আমি কি অতিমাত্রায় গোঁড়া হয়ে যাচ্ছি?
লিখেছেন লিখেছেন অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী ২৫ মার্চ, ২০১৪, ০১:০৬:০০ রাত
"বিয়ের আগে হবু স্বামী বা স্ত্রীর সাথে একসাথে ঘোরাফেরা,শপিং করা কি উচিৎ"
১
বছর খানেক আগে এক আদর্শধারী বড় ভাইকে দেখেছিলাম একটা মেয়ের সাথে ঘুরতে (পরেও আরেকবার দেখেছি মার্কেটে)। মেয়েটিকে আমি চিনতাম। যথেষ্ট মেধাবী, নম্র ভদ্র এবং (বর্তমানে জেনেছি) একজন আদর্শধারী (শোনা মতে থানা দ্বায়িত্বশীলা)। ভাইটিকেও সেরকমই জানতাম। নীতি অনুসারে আমি ভেবে নিলাম হয়ত তারা দু’জন ভাইবোন, না হলে স্বামী স্ত্রী , অথবা মেয়েটি অন্য কেউ হতে পারে আমি ভুল দেখেছি। যেহেতু আমি মানসিক দিক থেকে ক্লিয়ার ছিলাম তাই এ বিষয়ে আর ভাবিনি। তিন-চার দিন আগে শুনলাম মেয়েটির বিয়ে হয়েছে এবং সেই ভাইয়ের সাথে। আর বিয়ের পর ভাইটির স্ট্যাটাস “কাজী নজরুল-নার্গিসের মতো আমার বিয়ে টা্ও কিভাবে যেন হটাৎ করে হয়ে গেল।
মা-বাবার সাথে গিয়েছিলাম মেয়ে দেখতে। ভেবেছিলাম বড়জোর এনগেজমেন্ট হবে। কিন্তু দুই পরিবারের পছন্দের কারনে (আমারও কনে পছন্দ্ হয়েছে) সেদিনেই আকদ সম্পন্ন হয়েছে। তাই ঘটা করে কাউকে জানাতে না পারায় দু:খিত। সবার দোয়া প্রার্থী”।
বলুন কি বলবেন?
২
আমি জানি তোমরা অনেকেই বুকে একটা আদর্শ লালন করে থাকো, কিন্তু তোমাদের কর্মকাণ্ড দেখে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। এরই নাম কি "ইসতিক্বামাত আলাল হক্ব"। পিকনিকের কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আজ ক্লাসে স্যারের এই কথা শুনে খুবই কষ্ট পেলাম। এই একটি কারণেই আমি পিকনিকে যাইনি। যারা সব পরিবেশেই নিজের আদর্শের উপর অটল থাকতে পারে তারাই প্রকৃত আদর্শবাদী। মুমিন ব্যক্তির উদাহরণ তো একজন সৈনিকের মত যে, অবস্থা যত প্রতিকুলই হোক না কেন সে তার রুটিন মাফিক কাজ করেই যাবে। সালাতের সময় কোনো অযুহাতই তাকে আটকে রাখতে পারবেনা। আর সে শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে অবস্থান করে তার দৈনন্দিন সার্বিক কাজ সম্পন্ন করবে। নারী-পুরুষ উভয়ে কমপক্ষে পর্দার মৌলিক বিষয় গুলি মেনে চলবে। শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থাকা বলতে অনেকে আবার ভুল বুঝে ইসলামী কায়দায় (ব্যঙ্গার্থে) কাজ কর্ম করে থাকে যেমন বোরকা পরে boyfriend বা fiancée সাথে নিয়ে ঘোরে। অত্যন্ত দুঃখ লাগে যখন আদর্শের তকমা ধারণকারীরা সিরিয়াসভাবে নিষিদ্ধ বিষয়কে অনেক সহজভাবে নিয়ে থাকে। হতাশ হয়ে ভাবি যে বিশ্বব্যাপি একটি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছি সেটি কিভাবে সম্ভব যদি আমরা আজ অধস্তনদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হই?
বিষয়: বিবিধ
১১৭০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মিথ্যা কথা বলা, ওয়াদা লংঘন করা, অন্যের উপর জুলম করা, জিনা করা, দুনিয়াকে আখেরাতের উপর প্রাধান্য দেয়া, প্রতারণা করা ।
ইসলামপন্হীদেরকে অবশ্যই বিষয়গুলোর গুরুত্ব দেয়া উচিত ।
কিন্তু সব ফোরামে সবকিছু মানায়না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন