একটু সতর্কতার জন্য লেখা :
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:১০:৩৬ দুপুর
চাঁদপুর সরকারি কলেজ।
অনিক সাধারন একটা ছেলে।বাবা মার একমাত্র রতন।ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হল।ছেলেটা হাজারো স্বপ্নের বীজ বহে বেড়াচ্ছে।
ছেলেটার খারাপ কোন অভ্যাস নেই।একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে ইদানিং।সারাক্ষন কানে হেডফোন থাকে।হয়তো নতুন প্রেমে পড়েছে।কানের কাছে নজরুল সংগীত বাজে,নয়তো রোমান্টিক ইংলিশ গান।সেদিন মার্কেটের সেরা হেডফোনটা কিনল।দাম ৮০০ টাকা।
আজ তার মনটা অনেক ভালো। মন ভালোর জন্য সবসময় কারন লাগেনা।সাদা ফিতার পাওয়ারফুল হেডফোনটা কানে লাগিয়ে ফুল ভলিয়ামে চলছে কোন এক রক গান।অনিক খুব জমে গিয়েছে।রেললাইনের সোজা পথটা ধরে আনমনে হাটছে।কোনদিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই।দুর থেকে রেল গাড়ির শব্দ ভেসে আসছে।আস্তে আস্তে অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে।ছেলেটির এখনো কোন বোধ নেই।হঠাৎ এক ঝলকে ছেলেটির বাম পাশ দিয়ে একটা ধাক্কা মেরে ট্রেনটা ছলে গেল।
অনিক হাসপাতালের বেডে ।ডাক্তার বলে তার বাম হাত আর বাম পা কেটে ফেলতে হবে।তার মার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় ব্যবসায়ী হবে।বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে ব্যাংকার হবে।এখন দুজনের স্বপ্ন ছেলে আমার বেঁছে থাকুক।আর ছেলের আর্তনাদ বিধাতা আমাকে বাছিয়ে রেখেছেন কেন? আর এই অনিক আমার বাবার কলিগের ছেলে।
কথাগুলো বলতে গিয়ে বাবার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল।বুঝলাম সুস্থ ছেলেকে সতর্ক করতে বাবার এই আর্তনাদ।অনিকের বাবা মার কি অবস্থা।শুনেছি অনিকের বাবা ডাক্তারকে বারবার বলছেন আমার হাত পা কেটে আমার ছেলেকে লাগিয়ে দিন।তবুও সে যেন ভালো হয়ে যায়।।
এই বাবাকে বুঝানোর ক্ষমতা পৃথিবীর কারো নেই।
আমরা চাইনা আমাদের বাবাকে এরুপ অবুঝ করতে,চাইনা নিজেদের মৃত্যু নিজেই কামনা করতে। বিপদ আসার জন্য বড় ধরনের কারন লাগে না।তাই বন্ধুরা চলো আমরা সতর্ক থাকি।বাবা মার স্বপ্নগুলোকে আঁকড়ে ধরি।।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে এখন। অনেক ছেলে এই ভাবে নিয়ম ভেঙ্গে চলাকেই মনে করছে ষ্টাইল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন