জালিম সরকারের খপ্পরে শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাই।
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৬ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৩১:৫৬ দুপুর
২০০৬ সালে ছাত্রসমাবেশে তিনি যখন বক্তৃতা শুরু করেছিলেন,তখন পুরো কলেজমাঠ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো।পুরো জেলা ভেঙ্গে এসে জড়ো হয়েছিলো কলেজমাঠে।
ঘন্টাখানেকের বেশী সময় ধরে যখন বক্তৃতা শেষ করলেন,তখন অন্যদের মাঝে ফিসফিসানি-তিনি এত দ্রুত বক্তৃতা শেষ করে দিলেন।
আমার সাথে যেসব কর্মীরা সমাবেশে উপস্হিত হয়েছিলো,তারা বলাবলি করছিলো-ইস!তিনি যদি আরো কয়েকঘন্টা বক্তৃতা দিতেন,তাহলেও শুনতে ক্লান্তিবোধ করতামনা।
রাজধানীতে আঠারো দলীয় জোটের সমাবেশে তিনি যখন বক্তৃতায় দাড়াতেন,তখন সমাবেশস্হল অন্যরুপ ধারন করতো।আবেগে কর্মীরা দাড়িয়ে যেতেন,মুহূর্মুহূ স্লোগানে পুরো সমাবেশস্হল কেঁপে উঠতো।
যার কথাগুলো ছিলো আগুনঝরা।যার বক্তৃতা ঘুমন্ত মানুষকে জাগ্রত করে তুলতো।যার কন্ঠে পেয়েছিলো হাজারো পথহারা যুবক তাদের সুপথের ঠিকানা।
যার অগ্নি সঞ্জিবীনী কন্ঠে কেঁপে উঠতো স্বৈরাচারের মসনদ।লাখো তরুন যার কন্ঠ শোনার জন্য পাগলপারা হয়ে যেতো।
আজ আওয়ামী জালিম সরকার সফল।তারা তাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে একটি কন্ঠকে রুদ্ধ করে দিতে পারছে।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইয়ের অবস্হা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ভাইয়ের চেয়ে ভিন্ন হবেনা।রিমান্ডের পর রিমান্ড নেওয়া হবে।রিমান্ডের নামে শারিরীক শক্তিকে দুর্বল করে দেওয়া হবে।কন্ঠশক্তি স্তিমিত করে দেওয়া হবে।
রিমান্ড মঞ্জুর না হলে রিমান্ডবিহীন জুলুম চালানো হবে।ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হবে,সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে,হাত-পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হবে,ডিমথেরাপি দেওয়া হবে,হাড়ের জোড়ায় আঘাত করা হবে,মানসিকভাবে দুর্বল করা হবে।
সরকার হয়ত সাময়িক সফল হতে পারবে।কিন্তু এই কন্ঠগুলোকে রুদ্ধ করে রাখা যাবেনা।সময়ের গতিধারায় এক শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইয়ের জায়গায় শত শত শফিকুল ইসলাম মাসুদ তৈরী হয়ে যাবে।
ইসলামী আন্দোলনের রাস্তা অতীতে কোন জুলুম-নির্যাতনে রুদ্ধ হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবেনা ইনশাআল্লাহ।।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন