বাগদাদের একটি মেয়ের গল্প

লিখেছেন লিখেছেন Mujahid Billah ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৭:১৬ রাত

বাগদাদ শহরের এক ধার্মিক মেয়ে ছিল, মেয়েটি ছোট বেলা থেকেই নামাজ, রোজা, কোরআন তেলওয়াতে সব সময় ব্যস্ত থাকতো। এভাবে চলতে চলতে মেয়েটি এক সময় বড় হয়ে গেল। একদিন মেয়েটির মা-বাবা তার কাছে বিয়ের সম্মতি চাইল, সে রাজি হয়ে গেল। তার মা-বাবা একজন ধার্মিক পাত্র ঠিক করল। এরপর বিয়ের দিন ঠিক করা হল। যথারিতি বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। মেয়েটিকে কনের সাজে সাজানো হল।

এদিকে যোহরের আজান দিল, মেয়ে আসর থেকে উঠে নামাজ পরতে চলে গেল। আত্মীয় স্বজন সবাই বলতে লাগলো, আরে কি করছ? এক্ষনি বর যাত্রি এসে পড়বে, তোমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে, বর যাত্রি এই অবস্থায় দেখলে কি বলবে? মেয়ের জবাব, আমি আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না, আল্লাহ যা করবেন আমার মঙ্গলের জন্য করবেন। কে কি বলবে তার জন্য আমি আল্লাহর বিধান অমান্য করতে পারবো না।

অতঃপর মেয়েটি নামাজ পড়তে চলে গেল। বেশ কিছুক্ষন হয়ে গেল মেয়ে আসছেনা। অতঃপর মেয়ের মা নামাজের ঘরে মেয়েকে দেখতে গেল। মা দেখল মেয়ে এখনও সেজদায়। সেজদা থেকে উঠার বিলম্ব দেখে মা মেয়ের শরীরে হাত দিয়ে দেখল। মা হাত দিতে মেয়ে পরে গেল। বুঝতে বাকী নেই মেয়ে মৃত্যূ বরণ করেছে। ইন্না লিল্লাহি ও ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

কি সুন্দর মৃত্যূ। আল্লাহর দরবার সেজদা অবস্থা মৃত্যূর চেয়ে উত্তম মৃত্যূ আর কি হতে পারে? নামাজ অবস্থায় মৃত্য বরণ করলে শহীদেরর মর্যাদা। সুন্দর এই গল্পটি ‘কোরআন হাদিসের শিক্ষা’ নামক বই থেকে নেয়া হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১০৫৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377910
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:৪৮
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এমন মৃত্যু মুসলমান মাত্রই কামনা করতে পারি
377915
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সকাল ০৮:৪১
হতভাগা লিখেছেন : সুব'হান আল্লাহ ! এরকম মৃত্যু প্রত্যেক নেককার মুসলমানের কাম্য হওয়া উচিত ।

কিন্তু এই সেজদার সময়ই রাজ্যের সমস্ত সমস্যার সমাধানের আইডিয়া মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File