১০টি শিরকি গানের তালিকাঃ-
লিখেছেন লিখেছেন নুর আয়শা আব্দুর রহিম ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:৩১:২০ রাত
১."নবী মোর পরশমনী......নবী নাম জপে...দোজাহানের ধধনি"
"মোহাম্মদের নাম জপে ছিলি বুলবুলি তুই আগে"
(নবী নাম জপা শিরক আকিদা, জপা বা জিকির শুধু আল্লাহর নামের হয়)
২."মাসজিদেরি পাশে কবর দিও ভাই...কবর থেকে আযান যেন শুনতে পাই"
(কাজী নজরুল ইসলাম-কবর থেকে আযান শুনা শিরক আকিদা)
৩."আমার সোনার বাংলা...চির দিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রানে বাজাই বাশি"
(জাতীয় সংগীত-তোমার আকাশ তোমার বাতাস শিরক আকিদা)
"আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সে সবই আল্লাহর এবং আল্লাহর প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল।"(Aali Imraan: 109)
৪.হে আল্লাহ, হে মুহাম্মদ বলে ডাকা
(শিরক কারন নবীকে ডাকা বা সাহায্যে চাওয়া যাবে না)
৫. "ইয়া আলী মাদাত ওয়ালি"
(যে এই আকীদা রাখবেঃ আলী (রাঃ) কে ডাকলে শক্তি,
সাহস পাওয়া যাবে, বিপদে সাহায্য পাওয়া যাবে,এইটা ডাইরেক্ট শিরক।
৬. "ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঢেকাই মাথা"
(সম্মানে মাথা একমাত্র আল্ললাহর জন্য ঢেকানো জায়েজ অন্যথায় শিরক)
৭.তুমি আমার এমনি একজন যাকে একজনমে ভালবেসে ভরবে না এ মন"
(এখানে একজনমে ভালবাসার কথার মাধ্যে পুনঃজন্ম আকিদাইয় বিশাস বোঝাচ্ছে যা শিরক)
৮."হরে রাম হরে রাম হরে কৃষন হরে রাম"
(এইটার কথা আর বললামই না যে কি কারনে শিরক)
৯.খোদা তোমার নাই দিতীয় জানি..."
(আল্লাহর ৯৯ টা নামের মধ্যে খোদা নাম নাই খোদা ফারসি শব্দ তাই খোদা নাম শিরক
আর আলস্নাহ্র জন্য সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে, সুতরাং তোমরা তাকে সেই সব নামেই ডাকবে, আর তাদেরকে বর্জন কর যারা তাঁর নাম বিকৃত করে, সত্বরই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল দেয়া হবে।” (সূরা আ’রাফ, ১৮০ আয়াত))
১০.তুজমে রব দেখতা হে ইয়ারা ম্যা কেয়া কারু,সেজদে মে ছ্যাড় যুখতা হে ইয়ারা ম্যা কে কারো"
(ফুলফিল শিরক,তুমার মধ্যে আল্লাহকে দেখি এবং সেই কারনে তোমাকে
সেজদা দিয়ে মাথে যুকাই,আর কি বলা লাগবে শিরক কিনা?)
"নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে।
তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।
আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। "(sura nisa-48)
আমাদের প্রত্যেকটা কথার জন্য আমাদের জবাব দিতে হবে।
প্রতিটা কথা বুঝে শুনে বলা উচিতঃ
হাসি-ঠাট্টা বা অসতর্কভাবে বলা কোনো কথার কারণেও কেউ কেউ জাহান্নামে যাবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই বান্দা পরিণাম চিন্তা না করেই এমন কথা বলে
বসে যেই কথার কারণে সে জাহান্নামের এমন গভীরে ঢুকে যাবে যার দূরত্ব পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বের চেয়েও বেশি।”
সহীহ আল-বুখারী, ৬৪৭৭।
উৎস https://m.facebook.com/photo.php?fbid=736940583039604&id=100001710063831&set=a.276009352466065.63047.100001710063831&source=48
বিষয়: বিবিধ
৫২২০ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব বিষয়ে সংযত থাকা উচিত!
সবাই সব জিনিস বোঝেননা-
কেউ কবিতে-সাহিত্য না-ও বুঝতে পারে!
উদাহরণ চান??
সুরা নাসর নাজিলের পরে -
কিছুসংখ্যক সাহাবা কেঁদেছিলেন
আর কিছু সংখ্যক আনন্দিত হয়েছিলেন!
সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রি্যা-
কারা সঠিক ছিলেন বলতে পারেন??
আসলে যিনি যেমন বুঝেছিলেন- কারোটাই ভুল ছিলনা!
এমন আরো উদাহরন কুরআন-হাদিস থেকেই দেয়া সম্ভব!
আপনি যদি কবিতা-সাহিত্য না বোঝেন তবে সেটা নিয়ে মন্তব্য করা অনুচিত- একথাই বলতে চেয়েছি!
দুনিয়ায় সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞ থাকে-
শুধু ইসলামের ব্যাপারে যে কেউ মন্তব্য করে দি্তে পারে-
তাজ্জব ব্যাপার!!
স্বামী/স্ত্রীকে "প্রিয়তম/জান" বলা কি শিরক???
সন্তান/শিশুদেরকে আদর করে যেসব শব্দ বলা হয় [সোনা, যাদু, চোখেরমণি, কলিজা...]
মানুষকে সাহায্যের জন্য আহ্বান করা
আরো আরো উদাহরণ দেয়া যায়
আমার কথা শেষ করলাম. জাযাকুমুল্লাহ
ব্লগার আবু সাইফ ভাইয়ের কথায় একমত আমিও।
কাব্য-সাহিত্য বা দৈনন্দিন সাধারণ কথা-বার্তায় শিরকের ব্যাপক অনুসন্ধান ইসলাম সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ করে তুলবে।
২,৪,৭,৯নং বিষয়ে কখনোই সরাসরী শিরকের অভিযোগ তোলা যাবে না,বিষয়গুলো ব্যাখ্যা সম্বলিত।
আল্লাহতায়ালা আপনার সঠিক জ্ঞান ও সঠিক বোধ বাড়িয়ে দিন
আর হরে কৃষ্ণ হরে রাম মুসলিমদের জন্য নয় এটা এনে সুধু সুধু হিন্দু ভাইদের কটাক্ষ করা উচিত হয়নি।
আল্লাহতায়ালা আপনার সঠিক জ্ঞান ও সঠিক বোধ বাড়িয়ে দিন
"ইন্নাহুমাই ইয়্যূশরিকবিল্লাহ ফাকাদ হাররাম্মাল্লাহু আল্ইহিল জান্নাতা ওয়া মাওয়াহুন নার।"
নিশ্চই আল্লাহর সাথে যারা শির্ক করে আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন আর জাহান্নামকে অবধারীত করে দেন।
আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে ছল চাতুরি থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
====
জাজাকাল্লাহু খায়রান। চালিয়েযান শির্কের বিরুদ্ধে কলমকে।
আল্লাহতায়ালা আপনার সঠিক জ্ঞান ও সঠিক বোধ বাড়িয়ে দিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন