নারীর সমঅধিকার,একটি সমাজ ধ্বংসের উথান
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:২৫:১০ রাত
'জেন্ডার ডিসক্রেমিনেশন'নিয়ে এক ছোট ভাই বললো-মেয়েরা তো এখন ডিসক্রেমিনেশন মানতে চায়না।তারা সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার চায়।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম-তুমি হিন্দী 'রোবট'মুভি দেখেছো?
বললো-হ্যা দেখেছি।
বললাম-সেখান থেকে কি বুঝেছো?
পাশ থেকে এক ফ্রেন্ড বলছে-রোবটের মধ্যে ইমোশন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।এজন্য ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিলো।
এবার বললাম-যতক্ষণ পর্যন্ত রোবটকে রোবটের মত রাখা হয়েছিলো,ততক্ষণ পর্যন্ত রোবট সঠিক পথে ছিলো।কিন্তু যখনই রোবটকে মানুষের সমকক্ষ বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো,তখনই দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছিলো।এবং এই মুভিটির সর্বশেষে আইন করা হয়েছিলো,কেউ রোবট বা এই জাতীয় কিছু বানাতে পারবেনা।
আজ নারী-পুরুষ সমঅধিকারের কথা বলা হচ্ছে।কিন্তু বাস্তবিকই তা সম্ভব?কেউ কারো চেয়ে কম মেধাবী বা যোগ্যতাসম্পন্ন নয়।কিন্তু তারপরও আল্লাহ নারী-পুরুষকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন।
কখনো পাশ্চাত্য সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখেছো,তাদের কি অবস্হা আর আমাদের কি অবস্হা?
ছোট ভাই বললো-ওদের অবস্হা বলার মত না।আমাদের দেশ ওদের মত হলে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আরেকজন বলছে-দোস্ত!আর বলিসনা,ওদের ৫৩ডভ% জারজ বা অবৈধ সন্তান।
-একদম ঠিক।এটা হচ্ছে সমঅধিকারের সুফল।নারীরা তাদের অধিকারের বলে যা খুশী তাই করবে,কিন্তু তুমি এজন্য কিছু করতে পারবেনা।তুমি তোমার পিতৃপরিচয় খুজে পাবানা।তোমার স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবানা।বিয়ের পরে বেশীরভাগ সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে।
আমি আমার দেশে এরকম দেখতে চাইনা।সামাজিকতা বলা হোক বা অসভ্যতা বলা হোক,আমার দেশের মানুষগুলো অনেক ভালো আছে।আমি আমার মায়ের জন্য ঐ পরিবেশ চাইনা,আমার বোনের জন্য চাইনা,আমার মেয়ের জন্য চাইনা।আমি এইটুকু চাই,আমার মা-বোনেরা নির্বিঘ্নে সুখে,শান্তিতে তাদের সংসার নিয়ে বেঁচে থাকুক।
সমাজ স্বাভাবিকভাবেই ভিন্নদিকে প্রবাহিত হচ্ছে।বাঙ্গালী বা মুসলিম সংস্কৃতি আজ খুজে পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে।সেখানে অনুপ্রবেশ ঘটেছে হিন্দী ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির।
সেই সংস্কৃতির জোরে সমঅধিকার স্হাপনের জন্য বলা হচ্ছে।এটি আমাদের সমাজের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর,সেটি এই আবেগপ্রবণ জাতি বুঝতে পারছেনা।যখন সবকিছু শেষ হয়ে যাবে,তখন হয়ত বলবে-আমার এই সমঅধিকারের চেয়ে বৈষম্যই ভালো ছিলো।আমি আমার স্বামী,সন্তান,নাতী,নাতনী নিয়ে সুখে বাস করতে পারতাম।সেটিতে থাকলে আমি পরিবারের একজন হয়ে থাকতেম,আমাকে কখনো বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে হতোনা।
এখন সময় আছে নিজেদের জেগে উঠার ও সুযোগ আছে সংশোধন করার।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
যেখানে সুযোগ আছে সেটা হাতায় ।
ট্রেমের টিকেটের লাইনে না দাঁড়িয়ে আগে আগে টিকিট পেতে চায় -- এটা সমধিকার না , এটা অগ্রাধিকার । এটা তারা যখন ভোগ করে তখন সমধিকার চায় না , চায় অগ্রাধিকার ।
একই পজিশনে চাকরি করবে , বেতনও একই নেবে । কিন্তু দূর্গন জায়গায় ট্যুরে যেতে বললে নারী বলে দায় এড়াতে চাইবে ।
নারী-পুরুষ যেমন মানুষ হিসেবে সমান কিন্তু জেন্ডার হিসেবে মোটেই সমান নয়। মুসলিম আর অমুসলিম যেমন মানুষ হিসেবে সমান কিন্তু বিশ্বাসের দিক থেকে মোটেই সমান নয়।
এ সমস্ত ভিন্নতার কারণে তাদের বৈশিষ্ট্যও বিভিন্ন পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই তাদের প্রয়োজন, প্রকৃতি, চাহিদা, সামর্থ ও বাস্তবতার আলোকেই তাদের অধিকারের বিষয়টি সামনে আসে। তাদের কি প্রয়োজন, তাদের সকলের স্রষ্টা ও মালিক মহান আল্লাহই তা ভাল জানেন। সুতরাং অধিকার নতুন করে সৃষ্টির বিষয় নয় বরং আল্লাহ প্রদত্ত অধিকার সকলে যেন সঠিকভাবে ভোগ করতে পারে সে বিষয়ে কাজ করা সকলের অবশ্য কর্তব্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন