা হয়ে যাই। সে যখন আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে তা প্রদান করি এবং সে যদি আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে আমি তাকে আশ্রয় প্রদান করি।'

(বুখারী)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File