আগামী ২২ শে অক্টোবর সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে কয়লা বিদ্যুৎ শক্তির ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে বন ওপরিবেশ মন্ত্রী
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:৫৬:২৭ রাত
বাংলাদেশের গৌরব সুন্দরবন।বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর ঐতিহ্য বহন করে আছে সুন্দরবন।সুন্দরবন পৃথিবীর সপ্তমাচার্য এর একটি যা বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচয় করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ তা এ সুন্দরবন।সুন্দরবনে রয়েছে নানা প্রজাতির বাস। এখানে ঘুরতে আসে দেশ বিদেশের হাজারও মানুষ।এখান থেকে আয়ও কোন অংশে কম হয় না।সুন্দরবন বাংলাদেশকে ভিনদেশীদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলেছে।তাই,অন্য কোন দেশের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে দেশের স্বার্থকে এভাবে বিলীন করে দেয়া মোটেই শোভনীয় নয়।আগে দেশ বাঁচাও পরে অন্য দেশের কথা ভাব এটাই যেকোন দেশের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত।
ভারত আমাদের কি দিয়েছে?কিছুই দেয়িনি বরং বন্ধুবেশে শুধু শোষণই করে গিয়েছে।তাহলে,ভারতকে আমরা এত গুরত্ব দেব কেন ওরা তো বন্ধুবেশী শয়তান ছাড়া আর কিছুই নয়।সুন্দরবনকে হত্যা করার এক নব নাটকের অবতারনা করেছে ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল নীতি।অথচ,কিছুদিন আগেও সুন্দরবনকে বিশ্বের মানচিত্রে টিকিয়ে রাখতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছি।কি লাভ হল ! ডিজিটাল সরকারের কাছে নিজ দেশ থেকে দাদার দেশই অধিক প্রিয় তাইতো দেশের স্বার্থ ,সম্পত্তিকে কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই ভারতের হাতে তুলে দিতে চায়।
আমাদের দেশে আমরা কি করব তা নির্ধারণ করবে ভারত তাহলে আমরা স্বাধীনতা পেলাম কোথায়।আজ স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধরা কোথায় তাঁদের মুখ থেকে আজ যে কোন কথা শোনা যাচ্ছে না ।তাঁরা তাঁদের জননীর কার্যকলাপে মুখে কুলুপ এঁটে নিরব দর্শকের মত উপভোগ করে যাচ্ছে।আজ জাফর ইকবালের লজ্জা খাঁটের নিচে বসে ঘুমরে ঘুমরে কাঁদছে।
ভারত তাঁদের স্বার্থ ছাড়া এক পাও নড়ে না আর বাংলাদেশ নিজস্ব স্বার্থের কথা এক সেকেন্ডের জন্যও ভাবে না।বাংলাদেশকে ঝড়,বন্যা ,জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে প্রাকৃতিকগতভাবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সুন্দরবন।অথচ,এ সুন্দরবনকে সরকার ভারতের হাতে তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর।হায়রে দুনিয়া বড়ই আজব এ কারখানা।
অসুবিধা কোথায় বাংলাদেশ ধ্বংস হলে শেখের পরিবারের কারোরই কিছু যায় আসে না তাঁদের বিদেশের মাটিতে জায়গার কোন অভাব হবে না্ বিশেষ করে আর ভারত তো আছেই।আগামী ২২ শে অক্টোবর সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে কয়লা বিদ্যুৎ শক্তির ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে বন ওপরিবেশ মন্ত্রী।আর তাতে কোন বাঁধা আসলে তা ঠেকাতে গোপালগঞ্চের আওয়ামি সমর্থিত কুখ্যাত সন্ত্রাস পুলিশলীগ ও প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে।সরকারের এ দানবীয় কাজে ক্ষুব্ধ বাংলার জনতা।শুধু ক্ষুব্ধ হলেই চলবে সাথে শক্ত হাতে প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।
ভারত কখনই আমাদের বন্ধু ছিল না এবং হবেও না।ওরা আমাদের বন্ধুতো নয়ই বরং এক নম্বর শত্রু।তাই ওদের ফাঁদে পা দেয়া মোটেও সমচীন হবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন