ধর্ম, বিজ্ঞান আর নাস্তিকতা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ রিগান ২৯ জুন, ২০১৬, ০৫:০৬:০৯ বিকাল
১৬০০ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী। রোমের মূল বাজারের সামনে এক লোককে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পোপের আদেশে লোকটাকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে। লোকটার অপরাধ হচ্ছে সে বলেছে পৃথিবী গোল, লম্বা নয় আরও বলেছে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নয় বরং সূর্যকে কেন্দ্র করে সব গ্রহ ঘোরে আর সূর্যের মত এমন অনেক নক্ষত্র আছে। এই লোকের কথা গুলো বাইবেলের কথার বিরোধী। এখন আমরা সবাই এই সত্য জানলেও তখন লোকটাকে পুড়িয়ে মারা হল এই সত্যটুকু বলার কারণে। লোকটার নাম ব্রুনো। জিওর্দানো ব্রুনো।
প্রাচীন যুগে বিজ্ঞানের চর্চা করার হদিস পাওয়া যায় মিসরে তারপর গ্রীসে ঈশা(আঃ) এর মৃত্যুর পর আরবে। আরবরা যখন বিজ্ঞান চর্চা করছিলো তখন ইউরোপের সব মানুষ ছিলো মূর্খ। আস্তে আস্তে ইউরোপের কিছু মানুষ আরবদের বিজ্ঞানের বই গুলো অনুবাদ করতে থাকে নিজেদের বাসায়। যখনি ইউরোপে তারা এইসব বিজ্ঞানিক কথা বলতে থাকে তখনি তারা চার্চের নির্যাতনের মুখামুখি হয়। খ্রিষ্টানরা বাইবেলকে ঈশ্বরের বানি মনে করলেও আমরা জানি এটা মানুষের লেখা। কারণ মানুষের ভুল হয়, ঈশ্বরের নয়। ব্রুনো হত্যা সংক্রান্ত বিজ্ঞানিক সত্যকে বাইবেলে ভুল করা প্রমান করে যে এটা মানুষের লেখা!!!
ব্রুনো যদি তার কথা গুলো মুসলিম বিশ্বে বলতো তাহলে মুসলিম বিশ্ব তাকে ধন্যবাদ দিতো। সাদরে আমন্ত্রণ জানাতো। কারণ কোরানের সূরা আন নাবিয়াতের ৩০ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন " এবং আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে তৈরি করেছেন"। এই আয়াতে আকৃতি বুঝাতে আরবি শব্দ " দাহাহা" ব্যাবহার করা হয়েছে, যার অর্থ উট পাখির ডিম। আর আমরা জানি পৃথিবী সম্পুর্ন গোল নয়। একেবারে উটপাখির ডিমের মত। এছাড়া সূর্য-চন্দ্রের গতিশীলতার ব্যাপারে আল্লাহ সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নাম্বার আয়াতে বলেন " তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং চন্দ্র ও সূর্য। সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে"
এখনকার সময় নাস্তিকরা এবং পশ্চিমারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে সব ধর্ম অবৈজ্ঞানিক, আর ইসলাম আরও বেশি অবৈজ্ঞানিক। আমি আগে থেকেই বলে আসছি যে সব ধর্ম অবৈজ্ঞানিক হলেও হতে পারে,ইসলাম ছাড়া..................
ইসলামেই এক মাত্র ধর্ম যা মানুষকে বিজ্ঞানের দিকে আহ্বান করে।
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৬ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন