একেই বলে সমাজের অবক্ষয় মাদকাসক্ত মেয়ে পিতা মাতাকে যে ভাবে দেহ বন্ধুদের দিয়ে খুন করাল...
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ১২:১৬:০৮ রাত
নারীর অধিকার অন্যকে দেহ ভোগ করতে দেয়ার জন্যই মা-বাবাকে খুন ...।
ঐশীর নির্দেশে বাবা-মাকে খুন করে বন্ধুরা
মেয়ে ঐশী রহমানের (১৭) বন্ধুদের হাতেই খুন হয়েছেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান (৪২) .আর হত্যার নির্দেশ দেন ঐশী নিজেই। হত্যাকাণ্ডে চার থেকে পাঁচজন বন্ধু অংশ নেয় বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঐশী। ঘটনার সময় সে পাশেই ছিল বলেও জানায়।
মা-বাবা খুন হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে পালিয়েছিল ঐশী। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে পল্টন থানায় এসে সে নিজের পরিচয় দিয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দেয়। পরে পুলিশকে সে এ তথ্য জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঐশী মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে। বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটায়। এমনকি অনেক রাতে বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরতো ঐশী। বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সে স্বীকার করেছে। আর এ কারণে তার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে মারধোর করতেন, তার বখাটেপনায় বাধা দিতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে বাসা থেকেও বের হতে দেয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, এসব কারণে বন্ধুদের নিয়ে ঐশী তার বাবা-মাকে খুন করে। হত্যাকাণ্ডে তার চার থেকে পাঁচ বন্ধু অংশ নেয়। ছুরিকাঘাতে মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা করা হয়। এ সময় সে পাশেই অবস্থান করছিল।
এদিকে শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, মাহফুজুর রহমানের গলায় এবং পেটে ছুরিকাঘাতের দু’টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শ্বাসনালী এবং পাকস্থলী কেটে গেছে। এছাড়া স্বপ্নার শরীরে ছুরির ১১টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চামেলীবাগের (বাসা নম্বর ২, বিল্ডিং-চামেলী, ৬ তলা, ফ্ল্যাট বি-৫) নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।Click this link
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন