আত্মার খোরাক (১২)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৩৩:২৭ দুপুর
রোগ গ্রস্থ মুসলিম ভাইয়ের হক্ব সম্পর্কে হাদীসঃ-
হযরত আবু মুসা আশআরি (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা ক্ষুধার্তকে খেতে দেবে, রোগীর পরিচর্যা করবে এবং বন্দীকে মুক্ত করে দিবে।"
(বুখারী)
হযরত ছাওবান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ একজন মুসলাম যখন তার কোন রুগ্ন মুসলমান ভাইয়ের সেবা করতে থাকে, তখন যেন সে জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে বাড়ী ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(মুসলিম)
ব্যাখ্যাঃ- পবিত্র কোরআন ও হাদীসে মুসলমানদেরক পরষ্পরের সম্পর্ককে ভাইয়ের সম্পর্কের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মুসলিম সমাজ একে অপরের প্রতি সদয় ও সহানভূতিশীল হবে এটাই আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) এর কাম্য। সুতরাং একজন মুসলমান যখন রোগ গ্রস্থ হয়, তখন অন্য মুসলমা ভাইয়ের তার খোজ-খবর নেয়া ও তার পরিচর্যা করা উচিৎ।
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ মুসলামেনর একের উপর অন্যের ছয়টি হক্ব বয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর নবী (সঃ) সেগুলো কি? হুযুর (সঃ) বললেনঃ যখন তুমি (কোন মুসলমানের) দেখা পাবে, তখন সালাম দিবে। যখন কেহ তোমাকে দাওয়াত দেয়, তার দাওয়াত কবুল করবে। কেহ উপদেশ চাইলে তাকে উপরদেশ দিবে। হাঁচি দিয়ে যখনই "আলহামদুলিল্লাহ" বলে তুমি তার জবাবে"ইয়ার হামুকাল্লাহ" বলবে। রোগাক্রান্ত হলে তাকে দেখতে যাবে। আর কেহ মারা গেলে তার জানাজা ও দাফনে শরীক হবে।"
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ (কোন এক ব্যক্তিকে লক্ষ করে) বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি রোগাক্রান্ত হয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমার সেবা করনি। সে বলবে হে আমার প্রতিপালক! তুমি করে রোগাক্রান্ত হলে যে আমি তোমার সেবা করতে আসব অথচ তুমি সারা বিশ্বের প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দার পীড়িত হওয়া সম্পর্কে তুমি অবগত ছিলো, অথচ তুমি তার সেবা করতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তার সেবা করতে যেতে, তাহলে আমাকে তুমি সেখানে পেতে।
(মুসলিম)
ব্যাখ্যাঃ- হাদীসের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, আর্তের সেবা, ক্ষুধার্তকে অন্ন দান এবং তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো আল্লাহর নিকট অতীব প্রিয় কাজ। আর এসব কাজে লোক যা কিছু ব্যয় করে যা আল্লাহর নিকট মওজুদ থাকে।
বিষয়: বিবিধ
১০৭২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উৎসাহ মূলক মন্তব্য রেখে যাবার জন্য আপনাকে যাযাকুমুল্লাহ!
হাদীসের মর্মবানী দ্বারা সাজানো লিখাটি অনেক ভালো লেগেছে। জাযাকিল্লাহ খাইর।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে তার প্রিয় কাজগুলো করার মন-মানষিকতা তৈরি করে দিন আর কবুল করে নিন! আমিন!
কেউ অসুস্থ হলে আমি খুব চেস্টা করি খোঁজ নেয়ার, দেখতে যাওয়ার! ৭০,০০০ রহমতের ফেরেশতাগনের দোআ লাভের লোভ থেকে সংবরন করতে পারি না নিজেকে!
জযাকিল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন