মালালা সহ ইসলামের যারা নোবেল পেয়েছে তাদের সম্পর্কে একটু ধারণা।
লিখেছেন লিখেছেন ভোলার পোলা ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:০২:১২ বিকাল
মালালা কি এটা সেটা ছিঁড়ে দুনিয়াতে শান্তি নিয়ে এসেছে যে তাকে নোবেল
দিতে হবে? এখন যদি আলফ্রেড
নোবেল বেচে থাকতেন তবে তার উইল
করে যাওয়া সম্পদের
যাতেচ্ছা ব্যবহার
করা দেখে নিশ্চয়
কাঁদতে কাঁদতে মরে যেতেন।
মালালার নোবেল
পাওয়াতে খুশিতে বগল
না বাজিয়ে আসুন একটু জেনেই নিই
ইতিপূর্বে যে সব মুসলিম নাম
ধারি ব্যাক্তিকে নোবেল
দেয়া হয়েছে তারা আসলে কে কি ছিলো.....
আহলে কিতাব তথা ইহুদী-
নাসারারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের
ফাঁদ পেতে মুসলমানদের
ঈমানহারা করার
পায়ঁতারা করে থাকে। সেই
ধারাবাহিকতার অন্যতম হলো নোবেল
পুরস্কার। এই পর্যন্ত যতজন
মুসলমানকে নোবেল পুরস্কার
দেয়া হয়েছে যাদের কেউ বাতিল
ফিরকার অনুসারী কিংবা তাদের
দ্বারা ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড
সাধিত হয়েছে। আজকে সেই
বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
★মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার
সাদাত ১৯৭৮
সালে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার পান। তার এই নোবেল
প্রাপ্তির পিছনে রয়েছে বিশাল
ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র। সে প্রথম
দিকে ইসরাঈলের উপর সামরিক
হামলা চালালেও
পরবর্তীতে ইহুদীদের
কাছে বিক্রি হয়ে ১৯৭৮
সালে ইসরাঈলের সাথে “কেম্প
ডেভিস শান্তি চুক্তি” সম্পাদন
করে। এই চুক্তির মাধ্যমেই
ধীরে ধীরে ইসরাঈল ফিলিস্তিনের
উপর চড়াও হয়ে ফিলিস্তিনের
বেশিরভাগ অংশ দখল
করে এবং আগ্রাসন চালায়
যা এখনো অব্যাহত আছে।
★১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের
বিজ্ঞানী আব্দুস সালাম পদার্থ
বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
কিন্তু মূল বিষয় হলো সালাম
বাতিল ফিরকাহ কাদিয়ানী ফিরকার
অনুসারী।
★১৯৮৮ সালে মিশরের নাগিব
মাহফুজকে সাহিত্যে নোবেল
পুরস্কার দেয়া হয়। তার রচিত “Children
of Gebelawi” বইতে হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার
সাথে ব্লাসফেমী নিয়ে ইহানতপূর্ণ
কথা লিখার
কারণে বইটি মিশরে নিষিদ্ধ
করা হয়েছিল।
★১৯৯৪ সালে ইহুদীদের আরেক দালাল
ইয়াসিন
আরাফাতকে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার দেয়া হয়। সে আনোয়ার
সাদাতের ন্যায়
ইসরাঈলকে ফিলিস্তিন
দখলে সাহায্য করে। সে একজন
অথোডক্স খৃষ্টানকে বিয়ে করে,
এতেই তার আসল রূপ বুঝা যায়।
★১৯৯৮ সালে আমেরিকান
ফিজিসিয়ান ফরিদ
মুরাদকে শরীরবিদ্যায় নোবেল
দেয়া হয়। সে আলবেনিয়ার
একটি মুসলিম ঘরে জম্ম গ্রহন করলেও
নিজেকে ইপিস্কোপিলিয়ান (বিশপ
ভক্ত) দাবী করে।
★২০০৩ সালে ইরানের শিরিন
এবাদীকে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার দেয়া হয়। সে একজন
শিয়া মতালম্বী মহিলা।
সে সমকামীতায়
বিশ্বাসী এবং পর্দা ও শরঈ আইন
নিয়ে আজে-বাজে কথা বলেছে।
★২০০৬ সালে সুদখোর খ্যাত
ডঃ ইউনুসকে শান্তিতে নোবেল
পুরস্কার দেয়া হয়। তার গ্রামীন
ব্যাংক
কোটি কোটি টাকা সূদী কারবারে খাটিয়ে মুসলিম
নারীদের ঘরছাড়া করছে, বেহায় -
বেলেল্লাপনার ট্রেনিং দিচ্ছে,
মেয়েদের বল্গাহীন
স্বাধীনতা দিয়ে পরিবার
ব্যাবস্থা ধ্বংস করেছে, নারীর
অধিকার প্রতিষ্ঠার
নামে নারীকে ভোগ্যপন্যে পরিণত
করছে।
★এবং আরেকজন আছেন মুহাম্মাদ
এলবারাদি। তার নোবেল প্রাপ্তির
সময়কালটা আমি ভুলে গেছি তবে কোরিয়া পাকিস্তান
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম
দেশগুলোকে পরমানু নিরোধ
চুক্তির আওতাই আনার মিশন
নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। যদিও তার
সেই মিশন ব্যার্থ তবে ইরাক হামলার
অন্যতম তথ্য পাচারকারি ছিলো এই
এল বারাদি।
★আর এখন নোবেল
দেয়া হোলো মালালাকে।
মিথ্যা এক বানওয়াট নাটকের
মাধ্যমে হাই পাওয়ারফুল
মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যপি হাইলাইট
করা হয়েছে মালালাকে।
এই ভাবে ইহুদী-নাসারারা তাদের
কুটকৌশলের মাধ্যমে ইসলামের উপর
আঘাত হেনে যাচ্ছে।
মুল লেখক মিজানুর ভাই
বিষয়: বিবিধ
১২৩৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বারাক ওবামা আর এবারের শান্ত্রিতে নোবেল পুরুস্কার দেখে মনে হচ্ছে নোবেল কমিটি ও ভানুর ন্যায় চিন্তা করছেন! ইচ্ছা পোষন করলেই যেখানে কাজ হয়ে যায়!!
আরো মনে হচ্ছে নোবেল কমিটি পাক-ভারত শান্তির জন্য চিন্তা করে যেীথ পুরুস্কার দেওয়া হয়েছে। তাই মনে হয় আগামিবার পুরুস্কারটা নোবেল কমিটিকেই দেওয়া যায়!
কারন তারাও শান্তির চিন্তা করেছেন!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন