পহেলা বৈশাখ কি মুসলমানদের উৎসব??
লিখেছেন লিখেছেন জিহাদী ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:২৮:১৬ দুপুর

অবশ্যই না মুসলমানদের দুটি ধর্মীয় উৎসব। তাহলে এই পহেলা বৈশাখ নিয়ে কেন এত মাতামাতি।
আর বৈশাখ উপলক্ষে কেন এই পান্তা ইলিশের মারামারি।
পান্তা শব্দটি এসেছে পাখাল, পাখেলা ও পাখালভাত শব্দ থেকে। যার উৎপত্তিস্থল ভারতের উড়িষ্যা ও চব্বিশঘরে। ওরা মূলত ওদের রান্না পূজা নামের একটি উৎসব পালন করত। প্রত্যেক বাংলা বর্ষের প্রথম দিনে। সেই অবধি ওঠা গাঢ় ঘেষে বসে বাঙালির হৃদয়ে।
তাই অবশ্যই ওটা মুসলমানের উৎসব না। তাই বলে আমরা অন্য ধর্মের রীতিনীতির প্রতি অশ্রদ্ধা পোষন করতেছিনা।
কিন্তু আমরা মুসলমান হয়ে কি অন্য ধর্মের রীতি অনুসরণ করা জায়েজ।
অবশ্যই না!!
আর এই দিনের পান্তা ইলিশ খাওয়ার জন্য যে হুলুস্থুল তা মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়। আমরা কি একবার চিন্তা করে দেখেছি আমাদের আশেপাশে আত্বীয়স্বজন তথা পাড়া প্রতিবেশী শত শত আপনজন ও পরিচিত মানুষ দু মুঠো অন্নের অভাবে কি দারুন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। কেউ চাল কিনতে পারলে, ডাল ক্রয় করতে পারতেছেনা, আর কেউ ডাল ক্রয় করলে তৈল কিনতে পারতেছেনা।
শত শত লোক অনাহারে দিনাতিপাত করতেছে। আর আমরা পান্তা ইলিশ খেতে মহা ব্যস্ত। যতটুক জানতে পেরেছি ইলিশ প্রতি কেজি 5000 হাজার টাকা করে। মেনে নিলাম উচ্চবিত্ত লোক ক্রয় করে নিবে। আমাদের কি হবে!! কারন আমাদের ত আর উচুঁ অট্টালিকায় বসবাস না।
আমরা চাই না শুধুমাত্র একদিনের জন্য পান্তা ইলিশ খেয়ে বাঙ্গালী সাজতে। আমরা বাঙালি ছিলাম, আছি এবং বাঙ্গালী থাকব।
আর পহেলা বৈশাখের নামে যে ধরনের বেহেয়াপনা ও নির্লজ্জতা দিন দিন বাড়ছে। তা এখন থেকে ভাবতে হবে।
তা না হলে মুসলিম জাতি হিসেবে আমরা আর অধ:পতনের শিকার হব।
তাই আসুন বাংলা বর্ষের প্রথম দিন হিসেবে অন্তত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। অবহেলিত, বন্চিত, অসহায়, গরীব, দুঃখী মেহনতী মানুষের পাশে দাড়াই।
আল্লাহ যেন আমাদের সব ধরনের ধর্মীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত ও অসহায়ের সাহায্য করার তৌফিক দান করেন।
আমীন....
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
ইলিশের মত এতটা দুষ্প্রাপ্য ও দামী জিনিস বাংলাদেশের মত গরীব দেশে ঐতিহ্য হবে যা দেশের বেশীর ভাগ মানুষের নাগালের বাইরে - এটা খুবই পীড়াদায়ক ।
সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে থাকা জিনিস যদি ঐতিহ্য হয় তাহলে হোটেল রেডিসনে লান্চ খাওয়াকে সামনের দিনে ১লা বৈশাখের ঐতিহ্য বলা হবে ।
হুজুগে বাংলাদেশীরা পান্তা-ইলিশের মত রেডিসনের লান্চ খেতে দৌড়াবে ।
র্র্সংস্কৃতিকে পূজি করে আমরা আমাদের নিজস্ব ধর্মীয় ঐতিহ্যকে কি বিসর্জন দিচ্ছি না?
“যেখানে দেশের অধিকাংশ লোকই দুমুঠো ভাতের অভাবে নিদারুন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে” সেখানে মুসলমানরা বছরে দুটি ধর্মীয় উৎসব পালন করতে গিয়ে কি পান্তা ভাত খাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি করছে না ?
লোম বাছতে গিয়ে পুরো কম্বল উজাড় করে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না !
না
মন্তব্য করতে লগইন করুন