এই হয়রানীর শেষ কোথায়!!!!
লিখেছেন লিখেছেন কর্ণেল কুতাইবা ২৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:২৪:২৫ সন্ধ্যা
এবার আমাদের পৌর মেয়র বিএনপি নেতা জি কে গউছকে ফাঁসানো হলো আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরীয়া হত্যা মামলায় !!
এতো বছর পরে এ মামলায় গউছকে ফাঁসানো যে একটা চক্রান্ত সেটা সবাই খুব সহজেই বুঝতে পারছে।
কারণ হবিগন্জ জেলার ভিতরে গউছের মতো জনপ্রিয় ব্যাক্তি দ্বিতীয়টি নেই। আমিও উনাকে খুব ভালো করেই চিনি। অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ।
সাধারণত নেতারা শুধু ভোটের সময় রিক্সাওয়ালা বলেন ,মেতর বলেন,মুচি বলেন সবাইকে জড়িয়ে ধরে ভালো-মন্দ জিঙ্গাস করে,ভোট চায়। কিন্তু ভোটের পর আর সে নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
তবে আমি নিজের চোখে অনেকবার দেখেছি গউছ বর্তমান মেয়র হওয়া সত্তেও নিজে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ময়লার ড্রেন পরিস্কার করার কাজ ভালোভাবে হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে , অথচ আমরা সেদিকে যাওয়ার সময় নাক বন্ধ করে যাই ।
আমি দেখেছি বর্তমান মেয়র হওয়া সত্তেও রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে যাদের আমরা নিচু জাতের ভাবি তাদের জড়িয়ে ধরে, ভালো-মন্দ জিঙ্গাস করে পরিবারের খোঁজ খবর নিতে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন মেয়র হলেও উনি হয়তো গরীব মানুষ। না তিনি একজন শিল্পপতি। অনেক টাকার মালিক। উনার এক ছেলেকে আমেরিকা এবং অন্য ছেলেকে লন্ডন পড়া-লেখা করাচ্ছেন।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও পৌর মেয়র নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচন হয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো। এতোই ভোট পড়েছে যে, আ‘লীগাররা অনেক কার্চুপি করেও পারেনি জিততে। আপনি হবিগন্জের রাস্তায় রিক্সাওয়ালাদের যদি গউছ সম্পর্কে জিঙ্গাস করেন তাহলে আমি চ্যালেন্জ দিয়ে বলছি একজন রিক্সাওয়ালা পাবেন না যে কিনা গউছকে ভালো ছাড়া খারাপ বলবে। আবার হবিগন্জের সাধারন একটা জনগণকে সদরের এমপি আবু জাহির সম্পর্কে জিঙ্গাস শতকরা একজন পাবেন কিনা সন্দেহ আছে যে তাকে ভালো বলবে।
উনার জনপ্রিয়তায় হিংসাত্মক হয়ে আ‘লীগের লোকেরা উনার পিছনে উটে পরে লেগেছে।তার মাঝে উনি আবার এমপি নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ জনগণের উৎসাহে। এইতো শুরু হয়ে গেল তাদের জ্বালা। কারণ উনি প্রতিদ্বন্দিতা করলে নিশ্চিত হার....
তাই উনাকে থামানোর জন্য অনেক কিছুতে ব্যর্থ হয়ে এবার কিবরীয়া হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । এটা অনেক বড় একটা চক্রান্ত । কিবরীয়াও অনেক জনপ্রিয় ছিল। মূলত তার হত্যার পিছনে আবু জাহিরের হাত রয়েছে। কারণ কিবরীয়া বেঁচে থাকলে সে এ জায়গায় কখনো আসতে পারতো না। সে কিবরীয়ার জায়গায় পৌছতে চায়। মন্ত্রী হতে চায়। হবিগন্জে এসে দেখুন অনেক ব্যানার পাবেন যাতে লিখা, আবু জাহিরকে মন্ত্রী চাই। (!)
আর তার সে পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গউছ এবং তার জনপ্রিয়তা।
তাই কিবরীয়া হত্যা মামলায় গউছকে ফাঁসিয়ে তারা এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করতে চায়।
আল্লাহ হবিগন্জের এই প্রিয় নেতাকে রক্ষা করুন। বর্তমানে এমন জনপ্রতিনিধি পাওয়া বড়ই কঠিন।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৭২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন