হায়রে গ্রীণকার্ড ডট ডিকে
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ৩০ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:০২:০৮ বিকাল
ছবিটি http://www.rightnow.io থেকে নেওয়া
ডেনমার্কে হাই প্রফেসন জব করার জন্য গ্রীণ কার্ড ক্রিম চালু হয়। তাই সুইডেনে পড়তে আসা স্টুডেন্টরা বানের পানির মত ডেনমার্কে পাড়ি জমায়। তাদের নিয়েই আমার পোস্ট
২০০১১ সালের আগ পর্যন্ত সুইডেনে ফ্রি পড়াশুনা করা যেত। তখন তারা সুইডেনে পড়তে এসে ডেনমার্কে পিজ্জারিয়াগুলো দিনরাত আন্নে যা দেন ভীত্তিতে কাজ করত শুধু তিসিস জমা দেওয়ার সময় সুইডেন গিয়ে ডিগ্রি নিয়ে আসত। সুইডেনে যদি কোন স্টুডেন্ট পাশ করে তবে অধ্যাপক অনেক টাকা পায় তাই ডেনমার্কে ডিশওয়াশিং করে করে তারা মাস্টার্স কম্প্লিট করে ফেলত । অথচ আমরা যার ডেনমার্কের স্টুডেন্ট সারা রাত নিউজ পেপার ডেলিভারী, ক্লিনিং ডিশওয়াশিং করে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত পড়াশুনা করেও পাশ করতে খবর হয়ে যেত।
ডেনমার্কে হাই প্রফেসন জবের জন্য প্রচুর পোস্ট খালি এসবের জন্য ল্যাংগুয়েজ লাগে না। ওয়ার্ক ইন ডেনমার্কর অফিসে গেলে প্রচুর কাজ। আমি একবার গিয়েছিলাম তখন অবশ্য আমি কোর্স সমাপ্ত করি নি। এক পাকিস্তানি বড় ভাই ওই অফিসে কাজ করতেন তিনি আমাকে বলেছিলেন তুমি কোর্স কম্প্লিট করে আস।উনি বলেছিলেন আমি চাই আমারমত আরও পাকিস্তানী বাঙ্গালী উচুমানের জব করুক। যাই হোক সুইডেন থেকে আসা গ্রীণ কার্ডধারীদের অনেক হাতে পায়ে ধরেও আমি হাই প্রফেসন জবের জন্য নিয়ে যেতে পারি নি। তারা ক্লিনিং ডিশওয়াশিংয়ে বেশী মনযোগী। পরে অবশ্য জানলাম তাদের ভীতরে যেহেতু কিচু নেই তাই গোমর ফাসের ভয়ে ডিশওয়াশিং করাকেই ভাল মনে করে।
এমনই একজন গ্রীণকার্ডধারীর সাথে আমি কথা বলতে গিয়েছিলাম উনি সুইডেনের নামী ইউনির্ভাসিটি থেকে তথ্যপ্রযুক্তির কোন একটা বিষয়ে পাশ করে এসেছেন। তাই উনাক জিজ্ঞেস করলাম ভাই আপনার তো ল্যাংগুয়েজ সম্পর্ক অনেক আইডিয়া। উনি বললেন অবশ্যই। আমি বললাম তো ভাই কি কি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানেন। আমার গ্রীণকার্ডধারী ভাই বললেন বাংলা, ইংরেজী আরবী, উর্দু অনেক ল্যাংগুয়েজ জানি। হাহাহহাহাহাহাহাহাহ
গ্রীণকার্ডধারীদের আরো মজার মজার গল্প শুনতে সাথেই থাকুন
চলবে...............
বিষয়: বিবিধ
৩৮৮১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি নিজেও সুইডেনে মাস্টার্স করে সুইডেনেই পিএইচডি করতেছি।
সবাই পরিশ্রম করে টাকা কামাই। আর আপনারা উনাদের নিয়ে মজার কাহিনী লিখেন। সেলুকাস এই পৃথিবী !!!!
ইংল্যান্ডে সাউথ-এশিয়ান ওয়ার্সীর ব্যাপারটা জেনেও তাই মনে হয়েছে – কি পরিমাণ কোনঠাসা হয়ে থাকলে সেই ফোরামে প্রতিবাদ না করতে পেরে অন্তর্জ্বালায় ইস্তফা দিয়েছে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন