পর্যালোচনা এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার (‘টুডে ব্লগে’র আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন)
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ২৯ মার্চ, ২০১৬, ০৮:১২:২৫ রাত
ব্লগের যখন মৃতপ্রায় অবস্থা, তখন আয়োজনটি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী ছিলাম না। কিন্তু আপনারা আমাকে অবাক করে দিলেন!!!! পোস্টটা এতো বেশি সাড়া পাবে, যা ছিল অকল্পনীয়। আলহামদুলিল্লাহ্। আপনারা বুঝিয়ে দিলেন, বেশি লোক নয়, দরকার সঠিক সময়ে আওয়াজ দেওয়া। বিশ্বাস করি, আমাদের আয়োজনটি ব্লগ বাড়িটাকে খুব বেশি না হলেও, অনেকেটাই সচল রাখতে সাহায্য করবে অথবা রেখেছেও। আপনাদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণই আমার বিশ্বাসের জায়গাটাকে মজবুতি দান করেছে।
ব্লগার ‘প্যারিস থেকে আমি’ কেন আমাকে আয়োজনটি পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন, জানিনা। আমিতো মনে করি এর যোগ্য আমি নই। ব্লগে আছেন অনেক জনপ্রিয় ব্লগার, আছেন অনেক অভিজ্ঞ-বিচক্ষণ ব্যক্তি। যাদের দায়িত্বটা দেওয়া হলে হয়তো আরো অনেক সুন্দর হত সবকিছু। তবুও দায়িত্ব যখন এসেই পড়েছে, তখন পালন করতেই হল।
আমাদের প্রচেষ্টা, মূল্যায়ন আপনাদের। হ্যাঁ, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, তবুও আমার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় সম্ভবত আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারিনি। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সবাইকে সময়মত দাওয়াতও দিতে পারিনি।
আমি যখন পরিচালনা করছি, তখন সাথে সাথে অফিসে ডিউটিও করে যাচ্ছি। একদিকে আয়োজনটি পরিচালনা, অন্যদিকে ডিউটি, আমাকে খুব হিমশিম খেতে হচ্ছিল। তবুও আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু পেরেছি। আমি লেখা পাওয়ার সাথে সাথে পোস্ট করেছি, তার সাথে বারবার এডিটও করেছি লেখাগুলো, যাতে বানানে ভুল না থাকে।
আমি যখন পোস্ট জুড়ে দেয়া আর এডিট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি, তখন ঝটপট আসা মন্তব্যগুলোতে প্রতিমন্তব্য করে পরিচালকের অভাব ভুলিয়ে দিয়েছেন ব্লগার শেখের পোলা, প্যারিস থেকে আমি, প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন, আবু তাহের মিয়াজী প্রমুখ। আলহামদুলিল্লাহ্।
যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের আল্লাহ্ উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন। পোস্ট নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা হলেন: প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন, প্যারিস থেকে আমি, আবু জান্নাত, তটরেখা, ইশতিয়াক আহমেদ, আবু তাহের মিয়াজী, নূর আয়শা আব্দুর রহিম, মাহবুবা সুলতানা লায়লা, বাকপ্রবাস, এলিট, অভিমানী বালক, শেখের পোলা এবং মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সী।
আর ব্লগার মামুন ভাইয়ের লেখা সংগ্রহ করেছি ফেসবুকের পাতা থেকে। সংগ্রহ করেছি ব্লগার রঙ্গিন স্বপ্নের লেখা। ব্লগার আফরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তার অন্য কাজ আছে, তাই অনেক রাতে পোস্ট করলে আমি মূল পোস্টের সাথে তা জুড়ে দেই। এ্যাপায়নের দায়িত্বও ছিল আফরার কাঁধে, যা সে পরের দিন এসে আজনাম দিয়েছে অতিথিদের তৃপ্তিসহকারে খাইয়ে।
আর যারা দাওয়াত পেয়েও নানান ব্যস্ততার কারণে পোস্ট দিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তারা মন্তব্যের ঘরে এসে দু:খ প্রকাশ করেছেন এবং আগামীতে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এমন ব্যক্তিরা হলেন: কুয়েত থেকে, সন্ধাতারা, মো: ওহিদুল ইসলাম এবং মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম।
আবার কারও কণ্ঠে পোস্ট দিয়ে হাজির হতে না পারার আক্ষেপও ঝরে পড়েছে। যেমন তারিক বিন জিয়াদ। আর হাজিরা দিয়ে গেছেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার আবু সাইফ। এছাড়াও মন্তব্য করেছেন যারা: দুষ্ট পোলা, তোমার হৃদয় জুড়ে আমি, দি স্লেভ, ছালছাবিল, চেতনা বিলাস এবং হতভাগা।
আপনারা সবাই ব্লগার ‘প্যারিস থেকে আমি’ ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন, তিনি যেন ভবিষ্যতেও এমন সুন্দর আয়োজনের আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়ে ব্লগ বাড়িটাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন।
আমাদের আয়োজনটি উপলক্ষ্যে পোস্টকৃত লেখাগুলোতে যা উঠে এসেছে, তা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি।
প্রবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, দেশকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করানোর জন্য এই ধরণের উদযাপন খুবই জরুরী। দেশের মত বিদেশেও দিবসটি ঘটা করে উদযাপন করা হয় কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, সেখানেও বিদেশী সংস্কৃতির সয়লাব, যেমন বিদেশি গান পরিবেশন, ইতিহাস বিকৃতি করে উপস্থাপন ইত্যাদি।
স্বাধীনতার বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে লিখেছেন ব্লগার প্যারিস থেকে আমি। তিনি কবিতায় বলার চেষ্টা করেছেন, মায়ের ছেড়া বস্ত্র, অসুস্থ রাজনীতি, রক্তে ভেজা ক্যাম্পাস, মধ্যরাতের ফালতু টকশো, দুর্নীতি, আদালতকে ক্ষমতাবানদের অস্ত্রের মত ব্যবহার, জেলখানায় দোষী-নির্দোষের নিদারুণ দিনাতিপাত, সীমান্তে হায়েনাদের বর্বরতা, চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস, আমার দেশ ও দিগন্ত টেলিভিশনকে গলা টিপে হত্যা ইত্যাদির নামই যদি স্বাধীনতা হয়, তবে সে মিছে স্বাধীনতা।
ব্লগার আবু জান্নাত লিখেছেন ‘স্বাধীনতা বনাম পরাধীনতা’ শিরোনামে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়নি, শুধু মনিবের বদল হয়েছে। অর্থাৎ ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করে পাক মনিবদের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করলেও পরে তারাই মনিব সেজে বসে আছে।
ব্লগার তটরেখা লিখেছেন ‘দেশ বিভাগ, স্বপ্ন ভঙ্গ ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে। যেখানে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ইসলাম পন্থীদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল এবং তিনি এটাও বলেছেন, পাকিস্তান রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা ব্যর্থ হওয়ার জন্য কখনো ইসলাম দায়ী ছিলোনা। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী একটি শ্রেণী এটাকেই পুঁজি করেন। ১৯৭২ সালে ভারত ও রাশিয়ার প্রভাবে ধর্ম-নিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মুলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়। বামপন্থি, নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষী চক্রটি এখনো ইসলামের বিরূদ্ধে তৎপর।
স্বাধীনতা নিয়ে ব্লগার এলিট লিখেছেন বেশ কয়েকটি কৌতুক, যার মধ্যে একটি কৌতুক হল, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে সবাই তাদের বীরত্বের কাহিনী বলাবলি করছিল। এমনই এক আলোচনায় একজন বলল, আমি এক পাকিস্তানী সৈন্যের পা কেটে দিয়েছি। আরেকজন বলল, আমি একজন রাজাকারের হাত কেটে দিয়েছি। এসব শুনে অন্যেরা জিজ্ঞেস করল, তোরা দুজনের কেউই গলা কাটতে পারলি না? দুজনেই উত্তর দিল, কিভাবে কাটব? গলা তো আগেই কাটা ছিল’।
স্বাধীনতা নিয়ে লিখেছেন ব্লগার ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমাদের চাওয়া ছিল এমন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, যেখানে থাকবে না কারও কর্তৃত্ব, অত্যাচার, রক্তপাত, গুম, ধর্ষণ। থাকবে বাধাহীনভাবে চলতে-বলতে- লিখতে পারা, মত প্রকাশের সুযোগ পাওয়া ও মৌলিক সব অধিকারগুলোর ভোগ করা। স্বাধীনতার অর্থতো এটা নয় যে, কেউ সুরম্য অট্টালিকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ঘুমাবে আর কেউ অনাহারে বিবস্ত্র হয়ে বাসস্থানের অভাবে ফুটপাতে মানবেতর জীবন কাটাবে! মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী কিছু লোকের সুখ ও ঐশ্বর্যকে কোন দেশ বা জাতির স্বাধীনতা বলা যায় না।
কবিতায় স্বাধীনতা নিয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন ব্লগার আবু তাহের মিয়াজী।
স্বাধীনতা মানে কৃষক চাষির হাসি মাখা মুখ
ধনী-গরীব জেলে-তাতির রঙিলা সুখ।
স্বাধীনতা আমার লাল পতাকা রক্ত ঝরানো স্মৃতি
একাত্তরের মুক্তি-লড়াই সকল শহীদের কৃতি।
লিখেছেন ব্লগার নূর আয়শা আব্দুর রহিম। তিনি বলেছেন, আজ আমরা নামমাত্র স্বাধীন, আছে স্বাধীন পতাকা, তবুও বুকে হাহাকার। স্বাধীনতা মানেই এখন শিশু, যুবা, বৃদ্ধের কান্না। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, সত্যিকার স্বাধীনতার স্বাদ পেতে প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি মমত্ববোধ, সহযোগিতা, হিংসা-দ্বেষ থেকে বিরত থাকা, এবং সর্বোপরি একতা।
আমাদের আয়োজনে লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা। তিনি বলেছেন, ভাষা দিবসে ইংলিশ গান, একদিনে অ আ ক খ, পাঞ্জাবি-শাড়ী পরিধান, পান্তা ইলিশ ইত্যাদি স্বাধীনতা নয়! লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বিজয় অর্জিত হলেও প্রকৃত বিজয় আমরা পাইনি। তিনি লিখেছেন, আসল মুক্তিযোদ্ধারা ভাত পায়না, অথচ ভূয়া মুক্তযোদ্ধারা ভোগ বিলাসে মেতে থাকে।
‘শুধুই কি উদযাপন? একটু হিসেবও যে মিলাতে হয়’ শিরোনামে লিখেছেন ব্লগার রঙ্গিন স্বপ্ন। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন, যে গণদাবী উপেক্ষা করার কারণে ৭১এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবতারণা হয়েছিল, আজও সেই একই কারণ বাংলাদেশে বিদ্যমান। ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে নির্বাচন, ব্যাংক ডাকাতি, পদ্মা সেতু ক্যালেংকারী, সোনালী ব্যাঙ্কের ৪ হাজার কোটি টাকা লুট, ডেস্টিনি কেলেঙ্কারি, মানুষের আগুনে ঝলসে মরা, পুলিশের গুলি, নাগরিক গুম, ধর্ষিতা তনুরা, কারাগারগুলো ভর্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষে। এখানে যার আছে তার আরো হয় আর যার নাই, তার বেঁচে থাকার উপায় নাই। আমরা আজো দুর্নীতিতে চ্যম্পিয়ান। আবার প্রয়োজন স্বাধীনতা যুদ্ধের।
ব্লগার মামুন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প লিখেছেন বাস্তবতা এবং অনেকটা কল্পনার মিশ্রণ দিয়ে ‘কফিল একজন মুক্তিযোদ্ধা’ শিরোনামে। যেখানে তিনি দেখিয়েছেন, হতদরিদ্র কফিলরা কিভাবে একটা সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পেটের জ্বালায় জুতা চুরির পেশায় নেমে পড়ে।
ব্লগার বাকপ্রবাস স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সব মতপার্থক্য ভুলে একতাবদ্ধ হয়ে একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করে বুকে সাহস সঞ্চয় করে দেশটাকে আমাদের মত করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্লগার অভিমানী বালক লিখেছেন, বর্তমানে স্বাধীনতা মানেই পত্রিকার শিরোনামে ধর্ষিতা নারী, খুন, হত্যা, রাহাজানী, বিডিয়ার বিদ্রোহ, বিচারের নামে প্রহসন, শেয়ার বাজার লুণ্ঠন, হাজার হাজার কোটি গায়েব, কলঙ্কিনীর গলায় ঝুলানো স্বাধীনতা পদক ইত্যাদি ইত্যাদি।
ব্লগার শেখের পোলা স্বাধীনতাকে প্রশ্ন করেছেন, স্বাধীনতা কি তবে মরীচিকা, ডুমুরের ফুল অথবা সাপের মাথার মণি? নয়তো দেশ স্বাধীন হল, অথচ তার দেখা মিলেনা কেন? অল্প ক’টিকে ভাগ্যবান করে চোদ্দ কোটিকে কাঙ্গাল বানিয়ে ছাড়লে কি করে গাইবে মানুষ তোর জয়গান?
‘স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শিরোনামে ব্লগার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সী লিখেছেন, স্বাধীনতা অর্জিত হলেই চিরস্থায়ী হয় না। একে সমুন্নত রাখাই স্বাধীনতার মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বেশি সংগ্রাম ও শক্তির প্রয়োজন। আরো প্রয়োজন প্রযুক্তি, কৌশল, ঐক্য ও ন্যায়বোধ। স্বাধীনতাকে অর্জন করতে যেমন নির্ভীক যোদ্ধা হয়ে অস্ত্র হাতে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। তেমনি স্বাধীনতা রক্ষায় জ্ঞান ও বিবেককে কাজে লাগিয়ে একতাবদ্ধভাবে সর্তক থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
ব্লগার আফরা স্বাধীনতা সম্পর্কে লিখতে বাংলাদেশকে তার ঘরের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, উনাদের একটা ঘর আছে। তাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখাতেই উনারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। যাতে প্রয়োজন হয় সবার সহযোগিতা। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো মতের অমিল হয়, তাই সবাই একসঙ্গে বসে সবার মতামত সম্মিলিতভাবে একটি সিদ্ধান্তে আসেন, এইভাবেই ঘরটাকে সুন্দর রাখেন। তেমনি দেশটা একার নয়, সবার। সুতরাং দেশ গড়ায় সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। পরিহার করতে হবে আবেগী ভালোবাসা। ঝেড়ে ফেলতে সব হতাশা, আশা নিয়েই সম্মুখপানে যেতে হবে এগিয়ে।
এইবার সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া আয়োজনটির সার্বিক পর্যালোচনা করবেন আপনারা। এই আয়োজন আপনাদের কেমন লেগেছে, কোন অসঙ্গতি অথবা অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে কিনা, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করা যায় কিনা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলার জন্য পাঠকদের সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ্ আপনাদের ভালো রাখুন।
আমাদের আয়োজনটি যারা দেখেন নি, তারা চাইলে দেখে নিতে পারেন নিচের লিংকে-
টুডে ব্লগে'র আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন (এক পোস্টেই সকল পোস্ট)
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৭ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার পরিচালনায় কোন ত্রুটি খোঁজার যোগ্যতা আমার নেই৷ প্যারিস থেকে আমি ভাই নিজেও হয়ত এতখানি সাফল্য আশা করেননি, তা হয়ত তিনি নিজেই বলবেন৷ আমরা তার কাছেও কৃতজ্ঞ৷ এর চাইতে অধিক ভাল প্লান ও যোগ্যতা হয়তোবা অনেকের আছে৷ ভবিষ্যতে তাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করি৷
সর্বোপরি আজ আপনি যে প্রতিটা লেখার সারমর্ম তুলে ধরেছেন,অন্যের কাছে কেমন লাগবে জানিনা, তবে আমার মনের কথাটাই তুলে ধরেছেন৷ আপনাকে অনেক অ-নে-ক ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুক৷
কর্তৃপক্ষ উৎসাহ দিলেও হতে পারে, না দিলেও হতে পারে।
আপনারা যোগ্য মানুষ, এমন কথা বললে হবে! ভুল হলে নিশ্চয় ধরিয়ে দিবেন।
আমিও সাইফুল ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
ভালো থেকে আরো ভালো প্ল্যান হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
আপনারা মনের সাথে আমার মনের মিল না থাকলে কি আর একজনের মনের কথা অন্যজন টেনে বের করে নিয়ে আসে!
আমিন আমিন।
আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ উৎসাহভরা মন্তব্যটি প্রদানের জন্য। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
আপনার সুরে সুরে আমিও বলছি, আমরা যাতে প্রিয় জন্মভুমিকে বহি:শত্রু এবং অন্ত:শত্রুর হাত থেকে হেফাজত করতে পারি।আমরা আরো বেশি বেশি করে দেশকে ভালবেসে, দেশের জন্য অবদান রাখতে পারি এবং প্রয়োজনে জীবন দিতে পারি।
ছুম্মা আমিন।
আপনার ধন্যবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম।
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যটি করার জন্য। আপনাকেও ধন্যবাদ
পরামর্শ স্বরুপ বলবোঃ আগামিতে এমন আরো অনেক অনেক আয়োজন হোক, এই আয়োজনে যেন ব্লগপাড়া সর-গরম থাকে। আর এমন এমন ব্লগ আয়োজন নিয়ে হাজিরা দিন সবাই পৃথিবীতে সবাই উপকৃত হোন আর এই আয়োজন আখেরাতেও কাজে লাগে। ব্লগআয়োজনে যেসব বিষয় রাখতে পারেন।
১/ এমন বিষয় সামনে রাখুন যেসব বিষয়ের আলোচনায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজ হয়।
২/ এমন বিষয় নিয়ে লেখা হোক, যা থেকে ইসলামই বিষয়ে জানা হবে। এবং মানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
৩/ মহান ব্যক্তিত্বদের জীবনী নিয়ে লেখা হোক, যারা সত্যের মাপকাঠি। যাদেরকে অনুসরন করলে জান্নাতের পথের ঠিকানা পাওয়া যায়।
৪/ আর সামনে রমাদ্বান মোবারক আসছে, আমাদের সকলের উচিৎ সে রমাদ্বানকে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করার। এইজন্য রমাদ্বানের পালনীয় ও বর্জনীয় বিষয় নিয়ে আয়োজনের পরামর্শ রাখছি।
৫/ আর আখলাক- বা চরিত্র সুন্দর করণের বিষয় নিয়েও আয়োজন হতে পারো।
আমি শুধু আমার মত ও আপনার লেখা পড়ে পরামর্শ দিয়েছি। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান ফিদ্দারই।
আলহামদুলিল্লাহ্, শুনে প্রীত হলাম।
যথার্থই বলেছেন, আমার কাছেও ঈদ ঈদ মনে হয়েছে।
আপনার সবগুলো পরামর্শ খুবই ভালো লেগেছে এবং মনে ধরেছে। তবে রমজান নিয়ে আয়োজন হলে খুব ভালো হয়। দেখা যাক, সবাই কি বলে।
আবারও বলছি, আপনার পরামর্শগুলো খুবই ভালো লেগেছে। সবক'টাই আয়োজন করার মত।
আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন। আমিন
আলহামদুলিল্লাহ্, সফলতার স্বীকৃতি সবার জন্যই আনন্দের। আমরাও আনন্দিত হয়েছি।
খুব সুন্দর মূল্যায়ন করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্।
আমিও নূর আয়শা আব্দুর রহিমের খুব পছন্দ করি। একদম ন্যাচারাল রাইটার। আর হ্যাঁ, রঙ্গিন স্বপ্নের লেখাটা দারুণ লেগেছে বলেই সংগ্রহ করেছি।
আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন।
আপনাকেও বিশেষ ধন্যবাদ, আপনিসহ অন্যরা ছিল বলেইতো সুন্দর হয়েছে।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
এই জন্য তো বলি বাংলাদেশের উন্নতি হয় না কেন !! কি ভাবে হবে সবাই যদি অফিসের কাজ ফাকি দিয়ে ব্লগীং করে !! ইউরোপ আমেরিকায় এসব চলে না -----।
আপনাদের জন্যইতো কয়েকটা সেক্রিফাইস করলাম। এইরকম সবকিছুতেই করতে হয়। খালি কাজের মধ্যে ডুবে থাকলে উন্নতি করা যায়, সবার ভালোবাসা থেকেও বঞ্ছিত হতে হয়।
আর ওই যে ইউরোপের গল্প শোনাচ্ছেন না, যদি বলি, পনি দেশে এসে আপনার সেখানকার মেধা বিদ্যা বুদ্ধি, পরিশ্রমী মানুসিকতা দেশের উন্নয়ে কাজে লাগান দেখি, তখন ঠিকি বেকে বসবে।
বিদেশ গেলে আপনারা খুব পরিশ্রমী, কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়ে যান, অথচ দেশে ঘরে বসে খালি আড় মোড়া ভাঙ্গা ছাড়া কিছুই করা হয়না।
ব্লগ মডারেটররা খুশি হলেই ভালো।
যদিও কর্তৃপক্ষ আমাদের হতাশ করেছেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ পর্যালোচনাকে সুন্দরভাবে মূল্যায়ন করার জন্য।
যথার্থই বলেছেন, এটা লেখক তৈরির অথবা লেখককে নাড়া দেওয়ারও একটা আয়োজন ছিল।
হতাশ করলেও আমরা আশা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে বারবার হতে পারে। আমরা আশাবাদী।
আসলেই তাই, খাবার বলে কথা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আরকি। যাই হোক, ভবিষ্যতে যারা এমন আয়োজন করবে, তারা বিষয়টি খেয়াল রাখবেন বলেই আমার আশা। দেখা যাক কি হয়।
আপনার শেষের পরামর্শগুলো খুবই ভালো লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ্।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
আমি আদত লেখক শ্রেণির লোক নই ভাই।
এরপরেও স্বাধীনতার আগে পরে প্রচন্ডরকম ব্যস্ত ছিলাম।
নাওয়া-খাওয়াও রুটিনের বাহিরে ছিলো।
তবে আপনার প্রচারণা এবং আন্তরিকতার জন্য অভিনন্দন।
আমাকে পিটায়া তক্তা বানাইলেও এ বিষয়ে লেখা আসবে না।
ব্লগীয় ৩ বছরের জীবনে আমার ইউনিক লেখা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র।
তাই সরি।
সবাইকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।
তা আমারে কেউ পিটিয়ে স্বীকার করাতে চাইলেও করবোনা। আপনি একজন জাত লেখক।
সবার আগে কাজ। সম্ভব হলেইতো আসবেন, আমরা কিন্তু জোর করিনি, কি করছি? মিথ্যা বলবেন না কিন্তু!
আর যাই হোক, না খেয়ে কাজ করা আমার পক্ষে অসম্ভব! আপনি পারতে থাকেন।
আপনার অভিনন্দন প্রফুল্য চিত্তে গ্রহণ করলাম।
পিটাইলে কারোরি লেখা বাইর হয়না, খালি মাগো বাবাগো এইগুলোই বের হয়। আপনার মুখ এইসব শব্দগুলো শুনতে আমার যে খুব স্বাদ জাগে।
বস পাবলিকদের লেখা এমনি হয়। আমরা তো ইউনিক মিউনিক টিউনিক, কোনটার মধ্যেই পড়িনা।
নো সরি, পারলে ভালো কোন হোটেলে এক ট্রিপ হয়ে যাক।
সবার হয়ে আপনার ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন আমি গ্রহণ করলাম।
এটি স্টিকি হওয়ার মত সুন্দর একটি পোস্ট।
সবাই আমরা দাবি করতে পারি।
প্রিয়জনদের সাথে থাকতে হয়!
সেই আরো বেশি বেশি আয়োজনে আপনার সঙ্গ যেন পাই।
সবার হয়ে আমি আপনার ধন্যবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম।
আজকের পোষ্টটিকে আমাদের আয়োজনের নির্যাশ বলা যায়। এত সুন্দর করে অল্প কথায় সবার মূল বক্তব্য তুলে ধরায় আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জাযাকাল্লাহ খাইর
ভবিষ্যতে আপনার পরিচালনায় আরো আয়োজন হোক এটাই প্রত্যাশা।
আলহামদুলিল্লাহ্, শুনে খুবই আনন্দিত হলাম।
আপনার উৎসাহব্যঞ্জক সবসময়ই আমার জন্য বিশেষ কিছু। আপনারা পাশে থাকলে হয়তো আগামী দিনে আরো ভালো কিছু দিতে পারি। আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।
আপনার প্রত্যাশা সবার সম্মতির উপর নির্ভর করে। সময় বলে দিবে আমি, হয়তো বা আমার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য অন্য কেউ।
আপনার পোস্ট পড়ে অনুপস্থিত থাকার মর্মজ্বালা টের পেলাম। আসলেই আমি খুব ব্যস্ত সময় পার করছি!
আপনাদের আয়োজন অত্যন্ত সুন্দর,প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক হয়েছে। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ ।
আমাদের ব্যস্ততার পরে রিয়েল আপ্যায়ন -
আপনার জ্বালা হয়েছে, তাতেই আমরা খুশি। সবার অংশগ্রহণ থাকবেনা, এটা সুম্ভবও। কিন্তু যখন কেউ আসতে না পেরেও ভালোবাসার প্রকাশ ঠিকই করে যাচ্ছেন, তখন আর অপূর্ণতা থাকেনা।
আলহামদুলিল্লাহ্, মূল্যায়ন শুনে খুবই আনন্দিত হয়েছি, যা ভবিষ্যৎ আয়োজনের জন্য শক্তি সঞ্চার করবে।
সবার হয়ে আমি আপনার আন্তরিক মোবারকবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম।
তবে খাবার সবাইকে নিয়েই খেতে চাই, তাই ফ্রীজে রেখে দিলাম ।
একটু পরেই আবার আমি ব্লগেই লুটোপুটি।
সেদিন আমায় বললো হেসে বন্ধু স্বজন কেও
ব্লগের রোগে ধরছে আমায় শুনে আমি ম্যাও।
বললাম আমি হেসে হেসে তাইনা বুঝি ভাই
ব্লগে এমন তর ভালবাসা হরহামেশা চাই।
বিডিটুডের প্রেমের ফাঁদে পড়ছে অনেকজন
সকল ব্লগার আমরা সবাই সবার প্রিয়জন।
কেও লিখে যান ছন্দ-ছড়া কেওবা কবিতা
কেওবা আবার গল্প লেখেন পড়ে মুগ্ধ যা।
প্রবন্ধ আর উপন্যাসও হচ্ছে মাঝে মাঝে
কেওবা আবার মন যা চায় লিখেন আজেবাজে।
কেও লিখে যান সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিষয়
কেওবা আবার বাংলার কথা লিখেন সময় সময়।
আসছে নতুন অনেক ব্লগার পুরাতনের ভীড়ে
আমরা সবাই লিখে যাব একই ব্লগের নীড়ে।
-
এই কবিতাটা ৮ জুন ২০১৪ তে পোস্ট করেছিলাম। আপনার এই ফিডব্যাকে মনে হলো সেটাই শেয়ার করি।
কথাগুলো সাধারণ ভাবে লিখলে অনুভূতির প্রকাশটাও সুন্দর করতে পারতাম।
আপনার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া। আল্লাহ্ আপনাকে নেক হায়াত দারাজ করুন।
সুন্দর মূল্যায়নের শুকরিয়া।
আপা, আল্লাহ্ আপনাকেও উত্তম প্রতিদানে ধন্য করুন। আমিন।
আমি শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। দোয়া করবেন যেন, দায়িত্ব সবসময় সঠিকভাবে আঞ্জাম দিতে পারি।
সবার হয়ে আমি আপনার আন্তরিক ধন্যবাদ স্বানন্দে গ্রহণ করলাম।
আপনার আশা পূরণে ব্লগাররা এগিয়ে আসবে নতুন প্ল্যান পরিকল্পনা নিয়ে, আমিও তাই কামনা করি
খুব খুব মিছ করলাম, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর আয়োজনের জন্য। ইনশাআল্লাহ এভাবেই ব্লগটি তার সঞ্জিবতা ফিরে পাবে।
নতুন বিয়ে এমনি হয়। আমরা মেনে নিয়েছিও।
এই ব্যস্ততার মাঝে ভাবির খবরা খবর রাখতে পেরেছেন তো? নাকি সেখানেও ব্যস্ততার দোহাই দিয়েছেন?
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মূল্যায়নের জন্য।
ইনশা আল্লাহ্, হবেই। আমরা করেই ছাড়ব।
ভালোলাগা অব্যাহত রাখুন।
আপনার ভালো লাগা অব্যাহত রাখুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন