আমিতো শামীম ওসমানের ভক্ত হয়ে গেলাম
লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ০৩ জুলাই, ২০১৪, ১২:২৬:৪৪ দুপুর
উরি বাবা!! আমি তো শামীম ওসমানের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি!! সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, “সাংবাদিকরা কুকুর। ছোটকালে আমরা দেখতাম বড়লোকেরা পোষা কুকুর পালছেন... পরবর্তীকালে যাদের টাকা পয়সা হয় তারা মিডিয়া পুষতে শুরু করেন। এসব মিডিয়া হলো এ্যালসেশিয়ান কুকুর। উদাহরণস্বরূপ ধরুন,
• বসুন্ধরার শাহ আলম। তার রয়েছে চারটি পত্রিকা- কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, একটি অনলাইন পত্রিকা এবং ডেইলি সান নামে একটি ইংরেজি পত্রিকা।
• যমুনা গ্রুপের নূরুল ইসলাম বাবুলের রয়েছে একটি সংবাদপত্র, আরো রয়েছে একটি টেলিভিশন। আর তা হচ্ছে দৈনিক যুগান্তর
এবং যমুনা টিভি।
• হামিম গ্রুপের জনাব আজাদ, তার রয়েছে একটি সংবাদপত্র। তার
আরো একটি খবরের কাগজ দরকার। তিনি একটি টেলিভিশন
চ্যানেলের লাইসেন্স নিয়েছেন। দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪।
• বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান। তার রয়েছে একটি ইংরেজি দৈনিক। নাম দি ইনডিপেন্ডেন্ট। আর রয়েছে একটি টিভি চ্যানেল। সেটার নামও দি ইনডিপেন্ডেন্ট।
“সালমান... সে একজন চোর ... একজন বড় চোর... তিনি ২৩ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছেন। তার রয়েছে একটি সংবাদপত্র
এবং একটি টিভি চ্যানেল। আমি তাকে যখনই দেখি তখনই তাকে বলি চোর... চোর... চোর”।
আপনার মালিক যদি আপনাকে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে লিখতে বলে তাহলে সেটি আপনাকে লিখতে হবে। এরা সকলেই আমার
বিরুদ্ধে লেখেন। আমি কিছু বলি না। ওরা লিখতে থাকুক। আমি জানি, তারা কোথা থেকে এসেছে। অত্যন্ত নিম্নস্তর থেকে তারা আজ এই উচ্চস্তরে উঠে এসেছে।”
অপ্রিয় হলেও শামীম ওসমানের কথাটি সত্যি। বর্তমান বাংলাদেশের নীতিহীন সাংবাদিকরা হচ্ছে কুকুর। যদিও শামীমের মত বিতর্কিত লোকের মুখ থেকে আসায় অনেকের কাছে যুক্তি বা উপমাটা অগ্রহণযোগ্য। ধরুন একটা ধনী লোক কিছু লোকের ক্ষতি করে তাড়া খেয়ে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিল। ক্ষতিগ্রস্থ লোকগুলোও তার পিছুপিছু সেই বাড়িতে পৌঁছে গেল। কিন্তু তারা বাড়িতে ঢুকার সাহস পেল না। কারণ সেই ধনীর বাড়িতে অনেকগুলো কুকুর আছে। তারা ক্ষতি পূরণের দাবিতে বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলেই কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। আর
ধনী লোকটি থাকে নিশ্চিন্তে। কেউ তার একটি চুলও স্পর্শ করতে পারে না। আমাদের দেশের বর্তমান নীতিহীন সাংবাদিকরাও সেই
কুকুরের মত। তারা বড় বড় ক্ষতিকারক ধনী ব্যক্তির অধীনে থাকে। এই ধনী লোকগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে এসে নিজ বাড়িতে নিশ্চিন্তে আশ্রয় নেয়। কেউ যদি ক্ষতিপূরণের দাবি করে বা কিছু কয় তাহলে তাদের হয়ে ঘেউ ঘেউ করে এই নীতিহীন সাংবাকি ও তাদের মিডিয়াগুলো। মনে নেই... কিছু দিন আগে বসুন্ধরা গ্রুপের শাহ আলম আর ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফের সাথে যখন কাইজ্জা চলেছিল, তখন এই দুই মাফিয়ার পক্ষে ঘেউ ঘেউ করেছিল তাদের দুই পক্ষেরই সাংবাদিকরা। বসুন্ধারার পক্ষে ছিল- সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ আর ডেইলি সান আর ট্রান্সকমের পক্ষে ছিল প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, এবিসি। তখন সেই কি যে ঘেউ ঘেউ... রীতিমত এই ঘেউ ঘেউ আদালত পর্যন্ত গড়াল!! কিন্তু দুই মালিক শাহ আলম আর লতিফুর রহমান ছিল নিশ্চিন্তে।
সংগৃহীত " বঙ্গমিত্র " ভাই
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মিডিয়া দিয়ে ঘায়েল করা খুব ইফেক্টিভ ।
বসুন্ধরার মালিক প্রথম আলো তথা ট্রান্সকম গ্রুপের সাথে কিছুতেই পেরে উঠছিল না মইন-ফখরুদ্দিনের সময়ে । পরে গায়ের জোরের চেয়ে মাথা খাটানোতে মেনে পড়লো ।
এখন আর শাহ আলম সাহেবকে কেউ আগের মত ঘাটাতে আসে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন