- মধ্যবিত্তের টানাপোড়ন (মিনি গল্প)
লিখেছেন লিখেছেন বাকপ্রবাস ০৮ মে, ২০১৫, ০৬:৪০:৫৬ সন্ধ্যা
রিকশার বিকল্প টমটম নেমেছে গলিতে, দুইজন ড্রাইভারের দুইপাশে বসে বাকি ছয়জন ভেতরে, ব্যাটারীতে চার্জ দিলে চলে পাঁচ ছয় ঘন্টা। ভালোই হলো রিকশাতে যেখানে দশ টাকা ভাড়া টমটমে পাঁচ টাকা দিযে হয়ে যায়।
সাদিয়া নিষেধ করেছিলো টমটমে না চড়তে। ঘরে বাজার নেই দেরী হয়ে যাবে। কারন সংসদীয় কোরাম সংকট এর মতো, যতক্ষণ আটজনের কোরাম সংকট পূর্ণ হবেনা ততক্ষণ ছাড়া হবেনা। মানুষের ভারে এমন করে চলে ভয়ও লাগে, মনে হয় এখনই উল্টে যাবে। তবুও ভাবলাম আমি উঠে বসলে বাকী আছে দুইজন, ছেড়েইতো দেবে, পাঁচটা টাকা বাঁচলো।
নামতে গিয়েই কেরররর। সিট এর কোনায় পেরেক এর সাথে লেগে শার্টটা গেছে ছিড়ে। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সাদিয়ার কথা শুনলে পাঁচ টাকার জন্য আমার বারশো টাকার শার্টটা রক্ষা হতো।
মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে অনেকদিন ইলিশ খাওয়া হয়না, সাদিয়া সেদিন একটু ইংগীত দিয়েছিলো, আমি না বুঝার ভান করে রুই নিয়ে এসেছিলাম।
দাদা এদিকে রাখুন হাতেরটা হলেই আপনারটা করে দেবো। বালাদাঁশ হাঁক দিলো। তার কাজ মাছ কুটা। হিন্দি সিরিয়াল আর মাছ কুটার মধ্যে আমি একটা গোপন সম্পর্ক দেখতে পাই। ঘরনীরা সিরিয়াল দেখার ছেদ পড়বে তাই বালাদাঁশরা বাজারে মাছ ছিলার দোকান দিযে বসে আছে। সবাই দেখছি কুটেই নিযে যায়। আমি ভাবলাম একটা মাত্র মাছ কি আর কুটাবো।
সেকি! মাছ কুটে আনোনি? ডালাতে মাছটা রেখে সাদিয়া মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। শার্টটা আমি গুঁজিয়ে রেখেছিলাম, দুইটা ইস্যু হাতে তুলে দেয়া উচিত হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৫২২ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুভাকামনা রইলো আপনাদের জন্য! সালাম জানবেন!
আর বাসওয়ালারা যখন পুলিশের ফাঁপড় খায় তখন বাসে রং করে । ফলে পরের দিন সকালে যখন বাসের হ্যান্ডেল বা রড ধরা হয় বা সিটে বসা হয় তখন দেখা যায় যে হাতে কাঁচা রং লেগে গেছে । ব্যাপারটা বেশ এমব্যারাসিং। এছাড়াও যে সিটে বসা হয় পিঠের সাথের কাপড়গুলো থাকে তেল চিটচিটে ময়লায় ঠাসা । সাদা শার্ট হলে তো টেনশনে থাকতে হয় যদি কোন ভাইভাতে যাওয়ার দিন হয় বা অফিসিয়াল মিটিংয়ে।
গিন্নীর রাগ ভ্যানিশ ।
আমার বাড়ীর আশপাশে হলে না হয় মানুষ একজন জোগাড় করতাম আর নিজে দেশে থাকলে হয়তো আপনাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতাম
জাজাকাল্রাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন