ভিন্ন ধর্ম নিয়ে আলোচনাঃ
লিখেছেন লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:০৭:০৮ রাত
বিশ্বে অনেক আজব আজব ধর্ম পাওয়া যায়, যেমন বৌদ্ধ একটা ধর্ম। সম্ভবত বৌদ্ধই হচ্ছে একমাত্র ধর্ম, যেই ধর্মে কোনো মা’বুদ বা সৃষ্টিকর্তা নেই। আল্লাহই ভালো জানেন, যেই ধর্মে আল্লাহর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না সেই ধর্মে আসলে কার পূজা করা হচ্ছে? যেই পূজা অর্চনা করা হবে সেটা শয়তান ছাড়া আর কে পাবে?
আবার আছে খ্রীস্টান ধর্ম, যার মধ্যে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে খুব অদ্ভুত ধারণা দেওয়া হয়েছে যাকে বলা হয় ট্রিনিটি বা ত্রিত্ববাদ। এই ধারণা অনুযায়ী, “সৃষ্টিকর্তা একজন, এই একজনের আবার তিনটা রূপ রয়েছে – পিতা (মানে আল্লাহ), তাঁর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ, ঈসা (আঃ) ও পবিত্র আত্মা (জিব্রাইল (আঃ). এই তিনজন হচ্ছেন আলাদা আলাদা সত্ত্বা, আবার তিনজনে মিলে হচ্ছেন একজন”. অর্থাৎ খ্রীস্টানরা আমাদের
বিশ্বাস করতে বলে, ১+১+১=১, ১+১+১≠৩।
যাই হোক এই অংকবিরোধী সূত্রতো আছেই তার উপর আরো অসম্ভব একটা বিষয় আছে সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে। তাদের মতে ঈসা (আঃ) ই হচ্ছেন আল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ). এইজন্য খ্রীস্টানরা কোনো বিপদে পড়লে বা আশ্চর্য কিছু হলে আমরা যেমন আল্লাহকে ডাকি তারা তেমনি যীশু/যিসাস বা ঈসা (আঃ) কে ডাকে।
এরাই আবার বিশ্বাস করে, ঈসা (আঃ) কে ক্রুশে হত্যা করা হয়েছিলো (আসলে হত্যা করতে পারেনি, আল্লাহ আগেই তাকে তাঁর কাছে তুলে নেন সুরা আন-নিসা, আয়াত ১৫৭-১৫৮)।
এখন প্রশ্ন হলো, ঈসা (আঃ) যদি আল্লাহ হয়ে থাকেন, তাহলেতো আল্লাহকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে ফেলেছিলো ইয়াহুদীরা। তার মানে কি ইয়াহুদীরা খ্রীস্টানদের আল্লাহর থেকেও বেশি শক্তিশালী? (এইজন্যই হয়তোবা বর্তমানে আমেরিকা ইসরাইলের গোলামি করছে)।
আবার আল্লাহকেই যদি হত্যা করে ফেলা হয়ে থাকে, তাহলে তখন সারা দুনিয়া কে চালাচ্ছিলো? যে আল্লাহকে মানুষ মেরে ফেলে তাকে ইবাদত করে লাভ কি, সে বিপদের সময় নিজেকেই বাঁচাতে পারেনা, আমাদেরকে কি সাহায্য করবে?
এই হচ্ছে মানুষের বানানো ধর্মের অবস্থা।
বিষয়: সাহিত্য
১০০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন