জীবনের টক-মিষ্টি রম্যকাহিনীঃ এপ্রন পরা মেয়ে পাগল করেছে
লিখেছেন লিখেছেন শুভ কবি ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৫০:০০ দুপুর
মেডিক্যাল পড়ুয়া মেয়েদের এপ্রন যেন তাদের বোরকা ( তাও ভাল এক উছিলায় গায়ে কিছুতো দেয় :P ) বাসা থেকে বের হয়ে কলেজের ক্লাস করা পর্যন্ততো গায়ে দিবেই,ডেট করতে গেলেও পড়বে। পারেতো কোন অনুষ্ঠানে বেড়াতে গেলেও পড়বে
আর এক্ষেত্রে ছেলেরা পড়ে নতুন নতুন এডমিট হবার পরের কয়দিন। তারপর তাদের এপ্রন গায়ে দেয়ায় থাকে রাজ্যের অনীহা। সে এপ্রন স্থান পায় তাদের হাতে,ঘাড়ে বেশির ভাগ সময়ই ব্যাগের ভিতরে :P
যা হোক যেটা লিখতে চাইছি, আমার একমাত্র ছোট বোন এবার হলিক্রস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক দিল। ফার্মগেট এডমিশন কোচিং করে আর মিরপুর-১০ এ এডমিশনের জন্য প্রাইভেট পড়ে। তো বোনকে ফার্মগেট কোচিং থেকে ১০ নম্বর আনতে যাচ্ছিলাম আর বাসায় ও জুলজি বই ফেলে গেছে সেটা হাতে করে বের হয়েছি।
১০ নম্বর থেকে "বিকল্প"তে উঠলাম। আহা!পাশে এসে বসল এক এপ্রন পরিহিতা ঝকঝকে সাদা এপ্রন বলে দিচ্ছে ফার্স্ট ইয়ার :প "মাথার উপর কাক আমিতো অবাক" করে দিয়ে আমার হাতে থাকা ইন্টারের জুলজি বই দেখে বলে উঠল, " এডমিশন দিবা বুঝি? হুম দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব চিন্তিত তুমি............... "
আমি-বলতে চাইছিলাম............
এপ্রন পরিহিতা-কি বলতে চাইছিলা? আমি কিভাবে পড়েছি? এইভাবে এইভাবে .......
আমি- না আপু বলতে চাইছিলাম, আমি আসলে এডমিশন দিবনা.........
এপ্রন পরিহিতা-বুঝেছি HSC খারাপ দিয়েছ।শোন, জীবন নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা ( একগাদা উপদেশ)
আমি-আপু আপনি যদি আমাকে না থামিয়ে দেন একটি কথা বলতাম।
এপ্রন পরিহিতা- জী বল বল ( মুখে হাসি এনে )
আমি- আপু,আমি দেখতে বুইড়া খাটাশ। ক্যামনে ভাবলেন আমি এত গুইদা?? হাতে ইন্টারের বই থাকলেই সে এডমিশন দেয়নারে। আমি নিজে একজন তরুন ডাক্তার -_-
ইহা শুনিয়া মুখ কাচুমাচু করিয়া সে আমার পার্শ্ব হইতে প্রস্থান করিলেন
মোরালিটিঃ কারো সম্পর্কে না জেনে কিছু ভাবিয়া লউয়া অনুচিত
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারো সম্পর্কে না জেনে কিছু ভাবিয়া লউয়া অনুচিত
মন্তব্য করতে লগইন করুন