★★ অপ্রিয় সত্য কথা ★★ •••——— মুহিব খান

লিখেছেন লিখেছেন জেলপেন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৩০:৩৫ বিকাল

_________________________

জানো কি বন্ধু এদেশের কিছু

শিক্ষিত লোক আছে,

বাঁচার জন্য খায় না তারা

খাওয়ার জন্য বাঁচে।

নিজেদের ভাবে মহা পণ্ডিত

জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী,

আসলে মাথায় কিছু নেই শুধু

পঁচা গোবরের ঢিবি।

মৌলভী দেখে নাক সিটকায়

মোল্লা দেখলে জ্বলে,

বানরের মতো মুখ ভেংচায়

নানা কটু কথা বলে।

ভাবে হায় হায় কী হবে উপায়

এই মোল্লার দলে,

প্রগতির যুগে নিয়ে গেলো হায়

দেশটাকে রসাতলে।

মোল্লারা নাকি অপয়া অধম, সমাজের

নাকি বোঝা,

হাল জামানার বোঝে না কিছুই,

কেবলই

নামাজ রোজা।

আমি বলি বাছা সবুর সবুর,

এতোটা তো নয় সোজা,

কে কতোটা ভালো কে কতোটা দোষী

এসো শুরু করি খোঁজা।

প্রথমেই দেখো শিক্ষাঙ্গনে, সন্ত্রাস

করে কারা?

আমরা তো দেখি তোমরাই করো,

করে না তো মোল্লারা।

পার্কে-বাগানে এখানে-সেখানে

ভাঙা বস্তির ফাঁকে,

গাঁজার আসরে দেখেছ কি বলো,

কভু

কোনো মোল্লাকে?

কোনখানে কোন মদের আড্ডা,

কিংবা জুয়া খেলাতে,

তোমাদের কভু দেখা হয়েছে কি,

কোনো মোল্লার সাথে?

হাটে বা বাজারে অলিতে গলিতে,

কিবা রাস্তার মোড়ে,

দেখেছ কি কোনো মোল্লা কখনো,

চুরি-রাহাজানি করে?

সাথে বেশরম বেহায়া বেলাজ

উদ্ভট নারী নিয়ে,

কোন মোল্লা কি তোমাদের

মতো

বেড়ায় রিক্সা দিয়ে?

রাস্তার 'পরে মাস্তানি বল

মোল্লারা করে কভু?

অযথাই কেন মোল্লাদেরকে দোষারোপ

কর তবু?

তোমরাই বলো কোনোদিন কোনো

অফিসে বা আদালতে,

কোনো মোল্লাকে পেয়েছ

কখনো

কারো কাছে ঘুষ খেতে?

যত দূর্নীতি কালোবাজারী বা মাদক

চোরাচালানে,

কজন মোল্লা পেয়েছ

বল তো

হাতে আঙ্গুলে গুনে?

মাদরাসা পড়া শেষ

করে তারা

কিছু না কিছু তো করে,

বেকারত্বের অভিশাপ

নিয়ে

বসে তো থাকে না ঘরে,

কোন যুক্তিতে করো বাহাদুরী,

কিসের

গরীমা এতো?

তোমরা তো করো দাড়িয়ে পেশাব,

নেড়ী কুকুরের মতো।

তোমরাই হলে সমাজের কীট, সমাজের

নর্দমা,

দেশ জনতার গণআদালতে, তোমাদের

নাই ক্ষমা।

মোল্লারা আজো নম্র-ভদ্র,এখনো শান্ত-ধীর,

তোমরাই হলে পাপে কলুষিত, কলঙ্ক এ

জাতির।

নীতিশৃঙ্খলা শ্রদ্ধা-ভক্তি,

এখনো তাদের আছে,

দেশ জাতি যাহা করে না আশাই,

আজ

তোমাদের কাছে।

হয়তো তাহারা কিছুটা সরল, চুপচাপ

সাদা-সিধা,

এদের কারণে সমাজের হলো কী এমন অসুবিধা?

ঈমান-আমল দেশপ্রেম

সবি

আছে তাহাদের মাঝে,

জেনে বুঝে সব চুপ-চাপ তারা,

আছে তাহাদের কাজে।

তাই বলি- বাছা! অযথাই শুধু

খুঁচিও না তাহাদেরে।

বলা তো যায় না, আরামের ঘুম

নিতে পারে তারা কেড়ে!

মোল্লারা যদি ক্ষেপে যায়

তবে

তোমাদের হবে কি যে!

সারা দুনিয়ার হিসাব

মিলিয়ে

অংকটা কর নিজে।

মোল্লার ভয়ে কাঁপে থর থর ইউরোপ

আমেরিকা,

তোমরা তো বাছা ছিঁচকে ইঁদুর,

টিকটিকি, চামচিকা।

আঁতুর ঘরে তো বাচ্চার কানে

আজান

দেবার তরে,

দিনে কিবা রাতে হাঁপাতে হাঁপাতে

ছুটো মোল্লার

ঘরে।

তবে কেন

এতো মোল্লাবিরোধী

মোল্লার

প্রতি ঘৃণা?

তার চেয়ে দেখ

কিছুটা মোল্লা নিজে হতে পারো কিনা?

যৌবনে সোজা না হয়ে তোমরা

জীবন

কাঁটাও বেঁকে,

বুড়ো হয়ে পরে মসজিদে আসো

টুপি আর

দাঁড়ি রেখে।

বিজাতীয়

রীতি অপসংস্কৃতি নীতিহীনতার

ফাঁদে-

মোল্লারা ছাড়া গোল্লায় সব

যাবে কিছুদিন বাদে।

হাজার পাপের বোঝা নিয়ে ভাল

চুপ

চাপ বসে থাকো,

সত্যের হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলে আর

নিস্তার পাবে নাকো।

গর্তে ঢোকার সময়

জানো তো

সোজা হয়ে ঢুকে সাপ,

ধরা খেলে সোজা তোমরা না শুধু

হবে তোমাদের বাপ।

তার চেয়ে এসো, এক

সাথে মেশো

ঘৃনা বিদ্বেষ ছাড়ো,

ইসলাম শেখো, চোখ মেলে দেখো,

বহু

কিছু আছে আরো।

কভু যা দেখনি, কভু যা বোঝনি,

কভু

যা শোননি কানে,

খাঁটি মোল্লার দরবার ছাড়া

পাবেনা তা কোনখানে।

মোল্লাকে বোঝো মোল্লাকে খোঁজো,

মোল্লাকে পুঁজো সবে,

তারাই তো হবে কামিয়াব, যারা

মোল্লার সাথে রবে।

সহজ ভাষায় জানালাম কিছু

অপ্রিয় সত্য

কথা,

মানো বা না মানো আসলে এটাই চরম

বাস্তবতা।

বিষয়: বিবিধ

১৪১৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304935
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন :

লেখাপড়া জানলেই শুধু হয়না শিক্ষিত
শিক্ষা-দীক্ষাহীন এরা সব বুদ্ধি বেশ্যা যত।
জানেনা কিভাবে করতে হয় স্রস্টার গোলামী
হালুয়া-রুটির মোহে করে তারা শয়তানের চাম-চামী
304942
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
জেলপেন লিখেছেন : √√√

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File