প্রকম্পন (ছন্দে ছন্দে আল কুরআন)
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৬ জুলাই, ২০১৫, ১২:৩৫:৪৬ দুপুর
পৃথিবী যখন কেঁপে উঠবে ঝাঁকুনি হবে প্রবল,
থরথর করে উঠবে তখন জড় ও জীব সকল।
জমীন হবে শূন্যগর্ভ থাকবেনা কিছু আর,
যত দামীই হোক ধন-সম্পদ বের হবে সব ভার।
.
অবাক হয়ে বলবে সবাই,"হলো কি আজ ধরায় ?"
(মূমীনের কোন পেরেশানী নাই, নয় কম্পিত জরায়।)
জমীন সেদিন প্রকাশ করবে ঘটেছে যা তার বুকে,
ভালো মন্দ সব ঘটনাই বলবে রবের সম্মুখে।
.
রবের আদেশ পালন করতে মুখ খুলবে তার,
(দেখবে মানুষ কি করেছে সে? বলবে কি তখন আর?)
দলে দলে সব হাজির হবে পড়বেনা কেউ বাদ,
আমলনামা দেয়া হবে হাতে থাকবেনা সেথা খাদ।
.
অনু পরিমান ভালো কাজ তব যায়নিকো কভু ঝরে।
বিন্দু বিন্দু খারাপ কাজও রেখেছি হিসেব করে।
.
১.) যখন পৃথিবীকে প্রবলবেগে ঝাঁকুনি দেয়া হবে।
২.) পৃথিবী তার ভেতরের সমস্ত ভার বাইরে বের করে দেবে।
৩.) আর মানুষ বলবে, এর কি হয়েছে?
৪.) সেদিন সে তার নিজের (ওপর যা কিছু ঘটেছে সেই) সব অবস্থা বর্ণনা করবে।
৫.) কারণ তোমার রব তাকে (এমনটি করার) হুকুম দিয়ে থাকবেন।
৬.) সেদিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ফিরে আসবে, যাতে তাদের কৃতকর্ম তাদেরকে দেখানো যায়।
৭.) তারপর যে অতি অল্প পরিমাণ ভালোকাজ করবে সে তা দেখে নেবে
৮.) এবং যে অতি অল্প পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সে তা দেখে নেবে।
[ আল যিলযাল ]
বিষয়: বিবিধ
১৯৫১ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
সূরা আল্ যিলযাল
-মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম
শুরু করছি পরম করুণাময় আল্লাহর
যিনি অতীব পবিত্র, অসীম দয়ার পাথার।
যখন বিপুল কম্পনে প্রকম্পিত হবে এ জমিন,
জমিনস্থ বোঝাসমূহ করবে উদগীরন!
মানুষেরা বলবে হায়, কি যে হল!
পালনকর্তা নির্দেশ দেবেন-সবই বল!
মানুষেরা করবে দলে দলে সেদিন প্রত্যাবর্তন
প্রত্যক্ষ করবে সবকিছুই, যার যা কৃতকর্ম সম্পাদন!
যে যা করেছে বিন্দু পরিমাণ ভাল কাজ,
মন্দকাজও দেখতে পাবে যা করেছিল সে, আজ।
=====
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।
- যখন পাহাড়গুলোকে চলমান করা হবে।
-যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনীগুলোকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।
- যখন বন্য পশুদের চারদিক থেকে এনে একত্র করা হবে।
- যখন সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
- যখন প্রাণসমূহকে (দেহের সাথে) জুড়ে দেয়া হবে।
- যখন জীবিত পুঁতে ফেলা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হবে,
- কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১-৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
-যখন আকাশের পরদা সরিয়ে ফেলা হবে।
- যখন জাহান্নামের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হবে
- এবং জান্নাতকে নিকটে আনা হবে।
-সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি নিয়ে এসেছে।
-কাজেই, না,আমি কসম খাচ্ছি
-পেছনে ফিরে আসা ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তারকারাজির এবং রাত্রির,
- যখন তা বিদায় নিয়েছে
-এবং প্রভাতের, যখন তা শ্বাস ফেলেছে।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১০-১৮]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যিনি বড়ই শক্তিধর, আরশের মালিকের কাছে উন্নত মর্যাদার অধিকারী,
- সেখানে তার হুকুম মেনে চলা হয়, তিনি আস্থাভাজন।
- আর (হে মক্কাবাসীরা!) তোমাদের সাথী পাগল নয়।
- সেই বাণীবাহককে দেখেছে উজ্জ্বল দিগন্তে।
- আর সে গায়েবের (এই জ্ঞান লোকদের কাছে পৌঁছানেরা) ব্যাপারে কৃপণ নয়।
-এটা কোন অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।
-কাজেই তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো?
- এটা তো সারা জাহানের অধিবাসীদের জন্য একটা উপদেশ।
- তোমাদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে সত্য সরল পথে চলতে চায়।
-আর তোমাদের চাইলেই কিছু হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তা চান।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১৯-২৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে,
- যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে
- এবং যখন কবরগুলো খুলে ফেলা হবে,
- তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামনের ও পেছনের সবকিছু জেনে যাবে।
- হে মানুষ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে,
- যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন
- এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।
- কখ্খনো না,বরং (আসল কথা হচ্ছে এই যে), তোমরা শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা মনে করছো।
- অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে,
- এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ,
- যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১-১২]
অসাধারণ পোস্টটির জন্য জাযাকিল্লাহ্ আপুমনি।
ধন্যবাদ
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- আর পাপীরা অবশ্যি যাবে জাহান্নামে।
- কর্মফলের দিন তারা তার মধ্যে প্রবেশ করবে
- এবং সেখান থেকে কোনক্রমেই সরে পড়তে পারবে না।
- আর তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- হ্যাঁ, তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- এটি সেই দিন যখন কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফায়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১৩-১৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- এবং নিজের রবের হুকুম পালন করবে। আর (নিজের রবের হুকুম মেনে চলা), এটিই তার জন্য সত্য।
- আর পৃথিবীকে যখন ছড়িয়ে দেয়া হবে।
-যা কিছু তার মধ্যে আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করে সে খালি হয়ে যাবে
- এবং নিজের রবের হুকুম পালন করবে। আর (নিজের রবের হুকুম মেনে চলা), এটিই তার জন্য সত্য।
- হে মানুষ! তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তোমার রবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছো, পরে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে।
- তারপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হয়েছে,
- তার কাছ থেকে হালকা হিসেব নেয়া হবে
- এবং সে হাসিমুখে নিজের লোকজনের কাছে ফিরে যাবে।
[সূরা আল ইনশিক্বাক আয়াত নং ১-৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- সে মৃত্যুকে ডাকবে
- এবং জ্বলন্ত আগুনে গিয়ে পড়বে।
- সে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ডুবে ছিল।
- সে মনে করেছিল, তাকে কখনো ফিরতে হবে না।
-না ফিরে সে পারতো কেমন করে? তার রব তার কার্যকলাপ দেখছিলেন।
- কাজেই না আমি কসম খাচ্ছি,
- আকাশের লাল আভার ও রাতের
- এবং তাতে যা কিছুর সমাবেশ ঘটে তার, আর চাঁদের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে।
- তোমাদের অবশ্যি স্তরে স্তরে এক অবস্থা থেকে আর এক অবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
- তাহলে এদের কি হয়েছে, এরা ঈমান আনে না
- এবং এদের সামনে কুরআন পড়া হলে এরা সিজদা করে না?
- বরং এ অস্বীকারকারীরা উল্টো মিথ্যা আরোপ করে।
-অথচ এরা নিজেদের আমলনামায় যা কিছু জমা করছে আল্লাহ তা খুব ভালো করেই জানেন।
- কাজেই এদের যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
- তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
[সূরা আল ইনশিক্বাক আয়াত নং ১১-২৫]
আমল নামা শূণ্য শূন্য ভয়যে তাই ঢের
ভুলেভালে জীবন আমার আসতে চায় ফের
আমলনামা সবারটাই থেকে যায় শূন্য,
সঞ্চয় করতে হবে তবু কিছু পুণ্য।
ঘুরে ফিরে আসে যদি আবার কোন পাপ,
তাওবা করলে করবেন প্রভু মাফ
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।
- যখন পাহাড়গুলোকে চলমান করা হবে।
-যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনীগুলোকে তাদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দেয়া হবে।
- যখন বন্য পশুদের চারদিক থেকে এনে একত্র করা হবে।
- যখন সমুদ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে।
- যখন প্রাণসমূহকে (দেহের সাথে) জুড়ে দেয়া হবে।
- যখন জীবিত পুঁতে ফেলা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হবে,
- কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১-৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
-যখন আকাশের পরদা সরিয়ে ফেলা হবে।
- যখন জাহান্নামের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হবে
- এবং জান্নাতকে নিকটে আনা হবে।
-সে সময় প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কি নিয়ে এসেছে।
-কাজেই, না,আমি কসম খাচ্ছি
-পেছনে ফিরে আসা ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তারকারাজির এবং রাত্রির,
- যখন তা বিদায় নিয়েছে
-এবং প্রভাতের, যখন তা শ্বাস ফেলেছে।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১০-১৮]
অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যিনি বড়ই শক্তিধর, আরশের মালিকের কাছে উন্নত মর্যাদার অধিকারী,
- সেখানে তার হুকুম মেনে চলা হয়, তিনি আস্থাভাজন।
- আর (হে মক্কাবাসীরা!) তোমাদের সাথী পাগল নয়।
- সেই বাণীবাহককে দেখেছে উজ্জ্বল দিগন্তে।
- আর সে গায়েবের (এই জ্ঞান লোকদের কাছে পৌঁছানেরা) ব্যাপারে কৃপণ নয়।
-এটা কোন অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়।
-কাজেই তোমরা কোথায় চলে যাচ্ছো?
- এটা তো সারা জাহানের অধিবাসীদের জন্য একটা উপদেশ।
- তোমাদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, যে সত্য সরল পথে চলতে চায়।
-আর তোমাদের চাইলেই কিছু হয় না, যতক্ষণ না আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তা চান।
[সূরা আত্ তাকভীর; আয়াত নং ১৯-২৯]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- যখন তারকারা চারদিকে বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে,
- যখন সমুদ্র ফাটিয়ে ফেলা হবে
- এবং যখন কবরগুলো খুলে ফেলা হবে,
- তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামনের ও পেছনের সবকিছু জেনে যাবে।
- হে মানুষ! কোন জিনিষ তোমাকে তোমার মহান রবের ব্যাপারে ধোঁকায় ফেলে রেখেছে,
- যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাকে সুঠাম ও সুসামঞ্জস্য করে গড়েছেন
- এবং যে আকৃতিতে চেয়েছেন তোমাকে গঠন করেছেন।
- কখ্খনো না,বরং (আসল কথা হচ্ছে এই যে), তোমরা শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা মনে করছো।
- অথচ তোমাদের ওপর পরিদর্শক নিযুক্ত রয়েছে,
- এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ,
- যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১-১২]
(তিরমিযী, আহমাদ, তাবারানী)
- আর পাপীরা অবশ্যি যাবে জাহান্নামে।
- কর্মফলের দিন তারা তার মধ্যে প্রবেশ করবে
- এবং সেখান থেকে কোনক্রমেই সরে পড়তে পারবে না।
- আর তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- হ্যাঁ, তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
- এটি সেই দিন যখন কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফায়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে।
[সূরা আল ইনফিতার আয়াত নং ১৩-১৯]
মন্তব্য করতে লগইন করুন