বন্ধুত্বের কদর্য রুপ

লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ০৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০৩:৪১ সন্ধ্যা



তিনজন না থাকলে বিয়ে অনুষ্ঠান যথাযথভাবেই চলবে, তবু এতো মায়া, ভাললাগা রেখে আকস্মিক চলে যাওয়া অপ্রত্যাশিতই ছিল। সন্দেহ অবিশ্বাস সেদিন বন্ধুতের চির অবসান ঘটায়। পরেও পিঠে পিঠ লাগিয়ে ঘুমিয়েছি, তবু হৃদ্যতা ফিরে আসেনি। অনুরোধ পেয়েছি আবার গিয়ে ঘুরে আসতে, বন্ধুর মা দেখতে চেয়েছে, যাইনি, সাহস হয়নি।

রুম মেইটের ভাইয়ের বিয়ে। দুইমাস আগে আমাদের দাওয়াত দিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিব্রতবোধ করি, বন্ধুকে বলি, আমি যাবনা। সে নাছোরবান্দা, নিয়েই ছাড়বে। তিনজন যেতে রাজি হই। গন্তব্য ময়মনসিংহ ফুলবাড়ী।রাত দশটায় তাদের বাসায় উপস্থিত হই। আদর এ্যাপায়নের কমতি ছিলনা। খাওয়ার পর পরিচয় পর্ব। সেখানেও দুষ্টামিতে মেতে উঠে সবাই। পরিচয় করিয়ে দিলেন বন্ধুর চাচাতো বোন, যিনি এক্টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মাস্টার্স করছেন। বন্ধুর পরিবারের সদস্য সংখা পাঁচ জন, বাবা, মা, দুই ভাই, ছোট বোন।চাচা শহরে থাকেন, তিন মেয়ে, বড়োটার কথা উপরে উল্লেখ করলাম, বাকী দুইজন স্কুল কলেযে পড়ে।আমরা নিজেদের পরিচয় দিলাম। হঠাত বন্ধু দুষ্টামির ছলে বলে বসে, দেখ, আমার বোনদের দিকে যেন নজর না পড়ে। সবাই হো হো করে হেসে উঠল।

আমি লাজুক টাইপের, মেয়েদের সামনে হাটূ কাঁপে।যদিও একটা প্রেম করেছি।ঐ বেচারী কেমনে যে পছন্দ করল! বাকী দুজন মেয়ে পটাতে দারুণ উস্তাদ।ওদের উস্তাদিতে মেয়েদের কুপোকাত বনে যাওয়া দেখে তাজ্জব হতাম। অষ্টম আশ্চর্যই মনে হত। যে বন্ধু নিয়ে গেছে তার বাড়ীতে, সেও কম যায়না। এই কাজে তারা ছিল পস্পরের সহযোগি।সকাল হতেই বন্ধুর দুই চাচাতো বোন প্রেম পটিয়সীর সাথে আড্ডায় মেতে উঠে। বন্ধুর মা মেয়ে দুটাকে, “যাও, ভাইয়াদের নিয়ে ঘুরে আস”। বন্ধুযুগলের চোখ আনন্দে লাফিয়ে উঠে। দুইজনের জন্য দুই! আমি গেলে ডীস্টার্ব, যেতে আপত্তি করি, কিন্তু ললনারা জোর করেই সাথে নিয়ে যায়। পাশাপাশি হাটছি। মোটরসাইকেলে বন্ধুর আগমণ। চেহারার দিকে তাকানো যায়না, মুখ পাংশু বর্ণ, রতনে রতন চিনে, আমাদের সাথে চাচাতো বোনদের ঘুরতে দেখে চোখে রাগ প্রকাশ পায়। চাপাস্বরে তাদের বলে, “তারাতারি চলে আসিছ”। ঘুরাঘুরি করে বাড়ি ফিরে আসি।

দুইজন দুই ললনাকে নিয়েই পড়ে থাকে। আমার অসহায়ত্ব দেখে বড় আপুটা আমাকে সংগ দেয়। সন্ধায় গায়ে হলুদ। ভিডীও করা হবে, তাই বাড়তি ততপরতা। বিয়ে বাড়িতে সবার লাগামহীন মাতামাতির সাথে এডজাস্ট করতে পারিনা বলে এক কোণায় চুপটি মেরে থাকি। তবু মুক্তি মেলেনা, সামনে থেকে পিছন থেকে ললনার দল হুট করে এসে কোন দিক থেকে যে জড়ী হলুদ লাগিয়ে দেয় টের ও পাইনা। এক্টু পর পর দুই বন্ধু কোথায় যেন হাওয়া হয়ে যায়, আজব ব্যাপার সাথে দুই ললনাও হাওয়া। খুঁজতে গিয়ে চিপা চাপায় আবিস্কার করি।অন্তরঙ্গ হবার চেষ্টা, ফুল বিনিময়, অতঃপর প্রেমের প্রস্তাব। আর কি কি হতে পারে আল্লাহ ভাল জানেন।

বন্ধু কেনাকাটার কাজে শহরে যায়, সে যদি আমাদের আমুদ ফুর্তি দেখত, তাও তার বোন দের নিয়ে, নির্ঘাত হার্টফেইল করত। দুষ্টামিতে চলতেই থাকে। একটা গান মনে পড়ে, সবকিছুরই সশুরু আছে শেষ হয়ে যায়! মজায় বাম হাত দেয় স্বয়ং বন্ধু। রাত ১০টা, বন্ধু তার মাকে জানিয়ে দেয়, আমাদের থাকার ব্যাবস্থা হবে পাশের গ্রামে। তার এক বন্ধুকে পাঠায় আমাদের নিয়ে যেতে।শধু তাই নয়, তার বন্ধুটি বেশ কবার প্রেম পটিয়সী দুই বন্ধুকে চা খাওয়ানোর কথা বলে বাড়ির বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যায়। আমাদের গতবিধি পরখ করতে থাকে। সবাই অনুরোধ করে বিয়ে বাড়িতেই থাকতে। ললনারা বলে, যদি জায়গা নাও থাকে ভাইদের সাথে গল্প করে রাত কাটিয়ে দেব, বলেই খড়ে আগুন দিয়ে পোহাতে থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে সন্ধার প্রাণবন্ততা কমে আসে, কেও আর হাতে ধরে অনুরোধ করে না, “ভাইয়া, আপ্নারা এইখানে থকবেন, কোথাও যাবেন না।“

রাত এগারোটা, বন্ধুর বাবার নাম্বারে কল আসে, রিসিভ করে হেলো বলে পরে শুধু শুধু হা হা হা, ঠিক আছে, এই বলে রেখে দেয়, সলজ্জ হয়ে বলে, “বাবা, আমার ছেলে তাগাদা দিচ্ছে, তোমরা এখানে থাকার কষ্ট পাবে, পাশের গ্রামে চলে যাও শুইতে”। বুঝে গেছি সাম্থিং রং। গোপন মাধ্যমে জানা গেল, বন্ধু সন্ধ্যা থেকেই ফোনে সবাইকে আমাদের গতিবিধি নজর রাখতে বলে যাচ্ছে, শুধু তাই নয়, সর্বশেষ চাচাতো বোনদের পর্যন্ত ফোনে শাসিয়েছে যেন আমাদের সাথে না মিশে। বড় আপুটা ঘরে গিয়ে চুপটি মেরে বসে থাকলে আমার সন্দেহ আরো দানাবেধে উঠে। লজ্জা, অপমান নিয়ে দ্রুতই তার বন্ধুর বাসায় চলে আসি। এক খাটে চারজন শুইতে হবে। ঘুম আসছিলনা, অপমানে শরীরে জ্বালা ধরে যাচ্ছিল, ডেকে এনে এ কেমন জঘন্য অপমান! এক সাইডে আমি, তারপর দুই বন্ধু, সবশেষে বন্ধুর বন্ধু।সে বন্ধুটি ছিল সমকামী, তার খপ্পরে পড়ে দুই বন্ধু রাতে একটু ঘুমাতে পারেনি। বারবার তাদের উপর আক্রমণ শানাতে চেয়েছে, পারেনি।আমার গায়েও বেশ কবার হাত দেবার চেষ্টা করেছে, ভেবেছিলাম ঘুমের ঘোরে হয়ত। সকালে শোনেতো আমি হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম! পরে যখনি তিন বন্ধু একসাথে হতাম, কথায় না পারলে, সমকামীর সাথে রাত্রী যাপন, এই কথা বললেই জবাব বন্ধ হয়ে যেতো। ঘুম থেকে ঊঠেই শলাপরামর্শ করি, আর এক মুহুর্ত নয়, সোজা ঢাকা চলে যাব। বন্ধুর বন্ধুটি এতো সকাল বিয়ে বাড়িতে যেতে দিচ্ছেনা, গোসলের কথা অনেক কষ্টে সেখান থেকে বিয়ে বাড়িতে হাজির হই।

খুব সকাল, বন্ধুর বাবার সঙ্গে দেখা, আমাদের রেডি হতে উদ্বিগ্ন কন্ঠে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছ? বলি, গোসল করব, রাতে যেখানে ছিলাম সেখানে যাচ্ছি। দ্রুতই চলে আসব। বলে, আমাদের টিউব অয়েল আছে, এইখানে করে নাও। আম্রাঃ না, বিয়ে বাড়ি, কোলাহলের মাঝে গোসল করে অভ্যস্ত নই, তাই সেখানে। বন্ধুর বোন কে ডাকি, তার কাছে আমার একটা ঘড়ি ছিল, সে এসে সন্দেহের পোষন করে, বলে ভাইয়া, কোথায় যাচ্ছেন? গোসল করতে, কিন্তু সবার পায়ে ক্যাডস, পিঠে ব্যাগ! আরে , ব্যাগে লুঙ্গিই,তাই সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি, বড় বোনটা সম্ভবত কিছুটা আচ করতে পেরেছে তাই নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিল।



বাড়ির পাশেই রাস্তা। ভাগ্য ভাল, রাস্তায় বাস পেয়ে উঠে বসি। মোবাইল বন্ধ করে নেই, কারণ বন্ধু আর সবাই ফোন করে জানতে চাইবে আমরা কোথায় আছি। বিয়ের অনুষ্ঠান কে ইতি, টাটা জানিয়ে চম্পট! হলে বিখ্যাত একটা গান এক মনে গেয়ে চলেছি, ‘ বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গন্য হলাম, তবু একটা কিছু হয়েছে যে, তাতে আমি ধন্য হলাম……

এমন পরিস্থিতে আমার অবস্থা ছিল দোদুল্যমান। বন্ধুর বন্ধু যখন বেশ কয়েকবার আমার দুই বন্ধুকে বাড়ির বাহিরে নিয়ে যায়। আমাকে যাবার জন্য তাগাদা দেইনি, সম্ভবত আমাকে নিয়ে আশংকা ছিলনা। তাহলে আমি কেন বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে না খেয়ে চলে আসি? তার কারণঃ ১,আমি তাদের সাথে গিয়েছি, একা সেখানে রয়ে গেলে দুই বন্ধুর বিরাগ ভাজন হব, তাছারা বারবার প্রশেন্র মুখোমুখি হব, কেন দুই বন্ধু চলে গেল? ২, বন্ধু আগেই জানত তার বন্ধুরা কেমন, মেয়ে দেখলে যাদের কাজ টোপ ফেলানো, সেও পূর্বেকার এইসবের সমুংশীদার, তবু কেন দাওয়াত করল? কেন নজরদারী বসিয়ে সবার কাছে নষ্ট ছেলে বানালো? ৩, আমি তার বিশ্বস্ত, বিষয়গুলো আমার সাথে শেয়ার কেন শেয়ার করেনি? যদি বাড়ির লোকজন জেনে থাকে আমরা খারাপ ছেলে, তাহলে পরদিন মুখ দেখাবো কেমন করে। তাই চলে আসি। হলে আসার পর বন্ধুটি বারবার আমাকে বলত। “তোরেতো, অনেক বিশ্বাস করি, তুই কেমন করে পারলি বিয়ের অনুষ্ঠান রেখে পালিয়ে এসে আমাকে সবার সামনে লজ্জায় ডুবাতে!!! বিয়ে বাড়ি থেকে মেহমান চলে যাওয়া কত লজ্জার! ভুক্তভোগী আমি শুধু বুঝলাম।“

কিছু সত্যের নীরব সাক্ষী। দেখেছি দুই বন্ধুর বাড়াবাড়ি মেয়ে দুইটার সাথে।দেখেছি বন্ধুর আপন বোনটি আমাদের সামনে নানা অঙ্গ ভঙ্গী করতে। নীরব সাক্ষী হয়েছি বন্ধুর বন্ধু কে সমকামীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখে। কিছু বলিনি, কার কাছে কি বলব, সবাইযে বন্ধু! দোষ যেমন দুই বন্ধুর ছিল, তেমনি মেয়ে দুইটার ও। আজো ভাবী, বন্ধু আমাদের উপর নজরদারী বসিয়ে অপমান করেছে তা ঠিক, কিন্তু আমরা তার বিশ্বাস ভংগ করেছি বলেইত! বন্ধুটি পরে আমাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছে, “তারা কি করেছে আমার বোনদের সাথে?” সত্যটা বলতে পারিনি। এড়িয়ে গেছি জানিনা দেখিনি বলে। পরে তাদের মধ্যে মারামারি ও হয়েছে, প্রকাশ্য কারণ সামান্য কিছু ছিল, আসল কারণ এটাই, অপমানের প্রতিশোধ অন্যদিকে বিশ্বাস ভঙ্গের উপযুক্ত জবাব।

আমার উপলব্দিঃ বন্ধুর বোন আপন বোন নয়, বন্ধুর ভাই আপন ভাই নয়। একজন অন্যজনের কাছে গায়রে মাহরাম। “ভাইয়ার বন্ধুকে নিজ ভাইয়ার মতই দেখা অথবা বোণের বান্ধবীকে ছোট বোনের মতই দেখা, এইসব কথা ধোপে টেকেনা। কোন একজনের শয়তানী পেয়ে বসাই যথেষ্ট, ভাই হাই(জামাই) হতে সময় নেবেনা। বন্ধুর বোনের প্রতি খারাপ নজর দেই কিভাবে! হা পছন্দ হলে শরিয়ত সম্মতাভবে বন্ধুর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে তাতে কোন দোষ নেই। বন্ধুর সাথে নিজের বোন কে মিশতে না দেবার কারণে যদি বন্ধুতা চলে যায় যাক, তবু বোনের ইজ্জত রক্ষা করা জরুরী। আমার ঘরে যত বন্ধু আসত, কখনোই বোন কে ডেকে এনে পরিচয় করিয়ে দেইনি, মা মাঝে মাঝে পর্দার আড়াল থেকে ভাল মন্দ জিজ্ঞেস করে নিতেন, তাতে আমাদের বন্ধুতা নষ্ট হয়নি। কেও দেখতে চাইত। আমি মুখের উপর না করে দিয়েছি। খোলামেলা পরিবেশে অন্তরংগভাবে মেশার সুযোগ থাকলে নারীর কাছে পুরুষের অথবা পুরুষের কাছে নারীর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন, হতে পারে বন্ধুটি খুব বিশ্বস্ত।তবু আগুনের কাছে মোম না গলে পারবে কি! সো সাবধান। আপনার উদাসীনতা বন্ধুর সনে বোনের কুলুখ চুলুখ খেলা সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। বন্ধুত্বতো যাবেই, জীবনে আর কখনো কোন বন্ধুকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। বোনের প্রতি স্নেহ শ্রদ্ধা জন্মাবেনা কখনই।

বন্ধু অতি পবিত্র একটা সম্পর্ক! আপনার লোভ লালসা কুমতলব যেন তার অপমৃত্যু ডেকে না আনে। বন্ধুত্বের জয় হোক! ভালবাসা চির জাগ্রত থাকুক।

বিষয়: বিবিধ

৬৯৫২ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272603
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার লেখাটি পড়লাম। কেমন জানি একটা মিশ্র অনুভূতি হল।



০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
216745
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : বলে ফেলুন, আমি সাধ্যমত চেষ্টা করব জবাব দিতে।

মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণ মনে হয় কিছুটা বুঝতে পেরেছি। তবে বলে রাখি, ঘটনাটি ২০১১ সালের! এখনকার নয় আপু! তখন আমি আজকের মত বাধ্য ছেলেটি ছিলাম না!
272615
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
শেখের পোলা লিখেছেন : বড়ই জটিল বিষয়৷ বন্ধুত্বের মধ্যে বিশ্বস্থতা অবশ্যই থাকতে হবে৷ আর সবার মধ্যে মনুষ্যত্ব৷ধন্যবাাদ৷
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪২
216780
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার মন্তব্যটি অনেক ভাল লেগেছে। ঠিকি বলেছেন, মানুষের মনুষ্যত্ব থাকা অত্যাবশ্যকীয়।
আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ।
272625
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বন্ধুত্বকে মর্যাদা দিতে আমরা প্রায়ই ভুল করি। আর পর্দার বিধান অমান্য করাকে মনে করি বন্ধুত্বের দাবি!! যার ফলে বরং নষ্ট হয়ে যায় বন্ধুত্ব সেই সাথে চরিত্র!
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৬
216782
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : রিদওয়ান ভাই ঠিক বলেছেন, বন্ধুত্বের খাতিরে আমাদের ভুলগুলো যদি কেয়ামতের দিন
কঠিন জবাবদিহিতার মুখোমুখী করে দেয়, তেহলে কেমন করে জবাব দেব! সেখানে বলতে পারব পর্দা করার চেয়ে জরুরী বন্ধুত্ব রক্ষা করা? পারবনা। তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্দাকেই প্রাধান্য দেই।

অনেক ধন্যবাদ ইভার গ্রীন রিদওয়ান ভাই।
272627
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ।
খুব সুন্দরভাবে বক্তব্যটুকু তুলে ধরেছেন। " বন্ধু অতি পবিত্র একটা সম্পর্ক! আপনার লোভ লালসা কুমতলব যেন তার অপমৃত্যু ডেকে না আনে। বন্ধুত্বের জয় হোক! ভালবাসা চির জাগ্রত থাকুক। " আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৮
216783
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : মামুন ভাইয়ের আমার সাথে একমত, আমার যেখুশি ধরেনা!!!

শোকরিয়া। অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
272630
০৯ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। গায়রে মাহরাম থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকা উচিত। মনে রাখবেন ২ জন গায়রে মাহরামের মধ্যে ৩য় ব্যক্তি হয় ইবলিস।
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫১
216784
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন। ৩য় জন শয়তান, সে শুধু পিন দিতে থাকে।

ধন্যবাদ শাব্বির ভাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুক।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:০৮
216820
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর কুদরতের দ্বারা ইবলিসের হাত থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
272668
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Chalam vhaiya. It is an important direction and thought for learning in which way we need to lead our children. Jajakallahu khair.
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৫
216785
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম আপু। আমার দিক নির্দেশনা যদি আপনাদের সামান্যতম কাজে লাগে আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম প্রতিদান দিবেন।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
272670
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

পড়লাম, সমাপ্তিটুকু সুন্দর হয়েছে,

দোয়া করি, জাযাকাল্লাহ..
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০১
216786
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
শোনে প্রীত হইলাম। আপনার দোয়া এবং অনুপ্রেরণা আমার লিখাত হাত কে সচল রাখতে পারে সহায়তা করবে আশা করি।

ধন্যবাদ সাইফের বাবা। প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
272676
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৩১
নোমান২৯ লিখেছেন : বন্ধু অতি পবিত্র একটা সম্পর্ক! আপনার লোভ লালসা কুমতলব যেন তার অপমৃত্যু ডেকে না আনে। বন্ধুত্বের জয় হোক! ভালবাসা চির জাগ্রত থাকুক।
বন্ধুত্ব চিরদিন......।
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০৩
216787
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী, বন্ধুত্ব চিরদিন।

অশেষ ধন্যবাদ নোমান ২৯ ভাই, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
272687
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০১
আফরা লিখেছেন : বন্ধু কথন পড়লাম শেষে তো ভুলে গেলাম প্রথমে কি পড়লাম ।
০৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১২
216789
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আফরা! দুষ্টামি করেনা। একটা পরামর্শ দেই, তাহলে মনে হবে। শর্ত হচ্ছে, আমার পরামর্শ এপ্লাই করতে হবে।

আপনি মাথাটা দেয়ালের কাছে নিয়ে যান, চোখ দুটি বন্ধ করুন, সমস্ত চিন্তা মাথা ঝেরে ফেলুন, সজোরে মাথাটাকে দেয়ালের উপর আঘাত করুন। তারপর দেখবেন সব মনে পড়ে গেছে।

অনেক পরীক্ষিত! এপ্লাই করলেই সাক্ষাত প্রমাণ পাবেন।
১০
272699
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:১৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এক সাইডে আমি, তারপর দুই বন্ধু, সবশেষে বন্ধুর বন্ধু।সে বন্ধুটি ছিল সমকামী, তার খপ্পরে পড়ে দুই বন্ধু রাতে একটু ঘুমাতে পারেনি। বারবার তাদের উপর আক্রমণ শানাতে চেয়েছে, পারেনি।আমার গায়েও বেশ কবার হাত দেবার চেষ্টা করেছে, ভেবেছিলাম ঘুমের ঘোরে হয়ত। সকালে শোনেতো আমি হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম!

,,,,,

বন্ধুর বোন আপন বোন নয়, বন্ধুর ভাই আপন ভাই নয়। একজন অন্যজনের কাছে গায়রে মাহরাম। “ভাইয়ার বন্ধুকে নিজ ভাইয়ার মতই দেখা অথবা বোণের বান্ধবীকে ছোট বোনের মতই দেখা, এইসব কথা ধোপে টেকেনা। কোন একজনের শয়তানী পেয়ে বসাই যথেষ্ট, ভাই হাই(জামাই) হতে সময় নেবেনা। বন্ধুর বোনের প্রতি খারাপ নজর দেই কিভাবে! হা পছন্দ হলে শরিয়ত সম্মতাভবে বন্ধুর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে তাতে কোন দোষ নেই। বন্ধুর সাথে নিজের বোন কে মিশতে না দেবার কারণে যদি বন্ধুতা চলে যায় যাক, তবু বোনের ইজ্জত রক্ষা করা জরুরী।


১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:২০
216803
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ দি স্লেভ।
কিন্তু আমার লিখাই কপি করে দিলেন, আপনার মন্তব্য কই???
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
216942
দ্য স্লেভ লিখেছেন : শেষের অংশটুকই আমার কমেন্ট। আপনি যেটা রিখেছেন,সেটাই সমর্থন করলাম। Happy
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:০৪
216945
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আবারো অনেক ধন্যবাদ স্লেভ ভাই। কিন্তু আপনার নামের রহস্যটা কি আমাকে জানিয়ে ধন্য করবেন আশা করি!
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১৩
217075
দ্য স্লেভ লিখেছেন : স্লেভ মানে স্লেভ অব আল্লাহ
১১
272742
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৩
কাহাফ লিখেছেন :
'যার সাথে বন্ধুত্ব,
তার সাথেই হাশর।'
পবিত্র বন্ধুত্বের প্রয়োজনীয়তা এ থেকেই বুঝা যায়, বন্ধুত্ব নির্বাচনে অসতর্কতা ভয়ানক বিপদ ডেকে আনে জীবনে। তাই চোখ-কান খোলা রাখতে হবে সবাই কে।
ময়মনসিংহ ফুলবাড়ি কোথায় গিয়েছিলেন? ফুলবাড়িয়া নামে উপজেলা আছে, ওখানে কি? গন্তব্যের পুর্ণ ঠিকানা জানাবেন কি?
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখনীর জন্যে.....।
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১৮
216867
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সরি ভাই, ৪ বছর আগে গিয়েছিলাম, ঠিক মনে করতে পারছিনা। তবে ফুলবাড়িয়া নয় সম্ভবত ফুলপুর হবে জায়গাটির নাম।

১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৩০
216869
কাহাফ লিখেছেন :
জী হা, ফুলপুর নামেও এক উপজেলা আছে, শেরপুর রোডে।
আবারো কোন একদিন সময় করে ময়মনসিংহ বেড়ানোর দাওয়াত রইলো- আমার বাড়ী। শহর থেকে দুরে, গ্রামীন পরিবেশে ভাল ই লাগবে আশা করি....
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:১২
216870
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেন নয়, আমিও গ্রামের ছেলে, গ্রামের অপ্রতিরোধ্য টান আমাকে বারবার নীড়ে নিয়ে যায়।

আপনার দাওয়াত পেয়ে অত্যন্ত খুশি হলাম। ইনশাল্লাহ সম্ভব হলে গিয়ে ঘুরে আসব।
অনেক ধন্যবাদ কাহাফ ভাই।
১২
272760
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
বুড়া মিয়া লিখেছেন : বিয়ে বাড়ীর এরকম বেশ কিছু ঘটনা আগেও শুনেছিলাম ...
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১৯
216868
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কেন নয়, বুড়া মিয়া শোনবেনাতো কে শোনবে!

ধন্যবাদ দাদা ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য।
১৩
272766
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৩২
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই সমস্ত সমস্যাই অ্যাাভয়েড করা যেত যদি পর্দা অবলম্বন করা হত। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:১৩
216871
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আসলে আপু, তাদের পরিবারে ধর্ম কর্মের তেমন চর্চা ছিলনা, তাই এমন হয়েছে।

ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
১৪
272808
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:২২
রাইয়ান লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন , ভাইয়া । একটা সময় ছিল যখন বন্ধুত্ব ছিল নির্মল , পবিত্র ..... কিন্তু বর্তমানে কেমন যেন সব কিছুই পাল্টে গেছে । আস্থা , বিশ্বাস , ভালবাসা , নৈতিকতা সবকিছুই নির্মল বন্ধুত্ব থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে । লেখাটির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:০০
216943
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আস্থা , বিশ্বাস , ভালবাসা , নৈতিকতা সবকিছুই নির্মল বন্ধুত্ব থেকে বিদায় নিতে শুরু করেছে । -
যথার্থই বলেছেন আপু,বন্ধুত্বে এখন নোংরামিতে ভরা, তাই তার অকাল মৃত্যু ঘটে।

আপনার মন্তব্য আমার জন্যো বিশেষ কিছু, ভাল লাগা বলে প্রকাশ করতে পারবনা। দোয়া আল্লাহ আপনাকে সবসময় ভাল রাখুন সুস্থ রাখুন।
১৫
272866
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
ফেরারী মন লিখেছেন : আপনার সুরে সুরে বলি বন্ধুত্বের জয় হোক! ভালবাসা চির জাগ্রত থাকুক। Rose Rose
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০০
217661
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ফেরারী ভাই।
১৬
273054
১১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৭:৪৭
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : অমর হোক ভালবাসা
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:০০
217662
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭
274363
১৪ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : বন্ধুত্বের জয় হোক! আর দিন দিন যে বিশ্বাসটা উঠে যাচ্ছে তা ফিরে এসে বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো নির্মল হোক- এটাই প্রত্যাশা !
২১ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৩
304177
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File