একটুখানি দুষ্টামি

লিখেছেন লিখেছেন ক্রসফায়ার ০২ জুন, ২০১৫, ০৮:৫৮:৩২ সকাল

সে অনেক দিন আগের কথা, ভারতের অঙ্গরাজ্য বাংলাদেশ শাসন করতো হাসিনা নামের এক রানী। তিনি তার শাসনামল নিয়ে খুবই গর্ববোধ করতেন। একদিন তিনি ইচ্ছা পোষন করলেন রাতের আঁধারে তিনি রাজ্য ঘুরে বেড়াবেন, মানুষের সুখ দুঃখ দেখবেন। চিন্তামতই তিনি মুখে একটা কাপড় ঢেকে একাকী বেরিয়ে পড়লেন। রাজপ্রসাদ থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তার পাশ ঘেঁষে তিনি হাঁটছিলেন, তিনি দেখতে পেলেন কয়েকটি ছেলে তার ও তার বাবার ছবি সম্বলিত পোস্টার দিয়ে পরিপূর্ণ ছাত্রলীগ কার্যালয় নামক একটি ঘরে বসে হৈ হুল্লোড় করছে। তিনি খুশিতে গদগদ হয়ে গেলেন, তাই আবেগী হয়ে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে এগিয়ে গেলেন। মুখ কাপড়ে ঢাকা থাকায় তারা রানীকে চিনতে পারেনি আর পণোর্মুভি দেখে ছেলেগুলি খুবই কামাতুর হয়ে গিয়েছিল বিধায় কোন দিকে না তাকিয়েই রানীকে আক্রমন করে বসলো। তারপর একে একে ৭ জন কর্মী রানীকে নিয়ে দুষ্টামী করলো। রানী কোনরকমে সেখান থেকে পালিয়ে চলে এলো, কষ্ট করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতেঁ একটি শ্রমিকলীগের কার্যালয় নামক ভাঙ্গারী ঘরের পাশে এসে দাঁড়ালেন। তিনি শুনতে পারলেন কেউ একজন মোবাইলে গান শুনছে "যদি রাত পোহালেই শুনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই....." রাণী খুশি হয়ে আগের দুষ্টামির কথা ভুলে গেলেন, তিনি এগিয়ে গিয়ে ঘরের দরজায় টোকা দিলেন। মাদকাশক্ত এক লোক সেখান থেকে বেরিয়ে এলো এবং "এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি বলে'' লোকটি রানীকে ঘরের ভিতর নিয়ে গেলো এবং ঘন্টাখানেকের মত দুষ্টামি করেদিলো। পরে কৌশলে রানী ঐ ঘর থেকে বেরিয়ে গেল এবং দুঃখ ভারাকান্ত মন নিয়ে যখন রাজপ্রাসাদে ফিরে যাবার মনস্থির করলো তখন ৭/৮ জনের একটি বাহিনী তাকে জোর করে একটি ট্রাকে তুলে নিলো, তারপর তারাও জয় বাংলা বলে কিছুক্ষণ দুষ্টামী করার পর রাস্তার পাশে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। মনক্ষুন্ন রাণী যখন রাজপ্রাসাদের দিকে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলেন তখন পুলিশের একটি ভ্যান তার পথরোধ করে দাঁড়ালো এবং নানারকম প্রশ্নবানে জর্জরিত করে তুললো তবুও রাণী নিজের পরিচয় গোপন রাখলেন। পুলিশের সন্দেহ আরো বেড়ে গেলো এবং রাস্তার রানীকে তাদের কাছে মেয়ে বলে মনে হলো। পুলিশ সদস্যরাও সুযোগ বুঝে রানীকে দুষ্টমি করে দিলো। টানা ধকল সইতে না পেরে রাণী জ্ঞান হারালো এবং জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পেলো বিপুল ক্ষমতাধর রাণী হাসিনা।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য