গল্পে গল্পে শিক্ষা-আ
লিখেছেন লিখেছেন জ্ঞানের কথা ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:০১:৪৯ সন্ধ্যা
হযরত জুননুন মিছরী (রহ) বলেন, এক সময় কাবা শরীফের নিকট জনৈক যুবককে দেখিতে পাই যে ধড়াধড় সিজদার উপর সেজদাই করিতেছে। আমি বলিলাম, খুব বেশী বেশী নামাজ পড়িতেছ মনেহয়?
যুবক বলিল দেশে ফিরিবার অনুমতি চাহিতেছি।
হঠাৎ দেখি উপর হইতে একটা কাগজের টুকরা পড়িল উহাতে লেখা ছিল
“বড় ক্ষমাশীল এবং ইজ্জতওয়ালা মনিবের তরফ হইতে শোকর গোজার বান্দার প্রতি তুমি দেশে ফিরিয়া যাও এই অবস্থায় যে, তোমার আগের পিছের সমস্থ গোনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হইল।
@@@@@@@@@@@@@@@
ঘটনার ফাজায়েল:
১. মুরগির খাবারের মতো সিজদা করা বৈধ
২. কাবা থেকে দেশে ফিরতে কারো অনুমতি লাগে
৩. কাগজের টুকরা পড়তে পারে উপর হতে
৪. কাগজে ক্ষমার কথা লেখা থাকতে পারে
৫. কাগজে ওহী নাজিল হতে পারে
৬. আপনার হজ্জে গেলে একবার ট্রাইক করবেন
অতিরিক্ত কোন ফাজায়েল চোখে আর পড়ছে না, পেলে জানাবেন। ঘটনার হাওয়ালা চাওয়া নিষেধ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাই হোক,
আরবীতে চিঠিকে 'রিসালা' বলে। কোন কোম্পানী থেকে আরেক কোম্পানীতে, কোন ব্যক্তি থেকে অন্য কোন ব্যক্তির কাছের চিঠি গেলে তাকে রিসালা হিসেবে বুঝানো হয়। যার কাছে চিঠিটি পৌছে যায়, আরবী ভাষায় বুঝায় তিনি রিসালাত পেয়েছেন!
একই ভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন চিঠি আসলে তাকেও রিসালা বলে থাকে। যেমন কোরআন একটি চিঠি স্বরূপ, তাই কোরআনকে রিসালা বলে।
সেভাবে যার কাছে রিসালা আসে তিনি রিসালাত প্রাপ্ত। যেমন মুহাম্মদ (সাঃ) রিসালাত প্রাপ্ত। যিনি এই রিসালা পান, তাকে রাসুল বলে। যদি এই চিঠি আল্লাহর পক্ষ হতে কেউ পেয়ে যান তাকে 'রাসুলুল্লাহ' তথা আল্লাহর পক্ষ হতে চিঠি প্রাপ্ত বুঝান হয়।
আপনার গল্পের সেই বালক আল্লাহর পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছেন, তাই তিনি 'রাসুলুল্লাহ'। আমার এই কথাগুলো নিয়ে সন্দেহ হলে, কোন আলেম কে দেখান ব্যাখা সত্যি কিনা, কোন আলেম থাকলে আশা করি আমার কথার জবাব দিবেন।
এবার আপনিই বলুন, গল্পের ছলে যে, কথা গুলো বলা হল, আল্লাহর পক্ষ থেকে চিঠি এসেছে!
তা কি সঠিক হল?
তা কি ঠিক হল?
এটা আরবী না জানার কারণেই হয়েছে। আপনাকে আহত করার জন্য বললাম না। তবে ঘটনা কিন্তু আমার কথাগুলোকেই প্রতিষ্ঠিত করবে। অনেক ধন্যবাদ
ভাই, এটা আমার বুজুর্গ এর হজ্জের কিচ্ছা। আমির কিছু করার নাই। আপনি যতই বলেন তা আমার বোধগম্য নয়।
ইরান ফেরত বন্ধু জামশেদ ফার্সী একদা বুজুর্গুর একটি ব্যাখা দিয়েছিল। আজ সেটা হুবহু মনে পড়ে গেল।
ফার্সি ভাষায় 'বুজ' শৃগাল।
আর 'গু' মানে মল।
ফলে বুজুর্গুর অর্থ দাড়ায় শৃগালের মল।
আসলে এটা আমার কথা নয়, বন্ধু জামশেদ ফার্সীর কথা। আপনাকে অনেক ধন্যাবাদ।
আমিএর তিব্র্রতর নিন্দা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ভাই। আপনার বন্ধুকে মিষ্টি খাওয়াতে চাই।
বুজুর্গের জ্ঞানের কথা বলে কথা।
আবার অনেকে তো আছে, লাব্বাইক বলেন না কেননা আকাশ থেকে তাদের কাছে আওয়াজ আসবে লা লাব্বাইক ইয়া আবদি।
বাহ! আপনার জ্ঞানের কথা অনেক সুন্দর।
গোনাহ মাফ কে করতে পারে? বুঝে নিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন