আপনি কি আল্লাহর কাছে তওবা করেন??

লিখেছেন লিখেছেন ইমরান ভাই ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৩৮:৩০ সকাল



আবূ সাঈদ সা‘দ ইবন মালেক ইবন সিনান খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত যে,

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের পূর্বে (বনী ইস্রাইলের যুগে) একটি লোক ছিল; যে ৯৯টি মানুষকে হত্যা করেছিল। অতঃপর লোকদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলেম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তাকে একটি খ্রিষ্টান সন্নাসীর কথা বলা হল। সে তার কাছে এসে বলল, ‘সে ৯৯ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এখন কি তার তওবার কোন সুযোগ আছে?’ সে বলল, ‘না।’ সুতরাং সে (ক্রোধান্বিত হয়ে) তাকেও হত্যা করে একশত পূরণ করে দিল।

পুনরায় সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আলেম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। এবারও তাকে এক আলেমের খোঁজ দেওয়া হল। সে তার নিকট এসে বলল যে, সে একশত মানুষ খুন করেছে। সুতরাং তার কি তওবার কোন সুযোগ আছে? সে বলল, ‘হ্যাঁ আছে! তার ও তওবার মধ্যে কে বাধা সৃষ্টি করবে? তুমি অমুক দেশে চলে যাও। সেখানে কিছু এমন লোক আছে যারা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করে। তুমিও তাদের সাথে আল্লাহর ইবাদত কর। আর তোমার নিজ দেশে ফিরে যেও না। কেননা, ও দেশ পাপের দেশ।

’ সুতরাং সে ব্যক্তি ঐ দেশ অভিমুখে যেতে আরম্ভ করল। যখন সে মধ্য রাস্তায় পৌঁছল, তখন তার মৃত্যু এসে গেল। (তার দেহ-পিঞ্জর থেকে আত্মা বের করার জন্য) রহমত ও আযাবের উভয় প্রকার ফিরিশ্তা উপস্থিত হলেন। ফিরিশ্তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক আরম্ভ হল।

রহমতের ফিরিশ্তাগণ বললেন, ‘এই ব্যক্তি তওবা করে এসেছিল এবং পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর দিকে তার আগমন ঘটেছে।’ আর আযাবের ফিরিশ্তারা বললেন, ‘এ এখনো ভাল কাজ করেনি (এই জন্য সে শাস্তির উপযুক্ত)।’ এমতাবস্থায় একজন ফিরিশ্তা মানুষের রূপ ধারণ করে উপস্থিত হলেন।

ফিরিশ্তাগণ তাঁকে সালিস মানলেন। তিনি ফায়সালা দিলেন যে, ‘তোমরা দু’ দেশের দূরত্ব মেপে দেখ। (অর্থাৎ এ যে এলাকা থেকে এসেছে সেখান থেকে এই স্থানের দূরত্ব এবং যে দেশে যাচ্ছিল তার দূরত্ব) এই দুয়ের মধ্যে সে যার দিকে বেশী নিকটবর্তী হবে, সে তারই অন্তর্ভুক্ত হবে।’ অতএব তাঁরা দূরত্ব মাপলেন এবং যে দেশে সে যাওয়ার ইচ্ছা করেছিল, সেই (ভালো) দেশকে বেশী নিকটবর্তী পেলেন।

সুতরাং রহমতের ফিরিশতাগণ তার জান কবয করলেন।’’

সহীহতে আর একটি বর্ণনায় এরূপ আছে যে, ‘‘পরিমাপে ঐ ব্যক্তিকে সৎশীল লোকদের দেশের দিকে এক বিঘত বেশী নিকটবর্তী পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে ঐ সৎশীল ব্যক্তিদের দেশবাসী বলে গণ্য করা হল।’’

সহীহতে আরো একটি বর্ণনায় এইরূপ এসেছে যে, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা ঐ দেশকে (যেখান থেকে সে আসছিল তাকে) আদেশ করলেন যে, তুমি দূরে সরে যাও এবং এই সৎশীলদের দেশকে আদেশ করলেন যে, তুমি নিকটবর্তী হয়ে যাও। অতঃপর বললেন, ‘তোমরা এ দু’য়ের দূরত্ব মাপ।’ সুতরাং তাকে সৎশীলদের দেশের দিকে এক বিঘত বেশী নিকটবর্তী পেলেন। যার ফলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল।’’

আরো একটি বর্ণনায় আছে, ‘‘সে ব্যক্তি নিজের বুকের উপর ভর করে ভালো দেশের দিকে একটু সরে গিয়েছিল।’’

(সহীহুল বুখারী ৩৪৭০, মুসলিম ২৭৬৬, ইবনু মাজাহ ২৬২৬, আহমাদ ১০৭৭০, ১১২৯০,রিয়াজুস সালেহীন ৮/২১)

সংগ্রিহীতঃ Message Of Messenger

বিষয়: বিবিধ

১১০৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

179731
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ পিলাচ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
132764
ইমরান ভাই লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
132765
ইমরান ভাই লিখেছেন : হাদিসটি সবাকে শেয়ার করো ।
179747
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : অনেক চমৎকার একটি হাদিস। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
132766
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
হাদিসটি সবাকে শেয়ার করুন আপনার মিডিয়া সাইডে।
179772
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২২
চক্রবাক লিখেছেন : পিলাচ পিলাচ পিলা।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১৬
132790
ইমরান ভাই লিখেছেন : Rose Rose Rose Rose
179789
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২২
পবিত্র লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
132803
ইমরান ভাই লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিকুম। Love Struck
179830
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
আলোকিত ভোর লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ Praying
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
132848
ইমরান ভাই লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফিকুম।
179883
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : মাইনাস+ মাইনাস= পিলাচ
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৪
132980
ইমরান ভাই লিখেছেন : পিলাচ+পিলাস=পিলাস Love Struck
179956
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫২
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : 'তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'

[আল মায়েদাহ; আয়াত নং-৩৯ ]
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৫
132981
ইমরান ভাই লিখেছেন : সব থেকে বড় জুলুম হল আল্লাহ ওয়াজজা ওয়া জাল্ল এর সাথে শির্ক করা।
আল্লাহ আমাদের জানা ও অজান সকল শির্ক থেকে ক্ষমা করুন। আমিন।
179984
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আসলে আমরা অনেকটা মুখস্ত তওবাহ করতে অভ্যস্ত। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সচেতন ভাবে তওবা করার বিকল্প নেই।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৪
133018
ইমরান ভাই লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে তওবা কারীদের সঙ্গী করুন আমিন।
জাজাকাল্লাহ খায়রান।
180136
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪১
রাইয়ান লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদের সকল গুনাহ সমূহ মাফ করুন , আমাদের নিরন্তন তাওবাকে কবুল করুন। Praying
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
133198
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমিন। Love Struck
১০
181611
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৩৭
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : ভালো লাগলো
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
134320
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File