রঙ্গের মানুষ - (পর্ব-১৩)

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৩:১১:৩০ দুপুর

পর্ব-১২

প্রদীপ বাবুর আশাবাদী কথায় মফিজ সাহেব খুব উৎফুল্ল। পরদিন লেজার ডিপার্টমেন্টে যোগ দেয়ার মাধ্যমে এ শাখা মফিজ সাহেবের কর্ম যাত্রা শুরু হল। আগ্রহ উদ্দীপনা নিয়েই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একদিকে এনার্জেটিক ও চঞ্চল। অন্যদিকে সম্ভাবনাময়ী জায়গায় যোগদান। সব মিলিয়ে প্রথম ১৫-২০ দিন মফিজ সাহেব কর্মের মাধ্যমে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রদীপ বাবু ও অনেকটা হাফ ছেড়ে বাচঁলেন। যাক বাবা, আমার জায়গায় একজন লোককে সেট করতে পারলাম।

কিন্তু যে উদ্দেশ্য মফিজ সাহেব এ ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়েছেন, সেটির কোন আলামত এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সপ্তাহ, মাস সবই পেরিয়ে গেল। প্রদীপ বাবুর কথানুযায়ী কিছুই মিলছেনা। মফিজ সাহেব কিছুটা হতাশার কথা প্রকাশ করতেই প্রদীপ বাবু আবারও আশ্বস্ত করে বলেন

- হায়রে মফিজ সাহেব! আপনি একজন পুরোনো ষ্টাফ। আপনারতো এসব বুঝা দরকার। কয়দিন হল এ শাখায় এসেছেন মাত্র। পরিচিতির পর্বটাও এখনও শেষ হয়নি। আপনি কি জিনিষ -কর্মদক্ষতা দেখে লোকেরা বুজতে শুরু করেছে মাত্র। সবার সাথে আন্তরিকতার ভীত এক দিনে তৈরী হয়না। সে সময় পর্যন্ততো অন্তত অপেক্ষা করতে হভে।

এটাতো আপনি ভাল করে জানেন যে, অজানা কাউকে কেউ খুশী হয়ে দশ টাকা দিতেও তো ভয় পায় । না জানি লোকটা মাইন্ড করে বসে। এশাখায় যোগ দেয়ার প্রথম দিকে আমারও এমন হয়েছে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দেখুন, আমাকে লোকেরা কত পছন্দ করে।

আমিতো জেনেছি যে, চকবাজার শাখায় আপনি একজন জনপ্রিয় লোক। এ্টি কি একদিনে করতে পেরেছেন?

- মফিজ সাহেব মাথা নেড়ে না জবাব দেন।

প্রদীপ বাবু আরও বলতে লাগলেন, আমিতো আর একদিনে এ অবস্থান তৈরী করিনি। গতকালও এক কাষ্টমার আমাকে জিজ্ঞেস করছিল,

- প্রদীপ বাবু। আপনি সরে গেলেন কেন লেজার থেকে? আপনি থাকলে আমাদের জন্য খুব ভাল হত।

আমি কি বলেছি জানেন? - না না। আমার জায়গায় কাজ করা মফিজ সাহেব খুব ভাল এবং মাই ডিয়ার লোক। আমার বিশ্বাস, একটা সময় আসবে, ওর সাথে আপনাদের সম্পর্ক আমার চেয়েও গভীর হবে।

- ঠিক বলছিনা মফিজ সাহেব? প্রদীপ বাবু যুক্তির স্বপক্ষে জানতে চায়।

- মাথা নেড়ে মফিজ সাহেব আবার ও হ্যা উত্তর দিয়ে নীরবে চলে যায়। আবারও শুরু হয় অপেক্ষার পালা।

সেদিন ছিল লাঞ্চের সময়। কয়েকজন মিলে অফিসে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। প্রসঙ্গক্রমে মফিজ সাহেব প্রদীপ বাবুকে লক্ষ্য করে হাসতে হাসতে বলেই ফেললেন,

- প্রদীপ বাবু। জীবনের অনেক লোক দেখেছি। কিন্তু আপনার মত এত চালাক লোক দেখিনি। মানুষকে পটানোতে দারুণ ওস্তাদ।

- কেমন? প্রদীপ বাবু না জানার ভান করে জানতে চাইল।

এইযে আপনি পাম্প দিয়ে আমাকে লেজারে ঢুকিয়ে দিলেন, এখনতো দেখছি হাড্ডিও মিলেনা। সব কিপ্টার হাড্ডি। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে পানিও পড়েনা।

মফিজ সাহেবের কথা শূণে উপস্থিত সবাই অট্রাহাসিতে ফেটে পড়ল। মফিজ সাহেব ও হাসছে। দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্য প্রদীপ বাবু আবারও বলতে লাগল

- মফিজ সাহেব। এখনতো ব্যবসা মন্দা। বড় কাষ্টমার যারা, নিজে না এসে কর্মচারীদের পাঠিয়ে দেয়। আপনি আর একটু ধৈর্য্য ধরুন।তখন ঠিকই আমার কথা বলবেন।

- থাক। আমাকে আর পাম্প দিতে হবেনা। অনেক হয়েছে।

মফিজ সাহবের সাথে কাজ করে মোস্তাক সাহেব। ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারে বড়ই ডানপিঠে। লজ্জা শরম নাই বললেই চলে। উপরির জন্য পাগল। ওর কথা হল, যে বেতন পাই, ঘুষ না খেলে চাকরি করে লাভ নেই। মোস্তাক সাহেবের ঘুষ খাওয়ার ধরনটা একটু ভিন্ন টাইপের। কাষ্টমারের একউন্টে হয়তবা পাচঁ হাজার দুইশত টাকা আছে। মোস্তাক সাহেব কাস্টমারের অবয়ব দেখে বুঝে নিত, এটাকে শিকার করা যাবে কিনা। হিসেবে মিলে গেলে ইশারা দিয়ে পেছনে ডেকে নিয়ে যেত। আস্তে করে বলত,

- দেখুন। আপনি চেক দিয়েছেন পাচ হাজার টাকার। হিসেবে আছেই মাত্র পাচহাজার দুশত। পুরোটা উঠিয়ে নেয়ার বৈধতা বাংকে নেই। হিসাব চালু রাখার জন্য নুন্যতম পাচশত টাকা হিসেবে আপনাকে রাখতেই হবে। আমি পোস্টিং দিতে গেলেই স্যার আমার উপর রাগ করবে। দস্তখত দেবেনা। উড়িয়ে ফেলে দেবে।

বেচারা কাষ্টমার! একদিকে চেক লিখা হয়ে গেছে। ফেরত নিয়ে আবার লিখে ফেরত আসার সময় হাতে নেই। অন্যদিকে প্রয়োজনীয়তা বলতে কথা। ব্যাংকের পদ্ধতি। কিছু করার ও নেই। তাই মলিন মুখে জানতে চায়

- তাহলে কি করতে হবে স্যার?

- জানিনা কি করব - মোস্তাক সাহেব গাম্ভীর্যতার সাথে জবাব দেন। কিছুক্ষণ চিন্তা করার ভান করে জবাব দেন, এক কাজ করুণ। ৩০-৪০ টাকা দিন। চা পানি এন স্যার আর ক্যাশিয়ারকে খাওয়াব। বলব, স্যার এটা আমার পরিচিত। এ সপ্তাহে আবারও টাক জমা করে দিবে। এখন খুব দরকার। বেচারাকে সাহায্য করুন।

- বেচারা! উপায় নেই। অবশেষে বলতে বাধ্য, ঠিক আছে স্যার। আপনি যা ভাল মনে করেন।

মোস্তাক সাহেব পিয়ন আহমেদকে ডেকে চায়ের অর্ডার দিল। চা আসল। নিজে খেল। স্যারকে ও দিল। উপরি বিশ টাকা নিজ পকেটে জমা করল।

প্রদীপ বাবু বলছে, দাখেন মফিজ সাহেব। আপনার সাথে কাজ করা মোস্তাক সাহেবকে কিন্তু কেউ পছন্দ করেনা। কারন ও সরাসরি ঘোষ খায়। কাজেই এজন্য কাস্টমারগন আমাকে বেশী পছন্দ করতে। মোস্তাক সাহেবের সাথে প্রতিযোগীতা করে আপনার অবস্থান নিজেকেই তৈরী করতে হবে। আমিতো আছি। যে কোন সহযোগীতা লাগে, এ বান্দা আগে হাজির।

মফিজ সাহেব এসবের ধার ধারেনা। তবে হিসেবের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। একদিন কোন এক কাজে জুবিলী রোড শাখায় কাজে যাচ্ছিলেন। ব্যাংক হতে ৫ মিনিটের রাস্তা। সেকেন্ড অফিসার খায়ের সাহেব ডেকে বললেন

- মফিজ সাহেব। আমার এ কাগজটুকু নিয়ে যান। জুবিলী রোড শাখার ম্যানেজারকে আমার কথা বলে দিয়ে আসবেন শুধূ।

- ঠিক আছে স্যার বলে মফিজ সাহেব কাগজ হাতে বিদায় নিলেন।

বিশ মিনিট পর মফিজ সাহেব নিজ কাজও সেরে ফিরে এসেছেন। ব্যাংকে ঢুকেই খায়ের সাহেবকে বললেন, স্যার আপনার কাগজটা দিয়ে এসেছি।

- ধন্যবাদ। খায়ের সাহেব জবাব দিলেন।

স্যার এ পিটি ক্যাশ ভাউচারটায় আপনার একটা দস্তখত দরকার।

খায়ের সাহেব পিটি ক্যাশ ভাউচার দেখে বিস্মিত।

- এটি কি মফিজ সাহেব?

- স্যার পিটি ক্যাশ ভাউচার।

- দশ টাকার ক্যাশ ভাউচার কি জন্য?

- স্যার আমি যে আপনার দেয়া কাগজ জুবিলি রোড শাখায় দিয়ে এসেছি, এটির পারিশ্রমিক।

- তার মানে? এ সামান্য কাজের জন্য আপনাকে দশ টাকা দিতে হবে?

- আচ্ছা স্যার। আমি আপনাকে একটা কথা বলি। আমি আপনার জুনিয়র। স্যার হিসেবে আমাকে একটা অর্ডার দিয়েছেন। আমিও শ্রদ্ধার সাথে কাজটি করে এসেছি। আমি ছোট ভাই হিসেবেও তো চা পানির জন্য আপনার কাছে দশ টাকা চাইলে অবশ্যই মানা করতেন না। তাহলে একটি কাজের বিনিময়ে আমি দশটা টাকা চেয়েছি। এ্টি কি আমার অপরাধ স্যর? তাছাড়া টাকাটাতো আর আপনার পকেট থেকে দিচ্ছেন না।

- মফিজ সাহেবের কথা শুনে খায়ের সাহেব হেসে দিলেন। বললেন, নিয়ে যান। দস্তখত করে দিলাম। তবে আজ থেকে আপনাকে আর কোন কাজ দেবোনা।

শাখায় ব্যাংকের অনেক গুলো ক্যালেন্ডার এসেছে। কিন্তু বন্টনের পর আর একটিও বাকী নেই। সব ষ্টাফরা মাত্র একটি করে পেয়েছে। ক্যাশিয়ার আলী সাহেব বড় দুস্ট প্রকৃতির। জোকার টাইপের। সামান্যতেই অন্যকে হাসাতে ওস্তাদ। তার একটি ক্যালেন্ডার বড় প্রয়োজন। তাই তিনি সোজা ম্যানেজারের রুমে চলে গেলেন। বললেন,

- স্যার। আমরাতো ব্যাংকে চাকুরী করে এক মহা বিপদে আছি। বন্ধু বান্ধবেরা মনে করে যে, প্রত্যোকে ৮-১০টা করে ক্যালেন্ডার পেয়েছি। অথচ পেয়েছি মাত্র একটি। বলুনতো এদেরকে ক্যামনে বুঝাই।

স্যার। আপনার পেছনে দেয়ালো ঝূলানো ক্যালেন্ডারটা কি দয়া করে ১০ মিনিটের জন্য দেবেন?

- কেন? দশ মিনিটের জন্য নিয়ে আপনি কি করবেন?

- ভাবছি জুবিলি রোডে ফটোকপির দোকানে গিয়ে ৮-১০টা কপি করব । বন্ধু বান্ধবকে দিয়ে বলব, দ্যাখ। চাকুরী করলেও ব্যাংকে কিন্তু একটির বেশী আমার ভাগ্যে জুটেনি। আসল ক্যালেন্ডার দিতে না পারলেও অন্তত ফটোকফি নিয়ে এসেছি।

- কি বলেন স্যার? সমাজে বন্ধু বান্ধব নিয়ে চলতে গেলে সামাজিকতা রক্ষায় এ ছাড়াতো আর বিকল্প কোন পথ নেই।

- স্যার হেসে দিয়ে বললেন, আলী সাহেব। আপনাদের সাথে আর পারলামনা। এই নিন। সাথে আরও দুটো আমার পক্ষ থেকে আপনাকে দিয়ে দিলাম।

(চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৭ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

196615
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ফাস্টু ফাস্টু ফাস্টু Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
ধন্যবাদ আর অভিনন্দন আমাকে। Good Luck Happy
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
146697
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : নতুন হাগল ধরা খাইছে। ঐ তোরা কে কোথায় আছিস!!! হেতেরে ধইরা পাবনা অথবা মখা খানায় নিয়ে যা। না পইড়াই মন্তব্য মারেন!!!!!!
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১৭
146838
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভেবেছিলাম প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে একটা ডিজিটাল গোলাপ উপহার দেবো। কিন্তু দেয়ার মত অপশন খূজে পাইনি।

ধন্যবাদ।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৩
146872
বিন হারুন লিখেছেন : ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৩:১১:৩০ দুপুর
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
অর্থাত প্রথম মন্তব্যটি করা হয়েছে ১৪ মিনিট পর. আওণ রাহ'বার পড়ে করুক বা না পড়ে করুক তিনি কিন্তু ফাস্টু. তাঁকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ Good Luck
196626
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : আপনার লেখায় অফিস আদালতের ফাইল তদবির করে কিভাবে ঘুষ নেবার কৌশল উঠে এসেছে। আসলে এটা একটা মহামারি এ দেশে। আর যারা ক্ষমতায়। তাদের দাপটে তো সয়লাব। তবে লেখা সুন্দর চালিয়ে যান। আগামী একুশের মেলাতে পাবো। ধন্যবাদ।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২১
146840
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। তবে একুশের মেলায় পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কারণ..এখনতো আর সেই দিন নেই যে, পয়সা ছাড়া পরীক্ষায় স্টার মার্ক পাওয়া যায়। বাজারে উঠার জন্য বড় ধরনের ইনভেস্টমান্ট প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

জীবনের চাওয়া যেটুকু ছিল তুমি বঞ্চিত করনি
প্রতি পদক্ষেপে সাথে ছিল পূণর্তার ছোঁয়া
অতি উচ্চস্তরে আসন দিয়েছ
না চাইতে দিয়েছ পৃথিবীর আলো দেহ প্রাণ
তোমার মহাদানের অকৃপণ ঋণী....

অতৃপ্ততা নিয়েই আমরা বেচে আছি।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২১
146841
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। তবে একুশের মেলায় পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কারণ..এখনতো আর সেই দিন নেই যে, পয়সা ছাড়া পরীক্ষায় স্টার মার্ক পাওয়া যায়। বাজারে উঠার জন্য বড় ধরনের ইনভেস্টমান্ট প্রয়োজন।

ধন্যবাদ।

জীবনের চাওয়া যেটুকু ছিল তুমি বঞ্চিত করনি
প্রতি পদক্ষেপে সাথে ছিল পূণর্তার ছোঁয়া
অতি উচ্চস্তরে আসন দিয়েছ
না চাইতে দিয়েছ পৃথিবীর আলো দেহ প্রাণ
তোমার মহাদানের অকৃপণ ঋণী....

অতৃপ্ততা নিয়েই আমরা বেচে আছি।
196631
২৩ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : মফিজ সাহেবও দেখি কম খাচ্চর টাইপের না! এক্কেবারে নাচোড় বান্দা মনে হচ্ছে! এ মফিজ সাহেব কি কখনো চেষ্টা করবে না প্রদীপের আলো কমাতে?
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৩
146843
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এসব মানুষেরা হাজারো রং নিয়ে তেলাপোকার মত বিভিন্ন অফিসের ড্রয়ার, কাগজপড়্র খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে বলেই রঙ্গের মানুষদের অভিনীতি কথাগুলো হুবহু লিখছি। ধন্যবাদ।
196660
২৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৫
নিভৃত চারিণী লিখেছেন : পড়েছি, খুব ভালো লেগেছে।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৫
146845
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনি বাবা প্রতিযোগীতায় নাম লিখে ফেললেন? ধন্যবাদ। আমার বাবাকে বেশীদিন দেখিনি। সুতরাং আমি কাকে নিয়ে লিখবো?
196663
২৩ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : মফিজ নামের মানুষ বেশি চাকরি করে কেন ?
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৬
146846
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মফিজরা এ সমাজের ভাইরাস। তাই এসব ভাইরাস অফিসে আছে বলেইতো......। ধন্যবাদ।
196673
২৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : স্যার হেসে দিয়ে....... আমিও হেসে দিলাম।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৬
146847
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ কোর্ডিং মন্তব্যর জন্য।
196683
২৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : রংএর মানুষ! নামটা যথার্থ হয়ছে বটে৷
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৭
146848
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাদের পদচারণায় রঙ্গের মানুষ আরও উদ্দীপ্ত হচ্ছে। ধন্যবাদ।
196714
২৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : ভালো লাগছে, অনেক ধন্যবাদ। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্যে।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৭
146850
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পরবর্তী পর্ব ড্রাফট করে রেখেছি সকালে। কাল সকালে ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ।
196717
২৩ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। চলুক সাথে আছি।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৮
146851
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ সাথে থেকে নিয়মিত মন্তব্য করার জন্য।
১০
196718
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:০১
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : ভাল লেগেছে। প্রদীপ বাবুকে দিয়ে আর কিছু করাবেন না।কারন আজকের বাংলাদেশ প্রদীপ বাবুদের দখলে।
আপনার গল্পটা যে দিকে এগুচ্ছে তার সাথে আমাদের সমাজের চিহৃগুলো বলা প্রয়োজন।
ধারাবাহিক প্রতিটি লিখাতে কিছু না কিছু পাই। আশেপাশের এই চিত্র দেখে বড় হয়েছি। আপনার লেখাতে তা পড়ছি।
কিন্তু একটি বিষয় - আপনার শাখায় এমন কেউ নাই - যাকে আপনি অনুসরণ করেন।আপনার পাঠক অনুসরণ করে। প্লিজ অন্য দশজনের মত করে আপনি লিখাকে পাঠক প্রিয়তার দিকে নযর দিবেন তা হয় না। বরং সামাজিক দায়িত্ববোধটা কাজে লাগাবেন। আশা করছি এবং প্রত্যাশা ও করছি।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৯
146852
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনার কথাটা যথার্থ। কিন্তু আমি হুবহু তাই লিখছি যা ছিল। এমন একজন ব্যাক্তি আছে। তবে তিনি আরও পরে এসেছেন। সামনে আসবে। ধন্যবাদ।
১১
196748
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১২
সালাহ খান লিখেছেন : ঘুষ নিয়ে বলার কিছু নেই । একটা জাতির কোমর ভেঙ্গে দিবার জন্য ওই একটা অস্ত্রই যথেষ্ট । গভীর পর্যবেক্ষন মূলক একখান লিখা দিবার জন্য ধন্যবাদ
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩০
146856
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মানুষরুপী আরশোলা আর তেলাপোকায় ভরে গেছে পুরো দেশ। কিচেনে তেলাপোকার চেয়ে এরা বেশী ভয়ংকর বলে আসল তেলাপোকা মারাটা বড় জরুরী।

ধন্যবাদ এ ব্লগ বাড়ীতে এ প্রথম আসার জন্য।

১২
196784
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যত পড়তিসি তত কানতিসি Sad Sad D'oh
কোন দুঃখে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলাম। তার চেয়ে ঘুষ দিয়ে হলেও যদি সরকারি ব্যাংক এ একটা চাকরি নিতাম।
বর্তমানে এক বিখ্যাত শিল্প গোষ্ঠির চেয়ারম্যান একসময় খাতুনগঞ্জের এক ব্যাংক শাখায় চাকরি করতেন। সেই ইনকাম থেকে তিনি এখন বিরাট শিল্পপতি।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩২
146857
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত মানুষের সব জায়গায় অসহায়। তেলাপোকা আর আরশোলার ভয়ে ওরা অস্তির। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য।

১৩
196791
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২০
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৩
146859
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ। খূশী হলাম।
১৪
196793
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : মফিজ সাহেবদের এমন তৈলাক্ত স্বভাবের কারণে বাবাকেও অনেক বিরক্ত হতে দেখতাম। দেশে ইউনিয়ন লিডারদের ক্ষমতার দাপট সব জায়গায়।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। Good Luck Good Luck
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৩
146858
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত মানুষগুলো সব সময় বৃত্থের বাইরে থাকে। কারণ সংখ্যার দিক থেকে ওরা কম ও সংঘবদ্ধহীন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫
196825
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:২৬
বিন হারুন লিখেছেন : যাক অবশেষে মফিজ সাহেব বাবুর চাতুরি বুঝতে পারলেন. গল্পটি পড়তে বেশ আনন্দ পাচ্ছি. Happy
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
147156
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। মফিজ সাহেব চালাক। তবে বাবুর মত নয়। বাবু চালাকের দিক থেকে পি এইচ ডি হোল্ডার। ধন্যবাদ।
১৬
197043
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : গতকাল উত্তরা আমার বাসার পাশে নর্থ টাঊয়ারের গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ারে গিয়েছিলাম...। এই সেন্টারের মালিকের একই টাউয়ারে আরও তিনটি দোখান আছে ভদ্রলোকটি পুবালী ব্যাংকের স্টাফ ছিলেন। কেমনে কি আল্লাহয় ভাল জানেন।।
গোলাম আযম সাহেব বলতেন যোগ্যতা ছাড়া সততা অথর্ব
আর সততা হীন যোগ্যতা ভয়ংকর.।
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
147159
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কথাটি নিরেট সত্য। তবে মুজাহিদ ভাই ও বলেছিলেন, আমরা সৎ ও যোগ্য লোকের নেতৃত্ব কেন বলি। সৎ কিন্তু যোগ্য লোককে মাছ কিনতে দিলে সে যোগ্য না হওয়ার কারনে পচা মাছ নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশী। এখানে পুরোটাই জলে যাবে। যোগ্য কিন্তু অসৎ লোক বেশী দিে কিনলে ও ভাল মাছ মাওয়া যাবে। তাই বিষয়টিকে ব্যালেন্স করার জন্য সৎ ও যোগ্য দুটোর বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ।
১৭
197074
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : গুরু, ফাটাফাটি হইছে কইলাম। তয় আমার মনে লয় কি জানেন, ব্যাংকে চাকুরীর সুবাদে আপনি অল্প সময়ের ব্যবধানে ঘুষ দেয়া নেয়ার এমন অনেক কিছুই জেনেছেন, যার স্বার্থক প্রয়োগ করলে আপনাকে দেশ ছাড়া হবার প্রয়োজন ছিলনা, এদেশে ব্যাংক এর চাকুরী দ্বারাই আজ দশ বিশ তালা ভবনের মালিক হয়ে যেতেন...... Thinking
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
147161
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ওস্তাদ। আপনি সত্য কথাটা বলেছেন। প্রদীপ বাবু সহ ব্যাংকের জ্ঞাণীদের তত্বাবধানে যে ট্রেনিং নিয়েছিলাম, কাজে লাগালে এখনও অনেক কিছু কামান যায়।

ধন্যবাদ আপনাকে...........
১৮
197143
২৪ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কিন্তু কার রিজিক আল্লাহ কোথায় এবং কিভাবে রেখেছেন এর মাঝে হিকমতই বা কি, তা তিনিই ভালো জানেন। দেশে থাকলে যে আজ আমাদের এমন সুন্দর সুন্দর লিখা দিয়ে মাতিয়ে রাখতে পারতেন, তার নিশ্চয়তাওতো নেই। হয়তঃবা, লেডি হিটলারের শ্যেনদৃষ্টিতে পড়ে লাল দালানের বাসিন্দা হয়ে রিমান্ড টিমান্ডের প্রকোপে পড়ে দেলোয়ার ভাইদের ভাগ্য বরণ করতে ও তো হতে পারতো!! অবশ্য আল্লাহ তো উনাদের কোরবানী ক্ববুল করেছেন, আল্লাহ তুমি উনাদের সবাইকে তোমার রহমতের ছায়া দান করো, আমিন।
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৪
147378
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : সত্যি কথা বলতে কি, দেশের সৃস্টিশীল অনেক মানুষদের চেতনা আত্মহত্যা করেছে। কোলাহলপুর্ন এ অসভ্যদের পদচারণায় বিবেক ভোতা হয়ে যায। আমার আপনার হয়ত তাই হত। ধন্যবাদ আপনার আশাহত কথার জন্য।
১৯
197173
২৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
আবু ফারিহা লিখেছেন : সমাজের বাস্তবতা তুলে নিয়ে অাসলেন। ধন্যবাদ।
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৪
147379
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
২০
197489
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ! এইসব চরিত্রের সংসর্গ ত্যাগ করে চলে এসে ভাল করেছেন। এমন পরিবেশে ভাল থাকা মানে নিত্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া Thinking
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৬
147380
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : এসব দেখতে দেখতে এক সময় বিয়ে করতাম। সন্তান হতো। তাদের চাহিদা পুরণে সর্বোচ্চ ত্যাগের পরীক্ষায় হয়তবা আমিও তাদের কাতারে সামিল হতাম। তাই কেটে পড়েছি।

ধন্যবাদ্।
২১
197644
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
নূর আল আমিন লিখেছেন : অসাধারন লিখছেন
ভাই
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
147645
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ। অনেকদিন পর ব্লগে পেলাম আপনাকে। কোথাও গিয়েছিলেন নাকি?
২২
208334
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
সাদামেঘ লিখেছেন : পিলাচ পিলাচ পিলাচ
লেখনির জন্য অনেক ধন্যবাদ
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৪৯
157100
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ দীর্ঘ পথ পাড়িে দেবার জন্য।
২৩
209738
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৫
আমি আমার লিখেছেন : Rose Rose Rose
২৭ মে ২০১৪ রাত ০১:৫৮
173687
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৪
214419
২৮ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
আহ জীবন লিখেছেন : ওরে বাপ্প, এইত দেখি জিনিয়াসের খনি। চিজ এক খান থেকে এক খান কম না।

আগ্রহ চাগায়া দিলেন।
২৭ মে ২০১৪ রাত ০১:৫৮
173688
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মানিকে মানিক চিনে। ধন্যবাদ ভূয়সী প্রশংসার জন্য।
২৫
226775
২৭ মে ২০১৪ রাত ১২:২২
আইন যতো আইন লিখেছেন : বচে বেশি দুর্নীতি করে অফিসয়ালারা--তারপর কি রাজনীতিওয়ালারা????
২৭ মে ২০১৪ রাত ০১:৫৯
173689
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : রাজনীতিবিদরা কিন্তু দুনীতির গড ফাদার। ওরা কঠোরতা অবলম্বন করলে দেশ এমন হয়না।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৪
190896
আইন যতো আইন লিখেছেন : সহমত ভাই--আপনারা ভালোরা দেশ ছেড়ে পালালে চোরইতো শাসন-শোষণ করবে দেশ--নাকি??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File