নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এরশাদ, আ.লীগকে ফের আশ্বাস!

লিখেছেন লিখেছেন হতভাগা ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:২১:১২ রাত



03 Dec, 2013 জাতীয় পার্টি আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। সংবাদ সম্মলনে ‘নির্বাচন বর্জনের’ ঘোষণা দেয়ার পরই সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন। এরশাদ তাদেরকে ফোনে আশ্বস্ত করেন, ‘জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাটি স্রেফ মাঠের রাজনীতিতে দরকষাকষি।’ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জন্য ৭০টি আসন বরাদ্দ পেতে এরশাদ নির্বাচন ‘বর্জনের’ নতুন ঘোষণা দেন। ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রিয় দেশ ডটনেটকে।

আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করেন। আজ বিকেল চারটা পর্যন্ত এরশাদ ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন নির্বাচনকালীন সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে। তাদেরকে পতিত স্বৈরাচার এরশাদ জানান, তার দল নির্বাচনে অংশ নেবে।

প্রিয় দেশ ডটনেট’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে ওবায়দুল কাদের এরশাদের টেলিফোনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এরশাদ সাহেব তো শেষ কথা বলেননি। জোটের রাজনীতিতে অনেক কিছু নিয়ে হিসাব নিকাশ থাকে। এসব হিসাব নিকাশ থেকে অভিমানও জন্মায়। এরশাদ সাহেবের মনে তাই জন্ম নিয়েছে।’

মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও এরশাদের টেলিফোনের বিষয়টি প্রিয় দেশ ডটনেট’র কাছে স্বীকার করেন। তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জাতীয় পার্টির সূত্র জানায়, রাজনীতিতে ডিগবাজির অন্যতম পুরুষ এরশাদ ফের ব্যস্ত নতুন দরকষাকষিতে। তিনি মনে করছেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপির পর ভোটের নিরিখে জাতীয় পার্টি এদেশের বড় রাজনৈতিক দল। বিএনপি নির্বাচনে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশ, বিদেশে আরো বেকায়দায় পড়বে। ফলে জাতীয় পার্টির দাবি মানতে ‘বাধ্য’ হবে আওয়ামী লীগ। বিষয়টিকে সামনে রেখে নতুন দরকষাকষিতে নেমেছেন এরশাদ। ‘নির্বাচনে অংশ নেবে না জাতীয় পার্টি’, এরকম ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে নিজের দলের প্রার্থীদের জন্য ৭০টি আসনের দরকষাকষি করছেন তিনি।

অন্যদিকে নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এতে একতরফা নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরও গ্রহণযোগ্যতা হারাল বলে মনে করছে দলটি। তবে এখনো এরশাদের ‘নতুন ঘোষণার’ ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না দলটি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়াও জানায়নি বিএনপি

উৎসঃ প্রিয়দেশ

বিষয়: বিবিধ

১০৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File