আইডিয়াল ক্যাম্পাসের বৈশিষ্ট্য কি কি?????
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল আজিজ এম আল সাইফ ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৬:১৭:০৯ সন্ধ্যা
ফাও খাওয়া!!
আমাদের ক্যাম্পাসটা তখনো পঙ্কিল রাজনীতির সংস্পর্শ থেকে কিছুটা দুরে!! ক্যাম্পাসে সিনিয়র জুনিয়র দের মধ্যে একটা মধুর সম্পক্য বিদ্যমান!! যেকোন সমস্যা হলে প্রথমে পারসনালি ম্যানেজ করা হতো, একটু গন্ডির বাইরে গেলে ব্যাচ মিটিং এ সমস্যার সমাধানে চেস্টা করা হতো! আর যখন সম্যসা ব্যাচের গন্ডি পেরিয়ে যেতো তখন জেনারেল মিটিং ডেকে যেখানে সব ব্যাচের ছাত্রদের উপস্থিত থাকাটা বাধ্যতামূলক ছিল সেখানে সমস্যা সমাধান করা হতো। জেনারেল মিটিং এ মোডারেটর এবং বিচারক থাকতো সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাচের ভাইয়েরা!! ক্যাম্পাসে কোন জুনিয়র এমনকি সিনিয়ররা প্রকাশ্যে ধুমপান এমনকি প্রেমের নামে অশ্লীলতা করতে পারতো না!! প্রতি ব্যাচে একজন করে ছাত্রকল্যাণ ফান্ডের প্রতিনিধি থাতো এবং ব্যাক্তি অবশ্যই ব্যাচের ফাস্ট বই অথবা গার্ল হতো!! ডাইনিং এর ম্যানেজার থাকতো ৩য় বর্ষের ছাত্ররা কারন তাদের পড়ালেখার চাপ তুলনামুলক কম ছিল!! এবং ম্যানেজার সিলেক্ট হতোরোল নং এর ভিত্তিতে!! এমনকি ব্যাচ প্রতিনিধি যারা হতো তারা হতো রোল নং এর ভিত্তিতে!!
কেও কি দয়া করে বলবেন বাংলাদেশের কোন ক্যাম্পাস কি এমনটা আছে????? এর চেয়ে আইডিয়াল ক্যাম্পাস কি হতে পারে???
কিন্তু যেদিন আমি ক্যাম্পাস কে বিদায় জানিয়ে এসেছি সেদিন ক্যাম্পাসের ডাইনিং বন্ধ হয়ে গেছিল সোনার ছেলেদের সোনার ডিম্ব উপহারে আর ফাও খাওয়ায় সাধারন ছাত্ররা ডাইনিং এ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল!! আর এখন ক্যাম্পাসটা যেন মদতাড়ির আকড়াতে পরিনত হয়েছে!! জুনিয়ররা সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলতে সম্মান বোধ করে, কারনে অকারনে হোস্টেল যাকে খুশি বের করে দেয় এমনি শিক্ষকদের অপমান করতেও দিধা করে না! প্রেমের নামে ভাদ্র মাসের কুত্তার মত রাস্তা ঘাটে বেহাপনায় লিপ্ত থাকে!! মাঝে মাঝে হোটেল গুলোতে অপকর্ম করতেে গিয়ে ধরা খাওয়া ছাত্রদের ছারিয়ে আনতে গিয়ে অপমানিত হয় প্রিন্সিপাল!!
হ্যা, সোনার ছেলেদের রাজনিতি র কারনে আজ আমরা একটা আইডিয়াল ক্যাম্পাস হারিয়েছি! নাজানি ক্যাম্পাস না আরো কত দামি জিনিস হারিয়েছি!!
বিষয়: বিবিধ
১৪৬২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
দেশের সব ক্যাম্পাস এর অবস্থাই এখন খারাপ। রাজনৈতিক অপকর্মের সাথে এখন চালু হয়েছে র্যাগিং নামের অপসংস্কৃতি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন