আবু জান্দালের ভাই-বোনদের দিকে কবে তাকাব [কপি-পেস্ট]
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৩০:২৩ বিকাল
[কপি-পেস্ট]
আবু জান্দালের ভাই-বোনদের দিকে কবে তাকাব
শরীফ মুহাম্মদ
হজরত আবু জান্দাল (রা.)। নির্যাতিত ও বিপ্লবী এক সাহাবি। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় তার শেকলপরা অশ্রুভেজা অস্তিত্বের কথা ইতিহাসে বেদনাময় অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। মক্কার কাফেরদের হাতে বন্দী ইসলামে নবদীক্ষিত আবুু জান্দালকে হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী আবার ফেরত পাঠাতে হয়েছিল। মুসলমানরা তাকে সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেননি। তার বিপন্ন-বিপর্যস্ত দশা দেখে মদিনা থেকে যাওয়া সাহাবিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু ওয়াদা রক্ষায় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনার কারণে তার জন্য তখন কিছু করা যায়নি। তাকে কাফেররা আবার নিজেদের জিম্মায় টেনে নিয়ে যায়।
সেই আবু জান্দাল পরে নিজ উদ্যোগে বন্দীশালা থেকে মুক্ত হয়েছেন। তিনিই অত্যাচারী কাফেরদের জায়গায় জায়গায় প্রতিরোধ করেছেন। এরপর তত্কালীন মক্কাবাসী কাফেরদের অনুরোধেই তাকে মদিনায় গ্রহণ করে নেয়া হয়। হুদাইবিয়ার চুক্তি না ভেঙেই মুসলমানরা ঈমান গ্রহণের অপরাধে (?) নির্যাতিত আবু জান্দালকে নিজেদের মধ্যে ফিরে পান। তারা স্বস্তি ও আনন্দ অনুভব করেন। হজরত আবু জান্দালের এ ইতিহাস ছিল ইসলামের প্রথম যুগের। মক্কায় তখনও মুসলমানদের শান্তিময় বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারা ছিলেন মদিনায়। এক অর্থে মক্কা তখন ছিল ভিন্ন রাষ্ট্র বা ভিন্ন কর্তৃত্বের অধীনে একটি অঞ্চল। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে আবার কি সেরকম নির্যাতন ও দমন-পীড়নের চিত্র ফিরে আসছে? ইসলাম গ্রহণের কারণে, ঈমানের পথে নবদীক্ষা লাভের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বা উপজাতীয় কিছু মুসলিম ভাই-বোন এই মুসলিমপ্রধান দেশে বন্দী হচ্ছেন। তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে। ইসলাম ছেড়ে অন্য ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য আমাদের সরকার, সমাজ ও সংস্থাগুলো কিছু করতে এগিয়ে আসছে না। দেশের মুসলিম ভাই-বোনরাও তাদের ঈমান বাঁচানোর কোনো সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এখন তো শেকলপরা হজরত আবু জান্দালের সেই পরিস্থিতি নেই। এখন তো কোনো চুক্তিজনিত কারণে ইসলামের প্রথম যুগের মতো পাশে দাঁড়াতে না পারার যুক্তি নেই। তাহলে কেন এমনটা ঘটছে?
দুই.
৮ জানুয়ারির দৈনিক আমার দেশ-এর এক রিপোর্টে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্মম নির্যাতনের শিকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা ঢাকায় এসে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েও রেহাই পাচ্ছে না। পুলিশ ও র্যাবে নিয়োজিত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় সোপর্দ করছে। পার্বত্যাঞ্চলের খ্রিস্টান মিশনারীদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সে হানা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওইসব সদস্য।
গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর বাসাবো এলাকার একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ৫ মুসলিম এবং তাদের ১১ সন্তানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ওই রিপোর্টে আরও জানা গেছে, বাসাবো মিরপুর ও গাজীপুরের বিভিন্ন মাদরাসা থেকে ইসলামে নবদীক্ষিত এসব মুসলিম ও তাদের সন্তানদের ধরে এনে পুলিশি হেফাজতে বিভিন্ন থানায়, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। তাদের নিজেদের জিম্মায় নেয়ার জন্য ‘ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’ নামক খ্রিস্টান মিশনারি সমর্থিত একটি সংস্থার লোকজন প্রকাশ্য তত্পরতা শুরু করে। নানা হয়রানির পর শেষ পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণের এফিডেভিট দেখে তাদের বেশিরভাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তিনজনকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ছেড়ে দেয়ার পর তাদের জোর করে খ্রিস্টানদের জিম্মায় নেয়া হয়। আরেক সূত্রে জানা গেছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের পার্বত্যাঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন পার্বত্যবাসী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নবদীক্ষিত মুসলমানরা গভীর আতঙ্ক, হতাশা আর অসহায়ত্বের মধ্যে দিন পার করছেন। ওই রিপোর্টে ক্ষুব্ধ জাতিগোষ্ঠীর নবদীক্ষিত মুসলিম ভাই-বোনদের ইসলাম গ্রহণের হৃদয় জাগানো একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
তিন.
ঢাকায় আশ্রয় নেয়া ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একজন মুসলমান, ‘আমি রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া এলাকার দুমদুমিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের এলাকায় কোনো স্কুল কিংবা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। কেবল খ্রিস্টান মিশনারিদের একটি মিশনারি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। বাধ্য হয়েই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব মুসলমান শিক্ষার্থীকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য সংস্থা পরিচালিত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। রাঙামাটি শহর থেকে আমাদের গ্রামে যেতে হয় কখনও হেঁটে, কখনও ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। শুকনো মৌসুমে যেতে প্রায় তিনদিন এবং বর্ষাকালে দু’দিন লাগে।’ তিনি বলেন, ‘দুমদুমিয়া গ্রামের কাছাকাছি পাহাড়ের উপরে বিজিবির একটি ক্যাম্প রয়েছে। ক্যাম্পে লাকড়ি সাপ্লাইয়ের কাজ করতাম আমি। বিজিবি সদস্যদের আজানের সুমধুর আওয়াজ এবং সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া দেখে তার মনে পরিবর্তন আসে। প্রায়ই আজানের জন্য অপেক্ষা করতাম এবং নামাজরত ব্যক্তিদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে সেও একই অনুভূতি প্রকাশ করে। পরে পুরো বিষয়টি গ্রামের সবার সঙ্গে আলাপ করলে তারাও মুসলমান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে দু’বছরেরও বেশি সময় তারা মুসলমান হওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হন। কাপ্তাই উপজেলার তত্কালীন ইউএনওর কাছে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের রুম থেকে বের করে দেন। ২০১০ সালে রাঙামাটি শহরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানতে পারি। কোনো ধরনের পূর্বযোগাযোগ ছাড়াই নারী-পুরুষ মিলে প্রায় ১৫-১৬ জনের একটি দল তাদের পোষা শূকর এবং ছাগল বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা দেন। শুকনো মৌসুম থাকায় কখনও হেঁটে, কখনও বোটে চড়ে প্রায় তিনদিন পর তারা রাঙামাটি এসে পৌঁছান। শহরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পর তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি যদিও ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য করা হয়েছে, তবু এখানে মানুষকে মুসলমান করার কোনো কার্যক্রম নেই। তবে ঢাকায় আবুজর গিফারী ট্রাস্টসহ আরও কিছু সরকার অনুমোদিত সংস্থা রয়েছে, যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ইসলামিক রীতিনীতি শেখাতে সহযোগিতা করে। তবে আগে এফিডেভিট করে মুসলমান না হলে ওই ট্রাস্টও সহযোগিতা করে না। ফলে তারা নিজ উদ্যোগে এফিডেভিট করে মুসলমান হয়ে পরে ঢাকায় গিয়ে নামাজ-রোজাসহ ইসলামের কিছু রীতিনীতি শিখে আসেন। পরে তাদের অনুসরণ করে ওই গ্রামের হেডম্যানসহ সব লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ক্রমান্বয়ে পার্শ্ববর্তী সাংগ্রছড়ি গ্রামের লোকজনও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করেন।
চার.
প্রশ্ন হচ্ছে, এত আগ্রহ, ত্যাগ ও কষ্ট করে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন ও করছেন, তাদের কি ইসলামের ওপর স্থির থাকতে দেয়া হবে না? তাদের কী অপরাধ? ইসলাম গ্রহণ কি তাহলে এদেশে অপরাধ? ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি সংখ্যাকে কি গত অর্ধ শতাব্দীকালে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান বানানো হয়নি? নতুনভাবে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা দেয়া হচ্ছে না? নবদীক্ষিত কয়েকজন মুসলিমকে বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা ও ইসলামী কমপ্লেক্স থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অথচ দেশজুড়ে শত শত দুর্গের মতো প্রাচীর দিয়ে ঘেরা চার্চ ও গির্জাগুলোয় নবদীক্ষিত লাখ লাখ খ্রিস্টান নারী-শিশুর বিষয়ে কখনো কোনো তল্লাশি ও অনুসন্ধান পর্যন্ত চালানো হয়নি। কেবল ইসলাম গ্রহণের কারণে কিছু সরলপ্রাণ ভাই-বোন সন্দেহ-অভিযোগেরও তীরে বিদ্ধ হতে থাকবেন? এটা কি ধর্মগ্রহণ ও ধর্মপালনের সমতাভিত্তিক নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে? এ বিষয়ে সরকার, সুশীল সমাজ, মিডিয়া, মুসলিম দেশবাসী, দীনদার মানুষ ও দাওয়াতের কাজে নানাভাবে নিয়োজিত প্রত্যেকের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ দরকার। দাওয়াতের চেতনা নিয়ে বিশ্ব ইজতেমা চলছে। এ অবস্থায় নবদীক্ষিত অসহায় মুসলিম ভাই-বোনদের নিয়ে ভাবা ও কর্মপন্থা ঠিক করার বিষয়টি অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। তা না হলে আবু জান্দালের আজকের ভাই-বোনদের দিকে আমরা কবে তাকাব?
কপি-পেস্ট সূত্রঃ আমার দেশ - আবু জান্দালের ভাই-বোনদের দিকে কবে তাকাব
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু কিছু সময় আছে, যখন যুদ্ধ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে ।
হে আল্লাহ আমাদের কমপক্ষে এতটুকু শক্তি আর ঐক্য দান কর, যেন জালিমদেরকে ধুলার সাথে মিশিয়ে দিতে পারি ।
@তারাচাঁদ- যথার্থ বলেছেন আমীন
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
[মন্তব্য এরিট করার সুযোগ নেই- আমারও খুব কষ্ট লাগে]
@আফরা- আমীন
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
আপনি তো ভাই আমাদের উপর একটি ওয়াজিব বাড়িয়ে দিচ্ছেন ।
আপনি যখন সালাম দেন, তখন এর চেয়েও উত্তমভাবে, অথবা কমপক্ষে সেরকম জবাব দেয়া ওয়াজিব হয়ে দাঁড়ায় ।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
কপি পেষ্ট হলে বিষয় নির্বাচনের এবং আমাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য আপনার ধন্যবাদ প্রাপ্য।
অনেক ভালো লাগল লিখাটি।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
শুকরিয়া জনাব
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ইন্না মা'য়াল 'উসরি ইউসরা
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
যথার্থ বলেছেন, সহমত
এমন ধারণা থেকেই কপিপেস্ট করা
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
যথার্থ বলেছেন, সহমত
কিন্তু যেকোন সংগ্রামে একজন নেতা লাগে-
বানী ইসরাইলও আল্লাহতায়ালার কাছে নেতার জন্য দোয়া করেছিল- ফলে তালুত ও পরে দাউদ আঃকে পেয়েছিল
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
সহমত , ধন্যবাদ
আসলে যখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধ ও জুলুম সংঘটিত হয় তখন সাধারণ মানুষের খুব বেশী কিছু করার থাকেনা যতক্ষণ কোন নেতৃত্ব ময়দানে না আসেন!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
কিছু কিছু সময় আছে, যখন যুদ্ধ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে ।
হে আল্লাহ আমাদের কমপক্ষে এতটুকু শক্তি আর ঐক্য দান কর, যেন জালিমদেরকে ধুলার সাথে মিশিয়ে দিতে পারি।
আমার মনের কথা। চলুৃন আমরা এ ব্লগের যারা সমমানসিকতার আছি তারা সকলে মিলে সরেজমিনে তাদের দেখে আসি। প্রয়োজন হলে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য একটা প্লাটফর্মও তৈরি করা যেতে পারে। যাকাতের অর্থ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে।
অনেক কিছুই করার আছে-
কিন্তু সরকারের সহযোগিতা না পেলেও কমপক্ষে বিরোধিতা না করা চাই, কিন্তু বর্তমান সরকার সেটুকু সুযোগ দিতেও রাজী নয়!
কম্যুনিটি ব্লগারস ফোরাম (সিবিএফ) দিয়ে কিছু করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
দেরীর জন্য দুঃখিত, বাস্তব কারণে প্রায় ছয় সপ্তাহ লগ-ইন করা হয়নি
মন্তব্য করতে লগইন করুন