১৯৭১ এর যুদ্ধের জন্য ক্ষমা চাওয়া: ইসলামিক দৃষ্টিকোণ
লিখেছেন লিখেছেন ড: মনজুর আশরাফ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:২৪:৩২ রাত
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মুসলিম-মুসলিম সংঘাত হিসেবে মূল্যায়নযোগ্য, কারণ উভয় পক্ষই মুসলিম ছিল (এক পক্ষ জালিম ছিল)। ইসলামে প্রথম কর্তব্য শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জালিমকে সংশোধন করা। পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। কিন্তু যারা যুদ্ধ চাননি, মানুষ রক্ষা করতে চেষ্টা করেছেন ও সংঘাত বন্ধে সর্বত চেষ্টা করেছেন —তাদের ক্ষমা চাইবার প্রশ্ন কি যৌক্তিক ইসলামের আলোকে? ইসলামের আলোকে তারা আদৌ কি ভুল করেছিলেন যে ক্ষমা চাইতে হবে? তবে এটা ঠিক যে,ইসলামী নীতি অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধের দায় পাকিস্তানি বাহিনী সহ সকল সহযোগী জালিমের।
এ আলোচনা পুরোপুরি একাডেমিক – কোরআন (মূলনীতি ১), হাদিস (মূলনীতি ২), মুসলমানদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে (জামাল, সিফফীন, নহরওয়ান প্রভৃতি) দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রসিদ্ধ স্কলারদের মতামত(মূলনীতি ৩) ভিত্তিতে রচিত।
মূলনীতি ১: মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত
এবং যদি মুমিনদের দুইটি দল পরস্পরের সাথে যুদ্ধ করে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করো। আর যদি তাদের একদল অন্য দলের উপর সীমালঙ্ঘন করে, তবে তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না তারা আল্লাহর বিধানে ফিরে আসে। অতঃপর যদি তারা ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মীমাংসা করো এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।(সূরা আল-হুজুরাত: ৯)
নিশ্চয়ই মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।(সূরা আল-হুজুরাত: ১০)
মূলনীতি ২: মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ সম্পর্কিত হাদিস
১. মুসলমানদের পারস্পরিক হত্যাকাণ্ড
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যদি দুই মুসলমান তলোয়ার নিয়ে একে অপরের মুখোমুখি হয়, তবে হত্যাকারী ও নিহত—উভয়ই জাহান্নামে যাবে।”
সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন: “হে আল্লাহর রাসূল, হত্যাকারী তো বটে, কিন্তু নিহত কেন?”
তিনি উত্তর দিলেন:
“কারণ সেও তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।”
সহীহ আল-বুখারী (৩১), সহীহ মুসলিম (২৮৮৮)
২. একজন মুসলমানকে হত্যা করা মহাপাপ
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যখন দুই মুসলমান তলোয়ার নিয়ে লড়াই করে, তখন হত্যাকারী ও নিহত উভয়ই জাহান্নামে যাবে।”
সহীহ মুসলিম (২৮৮৮)
৩. পারস্পরিক হত্যাকাণ্ডে ফিরে যাওয়ার সতর্কবার্তা
বিদায় হজ্জে রাসূল ﷺ বলেছেন:
“আমার পরে তোমরা আবার কাফিরে পরিণত হয়ো না, যে তোমরা একে অপরের ঘাড়ে আঘাত করবে।”
সহীহ আল-বুখারী (৪৪০৫), সহীহ মুসলিম (৬৫)
৪. মুসলমানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“একজন মুসলমানের রক্ত, সম্পদ ও মর্যাদা অন্য মুসলমানের জন্য হারাম (অক্ষত ও পবিত্র)।”
সহীহ মুসলিম (২৫৬৪)
৫. ফিতনার সময় জিহ্বা ও হাত সংযত রাখা
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“ফিতনার সময় বসে থাকা দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে উত্তম, দাঁড়িয়ে থাকা হাঁটার চেয়ে উত্তম, আর হাঁটা দৌড়ানোর চেয়ে উত্তম। যে এতে জড়িয়ে পড়বে, তা তাকে ধ্বংস করবে। সুতরাং যে আশ্রয় বা রক্ষা পেতে পারে, সে যেন তা খুঁজে নেয়।”
সহীহ আল-বুখারী (৩৬০১), সহীহ মুসলিম (২৮৮৬)
মূলনীতি ৩: মুসলমানদের মধ্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে (জামাল, সিফফীন, নহরওয়ান প্রভৃতি) দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রসিদ্ধ স্কলারদের মতামত:
হযরত আলী ইবনে আবী তালিব ও মু‘আবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ানের যুদ্ধ শুরু হয় খলিফা উসমান (রা.)-এর শাহাদাতের পর। আলী (রা.) চতুর্থ খলিফা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, কিন্তু উসমানের আত্মীয় ও সিরিয়ার গভর্নর মু‘আবিয়া (রা.) প্রতিশোধ নেওয়ার আগে আনুগত্য স্বীকার করতে অস্বীকার করেন। এর ফলে সিফফিনের যুদ্ধ (৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দ) সংঘটিত হয়, যেখানে প্রবল লড়াইয়ে প্রায় ৭০,০০০ মানুষ নিহত হন বলে প্রাচীন ঐতিহাসিকরা উল্লেখ করেছেন। যুদ্ধ শেষে সালিশি (তাহকীম) করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের অনেক প্রসিদ্ধ স্কলার (যেমন হাসান আল-বাসরী, সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব, এবং মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ) মুসলমানদের মধ্যকার যুদ্ধগুলোকে (জামাল, সিফফীন, নহরওয়ান প্রভৃতি) প্রাথমিক উম্মাহর ঐক্য থেকে দুঃখজনক বিচ্যুতি হিসেবে দেখতেন।
দুই মুসলিম দলের মাঝে যুদ্ধ সম্পর্কে তাদের ইজতিহাদ (মতামত) সূক্ষ বিবেচনার দাবি রাখে – এমনকি ১৯৭১ এর যুদ্ধ সহ দুই মুসলিম দলের মাঝে যেকোন যুদ্ধ পর্যালোচনার ক্ষেত্রেও (ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে)।
১. ইমাম আত-তাহাওয়ী (মৃত্যু: ৩২১ হিজরি / ৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)
আল-আকীদাহ আত-তাহাওয়িয়্যাহ গ্রন্থে তিনি বলেন:
“আমরা সাহাবিদের সম্পর্কে কেবল উত্তম কথাই বলি। আমরা তাঁদের সবাইকে ভালোবাসি এবং তাঁদের সম্পর্কে শুধু ভালো কথাই বলি। তাঁদের পারস্পরিক মতভেদ আমরা আল্লাহর কাছে সমর্পণ করি।” আত-তাহাওয়ীর আকীদাহ সুন্নি অবস্থানের মানদণ্ডে পরিণত হয়েছিল: আলীর খেলাফতকে স্বীকৃতি দেওয়া কিন্তু মু‘আবিয়ার নিন্দা থেকে বিরত থাকা।
২. ইমাম আন-নববী (মৃত্যু: ৬৭৬ হিজরি / ১২৭৭ খ্রিষ্টাব্দ)
সহীহ মুসলিম ব্যাখ্যায় তিনি লিখেছেন:
“সত্য আলীর পক্ষে ছিল, আর মু‘আবিয়া ভুল করেছিলেন। তবে তাঁর এ ভুল ছিল ইজতিহাদের ক্ষেত্রে, তাই তিনি ক্ষমার যোগ্য। তাঁর এই ভুল তাঁর সাহাবী হওয়ার মর্যাদা, তাঁর তাকওয়া ও সততা নষ্ট করে না।”
শরহ সহীহ মুসলিম, ১৮/১০
৩. ইবন তাইমিয়্যাহ (মৃত্যু: ৭২৮ হিজরি / ১৩২৮ খ্রিষ্টাব্দ)
মিনহাজুস-সুন্নাহ আন-নববিয়্যাহ গ্রন্থে তিনি বলেন:
“আলী সত্যের অধিক নিকটবর্তী ছিলেন মু‘আবিয়ার তুলনায়, এবং আলী ও তাঁর সঙ্গীরা সঠিকতার অধিক যোগ্য ছিলেন। তবুও মু‘আবিয়া ও তাঁর অনুসারীরা কেবল দুনিয়াবি স্বার্থ চাচ্ছিলেন না; বরং তাঁরাও ইজতিহাদকারী ছিলেন এবং নিজেদেরকে সত্যের উপর মনে করতেন।”
মিনহাজুস-সুন্নাহ, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৮১
৪. মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আশ-শিখখীর (মৃত্যু: ৯৫ হিজরি / ৭১৪ খ্রি. খ্রিষ্টাব্দ) মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি:
মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আশ-শিখখীর ছিলেন প্রাথমিক যুগের মুসলিম আলেম ও তাবেঈ, অর্থাৎ সাহাবিদের পরবর্তী প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত।
মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর গভীর তাকওয়া ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত ফিতনা (গৃহযুদ্ধ) থেকে দূরে থাকার প্রবল আগ্রহের জন্য পরিচিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিল সিফফীন যুদ্ধ (৬৫৭ খ্রি., যেখানে হযরত আলী ইবনে আবি তালিব ও মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল)।
তাঁর যে বক্তব্যগুলো রয়েছে:
(ক) গৃহযুদ্ধ এড়িয়ে চলা: তিনি জোর দিয়ে বলতেন যে মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ একটি ভয়াবহ বিপর্যয়, এবং একজন মুমিনের উচিত আরেকজন মুসলমানের রক্ত ঝরানো থেকে বিরত থাকা।
(খ) ফিতনায় নিরপেক্ষ থাকা: যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হতো কোন পক্ষের সাথে যোগ দেওয়া উচিত, তিনি পক্ষপাতিত্ব নিরুৎসাহিত করতেন। বরং তিনি ইবাদত ও আল্লাহর আনুগত্যে মনোনিবেশ করতে বলতেন।
(গ) ধৈর্যের নীতি: তাঁর উক্তি থেকে জানা যায়, মুসলমানরা যখন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তখন সবচেয়ে নিরাপদ পথ হলো ধৈর্য ধরা, রক্তপাত এড়িয়ে চলা এবং অন্যায়ের সাথে অংশগ্রহণ না করা।
সাধারণ প্রেক্ষাপট:
দ্বিতীয় প্রজন্মের অনেক প্রসিদ্ধ স্কলার (যেমন হাসান আল-বাসরী, সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব, এবং মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ) মুসলমানদের মধ্যকার যুদ্ধগুলোকে (জামাল, সিফফীন, নহরওয়ান প্রভৃতি) প্রাথমিক উম্মাহর ঐক্য থেকে দুঃখজনক বিচ্যুতি হিসেবে দেখতেন। তাঁরা প্রায়ই উপদেশ দিতেন:
“যখন মুসলমানদের রক্ত ঝরছে তখন উভয় শিবির থেকেই দূরে থাকো।”
রাজনীতিক সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে ইবাদত, আল্লাহর স্মরণ এবং আত্মশুদ্ধির প্রতি মনোনিবেশ করো।
সারমর্ম:
মূলত, মুতাররিফ ইবনে আবদুল্লাহ মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধকে ভীষণ বিপদ ও দুঃখের বিষয় বলে মনে করতেন। তিনি বরং দূরে থাকা, ধৈর্য ধারণ করা এবং অংশগ্রহণ না করার পক্ষে ছিলেন।
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ:
১৯৭১ সালের যুদ্ধ ঘটেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে, যা পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)-এর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় অস্বীকার করার পর বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি সেনাদের সামরিক দমনপীড়ন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ঘটায়, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং শেষ পর্যন্ত ভারতের হস্তক্ষেপের পথ তৈরি করে।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চাননি; বরং তাঁর অগ্রাধিকার ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করা, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরপুর বিজয়ের পর। তিনি ধারাবাহিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ অনুসরণ করেছিলেন। তবে পাকিস্তানি সামরিক শাসকেরা নির্বাচনের ফলাফল মানতে অস্বীকার করলে, এবং ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান (অপারেশন সার্চলাইট) রাজনৈতিক সমাধানের পথ বন্ধ করে দেয়। গণহত্যা, গ্রেপ্তার ও হত্যাযজ্ঞ শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব সুযোগ নষ্ট করে দেয়, এবং গণতন্ত্র ও আলোচনার মাধ্যমে যা মুজিব চেয়েছিলেন, তা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বিপুল প্রাণহানি ঘটায়, যদিও মৃতের সঠিক সংখ্যা এখনো বিতর্কিত। বাংলাদেশ সরকার দাবি করে যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল, যা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন এবং যা জাতীয় স্মৃতির অংশ, যদিও সরকার কখনো সঠিক হিসাব করেনি। অপরদিকে পাকিস্তান এই দাবিকে অস্বীকার করে এবং অনেক কম সংখ্যা প্রস্তাব করে, যা ২৬,০০০ থেকে ১ লাখ এর মধ্যে। বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও, নৃশংসতা ও গণহত্যা অস্বীকারযোগ্য নয়।
প্রশ্ন:
১) ১৯৭১ এর যুদ্ধকে কি মুসলিম-অমুসলিম যুদ্ধ হিসেবে নাকি মুসলিম-মুসলিম যুদ্ধ হিসেবে মূল্যায়ন করা যায়? আপনি পাকিস্তানী শাসককে জালিম বলতে পারেন কিন্তু কাফের বলতে পারেননা।
২) উপরের ইসলামিক স্কলারলি দৃষ্টিকোণ থেকে ১৯৭১ এর যুদ্ধে শুরুতেই অংশ নেয়া কি ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ আরেক পক্ষ যদি ‘কাফের’ না হয়ে থাকে?
নাকি সর্বাগ্রে দুই মুসলিম দেশের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা দায়িত্ব? যেখানে ভারতের মত শত্রু কাফের দেশ এ যুদ্ধতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল নিজের স্বার্থে?
কোনটি সবচেয়ে প্রথমে করা প্রয়োজন?
জুলুমকারী মুসলিমকে সংশোধন করা অবশ্যই কর্তব্য।
পাকিস্তানী বাহিনী ক্ষমা চাইতে পারে এবং চেয়েছে। কারন তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
কিন্তু যারা এ যুদ্ধ চায়নি – বা যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছে উপরের উল্লিখিত ইসলামী মূলনীতি অনুযায়ী এবং কোন হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় নাই — বরং মানুষ বাঁচাতে চেয়েছে এবং একই সাথে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছে — তারা কেন ক্ষমা চাইবে?
কোন ইসলামিক মূলনীতি অনুযায়ী?
আরও বড় প্রশ্ন থাকে: জামায়াত যদি ৭১ এ মুসলিম দলের (পশ্চিম পাকিস্তান) বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থাকে এ ইজতিহাদের উপর ভিত্তি করে যে: তারা ইসলামিক অনুশাসন পূর্ণভাবে পালন করছেন (উপরের ৩টি মূলনীতির আলোকে), তবে ৫০ বছর পর, নিছক মানুষকে সন্তুষ্ট করতে কেন সেই ইসলামিক অনুশাসন পালনের জন্য ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ তথা দু:খ প্রকাশ করবে? এতে কি ইসলামিক বিধানকে ছোট করা হবে না?
বিষয়: বিবিধ
৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন