এই সংবাদ পড়ার পরেও যারা ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের আদর্শ মনে করবে ওদের জুতা মারি (জানি লজ্জা পাবে না)..........

লিখেছেন লিখেছেন মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:২০:১৯ দুপুর







সন্তান প্রসবের পর হাতকড়া পরা অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন জাহাব হামাদি : এএফপি

১৯ বছর বয়সী কিশোরী বিক্ষোভকারী জাহাব হামাদি সন্তান প্রসব করার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় সদ্য প্রসূতির হাতকড়া পরা অবস্থার ছবি প্রকাশের পর জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।

চলতি সপ্তাহে জায়তুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কায়রোর দারিদ্র্যকবলিত এলাকা আল দার্ব আল আহমারে পারিবারিক বাড়িতে স্বামী আশরাফ সাইয়েদ (৩৪) বলেন, ‘কথিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য এখনো তার স্ত্রী জাহাব হামাদির বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে রয়েছে। পরিবারের আশঙ্কা পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তার স্ত্রীকে আবারো জেলে নিয়ে যাবে। আমরা অবিচার ও জুলুমের শিকার।’ তারা তাদের মেয়েটির নাম রেখেছেন, ‘হুররিয়া’ যার অর্থ স্বাধীনতা।

গত ১৪ জানুয়ারি নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটের প্রথম দিন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় চালানোর সময় জাহাব হামাদিকে গর্ভবতী অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। হামাদি জানান, তিনি একটি থানার পাশ দিয়ে হেঁটে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন না বলে বারবার জানানো সত্ত্বেও তাকে বিক্ষোভবিরোধী আইনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে ১৫ দিনের জেল দেয়া হয় যার মেয়াদ পরে তিন দফায় ১৫ দিন করে বাড়ানো হয়।

গ্রেফতারের পর পুলিশ অফিসার তাকে বলেন, ‘জেনে রেখো, তোমাকে জেলের মধ্যেই সন্তান প্রসব করতে হবে।’ গত সপ্তাহে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিনই তাদের প্রথম সন্তানটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। হামাদিকে তারপর হাসপাতালের বিছানায় একাধিকবার হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। বিছানায় তার ডান হাতে হাতকড়া পরা এ ছবি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কিশোরী নারীর প্রতি সরকারের এ ধরনের অমানবিক আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। এরপর দ্রুত তাকে মুক্তি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিসরের পুলিশ দেশের মানুষকে স্বেচ্ছাচারমূলক গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত রোববার মুক্তি পাওয়ার পর তার আইনজীবী হামাদির মতো অন্য যারা বন্দী রয়েছেন তাদের প্রতি দৃষ্টি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।সন্তান প্রসবের পর হাতকড়া পরা অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন জাহাব হামাদি : এএফপি

১৯ বছর বয়সী কিশোরী বিক্ষোভকারী জাহাব হামাদি সন্তান প্রসব করার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় সদ্য প্রসূতির হাতকড়া পরা অবস্থার ছবি প্রকাশের পর জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।

চলতি সপ্তাহে জায়তুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কায়রোর দারিদ্র্যকবলিত এলাকা আল দার্ব আল আহমারে পারিবারিক বাড়িতে স্বামী আশরাফ সাইয়েদ (৩৪) বলেন, ‘কথিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য এখনো তার স্ত্রী জাহাব হামাদির বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে রয়েছে। পরিবারের আশঙ্কা পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তার স্ত্রীকে আবারো জেলে নিয়ে যাবে। আমরা অবিচার ও জুলুমের শিকার।’ তারা তাদের মেয়েটির নাম রেখেছেন, ‘হুররিয়া’ যার অর্থ স্বাধীনতা।

গত ১৪ জানুয়ারি নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটের প্রথম দিন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় চালানোর সময় জাহাব হামাদিকে গর্ভবতী অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। হামাদি জানান, তিনি একটি থানার পাশ দিয়ে হেঁটে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন না বলে বারবার জানানো সত্ত্বেও তাকে বিক্ষোভবিরোধী আইনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে ১৫ দিনের জেল দেয়া হয় যার মেয়াদ পরে তিন দফায় ১৫ দিন করে বাড়ানো হয়।

গ্রেফতারের পর পুলিশ অফিসার তাকে বলেন, ‘জেনে রেখো, তোমাকে জেলের মধ্যেই সন্তান প্রসব করতে হবে।’ গত সপ্তাহে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিনই তাদের প্রথম সন্তানটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। হামাদিকে তারপর হাসপাতালের বিছানায় একাধিকবার হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। বিছানায় তার ডান হাতে হাতকড়া পরা এ ছবি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কিশোরী নারীর প্রতি সরকারের এ ধরনের অমানবিক আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। এরপর দ্রুত তাকে মুক্তি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিসরের পুলিশ দেশের মানুষকে স্বেচ্ছাচারমূলক গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত রোববার মুক্তি পাওয়ার পর তার আইনজীবী হামাদির মতো অন্য যারা বন্দী রয়েছেন তাদের প্রতি দৃষ্টি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিষয়: বিবিধ

১১২২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

180723
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমাদের দেশর এরা ওদের দেশের ওরা সবাই একজনেরই অনুসারী। দেশ ও জাতি ভিন্ন হলেও যার মগজ থেকে এত সব কুবুদ্ধি ও চালাকির সৃষ্টি হয় সে কিন্ত একজন, তার নাম হল 'শয়তান'। সুতরাং কাজ ও কাজের ধরন প্রকৃতি একই হবে আজ ও ভবিষ্যতে যেভাবে হয়েছিল অতীতে। শয়তান ও শয়তানের অনুসারীরা সর্বদা ঘৃণিত ও লাঞ্ছিত।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
133545
মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ লিখেছেন : তাতপর্যপূর্ণ মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ।
180724
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
সজল আহমেদ লিখেছেন : ভাল লেখা।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
133546
মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
180813
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
সেক্যুলাররা কখনই মানবিক হয় না। তারা ততক্ষণ আইন মানে যতক্ষণ তাদের দৃষ্টিতে তাদের স্বার্থ বজায় থাকে।

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৪
133654
মিষ্টি স্বপ্ন আরিফ লিখেছেন : সঠিক.. এবং একারণেই এরা সেকুলার বলে কিছু একটা প্রসব করতে পেরেছেন তা না হলে দুনিয়ায় এটা আইবর্ভাব হওয়ার কথা না। ঠিক পুজিবাদের মত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File