দূর্বল শিক্ষার্থীকে সবল করার কৌশল
লিখেছেন লিখেছেন বিন হারুন ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৭:২৩:০৮ সন্ধ্যা
যেসব শিক্ষার্থী পড়াশুনায় মনোযোগ দিচ্ছে না. শিক্ষালয়ে একদিন আসে তো দু'দিন আসে না. বাড়ির কাজ নিয়মিত আদায় করতে পারে না. অভিভাবক টেনে হিঁছড়ে শিক্ষালয়ে আনেন, সুযোগ পেলে আবার পালিয়ে যায়.
সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের করনীয়:
...........................
...........................
প্রথমে ছাত্রটির অতীতের সব অপরাধ ক্ষমা করে দিন. মাঝে মধ্যে সুযোগ হলে তার বাসায় যান তার খোঁজ খবর নিন (মোবাইলে কিংবা সরাসরি) এতে অভিভাবকের মনোবলও বাড়বে. তার সামনে তার প্রশংসা করুন. শিক্ষালয়ে আসলে তাকে অফিস থেকে এক গ্লাস পানি আনতে বলুন. তার জামার একটি বোতাম খুলে আবার লাগিয়ে দিন, তার মুখটা একটু মুছে দিন, (ছাত্রী হলে তা করার প্রয়োজন নেই, আর ছাত্রীরা তোমন দুষ্টও হয় না) ক্লাশ শেষে আপনার হাজিরা খাতাটি তাকে দিয়ে অফিসে নিয়ে যান. একটু লিখলে বলুন "মা-শা আল্লাহ তোমার লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে, আরো সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবে". শ্রেনি কক্ষে আজকে যতটুকু পড়ালেন, তার কতটুকু ছাত্রটি বুঝল খেয়াল রাখুন, তাহলে আগামিকাল তার শিক্ষালয়ে আসতে ভয় থাকবে না. দেখবেন ছাত্রটি আপনাকে তার ভাল বন্ধু মনে করবে.
শ্রেণিকক্ষে দেখা যায় যেই ছাত্রটি পড়া মুখস্থ শুনাতে পারে না, সে-ই হাতের লেখা আনল না. সে-ই শিক্ষালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হল না. সে-ই শ্রেণি কক্ষে দুষ্টুমি করল. এখন যদি সব অপরাধের বিচার করতে যান, তাহলে ছেলেটি ঝড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮০% আর যদি তার অপরাধগুলো ক্ষমা করে তার বন্ধু হতে পারি তাহলে দেখা যাবে একদিন সেই দূর্বল অমনোযোগি ছেলেটিও অন্য দশজনের মতো হাসিখুশিতে শিক্ষালয়ে আসছে. আমাদের মনে রাখতে হবে প্রথম-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীকে অর্থাৎ ৬-১৪ বছর বয়সের একজন শিক্ষার্থীকে জজ-ব্যারিষ্টার বানানোর চেষ্টা করলে তা লবনহীন তরকারির মতো হয়ে যাবে.
আপনার আরো জানা থকলে জানান, সংগ্রহে রাখব, উপকৃত হব.
বিষয়: বিবিধ
২২৪৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
আমার মতে ৬-১৪ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েরা দুষ্টমি করবে এটাই স্বাভাবিক বরং না করলেই আমি অবাক হবো। ছোট বেলায় পড়া ফাঁকি দিতে তো প্রিয় কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরও চেয়েছে। এই বয়সে এটা তেমন বড় কোন বিষয় না।
তবে অমনযোগী ছাত্র-ছাত্রীকে গাইড দেওয়া জরুরী। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অনেক। প্রথমেই তার অমনযোগীতার কারন খুঁজে বের করতে হবে। কারন এক একজন ছাত্র-ছাত্রীর অমনযোগীতার কারন এক একরকম। যদি বিষয়টা এমন হয় যে সে অংক/ইংরেজী কম বুঝে তবে ঐ বিষয়ে সে উদাসীন হবে এবং স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করবে তাই তার নিকট ঐ বিষয়টিকে সহজ করে তুলতে হবে।
=> পরিবারে পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
=> পাঠের বিষয়টি তার নিকট আকর্ষনীয়-উপভোগ্য করে তুলতে হবে।
=> শ্রেনীতে দূর্বল-সবল ছাত্র-ছাত্রী সমন্বয়ে গ্রুপ স্টাডি করানো যেতে পারে
=> মানসিক সমস্যা (ভয়) থাকলে কাউন্সিলিং করা যেতে পারে
=> তার ছোট সাফল্যকেও প্রশংসা করতে হবে (এতে তার আত্ববিশ্বাস বাড়বে)
=> মনযোগ বাড়ানোর মেডিটেশন করানো যেতে পারে
=> কিছু ভিডিও গেমস আছে যা মনযোগ বাড়াতে সাহায্য করে প্রয়োজনে সীমিত সময়ের জন্য সেই গেমসগুলো খেলতে দেওয়া যেতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন