ও পাড়েতে সর্ব সুখ
লিখেছেন মামুন ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৬ দুপুর
ছোটবেলায় আব্বার কাছে... স্কুল জীবনে ক্ষীতিস চন্দ্র বাবুর আদরে-ভালোবাসায় আর স্কুলের বাংলার মফিজ স্যারের বেতের 'মাইরে'ও আমি মনে হয়, বাংলা ভাষা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারি নাই।
আমাকে এখনো প্রতি সপ্তাহে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা শিখতে হয়।
আমার ছোটকন্যা 'জ্ঞানী বাবু'র কাছে।
'তুমি এই গুলি কি বলো পাপা ? খাইছি, করছি, দেখছি। তুমি বলবে খেয়েছি, করেছি, দেখেছি - এইভাবে কথা বলতে হয়, বুঝেছ?'। আমার মুখ...
কু-প্রবৃত্তির কুরবানি-প্রস্তুত আছি তো?
লিখেছেন FM97 ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:১১ সকাল
আমরা যারা দিবা-রাত্রি সুন্দর জীবন, সেই সাথে সুন্দর সমাজের স্বপ্ন দেখি-সেই আমরাই যদি মনের কু-প্রবৃত্তি, দূর্বলতাগুলোকে কুরবানি না দিতে পারি তাহলে হয়ত পরিবর্তন একটা অলীক স্বপ্ন হয়ে থাকবে। এই কু-প্রবৃত্তি, দূর্বলতা তথা মানসিক রোগ বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে-যেমনঃ
# দূর্নীতিকেই নিয়ম মনে করা।
# অন্যের ভালো দেখতে না পারা।
# দুনিয়ায় সব কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। (পরোক্ষভাবে পরকালের প্রতি...
বেদনার নীলসুর!
লিখেছেন এহসান সাবরী ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫১ রাত
তানজিলার কথাঃ
দশদিন যাবত আমার দুনিয়ার সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষটি চুপটি মেরে এই ধবধবে বিছানায় শুয়ে আছে। ভোর হতে নিলে ফ্যাকাশে মুখে যখন ইশারা করে পর্দাটা সরিয়ে ভোরের আলোয় ঘর ভরিয়ে দিতে ও কি জানে তখন ওকে কতটা সুন্দর লাগে। মাহবুব তোমাকে আমি যেতে দিবনা। কথা তো এমন ছিলনা। তোমার সুখ দুঃখ সব কিছুতে আমাকে অংশিদার করবে বলেছিলে।
তুমি ছাড়া যে আমার কেউ নেই। কেউ নেই। আমি জানি তোমার অনেক...
সর্বোচ্চ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, যথাযোগ্য মর্যাদা, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফ্রান্সে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন
লিখেছেন বদরুজ্জামান ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:২৫ রাত
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) শেষ বয়সে প্রাপ্ত একমাত্র পুত্র সন্তান হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে কুরবানীর করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ পালনের অনুপম ত্যাগের অনুসরনে হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্বের মুসলমানরা পশু কুরবানি করে আসছে। আল্লাহর রাস্তায় নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস তাঁরই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সন্তুষ্ট চিত্তে বিলিয়ে দেয়া অর্থাৎ ত্যাগের মহীমায় উজ্জীবিত হওয়ার মহান ব্রত নিয়ে প্রতিবছর আমাদের...
বৃদ্ধাশ্রম থেকে এক মায়ের চিঠি- খোকা তুই কেমন আছিস রে ! অনেক দিন হলো তোকে দেখি না তোকে দেখতে ইচ্ছা করছে রে খোকা !!
লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:২১ রাত
খোকা তুই কেমন আছিস রে !
জানিস, তোর বাপ যখন ওপারে পাড়ি দিয়েছিল তখন তোর বয়স ছিল মাত্র ৪১ বছর । আর আমার বয়স ছিল ২১ বছর মাত্র।
আমি তোকে বুকে আগলিয়ে ধরে তোর বাবার ভালবাসায় তপ্ত হয়ে দ্বিতীয় কোন বিয়ে করি নাই খোকা।
আমার মা বাবারা অনেক চেষ্টা করেছিল আমাকে বিয়ে দিতে কিন্তু আমি রাজি হইনি তোর মুখের দিকে চেয়ে। আমি যদি বিবাহ করি তবে তুই কষ্ট পাবি তোর বাপ কবরে থেকে কষ্ট পাবে সেই কারনে ।
হাজার...
গৃহযুদ্ধ
লিখেছেন অগ্রহায়ণ ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৪৯ রাত
আমি যখন দিঘীর পাড়ে পৌছালাম তখন দুপুর। মস্ত বড় দিঘীর একপাশে পিঠে মুখ গুজে এক পায়ে দাড়িয়ে আছে কিছু রাজহাঁস। আমার অস্তিত্ব টের পেয়ে তারা চমকিত হয়ে গা ভাসিয়ে দিল দিঘীর জলে।
একটু এগিয়ে পৌছালাম মুন্সী মিয়ার বাজারে।
এক কালে বেশ নাম ডাক ছিল এই বাজারের। দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসতো সদাই পাতি করার জন্য। সকাল থেকে সন্ধযা পর্যন্ত মানুষ গম গম করত।
বাজারের প্রবেশ পথে কয়েকটা...
একটি ছেলের জীবনে প্রথম কোরবানি
লিখেছেন গ্রীণ ওয়ে ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:২৯ রাত
ছেলেটি ছোটবেলা থেকে মামার বাড়িতে থাকতো । সে বুঝার বা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই সে দেখে এসেছে মামার বাড়ি । নানী , মামা , আর মামীকে সে জানত অভিভাবক । মামার বাড়িতে লেখা- পড়া, সংসারের কাজ এই ভাবে তার শৈশবে বেড়ে ওঠা । অনেক আদরে নানি , মামা আর মামীরা তাকে লালন-পালন করেন । এইভাবে প্রাইমারি স্কুল থেকে হাইস্কুল ওঠে। এইভাবে ছেলেটির দিন যায় দিন আসে । হঠাৎ একদিন তার মামী যে তাকে নিজের মায়া মমতা...
চর্চাবিহীন মুসলিম (Non- practising Muslim)
লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৫৯ রাত
চর্চাবিহীন মুসলিম
অধূনা চারপাশে চর্চাবিহীন মুসলিম এর মিছিল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এরা একটু কাব্য করে – ইংরেজীতে নিজেদের পরিচয় দেন -‘নন – প্র্যাকটিসিং মুসলিম ( Non- practising Muslim) – বাংলায় যাকে বলা যায় চর্চা- বিহীন মুসলিম। অথবা অনভ্যস্ত মুসলিম- বা অননুশীলিত মুসলিম যিনি ইসলামের অনুশীলন করেন না! আমরাও কাঁধ ঝাকিয়ে তা মেনে নেই- যেন এ পন্থাও অনেক ‘গ্রহণ যোগ্য পন্থার একটি ! যিনি বলছেন তার বক্তব্যে...
ঈদ আনন্দে ভরে যাক প্রাণ
লিখেছেন সন্ধাতারা ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৫৯ সন্ধ্যা
ঈদ আনন্দে ভরে যাক প্রতিটি মোমেনের প্রাণ
এতিম-অনাথ খুঁজে পায় যেন অমূল্য ছোঁয়ার ঘ্রাণ।
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত উজ্জ্বল আজকের এই দিন
যুগে যুগে অমর প্রেমে থাকবে যে অমলিন।
গরু কাহিনী
লিখেছেন ইমরান ভাই ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৫৬ বিকাল
গরুর হাটে যেতে হলে কিছু তো সতর্কতা, ফান করতেই হয়। চলুন দেখি....
গরু কিনতে যাচ্ছেন তাহলে গরুর সাথে ছবি তুলতে ভুলবেন না কিন্তু
সাহস করে গরুর হাটের দিকে অগ্রসর হলে সাথে অবশ্যই রাখুন একটি শক্ত-পোক্ত লাঠি। বিনা কারণে সেই লাঠি দিয়ে মারামারি গুতাগুতির প্রয়োজন নেই, শুধু হাতে রাখলেই চলবে... কেননা গরু, ছাগল, উট, হোক আর দুম্বা, জাতি-বর্ণ-শ্রেণী নির্বিশেষে লাঠি সবাই চেনে!
গরু সামলাতে...
বাল্য বিবাহ ভাবনা
লিখেছেন ইক্লিপ্স ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:১৬ বিকাল
মাঝে মাঝে মনে হয় বাঙালিদের ফতোয়া দেয়ার সিস্টেম নিষিদ্ধ করে সরকার ভালোই করেছে। কারণ বাঙালিরা ফতোয়ার অপব্যবহার করে। কোন দিন না যেন শুনতে হয় ''মহানবী(সাঃ) এগারোটা বিয়ে করেছেন তাই পুরুষের এগারোটা বিয়ে করা সুন্নত।'' আমি নিশ্চিত কোন না কোন দিন তারা এমন ফতোয়াও দিয়ে বসবেন। কারণ ইতোমধ্যে এমন ফতোয়া শুনা হয়ে গেছে মহানবী(সাঃ) সাত বছরের আয়েশা(রাঃ) কে বিয়ে করেছে তাই এই বয়সী...
ছবরই সুখ (ঈদুল আযহা নিয়ে)
লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৩:৫২ দুপুর
ঈদ মোবারক সবাইকে সাথে সুন্নতী সালাম!! আর সকলকে (সৌদি) মদিনা প্রবাসীর পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক! ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা!
ঈদ মানে খুশি! ঈদ মানে আনন্দ! ঈদ মানে একে অপরের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেয়া! ঈদ সবার ঘরে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দের ঢেউ! সত্যিই কি সবার ঘরে ঈদের পূর্ণ আনন্দ এসে পৌছায়? নাকি কোন কোন ঘর এই আনন্দ থেকে (মাহরুম) বঞ্চিত থাকে! আমরা সবাই মুখে ঈদের আনন্দ বিলিয়ে দেয়ার কথা বললেও সবাই কি বিলাই...
উপলদ্ধি
লিখেছেন তাবিজ বাবা ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:১২ দুপুর
আব্বু অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হওয়ার কারণে Class 6 (ষষ্ঠ শ্রেণী) থেকে আব্বুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাংলার সহযোগী অধ্যাপক প্রবীর চক্রবর্তী স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেতাম । ব্যাকরণ শেখানোর ফাঁকে ফাঁকে স্যারের লেকচার খুব ভাল লাগত । স্যার একটা কথা প্রায়ই বলতেন "মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায়।কারণে বা অকারণে।" তখন কথাটার অ্যাকচুয়াল অর্থ বুঝতে পারতাম না কিন্তু শুনতে খুব ভাল লাগত।কথাটা...
ছেলেদের কত্ত আরাম আর মজা... (ঈদের দিন) ! !
লিখেছেন ঈপ্সিতা চৌধুরী ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৭ দুপুর
>> ঈদের দিন সাত সকালে (অন্যদিন বেলা ১২টার আগে কেউ ওঠে কি না সন্দেহ আছে) ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, পাজামা/পাঞ্জাবি পড়ে ফ্যাশুন করে মসজিদে বা ঈদ্গাহে যায়... ! এরপর নামাজ শেষে বাসায় এসে হুজুর কোরবানী করে দিয়ে যায়, কসাই মাংস কেটে-কুটে দিয়ে যায় আর সেই মাংস এনে তারা অন্দর মহলে ফেলে দেয়, এরপর আরামসে বসে পেট উঁচু করে খেয়ে, গরুর মত ঘুম নয়তো আড্ডা, ঘোরাফেরা আর ফেবু/ স্কাইপে তো আছেই...।।
>>আর মেয়েদের সেই সাত সকাল থেকে ঘর গোছাও, রান্না কর, মাংস আসলে সেটা প্রসেস কর, ফ্রিজে ঢোকাও, আবার রান্না কর, জাল দাও এরপর তো লাট সাহেবদের আবদার আছেই- কাবাব বানাও, কোপ্তা বানাও, কিমা কর, রুটি বানাও... এইটা সেইটা তারপর আছে মেহমানদারী ... রাত ১২- ১ টার আগে নিস্তার নাই... শরীর চলুক আর না চলুক সব কাজ কর!
>> তা বাপজানেরা আপনারা একটু কাজ করলে কি হয় শুনি?
কুরবানী নিয়ে এই চিন্তাবিদের লেখাটা পড়ে ভাল লাগল
লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:২৫ দুপুর
লেখক-মুনির মুহাম্মদ:
প্রতি বছর ঈদুল আযহা এলেই এনিম্যাল এথিকসের নামে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত লেখার উৎপাদন হয়। একসময় এগুলো সরাসরি ইসলাম নামক জীবন ব্যবস্থাটিকে সরাসরি আঘাত করে লেখা হত। কিন্তু সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট হল আপনি যদি দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল কথাটাও কাউকে আক্রমণ করে বলেন তাহলে আপনি অবশ্যই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াই পাবেন। মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয় তখন সে যুক্তির ধার ধারে না। An attack...