আমাদের মুসলমানিত্ব এবং কামড়াকামড়ির রকমফের-৫
লিখেছেন লিখেছেন শাহ আলম বাদশা ২৪ মে, ২০১৪, ১২:৩৭:৪৩ দুপুর
ইসলাম কোনো বস্তু নয় নিছক ''আন্দোলন'' মাত্র
পূর্বেও বলিয়াছি যে, আমি ইসলাম সম্পর্কে কুরআন-হাদীস এবং ইতিহাস চষিয়া যাহা পাইয়াছি, তাহাই বলিতেছি।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনকে বর্তমান প্রচলিত বাধাই করা ও প্রিন্ট আকারে একবারেই সম্পূর্ণ ৩০ পারা হিসেবেই নাজিল করিতে পারিতেন কিনা এবং তিনি তাহা করিতে সক্ষম ছিলেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সবাই বলিবেন- তিনি পারিতেন এবং অবশ্যই তিনি সক্ষম। তাহা হইলে আল্লাহ তাহা না পাঠাইয়া ২৩ বছরে ঘটনাচক্রে ধারাবাহিকভাবে যখন যেইটুকু অংশ প্রয়োজন, নবীর উপর তাহাই নাজিল করিলেন কেনো?[/b
কেনো তিনি সরাসরি বই, সিডি-ডিভিডি বা পেনড্রাইভ আকারে তাহা সম্পূর্ণ না পাঠাইয়া নবীর মহাকষ্টকর জীবন-ইসলামী আন্দোলনের প্রয়োজনে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে পবিত্র কুরআনের আগের অংশ পরে এবং পরের অংশ আগেই প্রয়োজনমাফিক পাঠাইলেন![/b কিছু কিছু আলেমের দাবী বা তাহাদের আজগুবী আব্দার হিসাবে আল্লাহ কেনো একবারে তাহা না পাঠাইয়া আমাদের সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েমের সুযোগ দিলেন না? এই পদ্ধতিতে কুরআন নাজিল করা কি আল্লাহর ভুল ছিলো (নাউজুবিল্লাহ) নাকি এই ধরণের দাবী আমাদের আলেমদের বাড়াবাড়ি মাত্র, কোনটা সঠিক বলুন?
পবিত্র কুরআন যদি আগে হইতেই আল্লাহ লাউয়ে মাহফুজেসংরক্ষণ করিয়া রাখিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি তাহার প্রিয়নবীর ঊপর সম্পূর্ণ কুরআন সরাসরি পাঠাইলেনই না কেনো? এর গুরুরহস্যই বা কী, কখনো ভাবিয়াছেন কি? অথচ কুরআন সংকলনের ইতিহাস যাহারা জানেন, তাহারা জানেন যে, ইহা সংকলিত করিতে এবং কোন অংশ কোথায়-আগে, না পরে সংযুক্ত হইবে যেইরূপে লাউয়ে মাহফুজে সাজানো ছিলো, সেইরূপে সাজাইতে নবী সাঃ এবং তাহার সাহাবীদের আল্লাহ কতোই না কষ্ট দিয়াছেন? সহজপন্থা ছাড়িয়া আল্লাহর কী দরকার ছিলো ২৩ বছর ধরিয়া তাহা নাজিল করিবার! তাহা হইলে কি আল্লাহ সম্পূর্ণ কুরআন একবারে পাঠাইতে সক্ষমই ছিলে্ন না (নাউজুবিল্লাহ)?
ভাবুন তো, রেডিমেড পূর্ণ কুরআন সরাসরি একবারে নাজিল করিলে নবীর পক্ষে ইসলামী খেলাফত কায়েম করা সম্ভব হইতো কি? নাহ, আদৌ তাহা সম্ভবপর ছিলো না। একটা মানুষের পক্ষে ৩০ পারা কুরআনের অসম্ভব বোঝা বা চাপ সহ্য করিবার মতো ক্ষমতা আছে কি? জাহিলিয়াতের যুগের বিকৃত মানসিকতা, নষ্ট চরিত্র, এবং শিরক-কুফরীতে নিমজ্জিত লোকগুলির ঈমানগ্রহণ এবং সৎপথে আসিবার পাশাপাশি ইসলামের নতুন বিধানের সাথে খাপ খাওয়াইতে কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের আদলে আস্তে আস্তে খণ্ড খণ্ড আকারেই ধারাবাহিকভাবে আল্লাহর অহীর দরকার ছিলো না?
নাকি বিভ্রান্ত মানুষগুলোর ওপর আলিম-ফাজিল-কামিল ক্লাশের কঠিন সিলেবাসের মতো বিশাল এক বোঝা চাপাইয়া দিয়া তাহাদের মনে ইসলাম সম্পর্কে মারাত্মক এক ভীতিসঞ্চার করিয়া তাহাদের দূরে খেদাইয়া দিবারই দরকার ছিলো আল্লাহ-রসুলের!
সুতরাং যাহারা আল্লাহ-রসুলকে বোকা ভাবেন শুধু তাহারাই একজন মানুষ বা মুসলিমের ''সাড়ে তিনহাত শরীরে'' ইসলাম কায়েমের মতো হাস্যকর ও অবাস্তব চাপ প্রয়োগ করিতে পারেন, যাহা আদৌ ইসলামসম্মত নহে। মনে রাখিতে হইবে-ইসলাম বা শরিয়ত এমন কোন স্পর্শযোগ্য বস্তু নহে যে, তাহা বগলদাবা করিয়া লইলেই এবং ইচ্ছা করিলেই [b]সাড়ে তিনহাত শরীরে ও সমাজে ইসলাম কায়েম করিয়া ফেলা যায়? [/b]
ইসলাম কোনো ধর্মই নহে
কুরআন-হাদীসের কোথাও ইসলামকে ধর্ম বলা না হইলেও আমাদের আলেম এবং নবীর উত্তরসুরী বা নায়েবে নবীর দাবীদারগণ অপব্যাখ্যা করিয়া ইসলামকে অন্য ধর্মের মতোই একটা আবরণ পড়াইয়া দিয়াছেন-তাহা স্বেচ্ছায় নাকি ভুল করিয়া আমার কিছুতেই বুঝে আসেনা!
''দীনকে'' ধর্ম বানাইবার মতোন জঘন্য বিদায়াত আর কিছু আছে কিনা আমার সন্দেহ, তবে ইহার দায় কাহার হইবে? মাদ্রাসার স্রষ্টা ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর দালাল খ্রিস্টান সেই লর্ড ম্যাকলে নাকি আমাদের তথাকথিত আলেমগণ? ফলে আমরা শত শত বছর ধরিয়া যে, আল্লাহর পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা দীন ইসলামকে হিন্দু-খ্রিস্টানদের ধর্মের মতোই নিছক আচারসর্বস্ব ধর্ম মানিয়া আসিতেছি, ইসলামকে নবীর আন্দোলনের মতোন দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন মনে করিতে পারিতেছি না, সেই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া ফরজসত্ত্বেও তাহা আদায় করিতে না পারিয়া লক্ষ লক্ষ মুমিন যে, কবরে চলিয়া গিয়াছেন--ইহার পাপের দায়ভার কে লইবেন!
কলেমার অপব্যাখ্যার জন্য আলেমরাই দায়ী!
লর্ড ম্যাকলের শিক্ষায় শিক্ষিত আলেমগণ আমাদের যুগ যুগ ধরিয়া শিখাইতেছেন কলেমা তাইয়েবাসহ কুরআন-হাদীসের এমন সব অপব্যাখ্যা যাহা বুঝিতে আলেম হইতে বা আরবী ব্যাকরণ জানিতে হইবে না।
যেমনঃ কলেমা তাইয়েবা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। ইহার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনোই ইলাহ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসুল। কিন্তু হুজুররা ইহার অর্থ করিয়াছেন-''আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই এবং-----'' এই কলেমার কোথাও কিন্তু মা'বুদ শব্দটি নাই, যাহা আল্লাহর আলাদা একটি গুণবাচক নাম। ইহার অর্থ হইলো-আব্দ বা আবেদ/আবিদ বা গোলাম বা দাসের দাসত্ব গ্রহণকারী। শুধু তিনিই ইবাদাত পাইবার যোগ্য। ইহার দ্বারা আল্লাহর অন্য গুণগুলো আদৌ প্রকাশ পায় না। আর ইলাহ দ্বারা বুঝায়-আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের অর্সথহ তাহার যাবতীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি, সার্বভৌমত্বের গুণাবলীসহ সকল ক্ষমতার কথা।
ইলাহ'র যুতসই ও সমার্থক একমাত্র প্রতিশব্দ হচ্ছে আল্লাহ । ইলাহর আর দ্বিতীয় কোনো প্রতিশব্দ আরবী ব্যাকরণে নাই। অথচ তাহাদের ইলমের কাছে ইলাহ হইয়া গেলো মা'বুদ!! একটি আরবী শব্দের স্থলে আরেকটি আরবী শব্দ, কী তামাশা তাই না?
অথচ বাংলাদেশের বই-পুস্তকের সর্বত্রই ইলাহা এর প্রকৃত অর্থ না লিখিয়া তাহারা ইলাহা'র বাংলাঅর্থ না করিয়া মা'বুদ বলিয়াই চালাইয়া দিয়াছেন কেনো এবং কোন আরবী রীতি ও ইলমের ভিত্তিতে তাহা আমি ভাবিয়া পাই নাই।
মুমিন, মুসলিম ও মুহসিন ক্যাডার
লক্ষ্য করিবেন যে, পবিত্র কুরআনের কোথাও আল্লাহ হে মুসলিম বলিয়া মুসলিমদের সম্বোধন না করিয়াহে ঈমানদারগণ বলিয়াই ডাকিয়াছেন। ইহার মুলকারণই হইলো যে, ইসলাম একটা ক্যাডারভিত্তিক আন্দোলন এবং সিলেবাসভিত্তিক ধারাবাহিক ও আমৃত্যু লংকোর্স বিধায় তাহা কাউকেই একবারে ঔষধের মতোন গুলাইয়া খাওয়াইয়া দেওয়া সম্ভবপর নহে। তাহা স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি-মাদ্রাসার কোর্সের মতোই মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত আস্তে আস্তে হৃদয়-মনে হেকমতের সহিত ঢুকাইয়া দিবারই জিনিস, যাহা জোর-জবরদস্তিরও বিষয় নহে আদৌ।
প্রথম ক্যাডারের নাম'' মুমিন''
বিসিএস ক্যাডারে যেমন এট্রিপোস্ট থাকে যদিও তাহা বিভিন্ন নামে যেমন-সহকারী পরিচালক, সহকারী কমিশনার, তথ্য অফিসার ইত্যাদি, তেমনই ইসলামে ঢুকিতে হইলে আল্লাহর নির্ধারিত একমাত্র এন্ট্রিপোস্ট বা ক্যাডারের নাম হইতেছে-মুমিন।
ইসলামের প্রতি আনুগত্যপ্রকাশ বা আল্লাহ-রসুল, ফেরেস্তা, আখিরাত-কিয়ামত ও ভাগ্যের উপর ঈমান আনিলেই কেবল এই ক্যাডারে প্রবেশ করা যায়। ইহার পর বিসিএস ক্যাডারপোস্টের মতোই তাহাকে বেসিক ট্রেইনিংসহ আর্থিক ও প্রমোশনসুবিধার জন্য দক্ষতার্জনে সমগ্র চাকরিজীবনে যেমন বিভিন্ন পরীক্ষার সম্মুখীন হইতে হয়, তেমনই একজন মুমিনকেও আমৃত্যু পরীক্ষার মাধ্যমেই ঈমানের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করিতে হয়।
সেই পরীক্ষার প্রথমধাপই হইলো ইসলাম কায়েমের আন্দোলন, যাহা ফরজ। এইজন্যই আল্লাহ বলিয়াছেন--اَقِيْمُوا الدِّيْنَ وَلاَ تَتَفَرَّقُوْا فِيْهِ তোমরা আমার দীন প্রতিষ্ঠিত ও বাস্তবায়িত করো এবং এই বিষয়ে বিভক্ত হইও না। সূরা ৪২ আশ শূরা : আয়াত ১৩।
নবী বলিয়াছেন--যে দীনপ্রতিষ্ঠার কামনা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করলো, তাহার মরণ হইবে জাহেলিয়াতের মরণ।
এই আয়াতটাও দেখুন, ঈমানের পরবর্তী ধাপ বা ক্যাডারে প্রবেশ করিতে আল্লাহ কী বলিতেছেন- دْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلاَ تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ
অর্থ: ‘তোমরা ইসলামের মধ্যে পূর্ণরূপে প্রবেশ করো। শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না।‘ -সূরা ২ আল বাকারা : আয়াত ২০৮।
এই আয়াতও দেখুন-- وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ
অর্থ: ‘(হে ঈমানদার লোকেরা!) তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো জিহাদের হক আদায় করে। তিনি এইজন্যেই তোমাদের মনোনীত করিয়াছেন।’ -সূরা ২২ আল হজ্জ : আয়াত ৭৮।
ইসলামের প্রবর্তন ও প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টাকে কুরআন মজিদে বলা হইয়াছে: ‘জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ’; এর আভিধানিক অর্থ: ‘আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সাধনা ও প্রচেষ্টা চালানো’। তবে আল্লাহর দীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করিবার এই ‘জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ’কে বিভিন্ন দেশে সমার্থক বিভিন্ন পরিভাষায় প্রকাশ করা হয়।
নবীর যুগের মুমিন এবং ইসলামী আন্দোলন
ইহা হয়তো সবাই জানেন যে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ এবং ৬১০ খ্রিস্টাব্দে নবুয়ত পাইবার পর নবী সাঃ প্রথম আয়াতই পান জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণমূলক, যেমন-ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খলাক্ক-খালাকাল ইনসানা মিন আলাক'' পড়ো তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন একবিন্দু লম্ফমান পানি হইতে। কিন্তু প্রথমেই একজন মনোনীত নবীকেও ''সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েম'' করো জাতীয় আয়াত দিয়া আল্লাহ কিন্তু হাসির পাত্র হইতে চাহেন নাই আমাদের মতো।
আল্লাহ ইহাও একটিবারের জন্য তাহাকে বলেন নাই যে, দাঁড়ি রাখো, টুপি পরো, পাগড়ি লাগাও, গোঁফ খাটো করো কিংবা আবু জেহেলদের মতোন আরবী জুব্বা না পরিয়া অমুক ডিজাইনের একমাত্র ইসলামী পোশাক পরিধান করো। নতুবা তুমি মুমিন থাকিতে পারিবে না ইত্যাদি। আল্লাহ কি তবে আমাদের আলেমদের চাহিতে কম বোঝেন নাকি? (নাউজুবিল্লাহ)
এমনকি ইহাও বলেন নাই যে, নামাজ পড়ো বা প্রতিষ্ঠা করো, রোজা রাখো, যাকাত দাও বা আদায় করো, হজ্জ পালন করো ইত্যাদি যদিও কাবাশরীফ ছিলো হাতের কাছেই। কারণ আমাদের চাইতে আল্লাহ মহাজ্ঞানী-মহাজন আর আমরা হইলাম অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী-বেশি কিংবা উল্টা বুঝিবার দল। বিদায়াতের কাজকেও আমরা ইসলাম বা আল্লাহ-নবীর নামেও চালাইয়া দিতে ভয় করিনা। বরং মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়া বাংলাদেশী ইসলাম বলিয়া আলাদা কিছু তৈয়ার করিয়া তাহার স্বপক্ষে কিছু বিভ্রান্তিকর বই লিখিয়া বিভিন্নভাবে প্রতিযোগিতা করিয়া চলিয়াছি আমি সঠিক নাকি তুমি বেঠিক বলিয়া।
এই সমাজে আইয়ামে জাহেলিয়াতের চাহিতেও মারাত্মক পাপ-পঙ্কিলতা-অনাচার হইতে দেখিয়াও আমাদের কেহ কেহ নবীর মতো খেলাফত কায়েম না করিয়াই গদ্দীনশীন হইয়া বসিয়া বৈধ-অবৈধ টাকার পাহাড় গড়িয়া তুলিতেছি। আহা যাহা করিবার সামর্থ্য বুঝি মহানবী সাঃ এবং তাহার সাহাবীদেরও ছিলোনা কিংবা তাহারাও আমাদের মতোন সঠিক ইসলাম বুঝিয়া উঠিতে পারেন নাই (নাউজুবিল্লাহ)!! (চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৮৯৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা মহানবী(স) এর কথার চেয়ে ফিকহ শাস্ত্রের এর অন্ধ অনুসরণ করে। এ আহম্মকদের বুঝাতে গেলে প্রশ্ন করে- দাঁড়ি কই মিয়া? লম্বা জামা পড়ছো?
যেমনঃ কলেমা তাইয়েবা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। ইহার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোনোই ইলাহ নাই এবং হজরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসুল। এই কলেমার কোথাও কিন্তু মা'বুদ শব্দটি নাই, যাহা আলাদা একটি আল্লাহর গুণবাচক নাম। ইহার অর্থ হইলো-আব্দ বা আবেদ/আবিদ=গোলাম বা দাসের দাসত্ব গ্রহণকারী। শুধু তিনি ইবাদাত পাবার যোগ্য। ইহার দ্বারা আল্লাহর অন্য গুণগুলো প্রকাশ পায় না। আরইলাহ দ্বারা বুঝায়-আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের অর্সথহ তাহার যাবতীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি,সার্বভৌমত্বের গুণাবলী বা ক্ষমতার কথা। ইলাহ'র যুতসই ও সমার্থক একমাত্র প্রতিশব্দ হচ্ছে কেবলমাত্র আল্লাহ । ইলাহর আর দ্বিতীয় কোনো প্রতিশব্দ আরবী ব্যাকরণে নাই।
চমৎকার লিখেছেন ভাই। যেমন তার লেখা তেমনি তার ছবি। ছবি দিয়ে যেনো লেখাগুলো আরও প্রানবন্ত হলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন