Sing Sing Singapore - প্রথম পর্ব (ভ্রমন কাহিনী)

লিখেছেন লিখেছেন আতিক খান ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৮:৩৪ দুপুর



১।এয়ারপোর্ট ও ইমিগ্রেশন

বাংলাদেশ বিমানের সাথে সখ্যতা আমার পুরানো। দেশের রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা আর ট্রাফিক জ্যামের সাথে বিমান ভাগ্যিস তাল মিলিয়ে চলে। কদিন আগেই ঢাকা হতে চট্টগ্রাম ফিরছিলাম। বনানিতে এক বিদেশগামী বন্ধুর সাথে দেখা না করলেই নয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফ্লাইট। বন্ধুর বাসা ঘুরে মহাখালি, এয়ারপোর্ট রোডের জ্যাম পেরিয়ে আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে পৌঁছলাম সন্ধ্যা সাতটা আঠারো মিনিট। অন্য এয়ারলাইন হলে বাসায় ফিরে যেতাম নির্ঘাত। বন্ধু বিমান বলেই ভরসা ছিল। আমাকে আশাহত করেনি, বিলম্বিত ফ্লাইট রাত আটটা পনের মিনিটে। এরকম আরও অনেক মজার অভিজ্ঞতা আছে বিমানে চড়া নিয়ে। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সিঙ্গাপুর যাত্রার তারিখের আগের ৪ দিনে দুই দিন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে আর দুই দিন কয়েক ঘণ্টার বিলম্ব। সেই বিমানে যাত্রার জন্য সাত সকালে ঘুম হতে উঠে দুই আড়াই ঘণ্টা আগে পৌঁছাতে গাত্রদাহ হচ্ছিল। ধীরে সুস্থে উঠে লাগেজ আর স্ত্রী – কন্যাসহ ভোর সাড়ে ৬টায় উত্তরা হতে রওয়ানা দিলাম। ফ্লাইট সকাল সাতটা চল্লিশে। সাতটায় আন্তর্জাতিক টার্মিনালে পৌঁছে চক্ষু চড়কগাছ। আমরা আর আরেকটা ফ্যামিলি ছাড়া বাকিরা ইমিগ্রেশন পেরিয়ে গেছে। বিমান এত শোধরাল কবে থেকে? তাড়াহুড়া করে বোর্ডিং কার্ড নিয়ে কাস্টমস / ইমিগ্রেশন পেরিয়ে চড়ে বসলাম বিমানে।

২। বিমান ও বাথরুম – মাঝারি সাইজের এরোপ্লেন। দুপাশে ৩ জন করে সারি বাঁধা চেয়ার। খাবার বেশ ভাল। সমস্যা হল বাথরুম নিয়ে। ১৮০ জনের প্লেনে মোট বাথরুম ৪ টা। ২ টা ভিআইপি ১০ জনের জন্য, বাকী ২ টা ১৭০ জনের জন্য। এই ধরনের বৈষম্য মেনে নেয়া যায়? ৩০ হাজার ফুট উঁচুতে মানুষ আর বাথরুম পাবে কই। সে দুটোও একদম শেষ মাথায়। সাড়ে ৩ ঘণ্টার ফ্লাইটে সারাক্ষণই ১২/১৫ জনের লাইন লেগে রইল। এদের অনেকেই আবার ফ্লাশ করার সুইচটা খুঁজেই পেল না। মহিলাদের অনেককেই দেখা গেল, লাইন ধরে বাথরুমে পৌঁছালেও একনজর দেখেই মুখে কাপড় চেপে সিটে ফিরে যাচ্ছেন। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! সীট আর এসির অবস্থা অবশ্য মোটামুটি ভাল। প্লেনের এসি নিয়ে কদিন আগের একটা মজার ঘটনা মনে পড়ল –

চট্টগ্রাম হতে ঢাকা যাচ্ছি। প্লেনে চড়ে বসতেই খুব গরম বোধ হল। প্লেনে দেয়া পত্রিকাকে হাত পাখা বানিয়ে অনেকেই বাতাস করছেন নিজেকে। এয়ারহস্টেস কে ডেকে জিজ্ঞেস করতেই হাসি মুখে জানাল ‘কোন সমস্যা নেই’। প্লেন আকাশে উড়ল। গরমে হাঁসফাঁস করছি। আবার ডাকলাম ভদ্রমহিলাকে। একটু বিব্রতমুখে বললেন ‘ শুরুতে একটু সমস্যা হয়, অল্প সময় লাগে এরপর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে’। কতটুকু সময় লাগে? ‘এই তো স্যার, ঘন্টাখানেক’। হুম, ৪০ মিনিটের ফ্লাইট আর ঠাণ্ডা হতে লাগবে ১ ঘণ্টা, ইয়ার্কি মারার আর জায়গা পাও না (এটা অবশ্য মনে মনে বললাম)। হাল ছেড়ে দিয়ে আমাদের অনেকেই সীট হতে দাঁড়িয়ে এসির আউটলেটের ছোট্ট মুখটার কাছে নাক নিয়ে গেলাম। পাঙ্খা হাতে ঘুরালে যেরকম বাতাস আসে সেরকম হালকা বাতাসের মধ্যে একটু স্বস্তি পেলাম। ভাবছিলাম – এটুকুও বন্ধ হয়ে গেলে জানালা ভেঙ্গে বাইরে লাফিয়ে পড়লে বাতাস কি বেশি পাব না কম? এই প্লেনগুলো ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় উড়ে। ভাগ্যিস অল্প দূরত্ব, দুর্দশার শেষ হল একসময়।

ভায়রা ফাহিম আর শ্যালিকা মুনিয়া আমাদের রিসিভ করে নিয়ে গেল। সেংকাং এর কাছে এঙ্করভেইল রোডে ৩ বেডের সুন্দর ও গোছান ফ্ল্যাট। MRT (Mass rapid transit) স্টেশনের পাশেই বাসা হওয়াতে আমাদের বেশ সুবিধা হল। যখন খুশি যানবাহনের চিন্তা না করে বেরিয়ে পড়া। সিঙ্গাপুর ভ্রমনের গল্প লিখে এত স্বল্প পরিসরে শেষ হবে না, আমি কিছু মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।



মেরিনা বে, সিঙ্গাপুর

৩। সিনেমা ও MRT: বিদেশে গেলে অন্যতম যে কাজটা করা হয় সেটা হল বড় স্ক্রিনে সিনেমা দেখা। দেশে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে সিনেমা হলে যাবার মত না আছে পরিবেশ, না সপরিবারে দেখার মত সিনেমা তৈরি হচ্ছে। বিকেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে উঠে পড়লাম। বিদেশে আমি শুয়ে বসে না থেকে চেষ্টা করি সময়গুলো যতটুকু সম্ভব কাজে লাগাতে। মুনমুন (স্ত্রী) তৈরি হতে হতে সিনেমা হল আর পছন্দের সিনেমা তালিকা তৈরি হয়ে গেল। ইন্টারনেটে টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল ছবি শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেও। অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ট্যাক্সি নিয়ে দ্রুত ‘গোল্ডেন ভিলেজ’ হলে পৌঁছলাম। পছন্দের তালিকায় ‘TAKEN 2’ আর ‘ENGLISH VINGLISH’। ‘TAKEN 1’ ছিল দুর্দান্ত, কাজেই আমার আগ্রহটা ওইদিকে। অনেক বছর পরে শ্রীদেবী এর ছবি এসেছে, মুনমুন ‘ENGLISH VINGLISH’ ছাড়তে রাজী নয়। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় দুটোই দেখার সিদ্ধান্ত হল। এসব সিদ্ধান্ত নিতে নিতে সামনেরর সারি ছাড়া বাকী টিকেট বিক্রি হয়ে গেল। প্রথম সারিতে বসে একশন ছবি দেখা এক ধরনের শাস্তি, ক্যামেরার এত দ্রুত নড়াচড়া ! সেই শাস্তি ভোগ শেষে বেরোলাম, খিদে পেয়েছে। স্নেক্স খেয়ে হেলেদুলে টিকেট কাউনটার পৌঁছলাম। হিন্দি ছবি সিঙ্গাপুরে কে দেখবে? আরামসে যে কোন সীট নিয়ে শুয়েবসে দেখব। ডেস্কগার্ল জানাল, পাশাপাশি কোথাও দুইটা সীট নাই। ৩ টা মাত্র সীট বাকী। এর মধ্যে দুইটা সামনে পিছনে প্রথম দুই সারিতে আর বাকিটা মাঝামাঝি। ধুর! এভাবে দেখা যায়? লাইন ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি, মুনমুন বলল সামনে পিছনে দুই সিটে দেখতে আপত্তি নেই। আবার গিয়ে লাইনের পিছনে দাঁড়ালাম। লাইন যখন ডেস্কে পৌঁছালো আর মাত্র ১ টা টিকেট বাকী। হেসে ফেললাম দুজনেই, আজ আর কপালে নেই। (পরদিন বিকেলে অবশ্য ছবিটা দেখেছি, চমৎকার ছবি। একজন গৃহিণীর ইংরেজি শেখার গল্প, যাকে নানা সময়ে ইংরেজির কারনে নিজের বাচ্চাদের কাছেই অপদস্ত হতে হয়েছে। )



বোটানিক্যাল গার্ডেন, সিঙ্গাপুর

রাত নয়টা পেরিয়েছে। ডিনার করতে গিয়ে গোটা পঞ্চাশেক রেস্টুরেন্টে ঘুরেও পছন্দসই হালাল খাবার পেলাম না। রিভারসাইড রেস্টুরেন্টগুলোতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ধনী টুরিস্টরা তাদের কমবয়সী সঙ্গিনীদের (সম্পত্তির লোভে বা শুধু ট্যুরের জন্য ভাড়া করা) সাথে বিয়ারে চুমুক দিতে ব্যস্ত। বার্গার কিং এর বার্গার খেয়ে ফিরছি। তাড়া নেই, MRT চড়লাম। দশ বছর আগে বছরখানেক থেকে গেলেও অনেক কিছুর পরিবর্তন চোখে পড়ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা সম্ভবত সংস্কৃতির। পশ্চিমা সংস্কৃতি সবখানেই হানা দিয়েছে। আগে ট্রেনে উঠলে দেখা যেত হাই হ্যালো, ঠোটে মৃদু হাসি আর মাথা নড করা। এখন সবাই ব্যস্ত মোবাইল, আইফোন আর আইপ্যাডে। ছোট্ট যন্ত্রটাই এখন সব আকর্ষণের কেন্দ্রতে। মেয়েদের কাপড় চোপড় আরও সংক্ষিপ্ত ও পশ্চিমা ধাঁচের। টিন এজ কিশোর-কিশোরীদের খোলাখুলি ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়ার মত। ট্রেনে একেক বগিতে ৩০-৪০ জন বসতে পারলেও দাঁড়াতে পারে আরও শখানেক। একটা লম্বা সিটের একপাশে বসেছি। পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও ক’জন দাঁড়িয়ে। একদম কান ঘেঁষে কিশোর – কিশোরী এক প্রেমিক জুটি। ছেলেটা মেয়েটার কোমর জড়িয়ে আছে। মেয়েও কারনে অকারনে ছেলেটার গায়ে ঢলে পড়ে যাচ্ছে। দুজনের রোমান্টিক কথাবার্তা আর গালে গলায় চুমুর শব্দে আমারই কান লাল হয়ে যাচ্ছে। অনেকে ওদের দিকে বিরক্তির চোখে তাকিয়ে থাকলেও ওদের থোড়াই কেয়ার। ট্রেন সেং কাং এ এসে থামলো।



সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা, লিলি

এখান হতে LRT (LIGHT RAIL TRANSIT) তে করে টং কাং (ফাহিমের বাসা) যেতে হয়। সেং কাং হতে দুটো লুপ দুদিকে চলে যায়। দুটোই ঘুরে আবার সেং কাং ফিরে আসে। ২০-২৫ মিনিটের এক এক রাউন্ড ট্রিপ। আমাদের গন্তব্য পশ্চিম লুপ। কমাস আগে সিঙ্গাপুর ঘুরে গেছি। অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে পূর্বদিকের ভুল লুপে চড়ে বসলাম। রাত প্রায় এগারোটা, দুজনেই টায়ার্ড। কিছুটা রাগি গলায় মুনমুন বলল ‘তোমার উপর ভরসা করে এই অবস্থা’। আধঘণ্টা ঘুরপাক খেয়ে আবার সেংকাং ফেরত। নামতেই দেখলাম একটা LRT তে লোকজন উঠছে, দরজা বন্ধ হবার পথে। চট করে ঢুকে পড়লাম, প্রায় খালি। আরাম করে বসলাম। দরজা বন্ধ হতেই টের পেলাম আবার পূর্ব লুপে উঠে বসেছি। এবার আর তাকাতে পারছি না মুনমুন এর দিকে। ওর চোখে নির্ঘাত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। অনেক কষ্টে সাহস সঞ্চয় করে বললাম – ‘দেশে তো সম্ভব হয় না, তাই সিঙ্গাপুরে হলেও তোমার সাথে যতটুকু সম্ভব বেড়িয়ে নিচ্ছি। ইচ্ছা করে উঠলাম, সবে তো মধ্যরাত। এই যে শুধু তুমি আর আমি, কেউ আমাদের চেনে না। অজানা গন্তব্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কি রোমান্টিক তাই না’। রাগ নেমে হাসি ফুটে উঠল। যাক এযাত্রা রক্ষা, বাসা পৌঁছালাম ঘড়ির কাঁটা প্রায় ১ টার ঘর ছুঁই ছুঁই।

(২য় পর্বে সমাপ্য)

বিষয়: বিবিধ

২০০১ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269862
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
রাইয়ান লিখেছেন : সিঙ্গাপুর ভ্রমণের পাঁচমিশালী অসাধারণ লাগলো ..... মিষ্টি লেগেছে পূর্ব পশ্চিমের গোজামিলে পড়ে ভাবির মনোরঞ্জনের সার্থক চেষ্টাটি Big Grin Rose Rose Rose.... লিখে চলুন ভাইয়া ! Happy
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
213840
আতিক খান লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ রাইয়ান। Happy Happy শেষ পর্ব আজ রাতে বা কাল পোস্ট করব ইনশাল্লাহ।
১ম মন্তব্যের জন্য আলাদা শুভেচ্ছা। Good Luck Good Luck
269879
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ তোমাকে।
অনেক ভালো লাগলো। তবে নিজ দেশের বিমানের করুন দশা জেনে খুব ব্যথিত হলাম। :(
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Rose Rose Good Luck Good Luck
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
213851
আতিক খান লিখেছেন : বিমান কিছুটা উন্নতির পথে। তোমার অসাধারন সব লেখা আসছে। সিরিয়াসলি বইয়ের কথা ভাবতে পার। অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা। Good Luck Good Luck
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
213869
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আতিক।
ইনশা আল্লাহ।
তোমার সাথে নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আলাপ হবে।
ভালো থেকো।Happy Good Luck Good Luck
269949
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : প্রায় নয় বছর আগে সিঙ্গাপুর ভ্রমন করেছি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখব ভাবছিলাম তার আগেই আপনার পোষ্ট!!
ভাল লাগল। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন মেরিনা বে স্যান্ডস এর কাজ চলছিল। সেন্টোসা,বার্ড পার্ক আর নাইট সাফারি যান নাই? হালাল খাবার পেতে এত কষ্ট হলো কেন? সিঙ্গাপুর এ তো প্রচুর মালয়িদে এবং পঞ্জাবি রেষ্টুরেন্ট আছে।সেখানে হালাল খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছাড়া চেইন গুলিতেও হালাল খাবার পরিবেশন করা হয়। মুস্তাফা সেন্টার এর পাশে অনেক বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্ট ও আছে। ছোট্ট দেশটায় কোন জায়গা ঘুরেই ঘন্টা খানেক এর মধ্যেই সেখানে আসা যায়।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৩
213977
আতিক খান লিখেছেন : আজ লতিফের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার চলছে। ভেবেছি কেউ পড়বে না ভ্রমন কাহিনী। অনেক ধন্যবাদ। সবখানে গেছি আসলে, তবে বর্ণনামূলক না করে মজার অভিজ্ঞতাই বেশি লিখেছি। বর্ণনা আসলে ইন্টারনেটেও পাওয়া যায়, তাই হয়ত। মেরিনা বে এর পাশে হালাল রেস্টুরেন্ট কম। এমনিতে ছড়াছড়ি সিঙ্গাপুরে। হুম এমাথা ওইমাথা করতে ২ ঘণ্টা লাগে। ২য় পর্বে আরও ছবি দেব। শুভেচ্ছা রইল। Good Luck Good Luck
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৬
214007
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হাতের কাছে পাইলে তার চেীদ্দগুষ্টি না বত্রিশ দাঁত আর সব কয়টা হাড্ডি গুড়া করতাম!
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৩
214127
আতিক খান লিখেছেন : Applause Applause Happy Happy
269967
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
আফরা লিখেছেন : ভ্রমণ বর্ণনা ভাল লাগল আর বেশি ভাল লাগল লাভ ইন সিঙ্গাপুর ।

আমার ইচ্ছা আছে আগামী যখন দেশে যাব, ম্যালেশিয়া,সিঙ্গাপুর ঘুরে আসব ।ইনশা আল্লাহ ।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৫
213978
আতিক খান লিখেছেন : আজ লতিফের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার চলছে। ভেবেছি কেউ পড়বে না ভ্রমন কাহিনী। অনেক ধন্যবাদ। খুব সুন্দর জায়গা, ৭ দিনের জন্য ঘুরে আসতে পার। ২য় পর্ব ইনশাল্লাহ কাল। Good Luck Good Luck
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৭
213984
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমি কোথায় যাবো? Surprised Surprised আমাকে এভাবে সবাই এ্যভয়েড করলে কিন্তু আমি কবরে চলে যাবো Crying Crying
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০৫
214128
আতিক খান লিখেছেন : তুমি বাংলাদেশসহ যেসব দেশে লোডশেডিং বেশি সেখানে সেখানে ঘুরতে পার। আদর / কদর বেশি পাবে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
214806
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Time Out Time Out Time Out
269979
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি, এক সাথে পড়বো I Don't Want To See I Don't Want To See Big Hug Day Dreaming
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৮
213979
আতিক খান লিখেছেন : চালাকি, হু!! আজ লতিফের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার চলছে। যাক, ইনশাল্লাহ কাল ২ পর্ব একসাথে। উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ। Happy Good Luck Good Luck
270039
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভাল লাগল ভাইয়া আপনাদের ভ্রমন কাহিনী Rose Good Luckযাওয়া হয়নি,ব্যয়বহুল শুনেছি। বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমারও তেমন সুখকর নয়। সবচেয়ে খারাপ লাগে ভিতরে বসার পর মশার জন্য অ্যারোসোল স্প্রে করা। তার সাথে ওয়াশরুম আর সিগারেটের উৎকট গন্ধ মিলেমিশে একাকার। জানিনা এই নিয়ম এখনও চলছে কিনা। তবে আপনার বর্ণনায় বিমানের দুরাবস্থার কথা শুনে খারাপ লাগল Sad
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১০
214130
আতিক খান লিখেছেন : তেমন ব্যয়বহুল নয়। বিমান টিকেট বাদ দিলে থাকা খাওয়া সাধ্যের মধ্যে। ৫ তারকা হোটেল থেকে ১০-২০ ডলারের বাসস্থান ও আছে। খাওয়া ক্ষেত্রবিশেষে এই দেশ হতেও সস্তা। ঘুরতে বাস আর ট্রেন আছে অল্প খরচে। শুধু টুরিস্ট স্পটে টিকেট কিনতে হবে। বিমান উন্নতি করছে ইদানিং ভালো কিছু বোইং যুক্ত করার পর। অনেক ধন্যবাদ। Good Luck Good Luck
270817
০২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ‘দেশে তো সম্ভব হয় না, তাই সিঙ্গাপুরে হলেও তোমার সাথে যতটুকু সম্ভব বেড়িয়ে নিচ্ছি। ইচ্ছা করে উঠলাম, সবে তো মধ্যরাত। এই যে শুধু তুমি আর আমি, কেউ আমাদের চেনে না। অজানা গন্তব্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কি রোমান্টিক তাই না’ Chatterbox Day Dreaming ভাগ্যিস আমি অন্যটাতে উঠেছিলাম, যদি ওই LRT তে থাকতাম আমি মুনমুন আপুর পক্ষে আপনার উপর হাতুড়ির ঝড় উঠাতাম Time Out Time Out Time Out Time Out
০২ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
214825
আতিক খান লিখেছেন : তোমার মনে হয় শক্তিবৃদ্ধি টনিক খেতে হবে, হাতুড়ির দুই ঘা যথেষ্ট হওয়া উচিত। ঝড় তুলতে হলে - রাবারের হাতুড়ি মনে হচ্ছে। আর নিজের দিকেও খেয়াল রেখ, কাঁচের গ্লাস তো। বিপক্ষ একটু টোকা দিলেও শেষ Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:২০
214833
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : নিজের অবস্থা মাথায় রেখেইতো প্রিয় একজনকে নিজের পক্ষে নিয়ে নিলাম Tongue যার হাতে থাকলে আমি দস্যুদের হাত থেকেও নিরাপদ, কারন আপনি যে সেই প্রিয়জনের হাত থেকে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে টোকা দিতে পারবেন নাহ্ Love Struck Winking Love Struck @আতিক ভাইয়া
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:১৯
214900
আতিক খান লিখেছেন : আমার ড্রইং রুমে ২ টা হারিকেন ঝুলানো আছে এনটিক পিস হিসাবে। মনে হচ্ছে সংখ্যাটা শীঘ্রই ৩ এ উন্নীত হবে Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৫
214956
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Bring it On Bring it On হুম, তাহলে.... ড্রইং রুমে ঢুকলেই আমার কথা মনে পড়বে আপনার Nail Biting Nail Biting আরও জায়গা থাকলে বলেন, আমি নিজে গিয়ে ওখানে হ্যাঙ হয়ে থাকবো Winking Tongue Tongue
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৯
214958
আতিক খান লিখেছেন : বাথরুমের লাইট নষ্ট Tongue Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪০
214969
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : তাড়াতাড়ি ইন্যাজি সেভিং লাইট লাগান, নয়তো গাড়ীর চাবিটাও হারাবেন Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor এটা কিন্তু সিংড়াপূর নয়, কমোডে পা ঢুকে যেতে পারে Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৬
214986
আতিক খান লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor নাহ, বাথরুমে না। অত কম আলোয় সমস্যা হবে। স্টোররুম বা সিঁড়িঘরে ঝুলালে ভালো হবে Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:৪২
215018
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : স্টোর রুমে রাখলে তেলাপোকার সুবিধা হপে I Don't Want To See আর সিড়িঘরে ঝুলালেতো আরো খারাপ Oh go On Oh go On আপনার রিডিং রুমে রেখেদিয়েন Wave Wave WaveTongue
০৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
215443
আতিক খান লিখেছেন : Time Out At Wits' End ^Happy^ Not Listening Good Luck Good Luck
270944
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৫৮
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : ভালো লাগলো ভ্রমণ কাহিনীটা পড়ে। আমি নিজে তেমন কোথাও যাইনি। তাই কোনো ভ্রমণ কাহিনীও নেই।
০৪ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:০১
215442
আতিক খান লিখেছেন : গেলেও লিখতে হবে এমন কিছু নেই। তবে ভ্রমন আমার মনে হয় মানুষের চোখ খুলে দেয় নানাভাবে। অনেক নতুন আচার আচরন সংস্কৃতির সাথে পরিচয় হয়। আমার পেশাগত কারনেই অনেক ভ্রমন অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন। Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File