যৌন জিহাদ, ঘটনা সত্য? নাকি অপপ্রচার, জানতে চাই
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:০৪:৫৪ বিকাল
খবরে প্রকাশ, বিশ্বের বিভিন্য দেশ থেকে বিপুল সংখক নারী সিরিয়া ও ইরাকে যোদ্ধাদের শারীরিক প্রণোদনা দেয়ার জন্য যৌন জিহাদে অংশ গ্রহণ করছে।
আমার প্রশ্নঃ ১, এই ধরণের যৌন জিহাদ বা যোদ্ধাদের শারীরিক আরামদানের বিষয়টি (বিবাহ বহির্ভূতভাবে) ইসলামে জায়েজ কিনা?
২, শোনা যায়, বিভিন্য পরিবার কে উতসাহিত করে অথবা হুমকী দেয় যৌন জিহাদে অবিবাহিত সুন্দর মেয়েদের পাঠানোর জন্য। এমন কি হতোয়াহ জারি করা হয় যৌন জিহাদের পক্ষে! এই ধরনের ফতোয়াহ কি ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত?
৩, রাসুল (সঃ) এর সময়ে এই ধরণের জিহাদের প্রচলন ছিল কি?
৪, খবরে প্রকাশ, ভুক্তভোগিদের সাক্ষাতকারে দেখা যায়, একজন কে দিনে ১০০ বারের ও বেশি সহবাসে মিলিত হতে হয়েছে, একজনের সঙ্গে নয় বরং অনেক পুরুষের সাথে। এই রকম বর্বর এবং পতিতাদের মত বহুগামী হওয়া শরীয়ত সম্মত নয় জানি, তবে এই ব্যাপারে মূল বিধান কি?
৫, চার নারী ইতোমধ্যে আত্মহত্যা করেছেন, যদি যৌন জিহাদ জায়েজ হত এবং তারাও স্বেচ্ছায় গিয়ে থাকেন তবে কেন আত্মহত্যা করবেন?
৬, যতদুর জানি মুতা বিবাহ বিধান রহিত হয়ে গেছে, যৌন জিহাদ মুতা বিবাহের মতই। রহিত হওয়া একটা জিনিস কেমন করে আবার জায়জে করা হচ্ছে? পরিস্কার ধারণা নিতে চাই, আদৌ এখন মুতা বিবাহ জায়েজ আছে কিনা?
৭, সব শেষ প্রশ্নঃ আসলে কি যৌন জিহাদের মত ঘটনা ঘটে চলেছে নাকি পশ্চিমা বিশ্বের অপপ্রচার?
কারো জানা থাকলে বিস্তারিত জানাবেন আশা করি।
বিষয়: বিবিধ
২১২৯ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বুঝতে হবে –এটা - আমেরিকানদের ইরাক আক্রমণের সময়ে – ফিলিপিনো ‘যৌন দাসী সরবরাহের মত কোন বিষয় নয়। এ পর্যন্ত দুজন সোমালি মেয়ের সম্বন্ধে জানা গেছে – যারা নিজেও সিরিয়ার ‘জিহাদে যোগ দিয়েছে এবং এদের একজন সেখানে এক মুজাহিদকে বিয়ে করছে বলে খবরে এসেছে। পুরুষদের পক্ষেই যেখানে খেয়ে না খেয়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে- প্রতি মুহূর্তে মাথার উপরে বোমা পড়ার আশঙ্কা – ক্ষমতার দিক থেকে ‘সুপিরিয়র শত্রুর যুদ্ধ বিমানের সাথে লড়ছে - তাদের কি ‘খাহেশাত নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আছে? আর যারা জেহাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে – শহিদী জোশে যুদ্ধ করে – তাদের ঈমান, হারাম হালাল, ন্যায় অন্যায় বোধ- আমাদের চেয়ে অনেক উপরে। তারা আর যাই হোক – এমন হারাম কাজে লিপ্ত হবে – এটা চিন্তা করা যায় না। তবে বিয়ে করা তো আর নিষেধ নয়, কেউ যদি বিয়ে করে থাকে তবে তাতে কোন সমস্যা নেই।
আপনার সাথে একমত।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
আমার কাছে এই সমস্ত বিষয় মিথ্যা মনে হয়, কেননা আইসিসের শেকড় অনেক কঠিন জেনে পশ্চিমা বিশ্ব তাদেরকে মুসলিম বিশ্বের কাছে হেস্ত নেস্ত করার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করেছে মনে হয়, যাতে করে আইসিস কোন দিন মুসলিম বিশ্ব থেকে স্বীকৃতি না পায়। আচ্ছা আইসিস যদি সত্যিই যৌন পুজারী হতো তবে কেন ইন্ডিয়ান কেরালায় ৪৮ জন নার্সকে তাদের হাতের মুঠোয় থাকা সত্বেও স্ব-সম্মানে ইন্ডিয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে নিজ দেশে হস্তান্তর করলেন? এ ঘটনা থেকে আমি বিশ্বাস করি আইসিস যৌন পুজারী নয়। এটা পশ্চিমাদের মিডিয়া সন্ত্রাস।
সহমত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার লিখায় সবসময় সংগ দিয়ে যান বলে স্পেইশাল ধন্যবাদ
" এটা অসম্ভব যে একজন সৈনিক যথন যুদ্ধে লিপ্ত থাকে সে নিজের জিবন নিয়েই থাকে চিন্তিত। ধর্ষন এর মত কাজের মানসিকতা থাকা অসম্ভব।" এই কথাতেও একমত হতে পারলাম না। ধর্ষন হয় বেশি এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর বিজয় লাভ করলে, কারণ তখন বিজয়ী পক্ষের যোদ্ধাকে জীবন নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। তাছাড়া তারা অনেক দিন স্ত্রী থেকে আলাদা থাকে বলে যৌন লালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ধররষনের ঘটনা ঘটায়।
ইসলামের পক্ষে যোদ্ধাদের বিষয় সম্পূর্ন আলাদা, তারা বিজয় লাভ করেও মনে আল্লাহর ভয় জাগ্রত থাকায় ধর্ষন, লুটপাটের মত নিকৃষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকতে সমর্থ হয়।
আপনাকে ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন