ক্ষুদ্র শক্তির বিড়ম্বনাঃ
লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ২০ জুলাই, ২০১৪, ০৬:০৭:৫৭ সন্ধ্যা
১। তেলাপোকাটা ঠিক সাধারন মাপের না, একটু বড় সাইজের। শুঁড় দুইটা নাড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এরকম পরিস্থিতিতে আর পড়ি নাই। সমস্যা হল আমাকে সিজদা দিতে হবে, আর সিজদার ঠিক মাঝখানে এইটা বসে।
রোজার ঠিক আগে মসজিদে মাগরিবের নামাজের জামাতে দাঁড়িয়েছি। এইটা কোথা থেকে এল ভাববার সময় নাই। আশাপাশের লোকজন ইমামের সাথে সিজদায়। হজরত বড়পীর (রাঃ) এর একটা ঘটনা পড়েছিলাম। একটা দুষ্ট জীন সাপ হয়ে উনার ঈমানের পরীক্ষা নিতে সিজদায় বসে ছিল। উনি একহাতে সাপটাকে আস্তে করে সরিয়ে সিজদা দিয়েছিলেন। আমার ঈমান অনেক দুর্বল। এত বড় তেলাপোকা একহাতে আস্তে করে সরিয়ে সিজদা দেয়া প্রায় অসম্ভব।
আমি সিজদায় যেতে যেতে বামহাতে একটু জোরের সাথে সেটাকে ছুঁড়ে দিয়ে শান্তিমনে সিজদায় গেলাম। সেই তেলাপোকা গিয়ে পড়ল আরেক মুসল্লির পায়ে। উনি দিলেন পা ঝাড়া। সেটা উড়ে গিয়ে পড়ল আরেক মুসল্লির মাথায়। উনিও ঘাবড়ে গিয়ে মাথা ঝাড়া দেয়ার পর সেটা শুরু করল দৌড়াদৌড়ী। পরের সিজদায় সেটা যে কি তুলকালাম ঘটিয়ে দিল, বর্ণনায় গেলাম না।
বড়সড় ঈমানের পরীক্ষাই দিতে হল সবাইকে......।।
২। একবার গ্রামের বাড়িতে জুমার সময় উপস্থিত হয়েছি। ওখানেই পাশে রাখা একটা টুপি একদিকে ভাঁজ করা অবস্থায় মাথায় দিতে গিয়ে কি মনে করে শেষ মুহূর্তে ভাঁজটা খুলতেই একটা বিশাল জংলি টিকটিকি লাফ দিয়ে গায়ের উপর পড়ল। হতবিহবল হয়ে টুপি ফেলে দিলাম মাটিতে। শোকর আলহামদুলিল্লাহ সেই টুপি ভাঁজ না খুলে মাথায় দিলে মাথাতেই কেয়ামতের আলামত দেখে ফেলতাম।
৩। আমার কমপক্ষে ৩ জন বন্ধুর ল্যাপটপ তাদের বাচ্চারা শিশু থাকা অবস্থায় কোক বা চা ফেলে দিয়ে পরপারে পাঠিয়েছে। অভিযোগ - ওদের দিকে ঠিকমত মনোযোগ না দেয়া অথবা ওদেরকে ওদের ফরমায়েশ মত ল্যাপটপ ব্যবহার করতে না দেয়া।
মরাল অফ দ্য স্টোরিঃ ক্ষুদ্র বলিয়া কাহাকেও অবহেলা করা ঠিক না। ক্ষুদ্র হইলেও কখনো কখনো তাহাদের সামর্থ্য অপরিসীম......।।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৫ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তেলা পোকার উপর নাকি আনবিক রেডিয়েশন কোন ক্রিয়া করেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন