পবিত্র রমজান মোবারক - এই রমজান তার স্নিগ্ধতা ও শুভ্রতার পরশ দ্বারা মহিমান্বিত করুক আমাদের সকলের জীবনকে

লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ৩১ মে, ২০১৭, ০৩:২০:৪২ দুপুর

পবিত্র রমজান মাস বান্দার প্রতি মহান আল্লাহতায়ালার এক বিশাল নেয়ামত । আলহামদুলিল্লাহ। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতে ভরপুর এই পবিত্রমাস। আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্ণ ভাবে এই নেয়ামাতসমূহ হাছিল করার তাওফিক দান করুন-আমীন। পবিত্র রমজান মাসে আপনার

জীবনে কে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ

শান্তি। এই পবিত্র রমজান মাসকে

পরিনত করুন আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ

রমজান । এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে

কাজে লাগানো যায় সে প্রচেষ্টা

চালানো। এ মাসে হেদায়াতের

আলোকবর্তিকা আল-কোরআন নাজিল

হয়েছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো

খুলে দেয়া হয়। এ মাসে জাহান্নামের

দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে

শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। একজন ঘোষণাকারী

ভাল কাজের আহ্বান জানাতে থাকে ও

খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে।

সাথে সাথে এটা হল মাগফিরাতের মাস,

জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। এ মাসে

রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার মাস

থেকে শ্রেষ্ঠ।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম বলেছেন :—

ﺍﻟﺼﻴﺎﻡ ﻭﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻳﺸﻔﻌﺎﻥ ﻟﻠﻌﺒﺪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ . . .

সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন

মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…

সর্বদা তওবা করা ওয়াজিব। বিশেষ করে এ

মাসে তো বটেই। এ মাসে তওবার অনুকূল

অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ

করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি

দেয়া হয়। এ ছাড়া রমজান মাসের সকল

ইবাদত বন্দেগি তওবার অনুকুল পরিবেশ

সৃষ্টি করে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

বলেছেন:—

ﺭﻏﻢ ﺃﻧﻒ ﺭﺟﻞ ﺩﺧﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﺛﻢ ﺍﻧﺴﻠﺦ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﻐﻔﺮ ﻟﻪ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ )

যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ

ক্ষমা করাতে পারেনি তার নাক ধুলায়

ধূসরিত হোক। বর্ণনায় : তিরমিজি

তাই রমজান মাসটাকে তওবা ও ক্ষমা

পাওয়ার মাস হিসেবে গ্রহণ করে সে

অনুযায়ী আমল করা উচিত

খ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস

বলেন :—

ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﺟﻮﺩ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺎﻟﺨﻴﺮ، ﻭﻛﺎﻥ ﺃﺟﻮﺩ ﻣﺎ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে

বেশি দানশীল। আর রমজানে তার বদান্যতা

আরো বেড়ে যেত। বর্ণনায় : মুসলিম

ইমাম শাফেয়ি (র.) বলেন, রাসূলুল্লাহ

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর

অনুসরণ করে তার উম্মতের জন্য উত্তম কাজ

হল রমজান মাসে তারা বেশি করে দান-

সদকা করবে। কারণ এ মাসে মানুষের

প্রয়োজন বেশি থাকে। অপরদিকে রমজান

হল জিহাদের মাস। তাই প্রত্যেকের উচিত

অর্থ-সম্পদ দান করার মাধ্যমে জিহাদে

অংশ নেয়া।

আল্লাহ রাব্বুল সিয়ামের বিধান বর্ণনা

করার পর বলেছেন -

ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻱ ﻋَﻨِّﻲ ﻓَﺈِﻧِّﻲ ﻗَﺮِﻳﺐٌ ﺃُﺟِﻴﺐُ ﺩَﻋْﻮَﺓَ ﺍﻟﺪَّﺍﻉِ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻥِ ) ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 186 : )

আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে

তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই।

প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা

করে আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দেই। সূরা

আল-বাকারা : ১৮৬। তাই সিয়াম

পালনকারী আল্লাহর কাছে অধিক

পরিমাণে দোয়া-প্রার্থনা করবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম বলেছেন :—

ﺛﻼﺙ ﺩﻋﻮﺍﺕ ﻣﺴﺘﺠﺎﺑﺔ : ﺩﻋﻮﺓ ﺍﻟﺼﺎﺋﻢ، ﺩﻋﻮﺓ ﺍﻟﻤﻈﻠﻮﻡ، ﺩﻋﻮﺓ ﺍﻟﻤﺴﺎﻓﺮ . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻓﻲ ﺷﻌﺐ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﻭﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ

তিনজনের দোয়া কবুল করা হয় ; সিয়াম

পালনকারীর দোয়া, অত্যাচারিত ব্যক্তির

দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া। সহি আল-

জামে

তওবা করা :

সর্বদা তওবা করা ওয়াজিব। বিশেষ করে এ

মাসে তো বটেই। এ মাসে তওবার অনুকূল

অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ

করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি

দেয়া হয়। এ ছাড়া রমজান মাসের সকল

ইবাদত বন্দেগি তওবার অনুকুল পরিবেশ

সৃষ্টি করে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

বলেছেন :—

ﺭﻏﻢ ﺃﻧﻒ ﺭﺟﻞ ﺩﺧﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﺛﻢ ﺍﻧﺴﻠﺦ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﻐﻔﺮ ﻟﻪ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ )

যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ

ক্ষমা করাতে পারেনি তার নাক ধুলায়

ধূসরিত হোক। বর্ণনায় : তিরমিজি

তাই রমজান মাসটাকে তওবা ও ক্ষমা

পাওয়ার মাস হিসেবে গ্রহণ করে সে

অনুযায়ী আমল করা উচিত।

নেক আমল করতে অধিক হারে চেষ্টা

অব্যাহত রাখা:

বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে -

ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﺩﺧﻞ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺃﺣﻴﻰ ﺍﻟﻠﻴﻞ، ﻭﺃﻳﻘﻆ ﺃﻫﻠﻪ، ﻭﺟﺪ ﻭﺷﺪ ﺍﻟﻤﺌﺰﺭ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :

যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম তখন রাত্রি জাগরণ করতেন,

পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে

দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভাল করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। বর্ণনায় : মুসলিম

তিনি আরো বলেন :—

ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺠﺘﻬﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻷﻭﺍﺧﺮ ﻣﺎ ﻻ ﻳﺠﺘﻬﺪﻩ ﻓﻲ ﻏﻴﺮﻩ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইবাদত-

বন্দেগিতে যে পরিশ্রম করতেন অন্য সময় এ

রকম করতেন না। বর্ণনায় : মুসলিম

বিষয়: বিবিধ

৮০০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383182
৩১ মে ২০১৭ রাত ০৯:১৩
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ
383187
৩১ মে ২০১৭ রাত ০৯:৩০
Mujahid Billah লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ☺

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File