যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনের ফাযায়েল ও আমল, পর্ব-০১

লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৪৭:৫২ দুপুর





যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনের ফাযায়েল ও আমল:



আল্লাহ তাআলা সমস্ত বস্তুর একক সৃষ্টিকর্তা এবং একক মালিক। নিজের সৃষ্টির মধ্যে যাকে চান তাকে অন্যের উপর ফযিলত দান করেন। কিছু মানুষকে অন্যদের উপর মর্যাদা দান করেন। কিছু স্থানকে অন্যান্য স্থানের উপর ফযিলত দিয়ে থাকেন। এভাবে কোন যামানা ও সময়কে অন্যান্য যামানা ও সময়ের উপর প্রাধান্যদান ও গুরুত্ব প্রদান করেন।

উক্ত সুন্নাতে ইলাহীর একটি নির্দশন হল, আল্লাহ যিনি মালিকুল মুলক যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনকে বছরের অন্যান্য দিনের মোকাবেলায় সর্বোন্নত, সর্বাধিক ফযিলতপূর্ণ ও সর্বোচ্চ গুরুত্ববহ করেছেন। আল্লাহ তাওফিক্ব দিলে নীচে এই দিনগুলো সম্পর্কে দু’টি দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা পেশ করবো, ইনঁশাআল্লাহ :

ক) যিলহজ্জের (প্রথম) দশ দিনের ফযিলত।

খ) যিলহজ্জের (প্রথম) দশ দিনের আমল।


ক) যিলহজ্জের (প্রথম) দশ দিনের ফযিলত:



কুরআন ও সুন্নাতে এই দশ দিনের মর্যাদা ও গুরুত্বের ব্যাপারে বেশকিছু সংখ্যক দলিল ও সাক্ষ্য আছে। আল্লাহ কারীমের তাওফিক্ব দিলে এ সম্পর্কিত কয়েক দলিল নীচে পেশ করবো :

১) আল্লাহ তাআলা বলেন :

وَالْفَجْرِـ وَلَيَالٍ عَشْرٍ “ফজরের ক্বসম, এবং দশ রাতের ক্বসম।” [সূরা ফজর : ১:২]


ইমাম বগভী (রহ) লিখেছেন :

وَلَيَالٍ عَشْر “দশ রাতের ক্বসম” বলতে যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে। এটা মুজাহিদ, যিহহাক, সুদ্দী ও কালবী (রহ)-এর উক্তি। [তাফসীরে বগভী ৪/১৪৮১, আরো দ্র: যাদুল মাসীর ৯/১০৩]

আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তাআলা ঐ দিনগুলোর ক্বসম করে এদের মর্যাদা ও মহত্ত্ব উল্লেখ করেছেন।

ইমাম ইবনে কাসির (রহ) লিখেছেন :

والليالي العشر: المراد بها عشر ذي الحجة. كما قاله ابن عباس، وابن الزبير، ومجاهد، وغير واحد من السلف والخلف. وقد ثبت في صحيح البخاري، عن ابن عباس مرفوعا: “ما من أيام العمل الصالح أحب إلى الله فيهن من هذه الأيام” -يعني عشر ذي الحجة -قالوا: ولا الجهاد في سبيل الله؟ قال: “ولا الجهاد في سبيل الله، إلا رجلا خرج بنفسه وماله، ثم لم يرجع من ذلك بشيء”

“ والليالي العشر (ক্বসম দশ রাতের) অর্থ : যিলহজ্জের দশ রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। যেভাবে ইবনে আব্বাস (রা), ইবনে যুবায়ের (রা), মুজাহিদ (রহ) ও একাধিক সালাফ ও খালাফের উক্তি রয়েছে। কেননা সহীহ বুখারীতে সাহাবী ইবনে আব্বাস (রা) থেকে মারফু‘ সূত্রে প্রমাণিত [রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন] : “এই দিনগুলো তথা যিলহজ্জের দশ দিনের আমলে সালেহর চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রিয় অন্য কোন দিনের আমল নেই। (সাহাবীগণ) জিজ্ঞাসা করলেন : জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ-ও নয় কি? তিনি (স) বলেন : না, জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ-ও নয়। তবে যে ব্যক্তি নিজের জান ও মাল নিয়ে বের হয়, তারপর আর কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।” [সহীহ বুখারী – দুই ঈদ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ : আইয়ামে তাশরীকে আমলের ফযিলত]

অতঃপর ইমাম ইবনে কাসির (রহ) উক্ত দশ দিনের ব্যাখ্যার তাফসীর হিসেবে মুহারম মাসের প্রথম দশ দিন ও রমাযানের শেষ দশ দিনের পক্ষে উক্তিগুলো এনে বলেছেন : والصحيح القول الأول “প্রথম উক্তিটিই (যিলহজ্জের প্রথম দশ দিন) সহীহ।” [বিস্তারিত: তাফসীরে ইবনে কাসির, সূরা ফজরের আলোচ্য আয়াতের তাফসীর।]

জ্ঞাতব্য :

উপরোক্ত সহীহ হাদীসের ফযিলতের সাথে সাথে অপর একটি হাদীসও এক্ষেত্রে উপস্থাপন করা হয়। যা আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন :

ما مِن أيامٍ أحبُّ إلى اللهِ أن يُتَعَبَّدُ لهُ فيها مِن عشرِ ذي الحجَّةِ يعدِلُ صيامُ كلِّ يومٍ منها بصيامِ سنةٍ وقيامِ كلِّ ليلةٍ منها بقيامِ ليلةِ القدرِ

“এমন কোন দিন নাই যে দিনগুলোর (নফল) ইবাদত আল্লাহর কাছে যিলহজ্জের দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের সিয়াম এক বছরের সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল ক্বদরের ইবাদতের সমতুল্য।”

[তিরমিযী ” সিয়াম অধ্যায় باب ما جاء فى العمل فى ايام العشر; এই হাদীসটি ভয়ানক যঈফ। ইমাম বুখারী, তিরমিযী, বগভী, মুনযিরী (রহ) প্রমুখ হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। দ্র: যঈফ জামেউস সগীর ৫/১১২, তামামুল মিন্নাহ পৃ: ৩৫৪, সিলসিলাহ যঈফাহ হা/৫১৪২]

২) এই দশ দিনের সাথে হজ্জের মাসের সমাপ্তি ঘটে: আল্লাহ তাআলা বলেন :

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ “হজ্জের মাসগুলো সুপরিচিত।”
[সূরা বাক্বারাহ : ১৯৭]

সাহাবী ইবনে উমার (রা) বলেন : “শাওয়াল, যিলক্বদ এবং যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন।”

[সহীহ বুখারী – কিতাবুল হজ্জ, অনুচ্ছেদ : باب قوله تعالى الحج اشهر معلومات… ; তালিকরূপে বর্ণিত।

হাফেয ইবনে হাজার (রহ) লিখেছেন : وروى البيهقي من طريق عبد الله بن نمير عن عبيد الله بن عمر عن نافع عن ابن عمر مثله والإسنادان صحيحان “এটি বায়হাক্বী বর্ণনা করেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে নুমায়র থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে। (আবার) নাফে থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে। এভাবে দুটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে।” অতঃপর ইবনে হাজার (রহ) মুয়াত্তা মালেকের সনদটির কথাও উল্লেখ করেছেন (ফতহুল বারী আলোচ্য অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দ্র: )।

হাফেয ইবনে রজব (রহ) লিখেছেন :

“যিলহজ্জের দশ দিনের ফাযায়েলের অন্যতম একটি দিক হল, এটি হজ্জের পরিচিত মাসগুলোর শেষাংশ। যে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন : الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ “হজ্জের মাসগুলো সুপরিচিত।” [সূরা বাক্বারাহ : ১৯৭] যা শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জের (প্রথম) দশ দিন।” [لطائف المعارف فيما لمواسم العام من الوظائف صـــ ٤٨١ ]

৩) আল্লাহ তাআলা ঐ দশ দিনকে নির্দিষ্ট করে তাঁর যিকির করার কথা বলেছেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে :

وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ “নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নামের যিকির করো।” [সূরা হজ্জ : ২৮]

ইমাম বুখারী (রহ) বর্ণনা করেছেন : ইবনে আব্বাস (রা) বলেন :

‘নির্দিষ্ট দিনগুলো’ দ্বারা (যিলহজ্জের) দশ দিন বুঝায়।” [সহীহ বুখারী – দুই ঈদ অধ্যায়, باب: فضل العمل في أيام التشريق ]

সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা), ইমাম হাসান, আতা, ইকরামাহ, ক্বাতাদাহ, ও শাফেঈ (রহ) আয়াতটির তাফসীরে এটাই বলেছেন। [বিস্তারিত : যাদুল মাসীর ৫/৪২৫]

রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন :

ما مِن أيَّامٍ أعظَمُ عندَ اللَّهِ ولا أحِبُّ إليهِ العملُ فيهنَّ من أيَّامِ عشرِ ذي الحِجَّةِ فأَكثِروا فيهنَّ منَ التَّسبيحِ والتَّكبيرِ والتَّحميدِ والتَّهليلِ

“এই দশ দিনে (নেক) আমল করার চেয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তোমরা এ সময় তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ) ও তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বেশী করে আদায় করো।”

[মুসনাদে আহমাদ – ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনাটি যঈফ। কেননা তাতে ইয়াযীদ বিন আবী যিয়াদ আছেন তিনি যঈফ। … উক্ত বর্ণনার সমর্থনে ইবনে উমার (রা), আবূ হুরায়রা (রা) ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা)-এর হাদীস উল্লেখ করে শায়েখ আলবানী (রহ) হাদীসটি ‘হাসান’ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। (ইরওয়াউল গালীল ৩/৩৯৮)]

তবে সাধারণভাবে (সবসময়ের জন্যেই) উক্ত মর্মের বাক্যসম্বলিত যিকিরকে আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক প্রিয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন : রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন:

أَحَبُّ الكلامِ إلى اللهِ أربعٌ : سبحان اللهِ ، والحمدُ للهِ ، ولا إله إلا اللهُ ، واللهُ أكبرُ

“আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় বাক্য চারটি : (তা হল) সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহি, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার।” [আলবানীর সহীহ আত’তারগীব হা/১৫৪৬]

এ সম্পর্কে সালাফদের আমল নিম্নরূপ :



ক) ইমাম বুখারী (রহ) বর্ণনা করেন :

كان ابن عمر، وأبو هريرة: يخرجان إلى السوق في أيام العشر، يكبران ويكبر الناس بتكبيرهما. وكبر محمد بن علي خلف النافلة

“সাহাবী ইবনে উমার ও আবূ হুরায়রা (রা) এই দশ দিন তাকবীর বলতে বাজারের দিকে যেতেন এবং তাদের তাকবীরের সঙ্গে অন্যরাও তাকবীর বলতো। মুহাম্মাদ ইবনে আলী নফল সালাতের পরেও তাকবীর বলতেন।” [সহীহ বুখারী – দুই ঈদ অধ্যায়, باب: فضل العمل في أيام التشريق ]

খ) ইমাম দারেমী (রহ) বর্ণনা করেন :

وَكَانَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ إِذَا دَخَلَ أَيَّامُ الْعَشْرِ اجْتَهَدَ اجْتِهَاداً شَدِيداً حَتَّى مَا يَكَادُ يَقْدِرُ عَلَيْهِ

“যখন যিলহজ্জের দশ দিন আসতো তখন সাঈদ বিন জুবায়ের (রা) তখন তিনি সর্বোচ্চ পরিশ্রমসহ (আমলের) চেষ্টা করতেন, এমনকি তাঁর সাধ্যাতীত পরিমাণ হয়ে যেতো।” [সুনানে দারেমী – সিয়াম অধ্যায় باب فى فضل العمل فى العشر]

গ) হাফেয ইবনে হাজার (রহ) বলেন :

والذي يظهر أن السبب في امتياز عشر ذي الحجة لمكان اجتماع أمهات العبادة فيه, وهي الصلاة والصيام والصدقة والحج, ولا يتأتى ذلك في غيره

“যিলহজ্জের দশ দিনের বৈশিষ্ট্য থেকে এটা বুঝা যায় যে, এতে মৌলিক ইবাদতগুলো একত্রিত হয়েছে। যেমন Ñ সালাত, সিয়াম, সদক্বা, হজ্জ। অন্য কোন দিনে এমনটি হয় নি।” [ফতহুল বারী ২/৪৬০ পৃ:]

ঘ) এ ছাড়া রসূলুল্লাহ (স) থেকে উল্লিখিত নিম্নক্ত দু’টি দিনের কারণেও উক্ত দশকের ফযিলত সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যেমন: রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন :

ما من يومٍ أكثرَ من أن يُعتِقَ اللهُ فيهِ عبدًا من النارِ ، من يومِ عرفةَ

“এমন কোন দিন নাই যেদিনে আল্লাহ তাআলা আরাফাহর দিনের থেকে বেশী বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।”[সহীহ মুসলিম – কিতাবুল হজ্জ باب فى فضل الحج والعمرة ويوم عرفة ]

অন্যত্র নবী (স) বলেছেন :

إِنَّ أَعْظَمَ الْأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ

“দিনগুলোর মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বমহান দিন হলো, নাহরের (কুরবানীর) দিন। এরপর ক্বর্রার* দিন।”

[আবূ দাউদ – হজ্জ অধ্যায়; শায়েখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন (তাহ: আবূ দাউদ হা/১৭৬৫)। শায়েখ যুবায়ের আলী ঝাই (রহ) হাদীসটির সনদকে সহীহ বলেছেন। অতঃপর বলেন : এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ (৪/৩৪০), সহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/২৮৬৬, ২৯১৭, ২৯৬৬, সহীহ ইবনে হিব্বান হা/১০৫৫, হাকিম ৪/২২১ যাহাবী চুপ থেকেছেন; এবং বায়হাক্বী হাসান বলেছেন (৭/২৮৮)।

* ইয়াওমুল ক্বর্রা : একাদশ যিলহজ্জকে ইয়াওমুল কর্রা বলে। এদিনে (হাজীদের) মীনাতে অবস্থান করতে হয়। (নিহায়াহ ৪/৩৭)


জুমুআর দিনকে خير يوم ‘শ্রেষ্ট দিন’ বলা হয়েছে (সহীহ মুসলিম হা/৮৫৪باب فضل يوم الجمعة )। পক্ষান্তরে উপরোক্ত হাদীসে নহরের দিন বা দশম যিলহজ্জকে أَعْظَمَ الْأَيَّامِ ‘সর্বমহান দিন’ বলা হয়েছে। উভয় হাদীসের মধ্যে এভাবে সমন্বয় করা যায় যে, জুমুআর দিন সাপ্তাহিক দিক থেকে শ্রেষ্ট এবং দশম যিলহজ্জ বা নহরের দিন বাৎসরিক হিসেবে শ্রেষ্ঠ। (আওনুল মা‘বুদ সূত্রে : উর্দূ তাহক্কীক্বকৃত আবূ দাউদ হা/১৭৬৫এর ব্যাখ্যা)]

পর্ব-০২ আসছে.....

বিষয়: বিবিধ

১১৮৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339512
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:২৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। ভালো লাগলো সময় উপযোগী পোস্টটি। ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫০
280871
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়র। দ্বীতিয় পর্ব পড়ার জন্য আহব্বান রইলো ভাই।
339552
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ।দোয়া রাখবেন।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৫১
280916
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়র।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File