মোদ্দাকথা ‘সকলেই এঁরা অমানুষ !’

লিখেছেন লিখেছেন নাজমুল আহসান ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৪৩:১০ সন্ধ্যা

যে ভালবাসতে জানে তার জীবনে ভালবাসার অভাব হয়না-এমন একটি কথা ভালবাসার জগতে প্রচলিত রয়েছে ।অমাদের রাজনীতিকরা কি জনগণকে ভালবাসতে জানেন ? না তারা নিজদের কে ভালবাসতে জানেন ? এটা নাকি গণতান্ত্রিক দেশ ! অথচ একদল আরেক দলকে বলছে ঐ দলকে নিচশ্চহ্ন না করলে নাকি তাদের অস্তিত্ত থাকবেনা । তারা ক্ষমতায় আসে তাদের opposite party কে নিশ্চিহ্ন করতে ! আর মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছেন !

আমরা এ থেকে শিখলাম-অন্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার নাম গণতন্ত্র ! হায়রে গণতন্ত্র ! এসমস্ত অশিক্ষিত রাজনীতিকের কাছে এর বেশি কী-ই-বা শিখার থাকতে পারে !

গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগন হবেন শাসক আর শাসক হবেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী-এ ছিল কথা । আর এখানে গণতন্ত্র মানে জনগনণের উপর নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার , তাদের অধিকার কেড়ে নেয়া ।গণতন্ত্র এখানে আশীর্বাদ নয়-অভিশাপ হয়ে চেপে বসে জনগণের ঘাড়ে ।

এখানে গণতন্ত্র মানে কুকুর আর পথশিশুদের একসাথে খাওয়া ! এখানে গণতন্ত্র মানে ময়লার ভাগাড়ে জনগণের খাদ্য অন্বেষণ করা !

এখানে গণতন্ত্র বলতে বুঝায় জনগনের উপর বর্ষিত এক ভয়ানক আজাব ।গনতন্ত্র মানে এখানে সবাই সবাইকে মারবে। মরবে সাধারন জনগন, মরবে তারা নিজেরাও। কিন্তু দোষ দিবে একে অন্যের । মোদ্দা কথা এরা সকলেই অমানুষ !

বাংলাদেশ সাধু শাসক গোষ্ঠীকে পায়নি কখনও ।পেয়েছে কেবল কিছু রক্তচোষা জানোয়ারকে; যারা সাধারণের আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ে ব্যবসাই করেছে সবসময় ।

রাজতান্ত্রিক দেশেও দেখা যায় অনেক ভাল চিত্র । জর্ডানের বাদশাহ্ যখন মারা যান তখন ঐ দেশের সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে চিৎকার দিয়ে কেঁদেছে প্রয়াত বাদাশাহর ভালবাসায় ।

বিভিন্ন দেশের বড় রাজনীতিকও ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদেরকে দেখা যায় ট্রেনে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে ,হাসপাতালে যেয়ে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতে-যেটা আমাদের দেশে কল্পনার আতীত ! কারন আমাদের রাজণীতিকরা হলেন অভিজাত শ্রেণীর ছোটলোক !

আমাদের রাজণীতিকরা শাহরুখ খানের প্রোগ্রামে আসন না পেয়ে মাটিতে বসে যান ঠিকই কিন্তু সাধারণ জনগনের সাথে গায়ে কাদা লাগতে তাদের যত ভয় ! কবে আবার পাদুকা থেরাপির মুখে পড়তে হয় - কেননা একচ্যুয়ালিই তারা জনগরণর খাদেম বটে!

আমরা কারো বাবা আর স্বামীর গান শুনতে চাইনা । আমরা শান্তি চাই ।এটি কারো স্বামী বা বাবার দেশ নয়-গণ মানুষের বুকের তাজা রক্তে কেনা এ সোনার বাংলাদেশ ।

বিষয়: রাজনীতি

১০৫৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302480
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৩
248898
নাজমুল আহসান লিখেছেন : ধন্যবাদ
302490
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৯:৩৯
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : অন্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার নাম গণতন্ত্র নয়, তবে এটা বাকশালতন্ত্র
০৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
248899
নাজমুল আহসান লিখেছেন : একদম ঠিক
302502
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গনতন্ত্রের সংজ্ঞা বুঝতেই তো আমাদের জনগন ও রাজনিতিবিদ উভয় ই ভুল করেন। গনতন্ত্র মানে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছামত শাসন নয় বরং সকলের মত নিয়ে প্রশাসন।
০৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
248900
নাজমুল আহসান লিখেছেন : ধন্যবাদ
302513
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ (204
আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক।
And of mankind there is he whose speech may please you (O Muhammad SAW), in this worldly life, and he calls Allâh to witness as to that which is in his heart, yet he is the most quarrelsome of the opponents.
وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيِهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ الفَسَادَ (205
যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।
And when he turns away (from you ”O Muhammad SAW ”), his effort in the land is to make mischief therein and to destroy the crops and the cattle, and Allâh likes not mischief.

(সুরা বাকারা-২০৪ এবং ২০৫ নং আয়াত)
302514
০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৫
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ (204
আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক।
And of mankind there is he whose speech may please you (O Muhammad SAW), in this worldly life, and he calls Allâh to witness as to that which is in his heart, yet he is the most quarrelsome of the opponents.
وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيِهَا وَيُهْلِكَ الْحَرْثَ وَالنَّسْلَ وَاللّهُ لاَ يُحِبُّ الفَسَادَ (205
যখন ফিরে যায় তখন চেষ্টা করে যাতে সেখানে অকল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণনাশ করতে পারে। আল্লাহ ফাসাদ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা পছন্দ করেন না।
And when he turns away (from you ”O Muhammad SAW ”), his effort in the land is to make mischief therein and to destroy the crops and the cattle, and Allâh likes not mischief.
وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالإِثْمِ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ (206
আর যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে দোযখই যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর ঠিকানা।
And when it is said to him, ”Fear Allâh”, he is led by arrogance to (more) crime. So enough for him is Hell, and worst indeed is that place to rest!

(সুরা বাকারা-২০৪,২০৫ ও ২০৬ নং আয়াত)
০৭ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
248901
নাজমুল আহসান লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File